রেফ্রিজারেটর কি ? এবং ফ্রিজ কিভাবে ঠান্ডা হয় ?

রেফ্রিজারেটর কি : ফ্রিজ কিভাবে ঠান্ডা হয় : আমাদের আর্টিকেলে আজ এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে।

আমরা জানি বর্তমান সময়ে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতে খাবার এবং পানীয় দীর্ঘদিন ভালো রাখার এবং সঞ্চয়ের জন্য একটি ফ্রিজ আছে। আমরা অনেকেই ব্যবহার করে।

রেফ্রিজারেটর কি ? এবং ফ্রিজ কিভাবে ঠান্ডা হয় ?
রেফ্রিজারেটর কি ? এবং ফ্রিজ কিভাবে ঠান্ডা হয় ?

আমরা একসাথে অনেকগুলো ইত্যাদি একেবারে কিনে। অনেক দিনের জন্য ঘরে রাখার ক্ষেত্রেও একই ফ্রিজ ব্যবহার করি।

তাছাড়া গরমের দিনে ঠান্ডা পানি খেতে এবং বরফের টুকরো পানিতে শরবতে দিয়ে। শরবত খাওয়ার ক্ষেত্রে একটি এরা রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে। যারা ফ্রিজ এর বিষয়ে তেমন ভালো করে জানে না। সে যেন আজ আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে ফ্রিজ কিভাবে ঠান্ডা করে। এবং রিফ্রেজেটর কি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনি যদি ফেজার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

রেফ্রিজারেটর কি ?

এই ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর হচ্ছে, প্রতিটি মানুষের ঘরে সাধারণত ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি বা অ্যাপ্লায়েন্স এর মাধ্যমে একটি।

আপনাকে সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায় একটি হচ্ছে, এমন একটি মেশিন যা আমাদের খাবার এবং পানি ওগুলো স্বাভাবিক এর চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে ঠান্ডা থাকে্

মানে, রিফ্রেজেটর এমন একটি যন্ত্র বা কৃত্রিম ভাবে শীতল থাকে এবং আমরা খাদ্য এবং পানীয় সংরক্ষণ কাজে ব্যবহার করতে পারি।

সাধারণত একটি ফ্রিজে থাকে এক বা একাধিক কম্পর্টমেন্ট। ডিপ ফ্রিজ বাড়ি করার জায়গা আর ফ্রিজের দরজায় ভেতরে থাকে। পানি ও খাবার একাধিক সেলফ।

একটি ছোটখাটো আলমারির মতন দেখতে হয়। আর প্রতিটি একটি বা দুটি দরজা থাকে। সে দরজা খুলি আর কাজ মিটে গেলে। আমরা সে দরজা বন্ধ করে দেই।

রেফ্রিজারেটর এর ইতিহাস

খাবার এবং পানীয় দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণের তাগিদে অনেক আগে থেকে মানুষকে কিভাবে খাদ্য সংরক্ষণের চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন।

আর এই কুলিং বা শীতল রাখার পদ্ধতি প্রাচীন গ্রিক এবং রোমানদের সময় থেকে চালু হয়েছে।

তারা পাহাড় থেকে বরফ বরফ এর সাহায্যে তাদের খাবার ঠান্ডা রাখতে। খাদ্য সংরক্ষণ করার প্রধান শত্রু হচ্ছে, হিমায়ন শীতল রাখার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্যের স্থায়িত্বকাল বাড়িয়ে দেয়া।

উক্ত হিমায়ন পদ্ধতি যে কোন প্রকার ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট এবং ছত্রাক এর মতো অনুজীবদের বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।

এসকল অনুজীবদের বৃদ্ধির কারণে কিন্তু খাদ্য এবং পানীয় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

তাই একটি রিফ্রেজেটর তাপমাত্রা কম রাখার মাধ্যমে এই ধরনের অনুজীবদের বৃদ্ধিতে বাধা দিয়ে, খাদ্য সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে।

উক্ত রিফ্রেজেটর বা হিমায়ন প্রক্রিয়ার ফলে, অনেক কিছু পণ্য কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়।

আর আমরা সকলেই জানি যে পানি শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বরফে পরিণত হচ্ছে। আর এই হিমায়ন প্রক্রিয়ার প্রধান কাজ গুলোর মধ্যে একটি।

ফ্রিজ কিভাবে ঠান্ডা হয় ?

আপনাকে সহজভাবে বলতে গেলে আমাদের শীতের সময় তাপমাত্রা যখন হঠাৎ অনেক বেড়ে যায়। তখন আমরা ঘেমে যায় এবং আমাদের দেহ থেকে এনার্জি তরল এর আকারে বেরিয়ে যায়।

যখন আমাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসে। তখন সে ঘাম ধীরে ধীরে আমাদের গাঁ থেকে শুকিয়ে যায় এবং বাষ্পে পরিণত হয়।

উক্ত একই প্রক্রিয়া রেফ্রিজারেটর এর সাথে ঘটে থাকে। যখন তরল করে যেতে থাকে। তখন তা শীতল বাষ্পের আকারে ফ্রিজের মধ্যে আটকে পড়ে যায়।

আর এই তরল থেকে বাষ্প থেকে তরলে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া টি ক্রমান্বয়ে চলতে থাকে। যার জন্য ফ্রিজের তাপমাত্রা সব সময় স্বাভাবিকের থেকে নিচে থাকে।

বিজ্ঞানের ভাষায় বলতে গেলে বলা যায় ,রিফ্রেজেটর তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী কাজ করে থাকে।

রিফ্রেজেটর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবাঞ্চিত এক জায়গা থেকে সংগ্রহ করে অন্য জায়গায় ছেড়ে দিতে পারে।

আমাদের বাড়িতে যে, সাধারণ নীতি অনুযায়ী কাজ করে থাকে আর এই প্রক্রিয়াটি প্রয়োজন হয়। এক ধরনের সহজে ঠান্ডা হওয়া রেফ্রিজারেন্ট পদার্থ।

একটি রিফ্রেজেটর হচ্ছে এমন একটি পদার্থের জাতাব চক্রে এক জায়গা থেকে তাপ স্থানান্তর করে। অন্য জায়গাতে সেতাব অপসারণ করতে ব্যবহার হয়।

একটি রেফ্রিজারেন্ট যখন ফ্রিজে রাখা কোন খাদ্য বা পানীয় এর মধ্যে প্রভাবিত হয়ে থাকে। তখন সেই বস্তুগুলো রেফ্রিজারেন্ট থেকে তাপ শোষণ করে এবং সততা পরে অনেক কম তাপমাত্রায় আশেপাশে স্থানান্তর করে দেয়।

আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন, ফ্রিজ কিভাবে ঠান্ডা। যদি না বুঝে থাকেন তাহলে, উপরে দেওয়া আলোচনাটি আরও একবার পড়ে নিবেন, দয়া করে।

রেফ্রিজারেটর এর প্রধান উপাদান

একটি ফ্রিজে মূলত ০৪ টি উপাদান রয়েছে। পুরো রিফ্রজেরেশন পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার জন্য এই ০৪ টি উপাদান সম্পর্কে আমি নিচে, আলোচনা করা হয়েছে দেখুন-

ইভাপোরেটোর

ইতিহাসে যে কোন ফ্রিজ এর প্রধান একটি অংশ এর সাহায্যে যেকোনো রিফ্রজেরেটর ঠান্ডা থাকে।

এটি ইভাপোরেটর অনেক কয়েকটি উচ্চ তাপ পরিবাহী থাকে। যা কুলিং সিস্টেম ফ্যান কয়েল ধারা নির্গত তাপ শোষণ করে, সিস্টেমকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

কম্প্রেসার

একটি কম্প্রেসার নিম্নচাপ এবং কম তাপমাত্রা বাষ্প কে উচ্চ তাপমাত্রা এবং উচ্চচাপ এর বাসবে সংকুচিত করে থাকে।

রেফ্রিজারেন্ট কে এভাপোরেটর থেকে নির্গত করে। তাকে একটি সিলিন্ডার এর মধ্যে সংকুচিত করে রেখে দেওয়া হয়। যাতে করে, রেপ্যিজারেন্টটি একটি উচ্চ তাপমাত্রা এবং উচ্চ চাপযুক্ত গ্যাস তৈরি করে।

এক্সপ্যানশন ভাল্ভ

এক্সপেনশন ভাল্ভ এভাপোরটর এর দিকে বইতে থাকা। রেফ্রিজারেন্ট এর প্রবাহ কে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই সকল ভালভকে ফ্লো কন্টোল ভাল্ভ বলা হয়।

এটি একটি ছোট এবং সূক্ষ্ম যন্ত্র। যা রেফ্রিজারেন্ট এর তাপমাত্রা পরির্তন করতে সহায়তা করে।

কন্ডেন্সার

উক্ত কন্ডেন্সার উপদানটি ফ্রিজ এর পিছনে থাকা বাহ্যিক পাখনা যুক্ত টিউব এর সেট নিয়ে গঠিত হয়। আর উক্ত উপাদানটি গ্যাস রেফ্রিজারেন্ট কে তরল আকারে রুপান্তরিত করতে সহায়তা করে থাকে।

ফ্রিজ কিভাবে কাজ করে ?

রেফ্রিজারেশন প্রক্রিয়ায় ইভাপোরেটর, কম্প্রেসার, কনডেন্সার ও এক্সপ্যানশন ভাল্ভ গুলো তামা এবং ইস্পাত দিয়ে তৈরি টিউব এর সাথে যুক্ত থাকে।

আর এই ইভাপোরেটর টিউব গুলো ফ্রিজ এর সকল জায়গায় লাগানো থাকে। যখন তাপ শোষিত হয়ে থাকে। তখন তরণ রেফ্রিজারেন্ট তাপ শোষণ করে, বাষ্পে পরিণিত কর।

আর উক্ত শোিষিত তাপ কম্পেসার এর মাধ্যমে বাষ্প অবস্থা থেকে। তরণ অবস্থায় বাহিক্য পরিবেশে প্রবেশ করে থাকে।

উক্ত প্রক্রিয়াটি পুনারাবৃত্তি হতে থাকে। আর সেই জন্য এই প্রক্রিয়ায় ফ্রিজ সকল সময় ঠান্ড হয়ে থাকে।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই পোেস্টে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হলো, রেফ্রিজারেটর কি? এবং ফ্রিজ কিভাবে ঠান্ডা হয়। আপনি যদি উক্ত আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত পড়েন। তাহলে আশা করা যায় আপনি ফ্রিজ সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন।

আর আমাদের এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি আরো বাড়তি কিছু জানার থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

বিশেষ করে, আপনি যদি আমাদের এই সাইট থেকে আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চান। তবে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment