ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে [বিস্তারিত এখানে]

ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে : আপনি কি জানেন ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে। এছাড়া ইনপুট কত প্রকার ও আউটপুট কত প্রকার সে বিষয়ে যদি না জানেন তবে আপনাকে এই বিষয়গুলো অবশ্যই জেনে নিতে হবে।

আপনি যদি আমাদের এই ওয়েবসাইটের পুরো আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনিও জানতে পারবেন ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং ইনপুট কত প্রকার ও আউটপুট কত প্রকার সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।

বর্তমানে অফিসিয়াল কাজ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত যাবতীয় কাজ কম্পিউটারে মাধ্যমে করা হয়ে থাকে তাই আমরা কম্পিউটারের সাথে সবাই কম বেশি পরিচিত।

আমরা জানি কম্পিউটার ল্যাপটপ গঠন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়ার প্রয়োজন হয়। সকল বিষয়গুলো জানতে নীচে দেয়া তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ো।

ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে [বিস্তারিত এখানে]
ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে [বিস্তারিত এখানে]
আমরা আপনাকে দেখাবো ল্যাপটপ কম্পিউটার কি কি নিয়ে গঠিত হয় থাকে। যেমন :

  • কিবোর্ড- [ কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়]
  • মাউস- [কম্পিউটারের কোন কাজ করানোর জন্য নির্দেশ দেওয়ার কাজ করে]
  • মনিটর- [কম্পিউটারের ডিসপ্লে ডিভাইস, কম্পিউটারে যে সকল কাজ সম্পাদন করা হয় তাই দেখানো হয়]
  • র্যাম- [ কম্পিউটারের এক ধরনের মেমোরি, যা কম্পিউটার চালানোর ধারণক্ষমতা নিশ্চিত করে]
  • ডিভিডি- [ একটি কম্পিউটারের সিডি বা ডিভিডি রাইটার দিয়ে কাজ করা যায়]

যে কোনো কম্পিউটার ব্যবহার করার জন্য আপনাকে অবশ্যই উক্ত হার্ডওয়ার গুলো কম্পিউটারের জন্য ব্যবহার করতে হবে ল্যাপটপ হতে পারে কিংবা কম্পিউটার হতে পারে।

উক্ত কম্পিউটার হার্ডওয়ার গুলোকে বলা হয় ইনপুট ডিভাইস এবং কিছু বিভাগ রয়েছে সেগুলো কে আউটপুট ডিভাইস বলা হয়ে থাকে।

আবার অনেক সময় কম্পিউটারের হার্ডওয়ার গুলোকে দেখা যায় অনেক গুলো ডিভাইস রয়েছে যেগুলো ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস দুটোই হয়ে থাকে। যেমন হার্ডডিক্স, মনিটর, পেনড্রাইভ ইত্যাদি।

ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে ?

আমরা জানে ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস দুইটি সম্পন্ন ভিন্ন। ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস কম্পিউটারের ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন।

তাই আপনাকে জানতে হবে ইনপুট ডিভাইস কি এবং আউটপুট ডিভাইস কি। আমরা আপনাকে এই প্রশ্নের উত্তর দেবে আপনার একটি কাজ আছে সেটি হল আমাদের লেখাগুলি মনোযোগ সহকারে পড়া।

আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তবে আপনার ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কে জানতে কোন রকম সমস্যা হবে না।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক নিচে দেওয়া ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে।

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে ?

ইনপুট ডিভাইস এমন একটি অংশ যা কম্পিউটার ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা থাকে। আমরা আমাদের কম্পিউটার গুলো যে ডিভাইসে ব্যবহার করে কম্পিউটারকে নির্দেশনাবলী দিতে পারি সেই সকল ডিভাইস গুলোকে বলা হয় কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস।

আপনাকে আরও সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায় কম্পিউটারে ইনপুট ডিভাইস গুলো হল এমন কিছু হার্ডওয়ার যেটা ব্যবহার করে কম্পিউটারের কাজ করার জন্য ডাটা নির্দেশনাবলী যাওয়া হয়।

এছাড়া কোন কম্পিউটার ডিভাইস নিয়ন্ত্রন করার জন্য যে সকল ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করা হয় সেগুলো কম্পিউটার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ইনপুট ডিভাইস এর কিছু ধারনা : যেমন- কিবোর্ড ও মাউস কম্পিউটারের সব থেকে প্রয়োজনীয় ইনপুট ডিভাইস। কারণ আপনার যদি কম্পিউটারের মাউস কিবোর্ড সংযোগ করা না থাকে তবে আপনি কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রন করে রাখতে পারবেন না।

তাই কম্পিউটারের সকল নির্দেশনা প্রদান করার জন্য আপনাকে অবশ্যই মাউস কীবোর্ড ব্যবহার করতে হবে।

যেমন- মনে করুন আপনি কম্পিউটার ওপেন করে বসেছেন আপনি এখন অফিসিয়াল কাজ করার জন্য মাইক্রোসফট অফিসে প্রবেশ করবে তার জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে মাউস।

তাছাড়া কম্পিউটারে কোন ডাটা বের করা যাবে না। এবং আপনি মাউস দিয়ে মাইক্রোসফট অফিস এপ্লিকেশন করার পর, সেখানে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি বাংলা টাইপ করতে হতে পারে। অফিস এপ্লিকেশন এ টাইপিং করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি কিবোর্ড।

আপনাকে আরো সহজ করে বলতে চাই মাউস এর কথা হচ্ছে মাউস ব্যবহার করে আপনার কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করে কাজ করতে হয় এবং যেকোন ফাইল বন্ধ করার জন্য মাউস ব্যবহার করতে হয়।

মোট কথা হল মাউস দিয়ে কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন বা ফাইল ওপেন করার জন্য বা বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

অন্যদিকে কিবোর্ড এর কথা সহজ করে বলতে গেলে বলা যায়, অ্যাপ্লিকেশন ফাইলগুলোতে যখন আপনি টাইপিং করেন তখন এক এক করে আপনার টাইপিং করা ডাটাগুলো নির্দেশনাবলী হিসেবে প্রসেস করে আপনাকে অ্যাপ্লিকেশনটি সঠিকভাবে তৈরি করতে সাহায্য করে।

তাই উক্ত ইনপুট ডিভাইস গুলো ব্যাবহার করে কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হয়। এসকল বিষয় গুলোকে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়।

কম্পিউটারে যে সকল ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তার নিম্নরূপঃ

আমরা জানি কম্পিউটারের অনেক ধরনের ইনপুট ডিভাইস রয়েছে তার মধ্যে যেগুলো সচরাচর ব্যবহার করা হয় ইনপুট ডিভাইস হিসেবে সেগুলোর নাম নিচে দেওয়া হল।

  • মাউস
  • কিবোর্ড
  • জয়স্টিক
  • স্ক্যানার
  • মাইক্রোফোন
  • ডিজিটাল ক্যামেরা
  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার

আমি আগেই বলেছি কম্পিউটারের জন্য অনেকগুলো ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করা হয় সেগুলোর মধ্যে আমি কিছু ইনপুট ডিভাইস আপনার সাথে শেয়ার করলাম।

আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে ?

আপনি যদি আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কে জানতে চান? তার আগে আপনাকে ভাল ভাবে মনোযোগ সহকারে বুঝতে হবে ইনপুট কি।

আমরা উপরের আলোচনায় শেয়ার করেছি ইমপুট ডিভাইস কি। আপনি যদি ইনপুট ডিভাইস পরিষ্কারভাবে না বুঝেন তবে উপরের অংশে আবারও পড়েনি।

আপনার যদি আউটপুট সম্পর্কে জানতে চান তবে- লেখা গুলো মনোযোগ সহকারে দেখুন। আউটপুট ডিভাইস হলো কম্পিউটারের এমন একটি হার্ডওয়ার যেগুলো ব্যবহার করে কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন ডাটা আউটপুট হিসেবে পাওয়া যায়।

ইনপুট ডিভাইস গুলো ব্যবহার করে কম্পিউটারকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় এবং সেই দির্দেশ বা তথ্য গুলো প্রসেস করে সেগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটার আমাদের সমাধান আউটপুর হিসেবে দিয়ে থাকে।

যেমন- মনে করুন প্রিন্টার হলো একটি আউটপুট ডিভাইস। যখন আমরা কম্পিউটারে কাজ করি তার পরে  বিভিন্ন ধরণের ফাইল, ছবি ইত্যাদি প্রিন্ট করার জন্য নির্দেশ দিয়ে থাকি।

এর ফলে কম্পিউটার প্রিন্টার আউটপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে তার মধ্যে থাকা সেই ফাইল আউটপুট হিসেবে প্রিন্ট আউট করতে সাহায্য করে।

আউটপুট ডিভাইস এমন কিছু হার্ডওয়্যার যে গুলো ব্যবহার করে কম্পিউটারে ইনপুটের সমাধান আউটপুর থেকে দিয়ে দেয়।

কম্পিউটারে যে সকল আউটপুট ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তার নিম্নরূপঃ

আমরা জানি কম্পিউটারের অনেক ধরনের আউটপুট ডিভাইস রয়েছে তার মধ্যে যেগুলো সচরাচর ব্যবহার করা হয় আউটপুট ডিভাইস হিসেবে সেগুলোর নাম হচ্ছে :

  • মনিটর
  • প্রিন্টার
  • প্রজেক্টর
  • স্পিকার সাউন্ড বক্স

উক্ত কম্পিউটারগুলোতে এই সকল আউটপুট ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রতিটি আউটপুট ডিভাইস আলাদা আলাদা কাজ করে থাকে। আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে মনিটর একটি গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়ার।

মনিটর কম্পিউটারে যে সকল কাজ করা হয় সে সকল কাজ সম্পাদন করে বা দেখায় মনিটর এর মাধ্যমে।

আরো একটি অন্যতম ডিভাইসের নাম হচ্ছে তিনটা। আমি আগেই বলেছি প্রিন্টারের মাধ্যমে আপনি কম্পিউটারে যে সকল ফাইল ছবি বিভিন্ন ধরনের ডাটা সংরক্ষণ করে রাখেন সেই সকল বিষয়গুলো প্রয়োজনমতো প্রিন্ট আউট করে নিতে পারেন প্রিন্টারের মাধ্যমে।

কম্পিউটারের আউটপুট এর মধ্যে আরো একটি জনপ্রিয় আউটপুট ডিভাইস হচ্ছে প্রজেক্টর। প্রজেক্টর হচ্ছে মনিটরের মত মনিটর কাজ করে প্রজেক্টর সেম কাজ করে থাকে।

সে বিষয়ে মনিটর আকারে ছোট হয় প্রজেক্টর আকারে বড় হয় এটাই হচ্ছে মনিটর ও প্রজেক্টরের মধ্যে পার্থক্য।

স্পিকার কম্পিউটারের আউটপুট ডিভাইস যার মাধ্যমে আপনি কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের শব্দ শুনতে পাবেন এবং গান অডিও গান ভিডিও গান ইত্যাদি বিনোদন উপভোগ করতে পারবেন আউটপুট ডিভাইস স্পিকার এর মাধ্যমে।

আমরা আশা করি যে আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো সঠিক ভাবে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন যে আউটপুট কাকে বলে এবং ইনপুট কাকে বলে।

শেষ কথাঃ

আমাদের আজকের পোষ্টে জানতে পারলেন কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট কাকে বলে। আমরা আপনাকে বুঝার জন্য সঠিকভাবে এ বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেছি।

আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তবে অবশ্যই আশা করা যায় আপনি বুঝতে পেরেছেন ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়।

ট্যাগ: ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে [বিস্তারিত এখানে] ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে [বিস্তারিত এখানে] ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে [বিস্তারিত এখানে] ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে [বিস্তারিত এখানে] ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে [বিস্তারিত এখানে]

আমাদের এই পোষ্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে ভিজিট করুন।

Leave a Comment