কৃষি ব্যবসা আইডিয়া – কৃষি ব্যবসা করে সফল হওয়ার আইডিয়া

আমাদের বাংলাদেশ হলো কৃষি প্রধান দেশ। বাংলাদেশের মাটিগুলো উর্বর হওয়ার কারণে এদেশে খুব সহজেই বেশি পরিমাণে কৃষি পণ্য/ প্রোডাক্ট উৎপাদন করা যায়।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে কৃষি ব্যবসা করে সফল হওয়ার কিছু আইডিয়া জানিয়ে দেবো।

আমাদের বাংলাদেশের বাজারে এবং ইন্টারন্যাশনাল বাজার গুলোতে কৃষি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা আছে। তাই কৃষি কাজের জন্য তাই আমরা কাজে লাগিয়ে কৃষির জমিতে কৃষি পণ্য উৎপাদন করে, ব্যবসা শুরু করতে পারি।

তো আপনারা বাংলাদেশ থেকে কৃষি ব্যবসা কিভাবে করবেন। সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে আমাদের লেখাটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

কৃষি ব্যবসা আইডিয়া - কৃষি ব্যবসা করে সফল হওয়ার আইডিয়া
কৃষি ব্যবসা আইডিয়া – কৃষি ব্যবসা করে সফল হওয়ার আইডিয়া

কৃষি ব্যবসা আইডিয়া – কৃষি ব্যবসা করে সফল হওয়ার আইডিয়া

আমরা এখানে বাংলাদেশ থেকে কৃষি ব্যবসা করে সফল হওয়ার তেমন কিছু আইডিয়া দেব। যেগুলো আপনারা সহজেই পরিচালনা করে, লাভজনক হতে পারবেন।

বিশেষ করে বাংলাদেশের লাভজনক কয়েকটি কৃষি ব্যবসা আইডিয়া হল- মাশরুম চাষ করার ব্যবসা, সূর্যমুখী ফুল চাষ করার আইডিয়া, ফল উৎপাদন করার ব্যবসা, দুধ এবং ডিম উৎপাদনের ব্যবসা, নার্সারি ব্যবসা, মাছ চাষ ব্যবসা, ফুলের দোকান ব্যবসা ইত্যাদি।

কৃষি ব্যবসা করার জন্য আপনারা বাংলাদেশ থেকে উপরে উল্লেখিত, যেকোনো একটি কৃষি ব্যবসা বেছে নিয়ে কাজ করতে পারলে, অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

তো চলুন কৃষি ব্যবসা করে সফল হওয়ার আইডিয়া গুলো বিস্তারিত ভাবে জেনে নেয়া যাক।

মাশরুম চাষ ব্যবসা

মাশরুম বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের একই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে বড় বড় হোটেল এবং চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গুলোতে মাশরুম ব্যাপকভাবে বিক্রি হয়।

বর্তমান সময়ে মাশরুম খাবারের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনারা চাইলে নিজের এলাকায় মাশরুম চাষ করার জন্য প্রথমে ১০ হাজার থেকে বিশ হাজার টাকা খরচ করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

মাশরুম চাষ করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা রয়েছে। বিশেষ করে এই মাশরুম চাষ করার জন্য আপনাকে আবার কোন জমি অপচয় করতে হবে না। নিজের বাড়িতে বসে অল্প একটু জমিতে মাশরুম চাষ করার সুযোগ পাবেন। আর মাশরুম সম্পূর্ণভাবে তৈরি হতে মাত্র এক মাসের মত সময় লাগে।

মাসুম চাষ করার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ঝুঁকি থাকে না। আপনি যদি মাশরুম চাষ সম্পর্কে অবগত না থাকেন। তাহলে কোন উন্নয়নমূলক কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে মাশরুম চাষের বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করে আসতে পারেন।

সূর্যমুখী ফুল চাষ ব্যবসা

সূর্যমুখী ফুল অনেক দ্রুত সময়ের মধ্যে বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি সঠিক পরিচর্যা করতে পারেন তাহলে বেশি ফলন পাবেন। সূর্যমুখী ফুল চাষ করা হয় মূলত তেল তৈরি করার জন্য।

বাজারে সূর্যমুখী ফুলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি সূর্য আমাকে ফুল ভালোভাবে ফলন পেতে চান তাহলে তিন চার মাস অপেক্ষা করার দরকার হবে।

সাধারণত সূর্যমুখী ফুল গুলো বর্ষাকালীন সময়ে বেশি উৎপাদিত হয়। তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কৃষি ব্যবসা করে লাভজনক হতে চান তাহলে এই সূর্যমুখী ফুল ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে সামনের দিকে এগোতে পারেন।

ফল উৎপাদন ব্যবসা

বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে, ফরমালিনমুক্ত বিভিন্ন ফলের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যদি নিজে বিভিন্ন জাতের ফল উৎপাদন ফরমালিনমুক্ত অবস্থায় বাজারজাত করতে পারেন। সেগুলো ভালো দামে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ফল চাষ করার জন্য আপনাকে আলাদাভাবে আবাদী জমি ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে, বিভিন্ন সিজনী ফল হিসেবে আপনারা আম, কাঁঠাল, আঙ্গুর, নারিকেল, পেঁপে, স্ট্রবেরি, লিচু, তেতুল, আমলকি, কলা ইত্যাদি চাষ করা শুরু করতে পারেন।

বিশেষ করে বাংলাদেশে এই ফলগুলো উৎপাদন করতে চাইলে, আপনাকে বিভিন্ন এলাকা বেঁধে এই ফল গুলো চাষ করতে হবে কারণ সব এলাকাতেই এ ধরনের ফল চাষ করা সম্ভব হবে না।

তবে আপনার এলাকায় যে ফলগুলো চাষ করা সম্ভব হবে সেগুলো নিয়ে, ফল উৎপাদন ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।

ডিম উৎপাদন ব্যবসা

আপনি যদি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করেন। তাহলে আপনার জন্য ভালো একটি কৃষি ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে ডিম উৎপাদন করা।

কারণ আপনারা চাইলে নিজের ঘরে বসে হাঁস এবং মুরগি পালনের মাধ্যমে ডিম উৎপাদন করে সেগুলো বাজারজাত করে ইনকাম করতে পারবেন।

তো প্রথম অবস্থায় ডিম উৎপাদনের ব্যবসা করতে চাইলে, আপনাকে বাজার থেকে কিছু পরিমাণের হাঁস এবং মুরগি ক্রয় করতে হবে। তারপর সেগুলো সঠিকভাবে লালন পালন করার মাধ্যমে দ্রুত ডিম উৎপাদন করে বিক্রি করা শুরু করতে পারবেন।

নার্সারি ব্যবসা

আপনি যদি কৃষি ব্যবসায়ী হিসেবে আরো একটি ভালো ব্যবসার আইডিয়া নিতে চান? তাহলে আমি বলব নার্সারি ব্যবসা করুন। কারণ নার্সারি ব্যবসায়ী অনেক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বিশেষ করে আপনি মানুষের চাহিদা মত বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ, ফলের গাছ ইত্যাদি রূপান্তর করে, সেগুলো ভালোভাবে লালন পালন করে বড় করে তুলবেন।

তারপর সেগুলো আপনারা পাইকারি দামে বা খুচরাই বাজারে নিয়ে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। প্রথম অবস্থায় নার্সারি ব্যবসা শুরু করতে চাইলে, আপনারা 20 হাজার থেকে 50 হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন।

মাছ চাষ ব্যবসা

আপনি যদি গ্রামে থাকেন এবং আপনার নির্দিষ্ট একটি পুকুর থাকে। তাহলে সেটি অযথাই ফেলে না রেখে। আপনারা চাইলে সহজেই বিভিন্ন জাতের মাছ এর পোনা ক্রয় করে, পুকুরে ছেড়ে সেগুলোর যত্ন নিয়ে বড় করে তুলতে পারবেন।

আর বাজারে এখন মাছের চাহিদা প্রচুর। তাই আপনি আইডিয়াটি নিয়ে একটি পুকুরে মাছের কোনা ছেড়ে অল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো বড় করে তুলে বিক্রি করতে পারবেন।

পুকুরে মাছ চাষ করার ব্যবসা শুরু করতে চাইলে প্রথম অবস্থায় আপনাকে দশ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে মাছের পোনা ছাড়তে হবে।

আরও দেখুন…

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা গ্রামে বসবাস করে কৃষি ব্যবসা করতে চান? তাদের উদ্দেশ্যে আমরা উপরে উল্লেখিত আলোচনায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির কৃষি ব্যবসা আইডিয়া জানিয়ে দিয়েছি।

এখন তার মধ্যে আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করতে আগ্রহী, সে ব্যবসাটি বেছে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।

এছাড়া আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কৃষি ব্যবসার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসা সম্পর্কে জানতে, নিয়মিত ভিজিট করুন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment