অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য [বিস্তারিত এখানে]

চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কে ভিত্তি করে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি কর্তৃক গঠিত ব্যবসায়ীর সিস্টেমকে অংশীদারি ব্যবসা বলা হয়। অংশীদারি ব্যবসা বলতে এক কথায় বলা যায় এই ব্যবসাটি হচ্ছে মূলত চুক্তিভিত্তিক অর্থাৎ একাধিক ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কিত যে ব্যবসা পরিচালনা করে তাকে অংশীদারি ব্যবসা বলা হয়।

আপনি যদি অংশীদারি ব্যবসার বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তবে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আপনাকে এখানে অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য সমূহ বিস্তারিত বুঝানোর চেষ্টা করব তো চলুন দেখে নেয়া যাক অংশীদারি ব্যবসা কিভাবে শুরু করা যায় এবং অংশীদারি ব্যবসার বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি।

অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি কি ?

আমরা আপনাদের জানিয়েছি চুক্তিভিত্তিক কোন ব্যবসা শুরু করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় অংশীদারি ব্যবসায় চুক্তি অংশীদারি ব্যবসা এর মূল ভিত্তি অংশের মধ্যে চুক্তির বিষয়বস্তু দলিলের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে অংশীদারি চুক্তি বলা হয়।

অংশীদারী চুক্তিপত্রের অংশীদারি ব্যবসায়ের পরিচালনার ভবিষ্যৎ দিক-নির্দেশনা হিসেবে কাজ করে থাকে অংশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তিপত্র এমন ভাবে প্রস্তুত করা হয় যাতে ভবিষ্যতে সম্ভাবনা সকল সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় অংশীদারি ব্যবসায় চুক্তি লিখিত নিবন্ধন নিবন্ধন এবং মৌখিক হতে পারে।

তাই চুক্তিভিত্তিক ভাবে কোন অংশীদারী মধ্যকার সম্পর্ক যুক্ত হয়ে ব্যবসা শুরু করার ভিত্তিতে সুন্দর ভাবে গড়ে ওঠে কারণ চুক্তি অনুযায়ী অংশীদারি মূলধন বিনিয়োগ পরিচালনা ও মুনাফা বন্টন করা হয় চুক্তি অংশীদারি আইন ও অধিকার নিশ্চিত করে থাকে।

আপনি যদি উক্ত আলোচনা গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে থাকেন তবে আপনিও অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি কি এবিষয়ে পরিষ্কারভাবে ধারণা পেয়ে গেছেন।

আরো দেখুনঃ

অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য সংখ্যা কত ?

দুইজন এবং সর্বোচ্চ 20 জন অংশীদার নিয়ে এই ব্যবসাটি গঠিত হয়। আমরাতো 932 সালে অংশীদারি আইন অনুসারে সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন 2 থেকে 20 জন সদস্য সংখ্যা প্রয়োজন হয় আবার ব্যাংকিং অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দুইজন থেকে 10 জন সদস্যসংখ্যা নিয়োজিত হতে হয়।

অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য [বিস্তারিত এখানে]
অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য [বিস্তারিত এখানে]

অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য ?

অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি কি এবং অংশীদারি ব্যবসায় সদস্যসংখ্যা কত গুলো প্রয়োজন হয় আপনার দেয়া লেখাগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে থাকেন তবে আপনিও এ বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন এখন আমরা আপনাদের জানাব অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য কি।

অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি ?

  • অংশীদারি ব্যবসায় একাধিক সদস্য নিযুক্ত করা। অংশীদারি ব্যবসায় দুই থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি দ্বারা চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কে গড়ে তোলা।
  • সদস্যসংখ্যা সাধারণ অংশীদারি ব্যবসার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সদস্যসংখ্যা প্রয়োজন হয় এবং ব্যাংকিং অংশীদারি ব্যবসার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সদস্যসংখ্যা প্রয়োজন হয়।
  • মূলধন সরবরাহ চুক্তি অনুযায়ী অংশীদারি ব্যবসায়ের মূলধন সরবরাহ করে থাকে যদি চুক্তিতে উল্লেখ থাকে তাহলে মূলধন ছাড়া ব্যবসায়ী হিসেবে  অংশীদার হওয়া যায় এটি শুধুমাত্র নামমাত্র অংশীদার হিসেবে পরিচিত।
  • অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র সম্পর্ককে অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি চুক্তির মাধ্যমে অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত ও পরিচালিত হয়ে থাকে।
  • ব্যবসা পরিচালনায় অংশগ্রহণ অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সকল অংশীদারি ব্যবসা পরিচালনার জন্য অংশগ্রহণ করতে পারবে তবে সকলের পক্ষে একজন দ্বারা অংশীদারি ব্যবসায় পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকবে।
  • অংশীদারি ব্যবসার ক্ষেত্রে সকল অংশের মধ্যে সমানভাবে মুনাফা বন্টন করা হয় এবং চুক্তিতে যদি নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ থাকে তাহলে চুক্তি অনুসারে মুনাফা বন্টন করা হবে।
  • অংশীদারি ব্যবসার ড্রাই অংশীদারি ব্যবসায়ের অপারেশন এর ব্যবসার যে কোন পরিমাণ আদায়ের জন্য সংসদের ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ থাকবে এখানে কেউ কাউকে দোষারোপ করতে পারবে না। যেমন এ ব্যবসাতে যদি ক্ষতি হয় তাহলে সবার ক্ষতি একসাথে হবে আর যদি লাভ হয় সবার লাভ একসাথে হবে।
  • অংশীদারি ব্যবসায় পারস্পরিক বিশ্বাস। অংশীদারি ব্যবসা করতে গেলে অবশ্যই একে অপরের সাথে পারস্পরিক বিশ্বাস ও তার সাথে অংশীদারি ব্যবসা শুরু করতে হবে অংশীদারি ব্যবসায়ের অন্যতম পারস্পরিক বিশ্বাস। ব্যবসা শুরু করার পর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হয় বিশ্বাসের বিশ্বাসের উপায় নির্ভর করে অংশীদারি ব্যবসা সুন্দর করে সৃষ্টি করা সম্ভব।
  • অংশীদারি ব্যবসায় অংশের মধ্যে অংশীদারি সম্পর্কে একটি অংশীদারি ব্যবসায় চুক্তি বলা হয়।

আরো দেখুনঃ

অংশীদারি ব্যবসার সুবিধা

আপনি জানতে পারলেন অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি থাকে এখন আমরা আপনাদের জানাব অংশীদারি ব্যবসার সুবিধা গুলো আপনি যদি জানতে চান তবে আমাদের আর্টিকেলটি আরো গভীরভাবে অনুসরণ করুন।

সহজ গঠন, প্রণালি, সমন্বিত মূলধন, সম্মিলিত প্রচেষ্টা, সহজে ঋণ পাওয়ার সুযোগ, নমনীয়,  পরস্পর বিশ্বার ও আস্থার অভাব, কম আইনী বাধ্যবাধকতা, দক্ষ পরিচালনা, সম্মিলিত সিদ্ধান্ত, বিশেষায়নের সুযোগ, সহজে ঋণ পাওয়ার সুযোগ, ঝুঁকি বণ্টনের সুযোগ ইত্যাদি।

আপনি যদি অংশীদারি ব্যবসায় যুক্ত হতে চান তবে আমরা যে সকল বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছি সেই বৈশিষ্ট্য গুলো অনুসরণ করবেন এবং অংশীদারি ব্যবসার সুবিধা গুলো কি হয়ে থাকে সেই বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আপনাদের অংশীদারি ব্যবসা করতে আগ্রহী হন তবে আলোচনার প্রেক্ষিতে যেহেতু অংশীদারি ব্যবসা শুরু করতে দুই থেকে শুরু করে 20 জন সদস্য প্রয়োজন হয় তাই আপনাদের দলবদ্ধভাবে অংশীদারি ব্যবসায় লিপ্ত হতে পারেন তবে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পারলেন অংশীদারি ব্যবসায় ভিত্তিক এবং অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল বৈশিষ্ট্য গুলো কি এবং অংশীদারি ব্যবসা করতে পারলে কি ধরনের সুবিধা ভোগ করা যায় সেই সম্পর্ক গুলো। অংশীদারি ব্যবসায় আগ্রহ থাকে তবে আজ থেকেই আপনার আপনজন বন্ধুবান্ধবের সাথে আলাপ আলোচনা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারেন।

আমরা আলোচনায় বারবার বলেছি অংশীদারি ব্যবসা শুরু করার জন্য অবশ্যই 20 জন সদস্য অবশ্যই প্রয়োজন হবে যখন আমরা একসাথে দলবদ্ধ হতে পারবেন তখন এই ব্যবসা সঠিকভাবে দাঁড় করাতে পারবেন। আপনি যদি অংশীদারি ব্যবসার পাশাপাশি আরো অন্যান্য ব্যবসার তথ্য জানতে চান তবে আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে চাইলে সেই ব্যবসা গুলো আপনি দেখে নিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ

এছাড়া আমাদের এই এক্সপার্ট jobs.com ওয়েবসাইটে অনলাইন ইনকাম করার সকল প্রকার তথ্য আপলোড করা হয়। আপনি যদি কোন প্রকার ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।

Leave a Comment