এনআইডি কার্ড সংশোধন বা উত্তোলন ফি কত টাকা হিসাব করার সহজ উপায়

এন আই ডি কার্ড সংশোধন বা উত্তোলন ফি কত টাকা হিসাব করার সহজ উপায় : আমরা জানি বর্তমান সময়ে জাতীয় পরিচয় পত্র এর কার্যক্রম এখন অনলাইন এর মাধ্যমে শুরু হয়ে গেছে।

আপনারা চাইলে নিজের ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে। জাতীয় পরিচয় পত্র এন আইডি কার্ড সংশোধন এবং উত্তোলন ফি হিসাব করে নিয়ে।

এনআইডি কার্ড সংশোধন বা উত্তোলন ফি কত টাকা হিসাব করার সহজ উপায়
এনআইডি কার্ড সংশোধন বা উত্তোলন ফি কত টাকা হিসাব করার সহজ উপায়

এনআইডি কার্ড সংশোধন বা হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া আইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন করতে পারবেন।

কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন বা হারানো, নষ্ট হওয়া ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলনের ফি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন না।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি বা উত্তোলন ফি এর পরিমাণ সব সময় সবার জন্য একই রকম হবে না। এর পরিমাণ আপনার জন্য যা হবে আরেকজনের জন্য তাও না হতে পারে।

তো এনআইডি কার্ড সংশোধন বা এন আইডি কার্ড উত্তোলনের আগে অবশ্যই ফি কত টাকা দিতে হবে। সেটি জেনে নেয়া উচিত।

এনআইডি কার্ড সংশোধন বা উত্তোলন ফি হিসাব করুন

জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন বা নতুন কার্ড উত্তোলনের জন্য কত টাকা ফি জমা দিতে হবে।

তা জানতে, আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে যে, কোন একটি ওয়েব ব্রাউজার চালু করে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এই services.nidw.gov.bd অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন।

আপনি যখন উপরে দেওযা নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। তখন নিচে দেওয়া পেজের মত দেখানো হবে। যেমন-

আপনারা উপরে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি মূলত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আর এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর সবার উপরে আপনারা কয়েকটি ম্যানু বার দেখতে পারবেন যেমন-

  • হোম
  • ফিস
  • ভোটার তথ্য
  • ডাউনলোড

উপরোক্ত মেনুবার থেকে আপনারা “ফিস” বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর নিচে দেওয়া ছবির মত আরও একটি ফর্ম চলে আসবে সেটি আপনাকে পূরণ করতে হবে।

উপরোক্ত ছবিতে আপনারা ফি হিসাব করুন নামে যে, তথ্য গুলো দেখতে পারছেন। সেগুলো ধাপে ধাপে আপনাকে পূরণ করতে হবে।

তো সেই ফর্মে দেওয়া রয়েছে-

  • জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর।
  • আবেদনের ধরন।
  • বিতরণের ধরন।
  • ক্যাপচা কোড।
  • হিসাব করুন বাটন।

জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর

আপনারা প্রথমে যে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার বক্সে দেখতে পারবেন সেখানে আপনার 17 ডিজিট বা ১০ ডেটে সংখ্যার ভোটার আইডি নম্বর টাইপ করবেন।

আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর যদি ১৩ সংখ্যার হয় সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনার জন্ম সাল টাইপ করবেন তারপর আইডি কার্ডে থাকা ১৩ সংখ্যা টাইপ করবেন।

আবেদনের ধরন

আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর টাইপ করার পর। নিচে আবেদনের ধরন নামে একটি অপশন পেয়ে যাবেন। সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ অপশন। কারণ আবেদনের ধরন অনুযায়ী আপনার ফি কত টাকা হবে সে বিষয়ে জানানো হবে। মানে সেই অনুযায়ী হিসাব করতে পারবেন।

আবেদনের ধরন অপনে ক্লিক করলে, জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন, অন্যান্য তথ্য সংশোধন, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং অন্যান্য তথ্য সংশোধন ও রি-ইস্যু এর অপশন দেখানো হবে।

এখন কোন অপশনে ক্লিক করলে, কি তথ্য সংশোধন করা যাবে। সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। যেমন-

01. জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন-

আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন এই অপশনটি সিলেক্ট করে যদি ফি হিসাব করেন। এবং ফি জমা দেন।

তবে, জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি, স্বাক্ষর, বাংলা ও ইংরেজি নাম, জন্মতারিখ, পিতা ও মাতার নাম,  র‘ক্তের গ্রুপ।

এছাড়া, ভোটার আইডি কার্ডের পেছনে থাকা ঠিকানা। যেমন- মৌজা, মহল্লা, গ্রাম, বাসা/ বাসা হোল্ডিং নং, ডাকঘর, পোস্ট কোড, জন্ম স্থান ইত্যাদি সংশোধনের ফি হিসাব করতে পারবেন।

আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যদি এগুলোর মধ্যে কোন এক বা একাধিক তথ্য সংশোধন করার দরকার হয়।

সেক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সিলেট করবেন। মানে যে তথ্য গুলো ভোটার আইডি কার্ডের ওপরে লেখা থাকে।

সেগুলো পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য। জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন অপশন সিলেক্ট করে ফি জমা দিতে হবে। আর ফি কত টাকা সেটি হিসাব করে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে।

02. অন্যান্য তথ্য সংশোধন-

এখন যদি আপনার অন্যান্য তথ্য পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য তথ্য পরিবর্তন নির্বাচন করে হিসাব করলে এবং ফি জমা দিলে।

আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্রে থাকা। যেমন- লিঙ্গ, পাসপোর্ট নম্বর, পিতা ও মাতার ভোটার আইডি নম্বর, পিতা ও মাতার মৃত্যুর তারিখ, বৈবাহিক অবস্থা, স্বামী ও স্ত্রীর এনার্জি নম্বর, ধর্ম, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, পেশা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোবাইল নাম্বার, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি তথ্য সংশোধন করতে পারবেন।

এবং সংশোধন ফি কত টাকা হিসাব করতে পারবেন।

03. জাতীয় পরিচয় পত্র ও অন্যান্য তথ্য সংশোধন

জাতীয় পরিচয় পত্র ও অন্যান্য তথ্য সংশোধন অপশন নির্বাচন করে ফি হিসাব করে জমা দিলে 1 নং ক্রমে এবং দৈনং ক্রোমিকে উল্লেখিত সকল তথ্যাদের সংশোধনের অপশন চালু হবে।

মানে কোন ব্যক্তি যদি নিজের নাম এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর ভুল সংশোধন করেন। সেক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র ও অন্যান্য তথ্য সংশোধন নির্বাচন করে ফি জমা দিতে হবে।

04. রি-ইস্যু

রিইস্যু অপশন সিলেক্ট করলে আপনার হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটারদের জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলনের ফি হিসাব করে। সেটি আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে।

একটি ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন করতে চাইলে, রি-ইস্যু অপশন সিলেট করতে হবে।

বিতরণের ধরন

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন এর ক্ষেত্রে বিতরণের ধরনের মধ্যে সাধারণ এবং সাধারণ স্মার্ট কার্ড অপশন দেওয়া থাকবে। কিন্তু বিতরণের ধরন সাধারণ রাখাই ভালো।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদনের প্রেক্ষিতে, সাধারণ স্মার্ট কার্ড বিতরণ এখনো চালু হয়নি বিধায় পরবর্তী সময়ে চালু হতে পারে।

রি-ইস্যু এর ক্ষেত্রে সাধারণ, জরুরি, সাধারণ স্মার্ট কার্ড ও জরুরি স্মার্ট কার্ড এ চারটি অপশন দেখানো হবে।

কিন্তু এক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচন করে দিবেন। অন্যান্য অপশন গুলোর কার্যক্রম এখনো চালু হয়নি তবে পরবর্তীতে চালু হতে পারে।

ক্যাপচা কোড

আপনারা উপরোক্ত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর, একটি ক্যাপচা কোড পূরণ করতে হবে যা ছবি আকারে দেয়া থাকবে। সে ক্যাপচাটি আপনাকে হুবহু “ছবিতে প্রদর্শিতা করতে প্রবেশ করান” বক্সের টাইপ করতে হবে। নিচের ছবিটা দেখুন-

এরকমভাবে যে কোনো ক্যাপচার থাকুক না কেন?আপনারা ছবিতে প্রদর্শিত কোডটি প্রবেশ করেন- বক্সে টাইপ করে দিবেন।

সর্বশেষ, “হিসাব করুন” বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনি, যে বিষয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করেছেন। সে অনুযায়ী আপনার টাকার হিসাব দেখানো হবে।

নিচের ছবিটি অনুসরণ করে, আরো ভালোভাবে বুঝুন-

শেষ কথাঃ

আপনারা যারা অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান? বা উত্তোলন করতে চান? তারা উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী ফি কত টাকা সেটি হিসাব করে নিতে পারবেন।

তো আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে যদি ভালো লেগে থাকে। তবে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে, জানিয়ে দিবেন। আর এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন।

এছাড়া, আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে, এন আইডি কার্ড সংক্রান্ত আরো নতুন আপডেট পেতে, নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment