জমির দলিলের নকল তুলতে কত টাকা লাগে

জমির দলিলের নকল তুলতে কত টাকা লাগে : আপনারা যারা জমির দলিলের নকল তুলতে চান। তারা খুব সহজেই রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিলের নকল বা সার্টিফাইড কপি উত্তোলন করতে পারবেন।

তো রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জমির দলিলের নকল তোলার জন্য এবং পুরাতন দলিল খুঁজে বের করার জন্য সরকারি ফি প্রদান করতে হবে।

জমির দলিলের নকল তুলতে কত টাকা লাগে
জমির দলিলের নকল তুলতে কত টাকা লাগে

আর কত টাকা ফ্রি দিতে হবে তার জন্য নকল তল্লাশ ফিস ক্যালকুলেটর নামে একটি মোবাইল অ্যাপস রয়েছে।

যা ব্যবহার করে আপনারা জমির দলিলের নকল তুলতে কত টাকা লাগে। সে বিষয়ে হিসাব করতে পারবেন।

তাই আপনারা যারা জমির দলিলের নকল তুলতে কত টাকা লাগে। সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান? তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

জমির দলিলের নকল উত্তোলন আইন

রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮ এর ৫৭ নং ধারা মোতাবেক ফিফেসর সাপেক্ষে যে কোন ব্যক্তি ১ নং এবং ২নং রেজিস্টার বহি এবং ১নং রেজিস্ট্রি সম্পর্কিত সচিব ওহি পরিদর্শন করতে পারে।

উক্ত আইন এর 62 নং ধারা’র বিধিমালা সাপেক্ষে উত্তরবহী সমূহের লিপিবদ্ধ বিষয়ের নকল মানে, জমির দলিলের সার্টিফাইড কপি গ্রহণ করতে পারবে।

[wp_show_posts id=”3308″]

সেই একই লাইনে 57 নং ধারা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ফি আগে পরিশোধ সাপেক্ষে জমিরর দলিল সম্পাদন কারী। বা তার এজেন্ট ও সম্পাদনকারীর মৃত্যুর পর যে, কোন আবেদনকারী ৩নং বহিতে লিপিবদ্ধ বিষয়ের উইল দলিল এর নকল কপি।

ও ৩নং বহি সম্পর্কিত সূচিপত্রের নকল গ্রহণ করতে পারবেন।

নকল দলিল প্রাপ্তির আবেদন

রেজিস্ট্রেশন বিধিমালা ২০১৪ এর ১০৮ অনুচ্ছেদে। তল্লাশ ও নকল জমির দলিল আবেদনের নিয়ম অনুযায়ী লিপিবদ্ধভাবে উল্লেখ করা রয়েছে।

অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে সকল ক্ষেত্রে তল্লাশ ও পরিদর্শনের জন্য কোন ফিস পরিশোধযোগ্য নয়। সেই সকল ক্ষেত্র ব্যতীত, সকল ক্ষেত্রে নকলের জন্য আবেদন দাখিল করার আগে। তল্লাশ ও পরিদর্শনের জন্য আবেদন করতে হবে।

নকল উত্তোলনের খরচ

দফা জিএ অনুযায়ী কোন দলিলের নকল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে-

বাংলায় লিখিত প্রতি 100 শব্দ বিশিষ্ট কিংবা তার অংশবিশেষ এর জন্য ১০ টাকা খরচ হবে।

[wp_show_posts id=”3306″]

ইংরেজি ভাষায় লিখিত প্রতি ১০০ শব্দের কিংবা তার অংশবিশ্বাস এর জন্য ১৫ টাকা খরচ হবে।

দফা জিবি অনুযায়ী খরচ

আবেদনকারী কার্যালয়ের অন্যান্য নকলের কাজ অপেক্ষা তার আর্থিত নকলের জন্য। অগ্রাধিকার চাইলে তাকে অতিরিক্ত ৫০ টাকা ফ্রি দিতে হবে।

আর যদি নকলটির প্রতি পৃষ্ঠা ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট চার পৃষ্ঠার বেশি হয়। তাহলে প্রতি পৃষ্ঠার জন্য ১৫ টাকা হারে অতিরিক্ত ফি জমা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে আবেদনকারী নিবন্ধিত কোন জমির দলিলের মদ্রিত বা ট্রাইবৃত নকল দাখিল করে, সেটিকে অবিকল নকল মর্মে প্রত্যয়নযোগ্য রূপে পাওয়ার আবেদন করেন।

সেক্ষেত্রে রূপ না করে, তুলনা করার জন্য ফিস এবং পারিশ্রমিকের দফা জিওজিজি অনুযায়ী ধর্মযজ্ঞ ফিস এবং পারিশ্রমিকের অর্ধেক দিতে হবে।

কি প্রদান হতে রেহাই প্রাপ্ত নকল ছাড়া অন্যান্য সকল নকল আবেদনের কোর্ট ফি আইন ১৮৭০ অনুযায়ী ২০/- টাকা কোর্ট ফি প্রদান করতে হবে।

তো বন্ধুরা আপনারা যারা জমির দলিলের নকল তুলতে কত টাকা লাগে। সে বিষয়ে জানতে চান তারা উপরোক্ত আলোচনা অনুসরণ করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

আমরা এখানে নকল তোলার আইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফায় নকল তুলতে কত টাকা খরচ হবে। সে বিষয়ে ধাপে ধাপে জানানোর চেষ্টা করেছি।

[wp_show_posts id=”3303″]

আপনি যদি জমির নকল তোলা ব্যতীত আরো অন্যান্য তথ্য জানতে চান? আমাদের এই ওয়েবসাইটে সেগুলো পেয়ে যাবেন খুব সহজে।

বিশেষ করে আপনারা যারা জমি কিনতে চান, এবং বিক্রি করতে চান? তাদের অবশ্যই জমির নকশা প্রয়োজন হবে।

এক্ষেত্রে আপনি যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। বা কম্পিউটার ডিভাইস ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে, খুব সহজেই আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে জমির নকশা ডাউনলোড করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হলো জমির দলিলের নকল তুলতে কত টাকা লাগে? তো এই আর্টিকেল বিষয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আর জমির দলিল সম্পর্কে, বিভিন্ন বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট সার্চ করে জেনে নিতে পারেন। কারণ আমরা এখানে জমি জমা সংক্রান্ত এবং জমির দলের সম্পর্কে বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি।

তাই আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নতুন নতুন আপডেট পেতে চান? তাহলে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment