ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু কথা : ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে অবশ্যই জানুন!

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করার বিষয় চিন্তা করেন। বিশেষ করে বিভিন্ন আইডির সেন্টার থেকে কোর্স করে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু কথা অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে, অবশ্যই কিছু বিষয়ের উপর জ্ঞান রাখতে হবে।

আমাদের বাংলাদেশে এই সময় সকলের মুখের শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার কথাই শোনা যায়। কেউ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে জানতে চাই আবার কেউ শিখতে চায়।

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু কথা : ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে অবশ্যই জানুন!
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু কথা : ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে অবশ্যই জানুন!

এখন আসলে কি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং শেখা আপনার উচিত। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে গেলে ভবিষ্যৎ কেমন হবে এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করে কেমন টাকা ইনকাম করা যায়।

এই সকল বিষয়ে জানতে চাইলে, অবশ্যই আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

বর্তমান সময়ে যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। তারা অনেকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না। কিন্তু যারা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করে সকল ফ্রিল্যান্সার হয়েছে, তারা মাস শেষে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং একটি চাকরির মত। কিন্তু এখানে ভিন্নতা রয়েছে, সে ভিন্নতা টি হল আপনি এখানে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

এখন আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করা উচিত। এখন হলো মূল বিষয়। ফ্রিল্যান্সিং কাজে প্রচুর স্বাধীনতা রয়েছে তাই তো।

বিষয়টি যে সকল নতুন ফ্রিল্যান্সাররা ভেবে থাকেন এটি একদমই নয়। কারণ আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সারকে প্রশ্ন করলেই বুঝতে পারবেন।

এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার হয়েছে যাদের দেখতে পারবেন, তারা সারা রাত জেগে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করে থাকে। অন্যদিকে একজন অফলাইন চাকরিজীবী সারাদিন অফিস করার পর রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে।

তাহলে কোথায় ফ্রিল্যান্সিং তাদের স্বাধীনতা। তো এই কথা গুলো একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারদের বিষয়ে বলছি। এক্ষেত্রে যারা সফল ফ্রিল্যান্সার হয়েছে তারা নিয়মিত কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভালো এবং মন্দ দুই দিকই রয়েছে। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার কোন ধরনের অফিসের । ঝামেলা ছাড়াই একটি ভালো পরিমাণের ইনকাম করতে পারে যা কোন চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।

অন্যদিকে অফলাইন চাকরিজীবীদের মতো সফল ফ্রিল্যান্সার চলাফেরা করতে পারে না। যার মাধ্যমে আমি লাইফস্টাইলের কথা বলছি।

তবে লোকমুখে সব সময় চলে, থাকেন, স্বাধীন মুক্ত কাজ তাহলে কিছুটা সত্যি আবার কিছুটা ভুল। এ বিষয়ে আমি উপরের আলোচনায় বলে দিয়েছি।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের শ্রম এবং দক্ষতা দিয়ে কাজ করতে পারলে, একদিন সফলতা অর্জন করা যাবে। এখন আপনি সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পর স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন অবশ্যই।

স্বাধীন বলতে এখানে আপনি একাধিক কাজ পাওয়ার পর যে, কোন পছন্দের কাজ করতে পারবেন। আবার আপনার ইচ্ছা না হলে কাজ করবেন না। এটাকেই মূলত স্বাধীন বলা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু কথা – ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে অবশ্যই জানুন!

আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিংকে যতটা সহজ ভাবে মনে করি। বিষয়টি কিন্তু এরকম নয়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন। আপনাকে কখনো আমেরিকা দেশের কোন ব্যক্তির সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে।

এখন আপনি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার ব্যক্তির সাথে কাজ করে পেরে উঠবেন কিনা এটি আপনাকে বুঝতে হবে।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একটু চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

আমি এখানে আপনাকে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার জন্য চলে এসেছি। আপনারা সম্পূর্ণ আলোচনা অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন কিনা।

আর ফ্রিল্যান্সিং করার সিদ্ধান্ত নিলেও কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন সে বিষয়ে ধারণা নিতে পারবেন। তো আসুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

নতুন ফ্রিল্যান্সাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

অনেকে রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চায় কিন্তু সঠিক গাইডলাইন সংগ্রহ করতে পারে না। কারণ আমাদের দেশের নীতির অবস্থা অনেকটাই খারাপ।

যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফল হয়েছেন। তারা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে নতুন কাউকে সহযোগিতা করার জন্য কিছুই বলে না।

মানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে যত প্রাইভেট টিপস রয়েছে তার কোনটাই একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার জানতে পারে না।

আর পুরাতন কেউ তো কোনো কথাই শেয়ার করে না। এখানে একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার সামনের দিকে এগোতে পারে না পুরাতন ফ্রিল্যান্সারদের সহযোগিতা না পেয়ে।

এছাড়া আরও নতুন ফ্রিল্যান্সারদের প্রশ্ন হয় ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব। এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কি প্রয়োজন।

যারা ফ্রিল্যান্সিং করার স্বপ্ন দেখে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে কোন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারের সাপোর্ট পাই না।

আবার আমাদের বাংলাদেশের যারা ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করায় তাদের বেশিরভাগ অনভিজ্ঞ। তারা প্রাক্টিক্যালি কোন কাজ করাতে পারে না। দেখা যায় তাদের মূল ইনকাম সোর্স হলো এই কোর্সগুলো।

তাই নতুন অবস্থায় একজন ফ্রিল্যান্সারের অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। আর এগুলো মোকাবেলা করার জন্য তারা কেমন কোন সাপোর্ট পায় না।

তবে যারা ভাল কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে, অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। তারাই নতুন অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতা অর্জন করতে পারে।

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার চ্যালেঞ্জ

ফ্রিল্যান্সাররা মূলত অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ অর্ডার নিয়ে সে কাজগুলো সঠিকভাবে জমা দিয়ে নিতে পারে।

তবে যে নতুন ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইল তৈরি করেছে, তারা কিন্তু সহজেই ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ পায় না। কাজ পার বিষয়টি অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়।

এর জন্য ভিন্ন অনেক সময় ফ্রিল্যান্সারদের অপেক্ষা করতে হয়। দুই মাসের ভিতরে কাজ পেয়ে যায়। আবার কেউ ছয় মাসের মধ্যে কাজ পেয়ে যায়। এছাড়া এমন কাউকে দেখা যায় যারা এক বছরেও কাজ পায় না যা এক বছরের বেশি লেগে যায়।

যে সকল নতুন ফ্রিল্যান্সাররা বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও কোন কাজ পাই না। তারা একটা সময় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর ছেড়ে দেয়।

নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কেন সহজে কাজ পায় না?

একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার কেন অনলাইন মার্কেটপ্লেস এর সহজে কাজ পায় না তার প্রধান কারণ হলো- তাদের প্রোফাইলে তেমন ভালো কোন অপশন যুক্ত করে না।

বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কি বিষয়ে কাজ করতে, জানে সে বিষয়ে তারা কিছুই লেখে না। তাছাড়া নতুন ফ্রিল্যান্সারদের কাজ দেয়ার জন্য ক্লায়েন্টরা অনেক দিক বিবেচনা করেন।

তাই আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান? অবশ্যই আপনার প্রোফাইল সুন্দর করে সাজাতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ক্লায়েন্ট ট্র্যাক কি ধরনের কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে, সেই কিওয়ার্ড গুলো অনুসরণ করে, আপনাকে প্রোফাইলে যুক্ত করতে হবে।

আপনি যখন ধীরে ধীরে মার্কেটপ্লেস গুলোতে পরিচিত হতে পারবেন তখন দ্রুত কাজ হয়ে যাবেন।

কারণ নতুন ফ্রিল্যান্সারদের হুট করে ক্লাইন্টরা কাজ প্রদান করে না। ক্লায়েন্টরা সবসময় পুরাতন ফ্রিল্যান্সার দিয়ে কাজ করাতে চান? সেজন্য মূলত নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কাজ পায় না।

শেষ কথাঃ

তো আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন। তাহলে আপনার কাজের দক্ষতার বিষয়ে বিস্তারিত সে প্রোফাইলে সংযুক্ত করতে হবে।

এবং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করার সাথে সাথে কাজ করার আবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে জানিয়ে দিবেন। আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজের দক্ষতা ক্লায়েন্টরা যদি ভালো মনে করে তাহলে আপনাকে কাজ দেবে।

এখন ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার যদি আরো কোন কিছু জানার থাকে, অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আর ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে খুটিনাটি বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment