অনলাইনে ইনকাম করার হাজারো মাধ্যম থেকে বেছে বেছে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় গুলো বাহির করেছি। যারা অনলাইনে একেবারে নতুন তারা ঐ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে অনলাইন থেকে ঘরে বসে প্রতি মাসে 20 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর জন্য প্রয়োজন হবে ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রম।
বন্ধুরা আপনারা যদি কঠোর পরিশ্রম করতে রাজি থাকেন এবং ধৈর্য্যসহকারে কাজ করতে ইচ্ছুক হন তাহলে আজকের এই টিউটোরিয়ালটি আপনার জন্য। অনলাইন ইনকাম এর হাজারো মাধ্যমগুলো থেকে আমরা বেছে বেছে সহজ 11 টি মাধ্যম নির্বাচন করেছি যে কাজগুলো করে সবাই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় গুলো খুঁজে থাকেন তাহলে এই টিউটোরিয়ালটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল। আমরা এখানে অনলাইনে আয় করার সহজ এগারটি মাধ্যম উল্লেখ করেছি। এমনকি প্রত্যেকটি মাধ্যমে কিভাবে কাজ করতে হয়, কোথায় কাজ করবেন, কত টাকা ইনকাম হবে, বিস্তারিত রয়েছে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আমরা যে মাধ্যম গুলো আলোচনা করছি এখানে আপনাকে কোন রকম ইনভেস্ট করতে হবে না।
১৩ টি অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়
ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইনে আয় করার সহজ এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায়ে নিম্নে আলোচনা করা হল: (easy way to make money online)
আর্টিকেল লিখে আয়
ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইন থেকে আয় করার সহজ উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হল আর্টিকেল রাইটিং। আপনি যদি লেখালেখি পছন্দ করেন তাহলে আর্টিকেল লিখে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। বাংলাদেশে অনলাইনে আয় করার ট্রাস্টেড ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো বিকাশে পেমেন্ট করে।
সুতরাং অনলাইনে আয় করার বাংলাদেশি ওয়েবসাইটগুলোতে আপনারা বাংলা ভাষাতে আর্টিকেল লেখালেখি করে প্রতিদিন কমসেকম দুই থেকে পাঁচশত টাকা এবং মাসে থেকে 15 হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি অনলাইনে আর্টিকেল লিখে আয় করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো নিচে আলোচনা করা হলো:
- কোন ধরনের কপিরাইট আর্টিকেল জমা দেয়া যাবে না।
- সবসময় সহজ ভাষায় আর্টিকেল লিখতে হবে।
- আর্টিকেল রিলেটেড সুন্দর ও ইউনিক ইমেজ সংগ্রহ করতে হবে।
- যে বিষয়বস্তুর ওপর আর্টিকেল লিখবেন সেই বিষয়টিকে সম্পূর্ণভাবে সহজভাবে কভার করতে হবে।
- অন্য ভাষা থেকে ট্রান্সলেট করে বাংলা ভাষায় লিখে লেখা সাবমিট করা যাবেনা।
- কোন ধরনের টুলস বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে লেখা জমা দেয়া যাবে না।
- কোন ধরনের স্পিনার এবং রিরাইটার টুলস ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
আর্টিকেল লিখে আয় করার ট্রান্সলেট বাংলাদেশী ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ওয়েবসাইট হলো জে- আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম । আপনারা চাইলে এখানে আর্টিকেল লিখে প্রতি আর্টিকেলের জন্য দুই থেকে 500 টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট পেতে পারেন। এখানে আপনার লেখা আর্টিকেল যত ভিউ হবে প্রতি ভিউ এর জন্য এক টাকা করে পাবেন । অর্থাৎ আপনার লেখা আর্টিকেল যদি 1000 ইউনিক প্রিয় হয় তাহলে আপনাকে 1000 টাকা প্রদান করা হবে।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনারা চাইলেই বাংলা আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসে 10 থেকে 15 হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং এন্ড গুগল এডসেন্স থেকে আয়
অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় গুলোর মধ্যে আরও একটি জনপ্রিয় উপায় হলো ব্লগিং এবং গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম।
ব্লগিং হলো- কোন একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ এ প্রতিনিয়ত কোন ধরনের কনটেন্ট, নিউজ, টিউটোরিয়াল টিপস এন্ড ট্রিকস শেয়ার করা। অর্থাৎ আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকবে এবং সে ওয়েবসাইটে আপনি নির্ধারিত কোন বিষয়ে প্রতিদিন আর্টিকেল লিখবেন।
যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর আসবে আপনার লেখাগুলো পড়ার জন্য। যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে তখন আপনার ওয়েব সাইটের বিভিন্ন জায়গায় গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন বসিয়ে আপনি প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স হলো- গুগোল এর একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং ট্রাস্টেড বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। গুগল এডসেন্স থেকে একজন পাবলিশার বা ওয়েবসাইটের মালিক প্রতি মাসে 20 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।
আরও পড়ুন:
- কিভাবে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন| মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
- ওয়েবসাইট কি? কেন ওয়েবসাইট নিজের থাকা উচিৎ [ওয়েবসাইট থেকে আয়]
সবচেয়ে মজার বিষয় হল গুগল এডসেন্স বা ব্লগিং নিয়ে যারা কাজ করে তাদের ইনকামের কোন লিমিট নেই। এখানে একবার কাজ করলে আজীবন ইনকাম করা যায়। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটে আপনি একটি আর্টিকেল একবারই লিখবেন কিন্তু সে আর্টিকেলটি যতবার পড়া হবে ততবার সেখানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন হবে। আর যত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন হবে তত আপনার ইনকাম হতে থাকবে।
ব্লগিং করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে হলে আপনার যে জিনিশগুলি প্রয়োজন:
- একটি ভাল মানের স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার থাকতে হবে।
- একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে হবে।
- নিয়মিত ওয়েবসাইটে আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে।
- গুগল এডসেন্স একাউন্ট থাকতে হবে।
উপরের জিনিসগুলো থাকলে আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য প্রস্তুত।
আরও পড়ুন:
- গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার সহজ পদ্ধতি [মাসে 50 হাজার টাকা আয়]
- দ্রুত গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার উপায় 2023 [ গুগল এডসেন্স পলিসি ]
- কিভাবে গুগল এডসেন্স এর সিপিসি বাড়ানোর উপায়- 100% কার্যকরি টিপস
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় গুলোর মধ্যে আরও একটি অন্যতম এবং জনপ্রিয় উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোন একটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আপনি মার্কেটিং করবেন।
যখন আপনি মার্কেটিং করবেন আপনার মার্কেটিং লিংক থেকে যদি কোনো ক্রেতা কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ক্রয় করে সাথে সাথে আপনাকে একটি নির্ধারিত পরিমাণ পার্সেন্টেজ হিসেবে পেয়ে করা হবে।
এ কাজটি করার জন্য আপনারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন।
এন্ডয়েড এপ ও গুগল এডমোব থেকে আয়
অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় গুলির মধ্যে আরও একটি সহজ ও জনপ্রিয় উপায় হলো গুগল এডমোব। গুগল এডমোব গুগল এডসেন্স এর একটি পার্ট। গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন যেমন ওয়েবসাইট এবং ইউটিউবে ব্যবহার করা হয় পক্ষান্তরে গুগল এডমোব এর বিজ্ঞাপন অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস এপ এ ব্যবহার করা হয়।
আপনি চাইলে খুব সহজেই একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বানিয়ে সেখানে গুগল এডমোব এর বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে প্রতি মাসে 20 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
গুগল এডমোব এর ইনকাম নির্ভর করে আপনার অ্যাপ কতজন লোক ভিজিট করল এবং কতগুলো বিজ্ঞাপনে ক্লিক হলো তার উপর। শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্ম ছাড়া এবং অন্যান্য সকল নিয়ম কানুন গুগল এডসেন্স এর মতই।
আরও পড়ুন:
গুগলএডমোব এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করবেন। এটুজেড গাইড।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয়
বর্তমানে অনলাইনে আয় এর কথা মাথায় আসলেই ইউটিউব এর কথা চলে আসে। এটি বহুল পরিচিত এবং সহজ উপায়ে অনলাইনে আয় করার অন্যতম মাধ্যম গুলোর মধ্যে একটি মাধ্যম। বর্তমানে ইউটিউবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও এখান থেকে ইনকাম করা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই সহজ। শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোন অথবা একটি কম্পিউটার থাকলেই ইউটিউব শুরু করা যায়।
আমাদের বাংলাদেশ অনেক ইউটিউবার রয়েছে যারা প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করেন। আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয় করা একটি মাধ্যম হতে পারে।
আরও পড়ুন:
- ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম করার সঠিক গাইড 2023
- ইউটিউব থেকে ইনকাম করার সহজ পদ্ধতি [বিস্তারিত এখানে]
ফেসবুস ইন্সটেন্ট আর্টিকেল থেকে আয়
ফেসবুক চালাতে গেলে মাঝে মাঝে দেখা যায় লেখার মাঝখানে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন চলে আসে। এই বিজ্ঞাপনগুলো ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল নামক প্রোগ্রাম থেকে প্রকাশ করা হয়।
ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল হলো- ফেসবুকের একটি কন্টেন্ট বেইজ বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। যে বিজ্ঞাপনগুলো শুধুমাত্র ফেসবুকে শেয়ার করা আর্টিকেল গুলোর মধ্যে প্রদর্শন হয়ে থাকে।
ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল থেকে আয় করতে হলে কি কি জিনিসের প্রয়োজন:
- আপনার একটি ফেসবুক পেইজ অথবা ফেসবুক গ্রুপ থাকতে হবে।
- ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ এ ফলোয়ার অথবা মেম্বার থাকতে হবে। যত বেশি মেম্বার বা ফলোয়ার থাকবে তত বেশি ইনকাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে।
এই তিনটা জিনিস থাকলেই আপনি ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এর জন্য আবেদন করার পর আবেদনটি এপ্রুভ হয়ে গেলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইন্টিগ্রেশন করার পর আপনার লেখাগুলি ফেসবুকে অটোমেটিক প্রদর্শন করতে থাকবে। যখন কোন ভিজিটর আপনার লেখাটি পড়বে তখন লেখার মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল দিয়ে আয় করার উপায়
ফেসবুক ক্রিয়েটর স্টুডিও থেকে আয়
ফেসবুক ক্রিয়েটর স্টুডিও ফেসবুক এর একটি প্রোগ্রাম। এটি মূলত ফেসবুকের ভিডিও প্রোগ্রাম। এখানে যে কেউ ছোট ছোট ভিডিও আপলোড করে ভিডিওরতে বিজ্ঞাপন মনিটাইজেশন করতে পারবে।
ফেসবুক ক্রিয়েটর স্টুডিও তে বিজ্ঞাপন মনিটাইজ করতে হলে আপনাকে বেশ কিছু জিনিসের প্রয়োজন রয়েছে।
- আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে এবং সেটিতে 1,000 এর বেশী লাইক থাকতে হবে।
- এবং সেই পেজে ছোট ছোট বেশ কিছু ভিডিও আপলোড করতে হবে।
- ভিডিও আপলোড করার পর ভিডিওগুলি তিন মিনিটের ভিডিও এভারেজ এক মিনিট করে 30000 ভিউ থাকতে হবে।
উপরের বিষয়গুলো থাকলে আপনি ফেসবুক স্টুডিওতে ভিডিওগুলি বিজ্ঞাপন দিয়ে মনে করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুক ক্রিয়েটর স্টুডিও থেকে আয় করার উপায়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয়
দিনদিন বাংলাদেশ ফেইসবুক এর ইউজার প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ফেসবুকের পপুলারিটি বাড়ার সাথে সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ফেসবুক একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন এবং সেটির নাম দিয়েছেন ফেইসবুক মারকেটপ্লেস।
ফেইসবুক মারকেটপ্লেস মূলত একটি ক্রয়-বিক্রয়ের প্রোগ্রাম। এখানে যেকোন সেলার তাদের পণ্যগুলো লিস্ট করতে পারবে এবং যারা পণ্যগুলি কিনবে তারা ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য গুলো সরাসরি কিনতে পারবে।
আপনি যদি ফেইসবুক মারকেটপ্লেস ব্যবহার করে অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে ফেসবুকে মার্কেটপ্লেসে আপনাকে একটি শপ তৈরি করতে হবে। এবং সেখানে আপনার পছন্দের পণ্যগুলো তালিকাভুক্ত করতে হবে।
তালিকাভুক্ত করার পর আপনার পণ্যের তালিকা গুলি বিভিন্ন ফেসবুকের গ্রুপে বা বিভিন্নভাবে মার্কেটিং করে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে হবে। যখন কোনো ক্রেতা আপনার পণ্যগুলোর মধ্যে থেকে কোন পণ্য ক্রয় করবে সে পণ্যটি আবার আপনাকে ডেলিভারি দিতে হবে।
[wp_show_posts id=”3303″]
ডেলিভারি দেওয়ার ঝামেলাটি যদিও একটি কঠিন কাজ কিন্তু বর্তমান বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস দূরে থাকায় এটা অসম্ভব নয়। বর্তমানে অনেক ছেলেমেয়ে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়
বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আপনি চাইলে সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে ঘরে বসে প্রতি মাসে 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এবং কিছু কিছু মার্কেটার এর চেয়েও বেশি ইনকাম করে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং হল- কোন পণ্য বা সার্ভিস কে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে পৌঁছে দেয়া।
অর্থাৎ- বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এবং সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে যেকোনো পণ্য বা সার্ভিস কে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার সিস্টেম তাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় গুলির মধ্যে জনপ্রিয় এবং যুগোপযোগী একটি মাধ্যম হলো গ্রাফিক ডিজাইন। বর্তমানে যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে ইচ্ছুক তাদের বেশিরভাগ লোকেই গ্রাফিক ডিজাইন কে প্রথম পছন্দের মধ্যে বেছে নেয়। বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং অফলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক ডিজাইন এর চাহিদা ব্যাপক।
আপনি চাইলে কিছুদিন কষ্ট করে দু-একটি কোর্স করে অথবা গুগোল / ইউটিউব করে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে নিতে পারেন। এখন আপনার মনে হয়তোবা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আসছে তাই না? যাইহোক গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে কমন কিছু তথ্য আমি আপনাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি।
গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন উত্তর আমি নিচে আলোচনা করছিঃ
- গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কতদিন সময় লাগে? গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে তিন মাস থেকে শুরু করে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কত টাকা আয় করা যায়? গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে একজন ফ্রিল্যান্সার প্রতিমাসে 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।
- গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ কোথায় পাবো? বর্তমানে অনলাইনে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ছাড়াও ছোট ছোট গ্রাফিক ডিজাইনের মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোতে ইচ্ছা করলেই আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন- ফ্রিল্যান্সার, আপওয়ার্ক, ফাইবার, পিপল পার আওয়ার, 99 ডিজাইন ডিজাইন ইত্যাদি।
- বর্তমান মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা কেমন? বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদার উপর নির্ভর করে প্রথম শ্রেণীর একটি কাজ হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। এক কথায় বলতে গেলে বর্তমানে টেকনোলজির ব্যবহারের বৃদ্ধির কারণে গ্রাফিক ডিজাইন এর চাহিদা ব্যাপক।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়? গ্রাফিক ডিজাইন বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, ব্যানার, বিভিন্ন কোম্পানির লোগো, এবং কোম্পানির পণ্যের প্যাকেজিং, এছাড়াও মার্কেটিং লেবেলে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখবেন? a2z গাইড
লগো ডিজাইন করে আয়
লোগো ডিজাইন হলো গ্রাফিক ডিজাইন এর একটি অংশ। আপনার যদি ক্রিয়েটিভ আইডিয়া ক্রিয়েটিভ মনোভাব থাকে তাহলে লোগো ডিজাইন হতে পারে আপনার ক্যারিয়ারের একটি অন্যতম পেশা। গ্রাফিক ডিজাইনের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্যাটাগরি হলো লোগো ডিজাইন। কেননা এখানে ছোট-বড় সময় একটু কাজের জন্য 50 ডলার থেকে শুরু করে 2000 ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাদের কোম্পানির লোগো তৈরির জন্য 50 ডলার থেকে শুরু করে 2000 ডলার পর্যন্ত বাজেট রাখে। তাই বলা যায় আপনি যদি লোগো ডিজাইন শিখুন এবং ক্রিয়েটিভ আইডিয়া ব্যবহার করেন তাহলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে লোগো ডিজাইন করে খুব ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
একজন লোগো ডিজাইনার প্রতি মাসে 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষ ডিজাইনার হতে হবে।
[wp_show_posts id=”3306″]
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) করে আয়
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর সিইও হলো বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য গুলো তুলে ধরা। আমি যে আর্টিকেলটি লিখছি এটি সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ করলে এমনিতেই পাওয়া যেত না। যখন আমি এই আর্টিকেলটি সার্চ ইন্জিনে সাবমিট করেছি এবং সার্চ ইঞ্জিনকে অনুমোদন দিয়েছি ইন্ডেক্স করে সার্চ রেজাল্ট এ দেখানোর জন্য, তখন সার্চ ইঞ্জিন আমার এই লেখাটিকে তাদের সার্ভারে ইনডেক্স করে নিয়েছে। অতঃপর যখন কোন সার্চ ইঞ্জিনে এই বিষয়ে সার্চ করা হয় তখন লেখাগুলো প্রদর্শন করা হয়।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বর্তমানে অনেক ডিমান্ডেবল একটি পেশা। একজন এসইও এক্সপার্ট প্রতিমাসে 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারে।
অথবা আপনি চাইলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখে নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে এসে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর উপর প্রচুর কাজ রয়েছে। এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন রিলেটেড কোন কাজের দাম অনেক বেশি।
তো বন্ধুরা আমরা এতক্ষণ অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় উপায় সম্পর্কে 13 টি বিষয় জানলাম। এছাড়াও আরও বিভিন্ন বিষয় রয়েছে যেগুলোতে আপনারা সহজেই কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
বন্ধুরা আপনারা যদি অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় খুজতে এখানে এসে থাকেন, তাহলে আশাকরি আপনার পছন্দের একটি টপিক গিয়েছেন। আর যদি না পান তাহলে অবশ্যই আমাদের অন্যান্য আর্টিকেলগুলো দেখবেন সেখানে অনেক রিসোর্স রয়েছে।
সর্বপরি আমাদের পরামর্শঃ
বন্ধুরা আপনারা অনলাইনে আয় করার জন্য যে কাজটি বেছে নিন না কেন আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। কাজের পেছনে সময় দিতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এবং যে বিষয়টিতে কাজ করছেন সেই বিষয়ে প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা এবং রিসার্চ করতে হবে।
মনে রাখবেন পরিশ্রম ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব নয়। তবে আমি চোখ বন্ধ করে বলতে পারি আপনি যদি অনলাইনে আয় করার জন্য যেকোনো একটি পেশাকে বেছে নেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে অবশ্যই খুব ভালো করতে পারবেন।
আমার ধারণা যারা চাকরির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে, যে পরিমাণে পড়াশোনা এবং শ্রম বিনিয়োগ করছে, যদি অনলাইনে আয় করার পেছনে করত তাহলে চাকরির বেতনের থেকে 10গুন টাকা ইনকাম করা সম্ভব হতো।
ha ami job korbo
Vai ami job korbo
Ok
yes
Vaiya Ami job korbo
Jjjnnnm