বাংলালিংক সিম বন্ধ করার নিয়ম : বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের বাংলালিংক সিম বন্ধ করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমরা অনেকেই বাংলালিংক সিম বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে জানি না।
তাই আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানাবো- বাংলালিংক সিম বন্ধ করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।
তাই আপনারা যারা বাংলালিংক সিম বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? তারা আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমাদের এই ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সিম বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। আপনারা চাইলে সেগুলো ভিজিট করে পড়ে নিতে পারেন।
বাংলালিংক সিম বন্ধ করার নিয়ম
আপনার যারা বিভিন্ন কারণবশত বাংলালিংক সিম বন্ধ করার নিয়ম জানতে চান? তারা এখানে বাংলালিংক সিম বন্ধ করার যাবতীয় নিয়ম জানতে পারবেন।
বিশেষ করে, আপনি যদি বাংলালিংক সিম বন্ধ করতে চান? তাহলে দুই ভাবে বন্ধ করতে পারবেন। যেমন-
1. সাময়িকভাবে বাংলালিংক সিম বন্ধ করতে পারবেন।
2. স্থায়ী ভাবে বাংলালিংক সিম বন্ধ করতে পারবেন।
তো আপনারা যদি বাংলালিংক বন্ধ করতে চান? তাহলে এই দুইটি নিয়ম আলাদা আলাদা ভাবে ব্যবহার করতে হবে।
আমরা এই আর্টিকেলে এই দুটি নিয়মে কিভাবে, বাংলালিংক সিম বন্ধ করতে হয়। সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।
আপনারা চাইলে স্থায়ীভাবে এবং সাময়িকভাবে বাংলালিংক সিম বন্ধ করে দিতে পারবেন। এটি আপনার উপর নির্ভর করবে, আপনি কিভাবে বাংলালিংক সিম বন্ধ করতে চান?
বাংলালিংক সিম সাময়িকভাবে বন্ধ করার নিয়ম
বাংলালিংক সিম সাময়িকভাবে বন্ধ করার জন্য আপনাকে তেমন কোন কষ্ট করতে হবে না। শুধুমাত্র বাংলালিংক সিমের, বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার নাম্বার / হেল্পলাইন নাম্বার ১২১ এ কল করতে হবে।
তারপর কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজারের সাথে আপনার সমস্যার কথা উল্লেখ করতে হবে। এবং আপনার বাংলালিংক সিমটি সাময়িকভাবে বন্ধ করতে চান সেটি জানাবেন।
[wp_show_posts id=”3308″]
বাংলালিংক সিম বন্ধ করার জন্য মালিকানা যাচাই করার দরকার হয়। তাই বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজার আপনার কাছে সেই ব্যক্তি প্রমাণতা জানতে চাইবে।
কিন্তু বেশী কোন তথ্য যা হবে না। শুধুমাত্র বাংলালিংক সিম যার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। তাকে ফোনে কথা বলতে হবে।
যে বাংলালিংক সিমের মালিক তার আইডি কার্ড সংক্রান্ত তথ্য যাওয়া হবে। যেমন আইডি কার্ড এর নাম্বার এবং আইডি কার্ড অনুযায়ী জন্ম তারিখ কত।
তারপর banglalink কর্তৃপক্ষ আপনার সিম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিবে যদি সঠিক তথ্য দিতে পারেন।
কিন্তু আপনারা চাইলে, যেকোনো সময় আবার সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করে, বাংলালিংক সিম পুনরায় চালু করে নিতে পারবেন।
যদি এই নিয়মে সাময়িকভাবে বাংলালিংক সিম বন্ধ করেন।
বাংলালিংক সিম স্থায়ীভাবে বন্ধ করার নিয়ম
বাংলালিংক সিম স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য আপনাকে নিকটস্থ কাস্টমার সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে।
কারণ আপনারা বাংলালিংক সিম স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে চাইলে, banglalink কাস্টমার কেয়ার হেল্পলাইনে যোগাযোগ করে বন্ধ করার সুযোগ পাবেন না।
তাই বাংলালিংক সিম স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে চাইলে, আপনার নিকটস্থ কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে প্রয়োজনীয় তথ্য সাথে নিয়ে যেতে হবে।
আপনার বাংলালিংক সিম যে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সেই ভোটার আইডি কার্ডটির সাথে নিয়ে যেতে হবে।
এবং যার আইডি কার্ড তাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। আর আপনার নিজের নামে হলে তো কোন সমস্যাই নেই।
[wp_show_posts id=”3306″]
কারণ বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজার আপনার কাছে সিমটি যার নামে রেজিস্ট্রেশন তার আইডি কার্ড সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইবে। যার নামে রেজিস্ট্রেশন তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দরকার হবে সিম বন্ধ করার জন্য।
তাই বাংলালিংক সিম বন্ধ করার জন্য অবশ্যই কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে যাওয়ার আগে এই বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখবেন। যাতে করে কোন জিনিস ত্রুটি না থাকে।
বাংলালিংক সিম বন্ধ করার নিয়ম গুলোর মধ্যে আপনারা একদিনের সর্বোচ্চ একটি বাংলালিংক সিম স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে পারবেন।
আপনার যদি একাধিক সিম বন্ধ করার দরকার হয়। তবে ২৪ ঘন্টা পর পর বন্ধ করার সুযোগ পাবেন না।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা বাংলালিংক সিম বিভিন্ন কারণবশত বন্ধ করতে চান? তারা সাময়িকভাবে বাংলালিংক সিম বন্ধ করতে পারবেন।
যা আবার পুনরায় একটিভ করার সুযোগ থাকবে। আবার আপনারা যদি বাংলালিংক সিম স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে চান? সেক্ষেত্রে আর কোনভাবে এটি একটিভ করতে পারবেন না।
তো বন্ধুরা এখন আপনারা কোন পদক্ষেপে বাংলালিংক সিম বন্ধ করতে চান? সেটি পুরোপুরি আপনার উপর নির্ভর করছে।
তো বাংলালিংক সিম বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আর বিশেষ করে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন সিম অপারেটর সম্পর্কে। আপডেট তথ্য জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ।