ইন্ডাকশন চুলার দাম কত

ইনডাকশন চুলার দাম কত : বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন মডেলের ইন্ডাকশন চুলা পাওয়া যায়। এই ইন্ডাকশন কুকার/ চুলা গুলো একটি ইলেকট্রনিক চুলা নামে পরিচিত।

কিছু কিছু মানুষ ইন্ডাকশন চুলাকে ইলেকট্রিক চুলাও বলা থাকে। একটি ইন্ডাকশন কুকার কোম্পানির ব্র্যান্ড, পাওয়ার ওয়াটেজ ও মানের উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়।

ইন্ডাকশন চুলার দাম কত
ইন্ডাকশন চুলার দাম কত

তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে, আমরা আপনাকে ইলেকট্রিক ইন্ডাকশন চুলার দাম কত ? সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

ব্যবহার করে আপনারা একটি ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহার করে, সেখানে গ্যাসের চুলায় এবং যে সকল রান্না করেছেন তার সবকিছুই করতে পারবেন।

ইন্ডাকশন কুকার বর্তমানে স্মার্টফোন এবং ব্যাচেলরদের জন্য অনেক সুবিধা প্রদান করে থাকে।

[wp_show_posts id=”3306″]

বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাকশন চুলা বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে। ইন্ডাকশন চুলা কেনার আগে আপনার প্রতিটি ইন্ডাকশন চুলার দাম এবং স্পেসিফিকেশন দেখতে হবে।

ইন্ডাকশন চুলা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে চাহিদা সম্পন্ন বিশেষ করে, গৃহিণী, অবিবাহিত ব্যক্তি, ব্যাচেলর তরুণ এবং বৃদ্ধাদের জন্য প্রযোজ্য।

কারণ এই চুলা ব্যবহার করাতে কোন প্রকার দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় না। পুরোপুরি নিরাপত্তা সহিত সকল প্রকার রান্নাবান্না করা যায়।

তাই আমি আপনাদের সুবিধার জন্য। এখানে ইন্ডাকশন চুলার বিভিন্ন কোম্পানির দাম জানিয়ে দেবো।

ইন্ডাকশন চুলার দাম কত (বিভিন্ন কোম্পানির মডেল অনুযায়ী)

ইন্ডাকশন চুলার দাম সর্বনিম্ন ২,৫০০/- টাকা থেকে শুরু করে ৯,০০০/- টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই আপনারা সবসময় ভালো ইন্ডাকশন কুকার কেনার চেষ্টা করবেন। যেগুলো কম বিদ্যুৎ খরচ সহ বড় ক্ষমতা সম্পন্ন।

তার কারণ একটি ভাল ইন্ডাকশন চুলা আপনাকে দেবে ঝামেলা মুক্ত রান্না করার সুযোগ। ইন্ডাকশন চুলার সকল মডেলের দাম বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের দিয়েছে।

[wp_show_posts id=”3303″]

তো কোন ধরনের কোম্পানিতে কোন মডেলের ইন্ডাকশন কুকার কত টাকা। সে বিষয়ে তথ্য গুলো জানতে অনুসরণ কর।

Walton কোম্পানির ইন্ডাকশন চুলা (WI-F15) মডেল দাম

  • দ্রুত রান্না করার জন্য ওয়ালটন ইন্ডাকশন চুলা ১৮০০ ওয়াট পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
  • ১২০ ওয়ার্ড থেকে ১৮০০ ওয়াট পর্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ ওয়াটেজ রয়েছে।
  • টাচ স্কিন কন্ট্রোলার প্যানেল রয়েছে।
  • ইন্ডাকশন কুকারে একাধিক তাপমাত্রা সেন্সর প্রযুক্তি রয়েছে।
  • নিরাপত্তা অপারেশনের জন্য চাইল্ড লক করা রয়েছে।
  • মাল্টি ইন্টেলিজেন্ট রান্না করা যায়।
  • ওয়ালটন কোম্পানির ইন্ডাকশন চুলার দাম ৩,০০০/- টাকা।

এলজি কোম্পানির ইন্ডাকশন চুলা (LIG-268) মডেল দাম

  • এলজি কোম্পানির ইন্ডাকশন কুকার রান্না করার জন্য সর্বোচ্চ ২২০০ ওয়াট পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।
  • উচ্চ ও নিম্ন গরম বা ভোল্টেজ সুরক্ষা।
  • একাধিক ফাংশন ও সময় সেটিংস করা যায়।
  • অল্প বিদ্যুৎ খরচ হয়।
  • এলজি ইন্ডাকশন চুলার দাম ৩,৩৯০/- টাকা।

মিয়াকো কোম্পানির ইন্ডাকশন চুলার দাম

  • রান্না করার জন্য ২২০০ ওয়ার্ড পর্যন্ত ব্যবহার যোগ্য।
  • ৮০০ ডিগ্রি উচ্চ তাপমাত্রা আছে।
  • টেকসই গ্লাস প্লেট / ধোয়াহীন।
  • বিদ্যুৎ খরচ কম
  • মিয়াকো ইন্ডাকশন চুলার দাম – ৩,৮০০/- টাকা।

ইন্ডাকশন চুলার / কুকারের কিছু সুবিধা

আপনার উক্ত আলোচনায় জানতে পারলেন, বিভিন্ন কোম্পানির ইন্ডাকশন কুকার এর মেডেল ও দাম সম্পর্কে। এখন আমি আপনাকে জানাব। ইন্ডাকশন চুলার কিছু সুবিধা সম্পর্কে।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে।

দ্রুত রান্না

দ্রুত সময়ের মধ্যে রান্নার সুবিধা পাওয়া যা। কারণ এই ধরণের চুলা গুলোকে আগুন দিয়ে গরম করতে হয় না। বিদ্যুৎ লাইন দেওয়ার সাথে সাথে গরম হয়।

[wp_show_posts id=”3308″]

এটি সরাসরি প্যান ও খাবার গরম করে থাকে। বিশেষ করে, গ্যাস এর চুলার চেয়ে অনেক দ্রুত রান্না করা যায়।

দক্ষ শক্তি

আপনার যখন ইন্ডাকশন কুকারে রান্না করবেন। তখন আপনি যে, জিনিস ব্যবহার করবেন। সে জন্য আপনার কেবল শক্তির দরকার হয় না।

এটি এয়ার কন্ডিশনার এর মতো অন্যদের থেকে অতিরিক্ত শক্তি প্রদান করে। আপনি যদি প্রায় রান্না ঘরে রান্নার মাধ্যমৈ নিজেকে খুজে পান। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, আপনার রান্না ঘর গরম ও উষ্ণ দেখাচ্ছে।

এটি দূরত্ব এর হুড বা অন্যান্য বায়ুচলাচল ব্যবস্থার সঙ্গে ঘটতে পারে।  অতিরিক্ত গরম না হয়। এমন ভাবে রান্না করে, আপনি রান্না ঘরের মেঝে ঠান্ডা করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

মোট কথা অন্যান্য চুলার থেকে ইন্ডাকশন ইলেকট্রনিক চুলা গুলো অনেক দক্ষ শক্তির অধিকারী।

নিরাপত্তা

আপনি যদি ইন্ডাকশন চুলাতে রান্না করেন। সেক্ষেত্রে আগুন লাগার কোন কারণ নেই। চুলাটি পুরোপুরি কাঁচ দিয়ে বাধায় করা। শুধু মাত্র যেখানে রান্নার জন্য পাত্র দেওয়া হয়। সেখানেই গরম হিট থাকে।

আলাদা করে, আগুন অন্য কোথাও যাবে কিনা। এ বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না।

এই সুবিধা গুলো ছাড়া আরো সুবিধা হল- ইন্ডাকশন চুলা খুব সহজেই পরিষ্কার করে রাখা যায়। যেখানে ইচ্ছা সেখানেই নিয়ে রান্না করা যায়।

শেষ কথাঃ

আপনারা যারা ইলেকট্রনিক চুলা মানে ইন্ডাকশন চুলা দিয়ে রান্না করতে চান। তাদেরকে অবশ্যই চুলার জন্য আলাদা রান্না করার পাত্র কিনতে হবে।

কারণ ইন্ডাকশন চুলাতে যে কোন পাত্র ব্যবহার করা যায় না।

অন্যদিকে আপনি যদি ইনফারেড চুলা ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে আপনার আগের চুলার যে পাত্র ব্যবহার করতেন। তার সব কিছু ব্যবহার করতে পারবেন।

তো আশা  করা যায় আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়ে, আপনার জানতে পারলেন। ইন্ডাকশন চুলার বিস্তারিত তথ্য সমূহ। বিশেষ করে ইন্ডাকশন চুলার দাম কত টাকা।

এই পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তবে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ…

Leave a Comment