৫ হাজার টাকায় কি কি ব্যবসা করা যাবে (বিজনেস আইডিয়া)

৫ হাজার টাকায় বিজনেস আইডিয়া : ৫ হাজার টাকায় কি ব্যবসা করা যাবে। হ্যাঁ অবশ্যই! আপনি যদি অল্প টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা করতে চান তাহলে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে চলে এসেছেন।

আজ আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো ৫ হাজার টাকায় কি কি ব্যবসা করা যাবে। বর্তমান সময়ে লোকেরা ছোট ছোট ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে ধীরে ধীরে বড় ব্যবসায় পরিণত করে।

৫ হাজার টাকায় কি কি ব্যবসা করা যাবে (বিজনেস আইডিয়া)
৫ হাজার টাকায় কি কি ব্যবসা করা যাবে (বিজনেস আইডিয়া)

আপনিও যদি ব্যবসা করতে আগ্রহী থাকেন। তাহলে স্মল বিজনেস আইডিয়া অনুসরণ করে, আপনারাও নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। বর্তমান সময়ে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার অনেক উপায় রয়েছে।

তাই আজ আমি আপনাদের এই আর্টিকেলের জানিয়ে দিব 5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যাবে। আপনি যদি বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আপনি যদি ছোট কিংবা বড়, যে কোন ব্যবসা করতে গেলে অবশ্যই ব্যবসা শুরু করতে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন হবে। যেমন- সময়, ধৈর্য্য এবং মূলধন।

বর্তমান সময়ে আমাদের সামাজিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সকলেই কমবেশি নিজে ইনকাম করার মত পরিকল্পনা করে থাকি।

এমন অনেক লোক রয়েছে যারা 9 টা থেকে 5 টা পর্যন্ত চাকরি করছে। আবার কেউ কেউ নিজের ব্যবসা করছে।

অনেক মানুষ বিভিন্ন কারণে প্রচুর মূলধন এর বিনিময়ে, ব্যবসা শুরু করা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠেনা। অনেক লোকের অভিজ্ঞতা না থাকায়, বা ব্যবসা সার্থকতা নিয়ে, চিন্তা ভাবনা করে, অনেক সময় ব্যবসা শুরু করতে চান না।

আজ আমাদের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব এমন কয়েক ধরনের ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে। যাতে আপনি খুব সহজে অল্প পরিমাণে মূলধন ব্যবহার করে, নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

আপনি যদি মূলধন হিসেবে ৫ হাজার টাকার ব্যবসা খোঁজেন। তাহলে আপনারা সহজেই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। সে বিষয়ে আমরা পরিপূর্ণ ভাবে ধারণা দেবো।

৫ হাজার টাকায় কি কি ব্যবসা করা যাবে (বিজনেস আইডিয়া)

আপনি যদি ব্যবসা করতে আগ্রহী থাকেন তাহলে আপনারা অল্প টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। অনেকে মনে করে যে অল্প টাকা দিয়ে ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যাবে। হ্যাঁ বন্ধুরা অবশ্যই।

মানুষ কিন্তু ছোট থেকে বড় হয়। সেভাবে আপনার ব্যবসাটি ছোট অবস্থা থেকে একদিন বড় অবস্থায় নিয়ে যেতে পারবেন। যদি আপনি ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে পারেন।

তাই একটি ছোট ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে ৫ হাজার টাকায় যথেষ্ট। ছোট ব্যবসা থেকে কম মূলধন বিনিয়োগ করলে এর থেকে যথেষ্ট লাভাংশ পাওয়া যায়।

অবশ্যই পড়ুনঃ

বর্তমান সময়ে, সোশ্যাল মিডিয়া অনেক জনপ্রিয় হওয়ার ফলে। বর্তমানে ব্যবসা শুরু করা অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন উদ্যোক্তা খুব অল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে সফল ভাবে ব্যবসা করতে সক্ষম।

তাই আজ আমি আপনাকে জানিয়ে দেবো ৫ হাজার টাকায় কি কি ব্যবসা করা যাবে। সেগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন। তাহলে আপনি অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে পারবেন, ছোট ব্যবসা থেকে।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক, ৫,০০০/- টাকায় কি কি ব্যবসা করা যাবে। যেমন-

ব্রেড বা পাঁউরুটি তৈরি করা

সারাবিশ্বে, যেমন বাংলাদেশ ভারত এর অন্যতম সেরা ব্রেকফাস্ট গুলোর মধ্যে বা ইভিনিং স্ন্যাকস এর মধ্যে একটি হচ্ছে পাউরুটি। তাই আপনি যদি পাউরুটি, কুকি বেকিং এর ব্যবসা শুরু করেন।

তাহলে খুব অল্প পরিমাণে টাকা খাটিয়ে। ছোট মাত্রা থেকে আপনি এ বিজনেস শুরু করে দিতে পারবেন। আর সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে আপনারা এই ব্যবসাটি নিজের ঘরে বসেই করতে পারবেন।

আরো দেখুন –

এ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনি 5000 টাকার কম খরচ করেও স্টার্ট করতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়া। এরকমভাবে আপনি যখন ব্যবসাটি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন তখন এই ব্যবসাটি আপনি অনেক বড় জায়গা নিয়ে দাঁড়াতে পারবেন। তখন আপনার ছোট ব্যবসাটি হয়ে যাবে বড় বিজনেস এ পরিনিত।

পারফিউম তৈরী ব্যবসা

বর্তমানে মানুষ সবসময় সুগন্ধি পছন্দ করে। বিশেষ করে বাজারে নিত্যনতুন চাহিদা অনেক বেশি। সকল মানুষ কম আর বেশি সৌখিন এবং পারফিউম এবং সুগন্ধি খুঁজে থাকে।

তাই আপনি যদি ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা করার আইডিয়া খুঁজে থাকেন। তাহলে পারফিউম তৈরির ব্যবসা অনেক লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত।

আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের পারফিউম তৈরি করার ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে সে ব্যবসাটি সহজেই আপনার ঘরে বসে পরিচালনা করতে পারবেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।

বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক। আপনারা ফেসবুকের মাধ্যমে একটি পেস্ট তৈরি করে। সেখানে আপনার তৈরি করা পারফিউম গুলো সহজেই মানুষের কাছে, প্রচার করতে পারবেন। এবং বিক্রি করতে পারবেন।

পরিবেশ-বান্ধব কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা

আব্দুর রহিম বাংলাদেশ সরকার, প্লাস্টিক তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যেমন পলিথিন। তার জন্য অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কাপড় বা কাগজের তৈরি ব্যাগ ব্যবহারে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

অবশ্যই দেখুনঃ

তাই আপনি যদি ছোট ব্যবসা হিসেবে পরিবেশবান্ধব কাগজের ব্যাগ তৈরি ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে ৫ হাজার টাকায় শুরু করতে পারবেন। আর এই ব্যবসাতে আপনি অল্প পুঁজি খাটিয়ে, ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

পর্দা সেলাইয়ের ব্যবসা

সেলাই করা আপনার যদি একটি পছন্দের কাজ হয়ে থাকে তাহলে সেই পেশা কাজে লাগিয়ে আপনারা ব্যবসা তৈরি করতে পারেন। এমনকি আপনি বাড়িতে বসেই পর্দা সেলাই করতে পারেন আর এই ব্যবসা খুবই লাভজনক এবং কম খরচে ব্যবসা।

পর্দা হচ্ছে এমন এক ঘর সাসজ্জার অঙ্গ যা প্রতিটি ঘরে প্রয়োজন। সেজন্য সরঞ্জামের পিছনে খুব অল্প টাকায় করে। আপনি খুব সহজেই পর্দা সেলাই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

পেইং গেস্টে ব্যবসা

আপনি যদি নিজের ঘরে বসে ব্যবসা করতে চান তাহলে ঘরে পর্যাপ্ত জায়গা এবং আতিথেয়তার ব্যবস্থা থাকে তাহলে কোন কিছু না ভেবে আপনার বাড়িকে আপনার ব্যবসার কাজে লাগাতে পারেন মানে মাসিক ভাড়া বিনিময় পেইং গেস্ট এর ব্যবস্থা করুন।

অনেক অল্প খরচে ব্যবসাটি শুরু করা যায়। আর এতে আপনি ইনকামের পাশাপাশি বিভিন্ন মানুষের সাথে থাকতে পারবেন। কোনো স্কুল-কলেজ পড়ুয়া অফিসকর্মী আপনার এই পেইং গেস্ট ব্যবসার সম্ভাব্য ক্রেতা হতে পারে।

পেস্ট কন্ট্রোলের ব্যবসা

বর্তমান সময়ে পেস্ট কন্ট্রোল এর চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে এ পেশা এতটাই প্রফেশনাল হয়ে গেছে যে রীতিমতো এ ব্যবসা চালাতে গেলে, বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয়।

আরো পড়ুনঃ

কিন্তু আপনি খুব অল্প খরচে এই সকল যন্ত্রপাতি কিনে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন। বিভিন্ন উন্নত যন্ত্রপাতি এবং একদল দক্ষ কর্মীর সাথে আপনি সহজেই ব্যবসার সূচনা ঘটাতে পারবেন।

ঘর সজ্জার ব্যবসা

ঘর সজ্জার কিংবা হোম অর্গানাইজিং ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্রয়োজন ক্রিয়েটিভিটি এবং সৃজনশীলতা, হোম অর্গানাইজিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা।

বর্তমান সময়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আগে নিজেদের ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন অর্গানাইজারদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে তাই এই ধরনের ব্যবসা বর্তমান সময়ে বেশ লাভজনক।

অবশ্যই পড়ুনঃ

অনুষ্ঠানে কনট্রাক থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে বড় অনুষ্ঠানের কন্টাক্ট অনুযায়ী আপনি আপনার দলে সহকারীর সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনি আপনার কাজের প্রচার করার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটগু লো ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন- ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি।

কম্পিউটার ক্লাসের ব্যবসা

বর্তমান সময়ে কম্পিউটার ক্লাসের উপযোগিতা সব সময় রয়েছে। তাই নিজের এলাকার মধ্যে একটা কম্পিউটার ট্রেনিং ক্লাসের ব্যবসা শুরু করলে আপনার ব্যবসা বেশ লাভজনক হবে।

আপনি যদি কম্পিউটার ক্লাস ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে অনেক ভালো টাকা উপার্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি কম্পিউটার ক্লাসের ব্যবসা প্রাইভেট সিস্টেম পড়াতে পারেন।

তার জন্য অবশ্যই আপনার একটি কম্পিউটার কেনার প্রয়োজন হবে। আপনি চাইলে পুরাতন একটি কম্পিউটার কিনে নিয়ে। সেখানে কম্পিউটার ক্লাসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যার জন্য আপনার খরচ হতে পারে, চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা যদি পুরাতন কম্পিউটার কিনেন।

আর যদি একটু মোটামুটি ভালো দেখে কম্পিউটার কিনতে চান। তাহলে আপনার 5 থেকে 10 হাজার টাকা খরচ করতে হবে।

যার ফলে, আপনি কম্পিউটার ক্লাসের ব্যবসা শুরু করে, প্রতি স্টুডেন্ট এর কাছ থেকে, দুই থেকে তিন হাজার টাকা কোর্স ফি নিতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হল ৫ হাজার টাকায় কি কি ব্যবসা করা যাবে।

আপনি যদি ব্যবসা করার আইডিয়া খুঁজে থাকেন। তাহলে উপরে দেওয়া ব্যবসা সম্পর্কে আপনি ভালভাবে জেনে নিয়ে, অল্প টাকায় ব্যবসাটি শুরু করে দিন।

আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর নতুন নতুন ব্যবসার আইডিয়া জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment