এনআইডি কার্ডের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না করলে সমাধান কি : আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছে। যারা নতুন সিম কিনতে গেলে।
জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ডে থাকা ফিঙ্গারপ্রিন্টের সাথে, বর্তমানের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করে না বিধায়, নিজের নামে সিম কিনতে পারেন না।
এছাড়া আরো অন্যান্য সমস্যায় পড়তে হয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না হওয়ার ফলে। আবার লক্ষ্য করা যায় যাদের হাতের ছাপ ম্যাচ করে না।
তারা অধিকাংশ 2007 থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ভোটার হয়েছিলেন। যাদের মধ্যে বেশির ভাগ বয়স্ক লোক।
বর্তমান সময়ে সরকারিভাবে বিভিন্ন ভাতা বয়স্কদের জন্য দেওয়া হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে, তবে সিম কিনতে গেলে, তাদের হাতের আঙ্গুলের ছাপ না মিলাই।
তারা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে পারে না। যার ফলে তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।
শুধুমাত্র বয়স্ক ব্যাক্তি নয়। যেকোনো বয়সের ভোটারদের ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে। তবে এ বিষয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই, বর্তমান সময়ে, এমন অনেক প্রযুক্তির সৃষ্টি হয়ে গেছে।
যার ফলে কঠিন কঠিন কাজ আমরা সহজেই সারতে পারি। সেরকম ভাবে আপনার ভোটার আইডি কার্ডে থাকা ফিঙ্গারপ্রিন্ট যদি বর্তমান সময়ের না মিলে। সে ক্ষেত্রে আপনারা সহজে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করে নিতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ডের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করার জন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনে অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে।
এ বিষয়ে, আপনাদের কোন খরচ নেওয়ার টাকা চাওয়া হবে না। একদম বিনা মূল্যে আপনারা জাতীয় পরিচয় থাকা ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরিবর্তন করে, নিতে পারবেন।
আর সব থেকে মজার বিষয় হলো- ভোটার আইডি কার্ডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করার জন্য তেমন কোন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে না।
তাই আপনি যদি এনআইডি কার্ডের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান? তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
এনআইডি কার্ডে বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করার জন্য যা প্রয়োজন
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ডের থাকা ফিঙ্গারপ্রিন্ট যদি বর্তমানে ফিঙ্গারপ্রিন্টের সঙ্গে না মিলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বায়োমেট্রিক এর সাহায্যে আপডেট করে নিতে হবে নির্বাচন অফিসে গিয়ে।
তবে এনআইডি কার্ডে বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করার জন্য যে, যে জিনিসগুলো প্রয়োজন। সেগুলো হচ্ছে-
১ নং সংশোধনী ফর্ম পূরণ করতে হবে। আর সে ফর্মটি নির্বাচন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া আপনি চাইলে ১ নং ফরমটি অনলাইনের মাধ্যমে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
এছাড়া আপনার কাছে যে ভোটার আইডি কার্ডটি রয়েছে। সেটির ফটোকপি সংশোধনী ফরমের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করার আবেদন প্রক্রিয়া
আপনি যদি এনআইডি কার্ডের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করতে চান। সেটি অনেক সহজেই করে নিতে পারবেন। তো আপনারা উপরের অংশে যে ফরম টি দেখতে পারছেন।
সে ফর্মটি উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে বা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে, সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।
তো প্রথমে আবেদনের তারিখ লিখবেন।
তারপর আবেদনপত্র তে থাকা ১নং ক্রমিকের (ক) অংশে নিজের নাম বাংলাতে লিখবেন। (খ) অংশে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর লিখবেন।
তারপর আবেদনপত্রে থাকা ২নং ক্রমিকে কোন কিছু লেখার প্রয়োজন নেই।
তারপর আবেদন পত্র থাকা ৩নং ক্রমে কে যে সব গুলো দেখতে পাচ্ছেন। সেখানে সর্বশেষ (ঝ) অন্যান্য অংশের তৃতীয় কলামে (আপনার চাহিত তথ্য) লিখবেন। আর আপনি যেহেতু ভোটার আইডি কার্ডের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরিবর্তন করবেন সেহেতু ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট লিখবেন।
তারপর নেটের শোকে আবেদনকারীর স্বাক্ষর/ টিপ সহি প্রদান করতে হবে। এছাড়া আবেদনকারীর পূর্ণ নাম ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার লিখতে হবে যা আপনারা উপরের শেষ হবে দেখতে পাচ্ছেন।
উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন ফরম পূরণ করার পর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ফরম এর পেছনে সংযুক্ত করে নির্বাচন অফিসে জমা দিয়ে আসতে হবে।
তারপর আপনার আবেদনটি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে সে দিনে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করে নেয়া হবে। আবেদনকারীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট মল ডাটাবেজে আপলোড করার পরে নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন হতে প্রায় একমাস সময় লাগতে পারে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করার এক মাস পর নতুন সিম রেজিস্ট্রেশন করা বা মোবাইল ব্যাংকিং বিভিন্ন একাউন্ট খোলার চেষ্টা করবেন।
আপনার যদি ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করা যায় তাহলে বুঝবেন আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সার্ভার আপডেট হয়ে গেছে আর যদি ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না করে।
সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট হওয়ার বর্তমান অবস্থা জেনে আসবেন।
বর্তমান সময়ে জাতীয় পরিচয় পত্র এন আইডি কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য সংশোধনের এই একটিমাত্র উপায় খোলা রয়েছে ১ নং সংশোধনী ফরম।
এক্ষেত্রে যদি কোন ভোটার এর বায়োমেট্রিক তথ্য ম্যাচ না করে তবে দ্রুত সেটি সংশোধন করে নেয়াই ভালো। হতে পারে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজে বায়োমেট্রিক মানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করছে না।
তখন আপনারা যতই দৌড়াদৌড়ি করেন না কেন? প্রয়োজনের সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক করে আপডেট করে নিতে পারবেন না কারণ এটি আপডেট করার জন্য প্রায় এক মাস সময় লেগে যায়।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা, মোবাইল সিম কিনতে বাজারে যান এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করার সময় দেখেন আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনে ম্যাচ করছে না। তখন চিন্তা করার কোন কারণ নেই।
আপনারা সরাসরি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ১ নং সংশোধনী ফরম পূরণ করে, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করে, নির্বাচন অফিসে জমা দেয়ার পর।
আপনার এন আইডি কার্ডের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করে দেয়া হবে।
তো বন্ধুরা আমাদের আজকের লেখা আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে এনআইডি কার্ডের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না করলে সমাধান কি? সে বিষয়ে আপনার বন্ধুদের শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।