কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক (keyboard shortcuts)

বর্তমান সময়ে যারা ব্যক্তিগত কাজ এবং অফিসিয়াল কাজ করার জন্য কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকেন তাদের অধিকাংশ কাজেই টাইপিং এর মাধ্যমে করতে হয়।

কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক লোক রয়েছে যারা কম্পিউটারে, অল্প সময়ের কাজ অনেক বেশি সময় নিয়ে করে থাকে। মানে তাদের শর্টকাট টেকনিক গুলো জানা নেই।

কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক (keyboard shortcuts)
কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক (keyboard shortcuts)

তাই, আজ আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেবো। কম্পিউটার কীবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক সমূহ সম্পর্কে।

আমরা আশা করি আমাদের দেওয়া কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট টেকনিক গুলো আপনার অনেক কাজে লাগবে। আপনি অফিসে বা পার্সোনাল যে কাজগুলো করেন।

অবশ্যই পড়ুনঃ কম্পিউটারের মূল অংশ কয়টি ও কি কি [বিস্তারিত এখানে]

সে ক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটারের শর্টকাট কোড গুলো জেনে রাখা উচিত। এতে করে, আপনার কম্পিউটার কাজ এর দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

আপনি যদি অফিশিয়াল চাকরি করেন, চাকরি করতে চান। যে গুলোতে কম্পিউটার এর ব্যবহার অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাহলে আপনার কম্পিউটারের সকল শর্টকাট টেকনিক গুলো জেনে রাখা উত্তম। আপনার ভবিষ্যৎ জীবনে অনেক লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হবে।

আর সময় নষ্ট না করে, কম্পিউটার কীবোর্ড শর্টকাট ও টেকনিক সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

কম্পিউটার কীবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক

শর্টকাট কী বলতে গেলে, আমরা আলাদা আলাদা প্রোগ্রাম এর জন্য আলাদা আলাদা শর্টকাট কী, ব্যবহার করতে পারি বা করে থাকে যেমন-

আপনি যদি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অফিস- মাইক্রোসফট এক্সেল ইত্যাদি ব্যবহার করেন। তাহলে তার জন্য আলাদা আলাদা শর্টকাট কী রয়েছে।

এরকম ভাবে আলাদা আলাদা উইন্ডোজ প্রোগ্রাম এর জন্য যেমন গুগল ক্রোম ব্রাউজার, উইন্ডোজ, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, ফায়ারফক্স মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যবহার করার সময়। আপনাদের বিভিন্ন ধরনের উইন্ডোজ শর্টকাট কোড কি ব্যবহার করতে হবে।

[wp_show_posts id=”3303″]

তার কারণ কম্পিউটারে আলাদা আলাদা প্রোগ্রাম ব্যবহার করার সময়। আপনার আলাদা আলাদা ফাংশন এর দরকার হতে পারে। এছাড়া কিবোর্ডের অনেক প্রকার শর্টকাট কী আছে। যেগুলো সব জায়গায় একই ভাবে, ব্যবহার করা যায়। মানে সব প্রকার প্রোফাইলে, সেই শর্টকাট কোড গুলোর কাজ এরকম।

তো চলুন কম্পিউটারের সব থেকে জরুরি ও প্রয়োজনীয় কীবোর্ড শর্টকাট গুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর শর্টকাট কী ?

আপনি যদি ব্যক্তিগত কাজে বা অফিসিয়াল কাজে কিংবা স্কুলের কাজে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে নিচে দেওয়া শর্টকাট গুলো ব্যবহার করে, নিজে কে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এ এক্সপার্ট বানিয়ে নিন।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের শর্টকাট কী সম্পর্কে। যে গুলো আপনার কাজের সময় অনেক প্রয়োজন পড়বে। আর এই সকল শর্টকাট কী ব্যবহার করে, আপনারা দেশের সময়ের কাজ অল্প সময়ে সম্পন্ন করতে পারবেন।

Ctrl + C : Copy = এর মাধ্যমে আপনারা যে কোন লেখালেখি করার পর যদি একই লেখা বারবার প্রয়োজন পড়ে সেই ক্ষেত্রে লেখা সিলেক্ট করে কপি করতে পারবেন।

Ctrl + X : Cut = কাট এর মাধ্যমে আপনারা যেকোনো লেখা কেটে ফেলতে পারবেন।

Ctrl + V : Past = পেস্ট এর মাধ্যমে আপনারা কপি করা লেখা এবং কাট করা লেখা নির্দিষ্ট জায়গায় যুক্ত করতে পারবেন।

Ctrl + D : Font = এর মাধ্যমে আপনারা মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডে ভাষা পরিবর্তন করতে পারবেন যেমন ইংরেজি এবং বাংলা।

Ctrl + F : Find = মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ওয়ার্ড খুঁজে বের করতে পারবেন।

আরো দেখুনঃ কম্পিউটারে টাইপিং স্পিড দ্রুত করার নিয়ম [বিস্তারিত এখানে]

Ctrl + G : Go To = এর মাধ্যমে আপনারা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কতগুলো রয়েছে, সে পেজগুলোতে সরাসরি যেতে পারবেন।

Ctrl + S : Save = এর মাধ্যমে আপনারা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে যা কিছু লিখবেন। সেগুলো কোন একটি নাম দিয়ে সেভ করতে পারবেন।

Alt + F4 : Close = এর মাধ্যমে আপনারা শুধুমাত্র মাইক্রোসফট ওয়ার্ড নয়। কম্পিউটার থাকা যেকোনো ফাইল বন্ধ করতে পারবেন। এমনকি আপনার কম্পিউটারও পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবেন কিবোর্ড এর মাধ্যমে।

Ctrl + P : Print = এর মাধ্যমে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং যেকোনো কাজ করতে চাইলে আপনারা সহজেই Ctrl + P প্রেস করে প্রিন্ট করতে পারবেন।

Ctrl + J : Justify  = এর মাধ্যমে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে আপনারা প্যারাগ্রাফ আকারে, লেখালেখি করে, সেটিকে লেফট এবং রাইট সাইটে সমপরিমাণ করতে পারবেন।

Ctrl + B : Bold = এর মাধ্যমে আপনারা সাধারন লেখাকে একটু মোটা-গাঢ় করতে পারবেন।

Ctrl + E : Center = সেন্টারের মাধ্যমে আপনারা সরাসরি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এ লেখার সময় যেকোনো হেডলাইন পেজের মাঝ বরাবর রাখতে পারবেন।

Ctrl + I : Italic = এর মাধ্যমে আপনারা কোন লেখা ইটালিয়ান ভাষায় লিখতে পারবেন মানে বাকা করে।

Ctrl + U : Underline = আন্ডারলাইন এর মাধ্যমে আপনারা যেমন মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে অ্যাপ্লিকেশন বা দরখাস্ত লেখার বিষয়ের ক্ষেত্রে বা সাবজেক্ট এর ক্ষেত্রে নিচে একটি ডাক দিতে হয় তাকে অনলাইন বলা হয়। মোটকথা আন্দোলনের মাধ্যমে আপনারা কোন লেখার নিচে দাগ দিতে পারবেন।

Ctrl + Y : Undo = এর মাধ্যমে আমরা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে পারি।

Ctrl + Z : Redo = এর মাধ্যমে আমরা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং অন্যান্য যে, কোন প্লাটফর্মে কাজ করার সময় যদি কোন ভুল হয় বা কোন লেখা কেটে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা শর্টকাট ব্যবহার করে পুনরায় ফিরিয়ে নিতে পারব।

Ctrl + R : Right = এর মাধ্যমে আমরা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কোন কাজ করার সময় কোন লেখা যদি আমাদের পেজের ডান পাশে রাখা দরকার হয় সে ক্ষেত্রে এই শর্টকাট কী ব্যবহার করতে হবে।

আরো দেখুনঃ

Ctrl + L : Left = এর মাধ্যমে আপনি মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লেখালেখি করার সময় কোন লেখা বাম পাশে রাখতে চাইলে এই শর্টকাট কি ব্যবহার করতে হবে।

Ctrl + A : All Select = আপনি যখন মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কাজ করবেন বা অন্যান্য প্লাটফর্মে কাজ করবেন যদি আপনার পুরো পেজের লেখা সি সিলেক্ট করার প্রয়োজন পড়ে সে ক্ষেত্রে আপনারা এই শর্টকাট ব্যবহার করবেন।

F5 : Refresh = আমরা যখন কম্পিউটার চালু করি তখন, অবশ্যই আমাদের মাউস দিয়ে কম্পিউটার রিফ্রেশ করতে হয়। সরাসরি যদি আপনি কীবোর্ড শর্টকাট করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফাংশন-কী F5 প্রেস করবেন।

Ctrl + F2 : Print Preview = মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে আপনি কোন ডকুমেন্ট এর কাজ করার পর সেটি প্রিন্ট দেওয়ার আগে অবশ্যই পূর্বের অবস্থা জেনে নিতে হবে আর এই কাজটি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই পৃন্ট প্রিভিউ করতে হবে। প্রিন্টারের মাধ্যমে আপনারা জেনে নিতে পারবেন, কিভাবে আপনার ডকুমেন্টটি প্রিন্ট হবে। মানে যা দেখাবে আপনার প্রিন্ট কাগজে সেটাই চলে আসবে।

Ctrl + O : Open = মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কাজ করার সময় আমরা যখন বিভিন্ন নাম দিয়ে ফাইল সেভ করে রাখি। সেই ফাইলগুলো আমাদের পরবর্তী সময়ে অবশ্যই দরকার হয়। তখন আমরা সেই সেভ করা ফাইল গুলো বের করার জন্য অপেন এ ক্লিক করলেই পেয়ে যাব।

Ctrl + N : New = মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কাজ করার সময়, আপনি যখন কোনো ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করেন, সেসময় আপনার নতুন একটি ডকুমেন্ট নেওয়ার দরকার হলে তখন আপনারা নিউ শর্টকাটটি ব্যবহার করবেন।

আপনি যদি অফিশিয়াল কাজ এবং ব্যক্তিগত কাজ করতে চান তাহলে এই কীবোর্ড শর্টকাট গুলো আপনার জানা থাকা প্রয়োজন। কারন এই কাজগুলো জানা থাকলে আপনি বেশি সময়ের কাজ গুলো অনেক অল্প সময় করে নিতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হলো কম্পিউটার কীবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক সম্পর্কে। আমরা যে কিবোর্ড শর্টকাট টেকনিকগুলো আপনাকে দেখেছি. এগুলো আপনারা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ছাড়া আরো অন্যান্য প্রোগ্রামে কাজ করতে পারবেন একই নিয়মে।

আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বিশেষ করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চাইলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment