বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট করার নিয়ম : বর্তমান সময়ে ১৫ বছর এর কম অপ্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের পাসপোর্ট করার নিয়ম কি? কিভাবে ছবি জমা দিবেন।
অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া জানতে, আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কারণ আমরা আজকের এই আর্টিকেলে 15 বছর এর কম অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট করার নিয়ম। এবং ই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে।
কিভাবে অনলাইনে বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট এর আবেদন করবেন। সে বিষয়ে জানাবো। তাই আপনি যদি এই সকল তথ্যগুলো জানতে চান?
তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট করার নিয়ম অনুযায়ী ই পাসপোর্ট এর আবেদনের জন্য যেকোনো ব্যক্ত ‘র জাতীয় পরিচয় পত্র দরকার হবে।
তো ১৮ বছর হওয়ার পর, অনেকে জাতীয় পরিচয় পত্র পায়না। তাই ১৮ হতে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত এন আই ডি কার্ড না থাকলে। তাদের জন্ম নিবন্ধন দিয়ে অনলাইন আবেদন করা যাবে।
সাধারণত আমরা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বলতে, বুঝি 18 বছরের কম বয়সী মানুষদের। তবে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫ বছর এর কম বয়সীদের বা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিবেচনা করা হয়।
পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ আবেদন প্রক্রিয়া এবং ফি একই রকম। পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে পার্থক্য নেই।
কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এর ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা আছে।
বাচ্চাদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ?
০১ দিন হতে ১৫ বছর এর বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট করতে নিচে দেয়া কাগজপত্র গুলো লাগবে। যেমন-
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতার ভোটার আইডি কার্ড
- মাথার ভোটার আইডি কার্ড
- জরুরি প্রয়োজনে একজন আত্মীয়র নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর
- ৬ বছরের কম বয়সী হলে ছবি
- অনাপত্তি পত্র (সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী সন্তানের ক্ষেত্রে)
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের এ চালান
তো চলুন বাচ্চাদের পাসপোর্ট করতে উপরোক্ত যে, কাগজপত্র গুলো লাগবে। সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ
জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে পাসপোর্ট করতে হলে আগে নেট চেক হতে হবে যে বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৭ ডিজিট রয়েছে কিনা। অবশ্যই ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে।
এখানে ডিজিটাল বলতে বোঝানো হয়েছে, নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে রয়েছে কিনা? এছাড়া তথ্য গুলো ইংরেজিতে থাকলে আরো বেশি ভালো হবে।
তাই আপনি যদি বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট আবেদন করতে চান? তাহলে অবশ্যই একটি ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ করে নিতে হবে।
পিতা ও মাতার ভোটার আইডি কার্ড
সাধারণত এই পাসপোর্ট এর জন্য মূল ডকুমেন্ট হলো জাতীয় পরিচয় পত্র/ ভোটার আইডি কার্ড। ১ দিনের বাচ্চাদের থেকে শুরু করে ২০ বছর পর্যন্ত মানুষের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট আবেদন করা যাবে।
কিন্তু এক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদনে পিতা ও মাতার ভোটার আইডি কার্ড নম্বর উল্লেখ করে দিতে হবে এবং অফিসে ফটোকপি জমা রাখতে হবে।
জরুরি প্রয়োজনে
ই পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে জরুরি যোগাযোগের জন্য একজন আত্মীয়র নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত করতে হবে।
একটি পরিবারের অন্য কোন সদস্য বা কোন নিকট। আত্মীয় এর তথ্য এবং মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত করতে পারেন।
আবেদনকারীর ছবি
বাচ্চার বয়স ৬ বছর এর কম হলে অবশ্যই বাচ্চার এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ই পাসপোর্ট এর আবেদনের ওপর আঠা দিয়ে সংযুক্ত করতে হবে।
এক্ষেত্রে বাচ্চার বয়স যদি ৬ বছরের বেশি হয় সে ক্ষেত্রে ছবির দরকার নেই।
অনাপত্তি পত্র (পিতা-মাতা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী সন্তানদের)
আপনি যদি সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিতকোন অফিসে চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনার সন্তানের ই পাসপোর্ট করার জন্য অবশ্যই আপনার দপ্তর থেকে একটি অনাপত্তি পত্র জমা দিতে হবে।
আপনি যদি একই সাথে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেন। তবে একটি এনওসি দিয়ে আপনি আপনার উপর নির্ভরশীল স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তানদের পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন।
তাছাড়া এককভাবে শুধুমাত্র বাচ্চার পাসপোর্ট আবেদন করতে চাইলে তার নামে আপনার অফিস সাথে একটি এনওসি গ্রহণ করতে হবে।
ব্যবহার করে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে না। তাছাড়া সাধারণ পাসপোর্ট এর ফি পরিশোধ করেই, জরুরী পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন।
ফি পরিশোধের এ চালান
এ চালান এর মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি এ চালান অ্যাপ থেকে।
বা ওয়েবসাইট থেকে ডেবিট কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট বিকাশ, নগদ, রকেট এর মাধ্যমে- পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে দিতে পারেন।
আর আপনি যদি কোন ব্যাংক থেকে এ চালান ফি জমা দিতে চান। তাহলে সেটিও আপনারা পারবেন, তবে চালান কপি অন্যান্য কাগজের সাথে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
ই পাসপোর্ট করার জন্য বাচ্চাদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক সকলের জন্য অনলাইন আবেদন করতে হবে। সবার আগে অনলাইন আবেদন করুন।
তারপর পাসপোর্ট পরিশোধ করুন। চালান কপি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাসপোর্ট অফিসের জমা দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করুন।
সাধারণ একজন বাচ্চার পাসপোর্ট আবেদন দুইভাবে করতে পারবেন। যেমন- পিতা ও মাতার পাসপোর্ট আবেদনের সাথে এছাড়া আলাদাভাবে বাচ্চার পাসপোর্ট আবেদন।
পিতা ও মাতার সাথে একত্রিত হয়ে পাসপোর্ট আবেদন করলে অনেকটা হয়রানি কম হবে কিন্তু উভয়পক্ষেই আবেদন প্রক্রিয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ফি পরিশোধের পরিমাণ একই রকম।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা ছোট বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট করার নিয়ম জানতে চান? এবং পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সে বিষয়ে আমরা উপরে আলোচনাতে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছি।
তো আপনি পাসপোর্ট আবেদন করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
তো বন্ধুরা আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করে, আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর আপনার বন্ধুবান্ধবদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।