জমির নকশা কোথায় পাওয়া যায় : বর্তমান সময়ে আমাদের মাঝে এমন অসংখ্য লোক রয়েছে। যারা নেতৃত নন কোথায় জমির নকশা পাওয়া যায় তাই অনেকেই অনলাইনে মানে গুগলে সার্চ করে থাকেন জমিন নকশা বের করার নিয়ম কি।
তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানাতে যাচ্ছি। জমির নকশা কোথায় পাওয়া যায়। এবং কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে জমির নকশা ডাউনলোড করতে হয়।
তো বন্ধুরা আপনারা যারা জমির নকশা সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান। তারা আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
জমির নকশা কিভাবে পাবো ?
বর্তমান সময়ে অনলাইনে প্রায় সময় লোকেরা সার্চ করে খোঁজার চেষ্টা করে। জমিন নকশা কিভাবে পাব ? বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষের কিন্তু জমি রয়েছে।
আর যমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলিল এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নথিগুলো হচ্ছে।
যেমন-
- জমির দলিল
- জমের খতিয়ান এবং পর্চা
- জমির নকশা
আমরা অনেক সময় বিভিন্ন কারণে, এই গুরুত্বপূর্ণ নথি গুলো হারিয়ে ফেলি বা চুরি হয়ে যেতে পারে।
তবে জমির ক্ষেত্রে এ সকল দলিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় এই কাগজপত্র ছাড়া আপনি কখনোই ব্যাংক থেকে ঋণ বা টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। এছাড়া আপনার জমি বিক্রি করতে পারবেন না।
তাই এ সকল ডকুমেন্টগুলো খুব সাবধানে রাখার চেষ্টা করবেন। এবং যারা এই সকল জিনিস বা ডকুমেন্টগুলো হারিয়েছেন। তো আজকের এই আর্টিকেলে তাদের পুনরুদ্ধার করা সম্পূর্ণ তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।
খতিয়ান ও পর্চা
খতিয়ান হচ্ছে সেই কাগজ যাতে জমির মালিকের নাম, পিতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা, দাগ নং, জমির শ্রেণী, জমির পরিমা,ণ ভাগ খাজনা ইত্যাদি সঠিক ভাবে জমির একাধিক কলামে সংযুক্ত থাকে।
তাই খতিয়ানে একটি মজায় যে কোন এক মালিকের জমের বিবরণ দেওয়া থাকে। আবার কিছু জমির ক্ষেত্রে খতিয়ানের একাধিক মালিকের বিবরণও দেওয়া থাকে।
আর উক্ত লেখক কে রেকর্ড অফ রাইট বলা হয়। সিএমসিএসআরএস এর জন্য মাত্র ২০ টাকা বা কোড ফি জমা দিতে হবে।
সেটি জরিপের জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হবে। আপনারা চাইলে ইউনিয়ন ল্যান্ড অফিস বা তফসিল অফিস থেকে একটি খসড়া খতিয়ান গ্রহণ করতে পারবেন।
আপনার হাতে যে খতিয়ান গুলো পাবেন তার কোন আইনের মূল্য নেই। কিন্তু অফের যদি খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণে আপনার জমির খতিয়ান নম্বর না জানে। সে ক্ষেত্রে তারা আপনাকে আপনার খতিয়ান নম্বর বলে দিবে।
অফিসে খতিয়ান এবং পর্চা বালাম বই রয়েছে। তবে আপনি এই অফিস থেকে খতিয়ান এর সার্টিফাইড কপি গ্রহণ করতে পারবেন না মূলত এই অফিসে জমির খাজনা এবং ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হয়।
এক্ষেত্রে আপনারা ভূমি অফিস থেকেও খতিয়ান এর সত্যায়িত কপি সংগ্রহ করতে পারবেন না। যদিও এই অফিসের মূল কাজ হচ্ছে জমি রেজিস্টার বা খারিজ করা।
কিন্তু তারা আপনাকে খতিয়ান সার্টিফিকেট বা কোড সার্টিফিকেট প্রদান করবেন না। এক্ষেত্রে আপনি যদি জেলা ডিসি অফিস করতে পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন।
তবে আপনি সেই অফিস থেকে আপনার খতিয়ান বা সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয় তাছাড়া আপনি সেটেলমেন্ট অফিস থেকে শুধুমাত্র নতুন রেকর্ড বা সার্ভে স্লিপ বা খতিয়ান পেয়ে যাবেন।
তাছাড়া আপনি সেই অফিস থেকে নতুন রেকর্ড এবং অনেক তথ্য পেতে পারেন।
জমির দলিল বা বায়া দলিল
আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না যে কোথায় ল্যান্ড ডিড বা বায়োডিট পাবেন। বা দলিলের প্রত্যাহিত কপি বা ডুপ্লিকেট প্রধানত ২ টি অফিস থেকে পাওয়া যায় যেমন-
- জেলা রেজিস্ট্রি অফিস বা সদর রেকর্ড রুম অফিস।
- উপজেলা সাব রেজিস্টার অফিস।
এক্ষেত্রে নতুন দলিল রেজিস্ট্রি করতে চাইলে উপজেলা সাপ রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল এবং মূল দলিলের কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে আপনি সেই অফিস থেকে পুরানো দলিল পিতার নথি পাবেন না।
[wp_show_posts id=”3308″]
আপনার পুরাতন বা নতুন নোটের প্রত্যায়িত কপি জেলা রেজিস্ট্রি অফিস সদর দপ্তর এর রেকর্ড রুম থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
একটি নথি সঠিকভাবে না পাওয়া গেলে আপনি অন্য কোন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন না।
নথি পূর্ণরুদ্ধার এর খরচ আপনার অনুলিপি খরচ এর উপর ভিত্তি করবে বা আপনার স্থানীয় সিন্ডিকেটের উপর।
জমির নকশা পাওয়ার উপায়
অন্যান্য সকল ডকুমেন্টের মত একটি বিষয় যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে ভূমি পরিকল্পনা বা মানচিত্র। আপনার জমি বিক্রি করতে বা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে চাইলে আপনাকে জমির নকশা প্রদর্শন করতে হবে।
সেজন্য জমির প্লান বা ম্যাপ হারিয়ে গেলে এখন কোথায় পাবেন। মূলত আপনি দুইটি জায়গায় জমির নকশা পেতে পারেন।
যেমন-
- জেলা ডিসি অফিস।
- ভূমি রেকর্ড এবং জরিপ অধিদপ্তর ঢাকা।
আপনারা ডিসি অফিস থেকে, সিএস, এসএ, আর এস, বি এস যেকোনো ধরনের মজার জমির নকশা সংগ্রহ করতে পারেন।
উক্ত জমির নকশা পেতে, আপনাকে একটি আবেদনপত্রের সাথে ২০ টাকা এবং নগদ ৫০০ টাকা করছি প্রদান করতে হবে।
আপনি ভূমি রেকর্ড এবং জরিপ অধিদপ্তর থেকে বাংলাদেশের যে কোন স্থানের মজা জমির নকশা সিএস, এসএ, আর এস, বি এস জেলা মানচিত্র বাংলাদেশ এর মানচিত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
তো আপনি যদি এই অফিস থেকে বাংলাদেশের যে কোন জবের নকশা পেতে চান। তবে মানচিত্র তৈরি করতে আবেদন পত্রের কোর্ট ফ্রি ডিসিআর মোট ৫২০ টাকা খরচ হবে।
মানচিত্র সংগ্রহ করতে সময় লাগে আবেদনের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ দিন।
[wp_show_posts id=”3306″]
জমির নকশা কোথায় পাওয়া যায়
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ-এর প্রায় সকল অফিসিয়াল ডকুমেন্ট অনলাইন বা ইন্টারনেটে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় অনলাইনে জমির নকশাও পাওয়া সম্ভব।
আপনার নিজের ঘরে বসেই যমের নকশা দেখতে পারবেন অনেক সহজে এখন আপনাকে পুরনো মানচিত্র বহন করতে হবে না।
আপনারা চাইলে আপনার মোবাইল থেকে মানচিত্রটি চেক করতে পারবেন।
জমির নকশা ডাউনলোড
আপনাদের যমের নকশা ডাউনলোড করতে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
সেগুলো হচ্ছে-
- প্রথমে ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড মেনুতে মজা ম্যাপ অনলাইন এপ্লিকেশন সিস্টেম দেখতে পারবেন। সেই লিংক ক্লিক কে করে দিবেন।
- তারপর আপনাকে আরো কিছু অপশন দেয়া হবে যেমন- খতিয়ান, মৌজা ম্যাপ, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর, রেস্ট সার্টিফিকেট মামলা, বাজেট ব্যবস্থাপনা, অনলাইন রিভিউ মামলা। তো সেখান থেকে আপনাকে অবশ্যই মৌজা ম্যাপ সিলেক্ট করতে হবে।
- তারপর আপনারা বিভাগ জেলা উপজেলা সার্কেল মৌজা সিলেক্ট করবেন।
- সর্বশেষ নিচে থাকা অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করার পর আপনারা জেনে নিতে পারবেন বা দেখে নিতে পারবেন জমির নকশা সম্পর্কে। আর আপনার চাইলে সেটি সরাসরি সেখান থেকে ডাউনলোড বা প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
- নিচের ছবিটি ফলো করুন-
তো বন্ধুরা আপনারা যারা জমির নকশা কোথায় পাওয়া যায় খুঁজে থাকেন। তারা উপরোক্ত তথ্যগুলো পূরণ করে, সহজে অনলাইন থেকে জমিন নকশা ডাউনলোড করতে পারবেন।
[wp_show_posts id=”3303″]
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানানো হলো জমিন নকশা কোথায় পাওয়া যায়। আর কিভাবে অনলাইন থেকে জমির নকশা ডাউনলোড করতে হয়।
আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি আপনার কাছে যদি ভালো লেগে থাকে এবং উপকারে লাগে তবে, অবশ্যই এটি আপনার বন্ধুদের জানাতে, একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন।
আর আমাদেরকে ওয়েবসাইট থেকে জমি সংক্রান্ত আরো নতুন নতুন তথ্য জানতে, নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।