অ্যানিমেশন কি ? Animation কত প্রকার এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা

অ্যানিমেশন কি : আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজকে আপনাকে জানিয়ে দেবো। এনিমেশন কি? বা এনিমেশন বলতে কি বুঝায়, অ্যানিমেশন কত প্রকার ? এছাড়া এনিমেশন এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো সম্পর্কে।

আপনি যদি অ্যানিমেশন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

অ্যানিমেশন কি ? Animation কত প্রকার এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা
অ্যানিমেশন কি ? Animation কত প্রকার এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা

অ্যানিমেশন কি ? (What is Animation in Bengali)

অ্যানিমেশন হচ্ছে গল্পকারদের এক নতুন উপায় এর গল্প বলার ধারণা।

অ্যানিমেশন হল গল্পকারদের এক ধরনের নতুন উপায়ে, গল্প বলার ধরণ। তাই বলা যেতে পারে, এনিমেশন এর মাধ্যমে যে কোনো পরিস্থিতি বা ঘটনা বর্ননা করা সম্ভব হয়।

আবার যদি অন্য ভাবে বলা যায়, এক সাথে কত গুলো ছবি, যখন চলমান এবং জীবন্ত হয়ে ওঠে। তখন তাকে এনিমেশন বলা হয়।

আগের সময় গুলোতে এনিমেশন বলতে আমরা বুঝতে পারতাম। স্বচ্ছ সেলুলয়েড শীটে ছবি আঁকা। এবং এক সাথে একত্রিত করে সেগুলো গুলোকে চলমান রূপে প্রদান করা।

তাই অ্যানিমেশন বলতে সারা শরীর জ্বলন্ত ছবিগুলোর প্রক্রিয়াকে বাধনকে বোঝানো হয়।  সবশেষে এটাকে জেনে রাখা প্রয়োজন যে ল্যাটিন ভাষা থেকে এনিমেশন শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে।

যেমন- হাতে কলম পদ্ধতিতে, চলমান ছবি ডিজিটাল পদ্ধতিতে জিআইএফ এবং ডিজিটাল ভিডিও মাধ্যম ব্যবহার করা হয়। ঠিক সে রকম ভাবে অ্যানিমেশন প্রদর্শনের জন্য ক্যামেরা কম্পিউটার এবং প্রজেক্টর ব্যবহার করা হয়।

সরল ভাষায় বলতে গেলে একে চলা মানচিত্র বলা হয়। তো বন্ধুরা এনিমেশন এনিমেশন কাকে বলে এবিষয়ে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। সম্পূর্ণভাবে না বুঝতে পারলে। দয়া করে উপরের আলোচনাটি আরো একবার পড়ুন।

অ্যানিমেশনের উৎপত্তি

ল্যাটিন শব্দ Anima থেকে এনিমেশন শব্দের উৎপত্তি ঘটে। Animate শব্দের অর্থ হচ্ছে আত্মা বা দান করা কিংবা প্রাণ দান করা। একটি বস্তুর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা। অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে স্থির চিত্রকে গতিশীল করে। প্রাণ দেওয়া হয় বলে। একে অ্যানিমেশন বলা হয়।

অ্যানিমেশন কত প্রকার ?

বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে অ্যানিমেশন অগ্রগতির সৃষ্টি হয়েছে আর ডিজিটাল যুগে অ্যানিমেশন কে 5 ভাগে ভাগ করা হয় যেমন-

  1. ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশন
  2. 2D এনিমেশন
  3. 3D  এনিমেশন
  4. মোশন গ্রাফিক্স
  5. স্টপ মোশন

এখন এই পাঁচটি অ্যানিমেশন সম্পর্কে বিস্তারিত বিশ্লেষণ জেনে নেয়া যাক।

ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশন

একটি চলচ্চিত্র এনিমেশন এর মধ্যে একটি ট্রেডিশনাল এনিমেশন। এ পথে কখনো কখনো সেল অ্যানিমেশন বলা যায়। ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশনে ছবি সেলুলয়েড এর স্বচ্ছ কাগজে আঁকা হয়।

এনিমেটেড সিকোয়েন্স তৈরি করতে এনিমেট কে অবশ্যই প্রতিটি ফ্রেম আঁকতে হবে। এটি একটি ফ্লিপবুক এর মত কাজ করে থাকে। এনিমেশন অনেকটাই টুডি এনিমেশন এর মত দেখতে হয়।

2D অ্যানিমেশন

2D এনিমেশন ট্রেডিশনাল এনিমেশন এর আওতাধীন হতে পারে। যেমন ডিজনি মুভি, পিনোকিও, বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট ইত্যাদি। অ্যানিমেশন ট্রেডিশনাল এনিমেশন এর থেকে কিছুটা আলাদা যা অ্যানিমেশনে ধরা পড়ে না।

জেপিজি, জিআইএফ এসকল ফরমেট এর ছবিগুলো হচ্ছে। পিক্সেল ছবি ক্ষেত্রের মান প্রভাবিত হয়। এ ছবিগুলোতে বড় করা ছোট করা যায় না।

ভেক্টর গ্রাফিক্স এর রেজুলেশন নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না। ভেক্টর ছবিগুলো ছোট ছোট দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে গ্রাফিক্স তৈরি করাতে এই বিন্দুগুলো কে সংযুক্ত করে সম্পূর্ণ ছবি বানানো হয়। এর ফলে নিজের ইচ্ছামত ছবি তৈরি করা যেতে পারে।

3D অ্যানিমেশন

3D বা কম্পিউটার অ্যানিমেশন খুবই সাধারণ বিষয় তবে হাতে-কলমে, ছবি আঁকার বিপরীতে গ্রাফিক্স ডিজাইনে ঘটেছে যদিও এটি সহজ না।

কম্পিউটারে ছবি আঁকা শুধুমাত্র একটি টুলস এবং থ্রিডি এনিমেশন একটি প্রগতিশীল মাধ্যম। এনিমেটেড অ্যানিমেটের শরীরের অংশগুলোকে চারপাশে সরানোর জন্য একটি প্রোগ্রাম লেখা থাকে।

সেজ এর সমস্ত অংশটি অবস্থানে থাকলে তার ছবিটি নিজের ডিজিটাল যুক্ত করে। প্রতিটি প্রেমের জন্য নিয়ম মেনে কাজ করা হয়। এবং কম্পিউটার প্রতিটি ফ্রেমের মোশণ গণনা করে থাকে।

মোশন গ্রাফিক্স

মোশন গ্রাফিক্স ডিজিটাল গ্রাফিক্সের একটি অসাধারণ বিজ্ঞাপন চলচ্চিত্রের শিরোনাম সিকোয়েন্সের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সবশেষে দর্শকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য মোশন গ্রাফিক্স ব্যবহৃত করা হয়।

এনিমেশনের এসকল কিছু মাল্টিমিডিয়ার সাথে জড়িত, সাধারণত ব্যবসাভিত্তিক এনিমেশন এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

স্টপ মোশন

স্টপ মোশন এ ক্লেমেশন, অবজেক্ট, পিক্সলেশন মোশন, কাট আউট অ্যানিমেশন এবং আরো অনেক কিছু আছে। কিন্তু এর প্রধান ধারণা একটি ফিল্প বুকের মত।

আকার বিপরীতে স্টপ মোশন প্রতিটি ফ্রেমে আলাদা আলাদা চিত্র সংগ্রহ করে, একত্রিত করে থাকে। স্টপ মোশন অ্যানিমেটেড গল্প বলার একটি পুরাতন রুপ। বিশেষ করে, কম্পিউটার অ্যানিমেশন এর তুলনায়। তবে এনিমেটেড করার প্রক্রিয়াটি পিক্সার এর আগে থেকে শুরু হয়েছে।

অ্যানিমেশনের সুবিধা ও অসুবিধা

উপরের আলোচনা থেকে অ্যানিমেশন সম্পর্কে আপনারা বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পেরেছেন এখন আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো এনিমেশন এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো সম্পর্কে।

প্রথমে আপনাকে জানাব, অ্যানিমেশনের সুবিধা সম্পর্কে যেমন-

এনিমেশনের বাজার অনেক বড় এবং প্রগতিশীল। অ্যানিমেশন শিল্পী হিসেবে যেকোনো ভালো অ্যানিমেটর দেশ এবং বিদেশে দুই জায়গাতেই কাজের বিভিন্ন সুযোগ পাওয়া যায়।

এনিমেশন অত্যন্ত লাভজনক এবং সৃজনশীল পেশা হিসেবে প্রমাণিত হয়। যদিও অ্যানিমেশন শুধু লিখলেই হয় না তার বহিঃপ্রকাশ এর জন্য সৃজনশীল চিন্তার প্রয়োজন হয়।

আপনি যেকোনো বয়সে অ্যানিমেশন শিখে নিতে পারবেন। বিশেষ করে এস এস সি শিক্ষা শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা অ্যানিমেশন শাখা পছন্দ করে থাকে।

অ্যানিমেশনের কিছু অসুবিধা যেমন- অ্যানিমেশন পেশায় দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হয়। যার ফলে অ্যানিমেটর এর শরীরের উপর চাপ পড়ে। এবং সঠিক ব্যবস্থা না নিলে, কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে যেতে পারে। এটুকুই হচ্ছে, এনিমেশনের অসুবিধা।

অবশ্যই দেখুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনি আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন এনিমেশন কি ? অ্যানিমেশন কত প্রকার ? এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে।

আপনি যদি এনিমেশন নিয়ে কাজ করতে চান। তাহলে অনলাইনে এবং অফলাইনে প্রচুর কাজ পেয়ে যাবেন। যেগুলো করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর বিশেষ করে নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment