বর্তমান সময়ে আপনারা যারা ব্লগস্পট বা ব্লগার সিএমএস দিয়ে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। তাদের জন্য নতুন কিছু ফিচার যুক্ত হয়েছে।
ফিচারটি হলো- ব্লগস্পট বা ব্লগার এ ভালো কিছু এসইও অপশন চলে এসেছে। যা সেটিংস করে ব্লগার’রা অনেক লাভজনক হতে পারবে।
আমরা এই সাইটে যখন ব্লগিং নিয়ে কোন আলোচনা করি। সেই সময় ব্লগার এর বিপরীতে ওয়ার্ডপ্রেস কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
কিন্তু এই সময়ে ব্লগস্পট বা ব্লগার নতুন ফিচার চলে এসেছে। যা ব্যবহার করে, গুগল এসইও এর পার্থক্য অনেকটা ফিক্স করেছে। যদিও বিষয়টি এমন নয়।
আপনাকে সব সময় ব্লগস্পট বা ব্লগার নিয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু ব্লগস্পট বা ব্লগার এর এসইও ফিচারটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বর্তমান সময়ে যারা ব্লগিং করার জন্য ব্লগস্পট বা ব্লগার দিয়ে সাইট তৈরি করেছেন। আর যারা নতুন অবস্থায় ব্লগস্পট বা ব্লগার দিয়ে সাইট তৈরি করেছেন।
তাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা ব্লগস্পট বা ব্লগার সিএমএস দিয়ে সঠিক ভাবে এসইও করতে পারে না। এখন ব্লগস্পট বা ব্লগার দিয়ে সাইট তৈরি করার পরে, যদি সঠিক ভাবে এসইও করা না থাকে, তাহলে আপনার সাইট দিয়ে তেমন সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।
তাই ব্লগস্পট বা ব্লগার এর অ্যাডভান্স এসইও সেটিংস করা খুবই জরুরী।
তাই ব্লগস্পট বা ব্লগার নিয়ে কাজ করতে চাইলে, অবশ্যই এসইও সম্পন্ন করতে হবে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ব্লগস্পট বা ব্লগার অ্যাডভান্স এসইও কিভাবে যুক্ত করবেন?
আপনারা ব্লগস্পট বা ব্লগার প্লাটফর্ম এ সারা জীবনের জন্য অ্যাডভান্স এসইও করতে চাইলে। প্রথমে ব্লগার ড্যাশবোর্ড এ প্রবেশ করতে হবে।
তারপরে সেখান থেকে Under settings + Search preference এর মাধ্যমে আপনার ব্লগার টিম এর মাধ্যমে নতুন সংযুক্ত সকল ধরণের এসইও অপশন গুলো পাবেন।
এরপর আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ সঠিক সেটিংস গুলো সম্পন্ন করতে হবে। তবে আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
কারণ এসইও করার সময় যদি কোন প্রকার সেটিংস ভুল হয়। তাহলে আপনারা ব্লগস্পট বা ব্লগার প্লাটফর্ম পুরোপুরি ভাবে ডি-ইনডেক্সং হয়ে যাবে।
আমি এখন কিছু ব্লগস্পট বা ব্লগার এর এসইও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। যেমন-
- ডেসক্রিপশন মেটা ট্যাগস।
- কাস্টম 404 error পেজ মেসেজ।
- কাস্টম রিডাইরেক্ট।
- কাস্টম রোবটসর্ট হেডার ট্যাগস।
- নো ফলো (No follow) বা অপেন লিংকিং নিউ ট্যাব (open link in new tap).
আপনি যদি সঠিক ভাবে ব্লগস্পট বা ব্লগার প্লাটফর্ম এডভান্স এসইও করতে চান? তবে উপরে দেওযা বিষয় গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। আসুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
ডেসক্রিপশন মেটা ট্যাগস
ডেসক্রিপশন মেটা ট্যাগস অপশনে আপনি যে বিষয় নিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করেছেন। সেই বিষয়ে মূলত বিস্তারিত বর্ণনা করতে হবে।
এখানে আপনার সাইট টি কি বিষয়ে তৈরি করেছেন তার সম্পর্কে সঠিক বর্ণনা করবেন। আপনার সাইট সম্পর্কে ট্রাফিক ও গুগল সার্চ ইঞ্জিন কে জানানোর জন্য 150 অক্ষর এর মধ্যে সাইট রিলেটেড বর্ণনা দিবেন।
যার ফলে গুগল সার্চ করে ট্রাফিক আপনারা সাইটের তথ্য গুলো খুজে পাবে।
সঠিক এসইও এর দিক থেকে বলা যেতে পারে- ব্লগার মেটা ট্যাগস ডেসক্রিপশনে আপনাদের সাইটের মেইন কিওয়ার্ড গুলো যুক্ত করে দিবেন।
এক্ষেত্রে আপনি যদি গুগলে expartjobs লিখে সার্চ করেন। তবে expartjobs.com সাইটের বিষয়ে যে সকল তথ্য গুগলে রয়েছে সেগুলোই মূলত ডিসক্রিপশন। আশা করি ডেসক্রিশপন কিভাবে পূরণ করবেন। সেই বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন।
কাস্টম 404 Error পেইজ মেসেজ
কাস্টম 404 পেজ হলো ভুল করে টাইপ করা একই পেজ যেখানে ট্রাফিক তার টাইপ করা পেজটি খুজে পায় না। এই 404 মেসেজ টি আপনাকে Html মেসেজ তৈরি করতে বলবে।
আপনার সাইটের কোন পোস্ট যখন 404 শো হবে। তখন সেই পেজে কোন তথ্য থাকবে না।
তো আপনার সাইট পোস্টে যদি এরকম 404 মেসেজ দেখতে পারেন। তাহলে এটি ঠিক করার জন্য পোস্ট লিংক টি কপি করে, 404 Error অপশনে যুক্ত করলে, পোস্টটি আপনার হোম পেজে রিডাইরেক্ট হবে। তখন ভিজিটর বুঝতে পারবে সেই পোস্টে কিছুই নেই।
কাস্টম রিডাইরেক্ট
কাস্টম রিডাইরেক্ট হলো- যখন কোন থার্ড পার্টি সাইট আপনার সাইটের সঙ্গে লিঙ্কিং করতে চাই। যা কোন অস্তিত্ব নাই। এছাড়া সাইট থেকে যদি কোন পেজ ডিলিট করেন তখন কাস্টম রিডাইরেক্ট সমস্যা হয়।
আপনারা গুগল সার্চ কনসল টুলস ব্যবহার করে, সকল 404 পেজ দেখতে পারবেন। সেখান থেকে কাস্টম রিডাইরেক্ট করতে পারবেন।
উক্ত প্রসেসটি যেহেতু দীর্ঘ প্রসেস। তাই কোন কোন ক্ষেত্রে এটি অনেক কার্যকরী। বিশেষ করে, মিসিং ট্রাফিক চিহ্নিত করা এবং সেই ট্রাফিক গুরো সঠিক ট্রাফিকে রুপান্তর করা।
কাস্টম রোবটস হেডার ট্যাগস
কাস্টম রোবটস হেডার ট্যাগস গুলো কে মূলত মেটা ট্যাগস বলা হয। যা একটি সাইটের পেজ স্পেসিফিক অ্যাপ্রোচ বা অভিগম অনুসরণ করে থাকে।
গুগল সার্চ ইঞ্জিন কে নির্দেশন দেয়। কিভাবে প্রতিটি পেজ ভিজিট করবে এবং ইনডেক্স করবে।
নোফলো (No follow) বা Open link in new tap
এই অপশন থেকে আপনারা কোন লিংক যুক্ত করে নতুন পেজে অপেন করতে পারবনে। আপনারা পোস্ট রিলেটেড যখন কোন লাইনে বা ওয়ার্ড এ লিংকিং করবেন। তখন আপনার সামনে দুইটি অপশন চলে আসবে।
- Add the No follow.
- Open the new tab.
পূর্বের সময় গুলোতে আমরা ব্লগারে Html ব্যবহার করে নো ফলো যুক্ত করতাম। কিন্তু এই নতুন ফিচার ব্যবহার করে, এক ক্লিক করে যুক্ত করতে পারি।
নো ফলো লিঙ্ক এনটিবিউট ব্যবহার করবেন, যখন আপনাকে অপ্রাসঙ্গিক ডোমেইন ব্যবহার করতে হবে তখন।
robots.txt.
ব্লগস্পট বা ব্লগার প্লাটফর্মে এসইও যুক্ত এর আরো একটি অংশ হলো- “robots.txt”.
robots.txt ব্যবহার করতে আপনাকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করতে হবে। কারণ এখানে কোন ভুল করলে আপনার সাইটের অনেক ক্ষতি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, পুরো সাইট ডি-ইনডেক্স হতে পারে।
আপনার সাইট টি গুগল ইনডেক্স করতে চাইলে, robots.txt প্রসেস সম্পন্ন করতে হবে। যেমন-
- User-agent: *
Disallow: /search
Allow: /
Sitemap: https://expartjobs.com/atom.xml
এরকম কোড তৈরি করে ব্লগার সেটিংস থেকে robots.txt এ সাবমিট করে দিবেন। তাহলে দ্রুত সাইট ও পোস্ট ইনডেক্স হবে।
শেষ কথাঃ
আলোচনার শেষে আপনাদের বলব। ব্লগিং করার জন্য ব্লগস্পট বা ব্লগার ব্যবহার করলে, সেটি সঠিক ভাবে এসইও সম্পন্ন করতে হবে। এসইও না করলে আপনার সাইট ইনডেক্স হবে।
আমরা যে বিষয় গুলো বলেছি। এগুলো সঠিক ভাবে কাজ করলে এসইও সম্পন্ন করতে পারবেন।
এখন এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি আরো কিছু জানার থাকে। কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ।
আমার একজন SEO expert দরকার থাকলে জানাবেন দয়া করে।