সিভি লেখার নিয়ম | কিভাবে CV তৈরী করবেন ? জেনে নিন এখানে

বর্তমান সময়ে, যারা কলেজ শেষ করে চাকরির পেছনে, ছোটাছুটি করে তখন তাদের জীবন বৃত্তান্ত সিভি প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময়ে কোম্পানি চাকরি থেকে শুরু করে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অবশ্যই, সিভি তৈরি করে জমা দিতে হয়।

বর্তমান সময়ে একটি কোম্পানির সরকারি প্রতিষ্ঠান কোন ব্যক্তির টিভি দেখে নির্ধারণ করে, যোগ্যতা সম্পর্কে। তারপর সেই চাকরিতে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। তাই সকলের প্রয়োজন ভালো করে একটি সিভি তৈরি করা।

সিভি লেখার নিয়ম | কিভাবে CV তৈরী করবেন ? জেনে নিন এখানে
সিভি লেখার নিয়ম | কিভাবে CV তৈরী করবেন ? জেনে নিন এখানে

কারণ একটি সিভির মধ্যে একজন ব্যক্তির সকল তথ্য যুক্ত থাকে। যা দেখে, একজন ব্যক্তির পুরো তথ্য জেনে নেওয়া যায়। বিশেষ করে, সিভি পরে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এছাড়া আরো অন্যান্য বিষয় গুলো ভালো করে বুঝতে পারে।

তার জন্য আপনি সিভি লেখার নিয়ম এবং কিভাবে সিভি তৈরি করতে হয়, সে বিষয়ে ভালো করে জেনে নিবেন। আমাদের এই পোস্টে আপনাদের জানিয়ে দেবো সিভি লেখার নিয়ম কিভাবে একটি সিভি তৈরি করতে হয়।

বর্তমান সময়ে ব্যক্তিগত সিভি তৈরি করার জন্য আপনাকে অন্য কোথাও যেতে হবে না। আপনি অনেক সহজে আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে একটি সিভি তৈরি করে নিতে পারবেন।

[wp_show_posts id=”3303″]

এ বিষয়ে আমি আপনাকে পরিপূর্ণ ভাবে বুঝিয়ে দেবো এখন আমরা সিভি কি করে তৈরি করতে হয় তার নিয়ম এবং সিভিতে কি কি লিখবেন সে বিষয়ে জানিয়ে দেবো।

আপনি যদি সিভি লেখার নিয়ম এবং কিভাবে সিভি তৈরি করতে হয়। সে বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা পেতে চান? আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সিভি (CV) লেখার নিয়ম গুলো কি ?

একটি সিভি বা জীবন বিত্তান্ত তৈরি করা সেরকম কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই। তবে একটি সিভি তে কি কি লিখবেন সেটা অনেক জরুরী।

কারণ আপনার তৈরি করা জীবনবৃত্তান্ত দেখে আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্কে জানা যাবে। আর যদি আপনি কোন চাকরির ইন্টারভিউর জন্য নিজের সিভি তৈরি করেন।

তাহলে সেখানে যদি আপনার বিষয়ে দরকারি জিনিস গুলো লেখা না থাকে। তাহলে কোম্পানির লোকেরা আপনার বিষয়ে জানবেনা এবং ইন্টারেস্ট থাকবেনা।

[wp_show_posts id=”3306″]

যারা নিজের সিভি ভালো করে সকল তথ্য সহ বানিয়েছে। তাদের ওপর কোম্পানির লোকেরা ইন্টারেস্ট থাকবে। এবং তাদেরকে ইন্টারভিউ বোর্ডে ডাকা হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে একটি আকর্ষণীয় এবং জরুরী তথ্য সহ সিভি কিভাবে তৈরি করবেন? ব্যক্তিগত এমনকি কি লিখবেন যে কোম্পানির লোকেরা আপনার প্রতি ইন্টারেস্ট হবে এবং আপনাকে পার্সোনাল ইন্টারভিউ ডাকা হবে।

তার জন্য নিচে দেওয়া তথ্যগুলো ধাপে ধাপে দেখুন।

ব্যক্তিগত সিভিতে কি কি লিখবেন ?

আমরা আলোচনায় বলেছি চাকরির জন্য আপনারা সিভি বা জীবন বিত্তান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তাই এটি অবশ্যই মনে রাখবেন যে আপনার ছবিতে সেই সকল প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো থাকে। যে গুলো শুধুমাত্র একটা বা দুইটা বেজে আপনার বিষয়ে তথ্য দিতে পারবে।

[wp_show_posts id=”3308″]

যার ফলে আপনার পটভূমির বিষয়ে কোম্পানির লোকেরা অনেক সহজে জানতে পারবে। আর আপনাকে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য ডাকবে, যার ফলে আপনার কোন সমস্যা হবে না।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক। সিভিতে কোন তথ্য গুলো থাকতে হয়। এবং কি কি লেখার দরকার হয়।

সহজ করে সিভি তৈরি করুন

আমরা প্রথমে আপনাকে জানিয়ে দেবো, আপনি যখন সিভি তৈরি করবেন। কখনোই জটিলভাবে সিভি তৈরি করবেন না। যতটা সহজ সরল এবং সাধারণভাবে সিভি তৈরি করা যায়, সে বিষয়ে চিন্তা করবেন।

কারণ আপনার তৈরি জটিল হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে সেটা পরে কোম্পানির লোকেরা চাকরির প্রতিষ্ঠান লোকেরা সহজভাবে, আপনার তথ্য গুলো বুঝতে পারবে না।

যার ফলে ব্যক্তিগত সহজ এবং সরল ভাবে তৈরি করে, চাকরি প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে। যার ফলে তাদেরকে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য ডাকা হবে। এর কারণ, সহজ ভাষায় যে, কেউ আপনার চাকরির অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা সহজে জানতে পারবে।

সিভি লেখার উদ্দেশ্য

সিভি লেখার সময় আপনার উদ্দেশ্যটি প্রথমে উল্লেখ করবেন আপনি এখানে এটাই লিখুন যে আপনাকে চাকরিতে দেয়া হয় তাহলে আপনি কিভাবে নিজের কাজে দায়িত্ব পালন করবেন।

এখানে শুধু মাত্র তিন থেকে চার লাইনের কোম্পানির কাজের এবং কর্তব্যের জন্য আপনি কি করবেন তা লিখবেন। এটি যদি আপনি চাকরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে চান। তাহলে অবশ্যই চাকরির গুনোগান লিখে তৈরি করতে হবে।

[wp_show_posts id=”3303″]

এছাড়া আপনি যদি বিবাহের জন্য সিভি তৈরি করেন সেক্ষেত্রে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো বেশি বেশি দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

ব্যক্তিগত আত্মশক্তি

ব্যক্তিগত জীবন বৃত্তান্ত লেখার সময় অবশ্যই ব্যক্তিগত আত্মশক্তির দিকটি তুলে ধরতে হবে। বিশেষ করে কাজের দিক দিয়ে নিজের সামর্থ্য এবং ক্ষমতার বিষয়ে লিখবেন।

মনে করুন আপনার যোগাযোগ দক্ষতা ভাল কিনা কাজের সংশ্লিষ্ট চাপ আপনি নিতে পারবেন কিনা। এবং আপনি কতটুকু সময়নিষ্ঠ তা লিখুন।

যার ফলে আপনার একটা ভালো প্রভাব এবং কাজের সক্রিয়তা নিয়োগকর্তার চোখে পড়বে।

কাজের অভিজ্ঞতা

আপনি যে কোন কোম্পানিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাইলে অবশ্যই, কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কর্মদক্ষতা একটা চাকরি পাওয়ার জন্য অনেক প্রয়োজনীয় অংশ।

আপনার কাজের অভিজ্ঞতা দেখে বেশিরভাগ নিয়োগকর্তারা আপনাকে অন্যদের থেকে ওপরে রাখবেন। এবং তাই আপনার সেই চাকরিটি পাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

[wp_show_posts id=”3303″]

আপনি যদি একদম ফ্রেশ, কোন  চাকরি করেন নাই, তবে কথা হবে আলাদা। তবে আপনি যদি আগে কখনো চাকরি করেছেন তাহলে সেটা কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখবেন। আপনার চাকরি পেতে অনেক সহায়তা করবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

নিজের ব্যক্তিগত, আত্মশক্তি এবং কাজের অভিজ্ঞতা এর বিষয়ে লেখার পরে সবচেয়ে জরুরি অংশ আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখতে হবে।

যে কোন কোম্পানির সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কত সেটি অনেক নির্ভর করবে।

তাই নিজে থেকে শুরু করে আপনারা যে সকল ডিগ্রী অর্জন করেছেন তার বিষয়ে সঠিক ভাবে লিখবেন।

বিশেষ করে আপনি স্কুল লেভেল এসএসসি থেকে শুরু করে অনার্স মাস্টার্স পর্যন্ত যদি পড়ালেখা করে থাকেন তাহলে সেগুলো ধাপে ধাপে উল্লেখ করবেন।

কোন পরীক্ষায় জিপিএ কত? কত সালে পাশ করেছেন, সেগুলো উল্লেখ করবেন।

ব্যক্তিগত তথ্য

এখানে আপনার নিজের বিষয়ে তিন থেকে চার লাইন লিখবেন। এখানে আপনি নিজের বিষয় যেমন আপনার বাসা কোথায়, আপনার কি করতে পছন্দ করেন, আপনার কি কি বিষয় ইন্টারেস্ট রয়েছে, সে বিষয়ে কিছু তথ্য উল্লেখ করবেন।

নাম এবং তারিখ

সর্বশেষ আপনাদের কাজ হচ্ছে, সিভি লেখার শেষ হলে সবার নিচে আপনার নাম এবং তারিখ লিখতে হবে। তারপর আপনাকে অবশ্যই স্বাক্ষর করতে হবে।

আপনি যদি অপরাধ তথ্যগুলো মতে একটি সিভি তৈরি করতে পারেন তাহলে অনেক আকর্ষণীয় লাগবে। আর এ ধরনের সিভি তৈরি করে আপনি যেকোন যায়গায় সাবমিট করতে পারবেন।

[wp_show_posts id=”3303″]

কিভাবে সিভি (CV) তৈরি করবেন ?

আপনি যদি সিভি তৈরি করতে চান, তাহলে অনেক ভাবে তৈরি করতে পারবেন। বিশেষ করে আপনারা যদি কম্পিউটার দিয়ে সিভি তৈরি করতে চান। তাহলে সরাসরি মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড ব্যবহার করে সিভি তৈরি করতে পারেন।

আপনার কম্পিউটার চালু করে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড অ্যাপ্লিকেশন এ প্রবেশ করে, উপরে দেওয়া তথ্যগুলো সঠিক ভাবে ধাপে ধাপে লিখে ইংরেজি এবং বাংলা তে জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি তৈরি করতে পারবেন।

আপনি যদি কম্পিউটার দিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে সিভি তৈরি করেন। সেটি সেখান থেকে সরাসরি আপনারা পিডিএফ ফাইল আকারে প্রিন্ট করতে পারবেন এবং মেইল করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া সিভি লেখার নিয়ম এবং কিভাবে সিভি তৈরি করবেন।

আপনি যদি চাকরির জন্য বা অন্যান্য কাজের জন্য সিভি তৈরি করতে চান। তাহলে এই নিয়মে আপনারা সিভি তৈরি করে সাবমিট করতে পারবেন।

আমাদের আর্টিকেলটি পারার ফলে আপনার যদি উপকার হয়। তবে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের কাছে একটি শেয়ার করে দিবেন। আর বিশেষ করে, আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আরো নতুন নতুন টিপস এন্ড ট্রিক্স পেতে চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment