কপিরাইটিং কি? বর্তমান সময়ে অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারো অনলাইন ইনকামের সহজ মাধ্যম গুলোর মধ্যে কপিরাইটিং হচ্ছে একটি। আজ আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব কপিরাইটিং কি এবং কিভাবে করতে হয়।
আমরা জানি যারা বিশ্বাস করে অনলাইনে নতুন এসেছেন এবং অনলাইন থেকে আয় করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তারা এমন একটি কাজ করছেন যাতে করে সহজেই অনলাইনে আয় করা যায়। এমন একটি মাধ্যম আছে কপিরাইটিং।
আপনি যদি কপি রাইটিং এর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তবে আমাদের দলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কপিরাইটিং কি ?
আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে থাকে কপিরাইটিং হচ্ছে কোন একটি ওয়েবসাইট থেকে আর্টিকেল কপি করার কাজ। কিন্তু বিষয়টি এরকম নয় কপিরাইটিং হচ্ছে এক ধরনের কনটেন্ট। যেকোনো আকারে ছোট হয় এবং যে কোন একটি বিষয় কভার করে থাকে এটি হতে পারে কোনো বিজ্ঞাপন, কোন প্রোডাক্ট, কোন কোম্পানির প্রেজেন্টেশন।
মনে করুন আপনি একটি মোবাইলের রিভিউ লিখবেন একটি মোবাইলের সাধারণ যে বিষয়গুলো প্র্যাকটিক্যালি আছে। সে ঠিক দেখতেই হবে। যখন সেই মডেলের মোবাইলের অন্য একজন রাইটার যখন রিভিউ লিখবেন। সেও কিন্তু একই বিষয়ে লিখবে কেননা আপনি যে মোবাইলের রিভিউ লিখবেন এবং অন্য একজন রাইটার্স এই মোবাইলের মোবাইলের মডেল কিন্তু একই। তাহলে সেই মোবাইলের বড় না কিন্তু ভিন্ন রকম হতে পারবেনা সে তো দুইটা লেখা একরকম এটি হলো একটি কপিরাইটিং।
কপিরাইটিং শিখতে কতদিন সময় লাগে ?
আমরা আপনাকে জানালাম কপিরাইটিং কি আপনি যদি উক্ত আলোচনাটি পড়ে থাকেন তবে আপনিও বুঝতে পেরেছেন কপিরাইটিং আসলে জিনিসটা কি এখন আমরা আপনাকে জানাবো কপিরাইটিং শিখতে কতদিন সময় লাগে।
বর্তমানে অনলাইনে আয় করার একটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে কপিরাইটিং করে আয় কন্টেন্ট রাইটিং এর তুলনায় অনেকটাই সহজ এবং কম সময়ে শেখা যায়।
যারা কপিরাইটিং এর কাজ শিখতে চাই তারা যদি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন 2 থেকে 3 ঘন্টা সময় ব্যয় করে। অর্থাৎ তিন থেকে চার মাস সময় কপিরাইটিং কাজ শেখার পেছন দিয়ে থাকে তবে সহজেই এই কাজটি শিখে নিতে পারবে। এবং এই কাজটি শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে কপিরাইটিং করে আয় করতে পারবেন।
কিভাবে কপিরাইটিং শিখবেন ?
বর্তমানে কপিরাইটিং শেখার জন্য অনেক ধরনের ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। আপনারা চাইলে সেখানে গিয়ে কপিরাইটিং এর কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে পারেন।
বর্তমানে কোন কিছু শেখার জন্য সবথেকে ভাল মাধ্যম হচ্ছে গুগলের ইউটিউব। আপনি লেখালেখি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পেয়ে যাবেন। ইউটিউব এর মাধ্যমে ইউটিউব ভিডিও দেখে অথবা গুগলের সার্চ করে কপিরাইটিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারবেন। সে অনুযায়ী প্রতিদিন কাজ করে যান। আমরা আশা করি অন্যের কাছ থেকে শিখতে হবে না আপনি নিজে নিজেই গুগল এবং ইউটিউব ভিডিও দেখে শিখতে পারবেন কপিরাইটিং এর কাজ।
কপিরাইটিং করে কোথা থেকে আয় করবেন?
আপনি জানতে পারলেন কপিরাইটিং শিখতে কতদিন লাগে। এবং কিভাবে কপিরাইটিং শিখবেন আপনি যদিও তা আলোচনা করলেই মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তবে আপনিও সেই বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে জেনে গেছেন। এখন আমরা আপনাকে বলব কপিরাইটিং করে কোথা থেকে আয় করবেন।
কপিরাইটিং শেখার পর কোথা থেকে আয় করবেন? সে বিষয়ে আমরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানাবো আপনি কপিরাইটিং তারপর আপনি চাইলে যেকোনো একটি আইটি প্রতিষ্ঠান সহজে একটি চাকরি পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনারা চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কে আয় করতে পারবেন ।কপিরাইটিং করে আয় করার বেশকিছু উপায় রয়েছে।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কপিরাইটিং করে আয় করার জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন কাজ করে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক লোক আছে যারা কপিরাইটিং এবং কনটেন্ট রাইটিং করে। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে একাউন্ট তৈরি করে টাকা ইনকাম করছে কপিরাইটিং করে আয় করার জন্য প্রধান মাধ্যম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলো বেছে নিতে পারেন।
আপনি যদি কপিরাইটিং করে টাকা আয় করতে চান তবে আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো অনুসরণ করুন যে সকল কপিরাইটিং করে আয় করতে পারবেন জনপ্রিয় মার্কেট গুলোর নাম-
কপিরাইটিং করে আয় করার জনপ্রিয় কিছু মার্কেটপ্লেস হলঃ
- Fiber.com
- Freelancer.com
- Upwork.com
- Guru.com
আপনার যে সকল মার্কেটপ্লেস আপনাকে দেখেছি সেগুলো ছাড়াও অনলাইনে আরো অনেক ধরনের ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে আপনি কপিরাইটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।
আমরা এখন আপনাকে যে বিষয়টি জানাবো সেটি আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে কপিরাইটিং ও কন্টেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য কি। আপনি যদি এই দুই বিষয়ে পার্থক্য জানতে চান তবে আমাদের তথ্যগুলো আরও মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
কপিরাইটিং ও কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য কি ?
কপিরাইটিং ও কন্টেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের লেখার স্টাইল এর দিকে থেকে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেমন কনটেন্ট রাইটিং এ যে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয় আমাদের এই আর্টিকেলটি একটি আপনার এখন করছেন সেটি হচ্ছে কন্টেন আর্টিকেল।
লেখার দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পার্থক্য কনটেন্ট রাইটিং হয়তো অনেক দিন ধরে লম্বা হয়ে থাকে তাদের থেকে পনেরশো ওয়াট হতে পারে পক্ষান্তরে কপিরাইটিং আকারে ছোট হয় জামা 200 থেকে 500 ওয়াট এর মধ্যে কতটা এটি হয়ে থাকে।
অল্প পরিমাণ এর বিষয়টা হচ্ছে কপিরাইটিং ও কন্টেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য। আপনি যদি উক্ত কথা গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে থাকেন তবে আপনি জানতে পেরেছেন কঁপিরাইটেদ কন্তেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য কি।
আরো দেখুনঃ
- কিভাবে একটি আকর্শনীয় আর্টিকেল লিখবেন? আর্টিকেল লেখার নিয়ম [বিস্তারিত এখানে]
- Keyword density কি ? কিভাবে কিওয়ার্ড ডেনসিটি দেখবেন [বিস্তারিত এখানে]
শেষ কথাঃ
আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পারলেন কপিরাইটিং কি? কিভাবে কপিরাইটিং শিখতে হয়? এবং কত টুকু কাজ শেখার পর অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আয় করতে হয়। সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।
কপি রাইটিং কি ? কিভাবে কপি রাইটিং করতে হয় এ ব্যপারগুলা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে ফলে আপনি যদি উপকৃত হন তবে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন বিষয়ে সকল ধরনের সমাধান পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
Very excilent