রাইড শেয়ারিং থেকে আয় করার উপায় – রাইড শেয়ারিং থেকে আয় করতে যা যা প্রয়োজন।

বর্তমান সময়ে টাকা ইনকাম করার জন্য জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো রাইড শেয়ারিং। তো সহজ ভাবে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনারা রাইড শেয়ারিং বেছে নিতে পারেন।

আপনার কাছে যদি কোন মোটরসাইকেল বা প্রাইভেটকার থাকে। তাহলে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং করে ভালো পরিমানের টাকা রোজগার করতে পারবেন।

তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রাইড শেয়ারিং কি? রাইড শেয়ারিং করে ইনকাম করার উপায় কি? সেই সঙ্গে বাংলাদেশে সেরা রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোন গুলো সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

তাই আপনি যদি রাইড শেয়ারিং থেকে ইনকাম করার উপায় এবং রাইড শেয়ারিং থেকে আয় করতে যা যা প্রয়োজন জানতে চান? আমাদের লেখাটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

রাইড শেয়ারিং থেকে আয় করার উপায় - রাইড শেয়ারিং থেকে আয় করতে যা যা প্রয়োজন।
রাইড শেয়ারিং থেকে আয় করার উপায় – রাইড শেয়ারিং থেকে আয় করতে যা যা প্রয়োজন।

রাইড শেয়ারিং কি?

রাইড শেয়ারিং হল এমন একটি বিষয় যেখানে একজন মানুষ অন্য মানুষের সাথে তার নিজের যানবাহন শেয়ার করে। মানে তার যানবাহন অন্যদের যাতায়াতের জন্য শেয়ার করে।

আর নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা আয় করে থাকে। রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের ধারণা অনেকটাই চিরাচরিত গাড়ি ভাড়ার প্রক্রিয়ার মত।

এখানে পার্থক্য শুধু রাইড শেয়ারিং অ্যাপস এর ক্ষেত্রে গাড়ি ভাড়া করা হয়। তাই এখানে, ভাড়া দেওয়ার জন্য দামাদামি করার কোন অপশন থাকে না।

রাইড শেয়ারিং থেকে আয় করার উপায়

বর্তমান সময়ে সাশ্রয়ের সাথে এবং নিরাপত্তার মাধ্যমে যাতায়াত করার সুবিধার জন্য রাইড শেয়ারিং অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।  রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থায় কিছু ছোট ধাপ অতিক্রম করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। তাই চলুন বিস্তারিত জেনে আসি।

প্রথমত আপনার সকল প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনাকে যে কোন একটি রাইড শেয়ারিং প্লাটফর্মে কানেক্টেড হতে হবে। হতে পারে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বা রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের মাধ্যমে।

যখন আপনি রাইডার হিসেবে নিযুক্ত হবেন। তখন থেকে আপনি রাইড রিকোয়েস্ট পাওয়া শুরু করবেন, এবং রাইড শেয়ারিং করবেন। তার জন্য নিচে দেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করুন।

  • প্রথমে একজন যাতির নিকট কোন রাইডার কে রিকোয়েস্ট পাঠান। রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
  • উক্ত রিকোয়েস্ট রাইড শেয়ারিং অ্যাপ এর মাধ্যমে নিকটবর্তী রাইডাপর এর কাছে পৌছে যায়।
  • যদি সে রিকোয়েস্ট রাইডার গ্রহণ করে। তখন তিনি সেই যাত্রীকে নির্দিষ্ট স্থান থেকে যানবাহনে তোলেন।
  • যখন যাত্রীকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেয়া হয়। তখন সে যাত্রী হ্যান্ড ক্যাশ, মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের দ্বারা পরিশোধ করতে পারে। আর এরকম ভাবে একজন রাইডার তার রাইড শেয়ার করার বিনিময়ে টাকা ইনকাম করা পারে।

যাত্রী ও রাইডার সকলেই একে অপরের পেঁপে তাদের অভিজ্ঞতা এবং ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে রিভিউ দেখতে পারবেন। যা একজন অপরিচিত মানুষের সঙ্গে রাইড শেয়ার করার ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজনীয়।

রাইডারদের জন্য এই রেটিং অনেক কার্যকরী। কারণ উক্ত রিভিউ এর যেন তিনি পূর্ববর্তী বেশি যাত্রী বা কোম্পানি থেকে বোনাস এবং পুরস্কার গ্রহণ করতে পারবেন।

তো জেনে রাখা ভালোরাইড শেয়ারিং অ্যাপ গুলো রাইডার ও যাত্রী উভয়ের মোবাইলে জিপিএস সার্ভিস এর উপর নির্ভর করে কাজ করে থাকে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং প্লাটফর্ম

পাঠাও – গত ২০১৬ সালে প্রথম রাইড শেয়ারিং কোম্পানি হিসেবে পাঠাও ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শোভাযাত্রা শুরু করেন।

সারা বাংলাদেশের তাদের রয়েছে ৮০ লাখেরও বেশি গ্রাহক এবং তাদের রয়েছে তিন লাখেরও বেশি রাইডার।

উপবার – যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল খ্যাতি পাওয়া রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটিও বাংলাদেশের শুভ যাত্রা শুরু করে ২০১৬ সালে।

ওভাই – ওভাই হচ্ছে বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং জনপ্রিয় সার্ভিস। এই প্লাটফর্মে সেবায় পাওয়া যায়- ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং কক্সবাজার শহর গুলোতে।

তাছাড়া আরো অসংখ্য রাইড শেয়ারিং ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস রয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ওয়েবসাইটে এখনো পর্যন্ত 15 টি কোম্পানি নিবন্ধিত করেছে।

মহিলাদের আলাদা সুরক্ষা প্রদানে চালু করা হয়েছে কিছু মহিলা দ্বারা চালিত রাইড শেয়ারিং অ্যাপস। বর্তমানে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের বিষয়টি এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে।

তো বেশিরভাগ রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে মানুষ ব্যবহার করে, পাঠাও এবং উবার।

রাইড শেয়ারিং থেকে আয় করতে যা যা প্রয়োজন

রাইড শেয়ারিং থেকে টাকা আয় করার জন্য একটি স্মার্ট ফোন থাকতে হবে। তাছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্ড, পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক থাকতে হবে।

কার এবং বাইক এর মাধ্যমে ইনকামের জন্য অবশ্যই একটি বাইক এবং কারের ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আবশ্যিকভাবে থাকতে হবে।

যাত্রী থেকে পাওয়া ভাড়ার ১০% থেকে 15% রাইড শেয়ারিং প্লাটফর্ম সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে, এবং অবশিষ্ট যে টাকাটি থাকবে সেটি রাইডার পাবে।

নিরাপত্তার জন্য রাইডারদের যে বিষয় গুলো জানতে হবে?

প্রথমে যাত্রীকে যাচাই করতে হবে – রাইড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করার পরে, যাত্রা শুরু করার আগে যাত্রীরা যেমন গাড়ি লাইসেন্স প্লেট, সবই ইত্যাদি সঙ্গে মিলিয়ে নেন তেমনি আপনিও তাদের নাম ছবি ইত্যাদি মিলিয়ে নিবেন। তাছাড়া, যাত্রা শুরু করার আগে যাত্রীর রেটিং দেখে নিবেন।

সতর্কতা অবলম্বন করুন – রাইড শুরু করার পরে নিজেকে এবং যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়ি চালানোর সময় সতর্ক থাকবেন। সব সময় রাস্তার দিকে চোখ রাখবেন। এবং গাড়ি চালানোর সময় ফোনে মেসেজিং এবং কল করা থেকে বিরত থাকবেন। গাড়ি চালানোর সময় ঝিমানো এ রাতের প্রয়োজন মত বিশ্রাম করে নিবেন।

সিট বেল্ট ব্যবহার করুন – গাড়ি চালানোর সময় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো সিট বেল্ট ব্যবহার করা। তাই নিজের সিট বেল্ট পড়বেন সাথে সিট বেল্ট পড়তে উৎসাহিত করবেন। যার ফলে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে, জীবন বাঁচানো পারবেন। এবং আহত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।

শেষ কথাঃ

রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের কদর বর্তমানে এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। তো যাই হোক ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপস মার্কেটে সফলতা অর্জন করেছে।

আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আপনি ইনকাম করে নিতে পারবেন বাড়তি টাকা। উপরে দেয়া পদক্ষেপ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিং সার্ভিস প্রদান করে ইনকাম করা শুরু করুন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment