বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম : আপনি কি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিসা পেতে চান? তাহলে আপনারা সহজেই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার কি করতে হবে। কত টাকা খরচ করতে হবে। এবং ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্ট দরকার। সে বিষয়ে আমরা আজ এখানে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিসা করতে আগ্রহী থাকলে। আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি যদি আমাদের লেখাগুলো সম্পন্ন পড়েন। তাহলে আপনারা সহজে অনলাইনের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজের লোককে মালয়েশিয়ায় গমন করছে। তাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে এবং নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মালয়েশিয়া গমন করেন।
তাছাড়া আরও রয়েছে ভ্রমণ করার জন্য এবং মালয়শিয়াতে অবস্থিত নামকরা সকল হাসপাতাল চিকিৎসা নেওয়ার জন্য মালয়েশিয়াতে যাচ্ছে, শত শত বাংলাদেশি মানুষ।
[wp_show_posts id=”3303″]
মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হলো মালয়েশিয়া ভিসা। মালয়েশিয়া যেতে চাইলে অবশ্যই ভিসা করতে হবে।
বর্তমান সময়ে অসংখ্য মালয়েশিয়া ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে। যেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করে নিতে পারবেন। তাই আপনি যেকোন বিষয় করেন না। কেন আপনাকে সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
এখন আমি আপনাদের জানিয়ে দেবো মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য কিছু জনপ্রিয় ভিসা সম্পর্কে। যে বিষয়গুলো আপনারা করে নিয়ে সহজেই মালয়েশিয়া ভ্রমণ করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা ক্যাটাগরি
মালয়েশিয়া ভিসা অনেক ক্যাটাগরি হয়ে থাকে আপনার যে সকল ভিসা করে মালয়েশিয়াতে যেতে চান সেগুলো আপনারা এখানে জানতে পারবেন। এর জন্য নিচে দেওয়া তথ্য গুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করতে হবে।
তো চলুন জেনে নেয়া যাক মালয়েশিয়ায় ভিসার ক্যাটাগরী সম্পর্কে-
[wp_show_posts id=”3303″]
মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা
মালয়েশিয়া অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে অনেক স্টুডেন্ট মালয়েশিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য গমন করে থাকে।
মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং থেকে 30 দিন পর্যন্ত সময় লাগে। মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার পর পড়াশোনা শেষ করা পর্যন্ত এ ভিসার মেয়াদ থাকে।
কারণ আপনার উচ্চশিক্ষার কোর্স শেষ হতে চাই অনেক বেশি সময় লেগে যায় আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি মালয়েশিয়াতে, পার্ট টাইম জব করে উপার্জন করার সুযোগ পাবেন।
তাই আমি মনে করি আপনি যদি মালয়েশিয়া গমন করতে চান। তাহলে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারেন এতে সুযোগ সুবিধা বেশি।
মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসা
আপনি যদি কোন কোম্পানি পরিচালনা করে থাকেন। এবং সে বিজনেস এর উন্নতি সাধনের জন্য মালয়েশিয়াতে গমন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই মালয়েশিয়া ভিসা করতে হবে।
আরো দেখুনঃ ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করে আয় করার উপায় [বিস্তারিত এখানে]
আর মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আপনাকে অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং এই ভিসা প্রসেসিং সময় প্রায় 10 দিনের মত লাগে।
মালয়েশিয়া এন্ট্রি ভিসা
মালয়েশিয়া এন্ট্রি ভিসা অনেক ভালো একটি ভিসা। মালয়েশিয়া তে যাওয়ার জন্য অনেক বিখ্যাত হিসেবে প্রমাণিত। মালয়েশিয়া এন্ট্রি ভিসা বাংলাদেশের নাগরিক অনেক সহজে মালয়েশিয়া গমন করতে পারে।
মালয়েশিয়া এন্ট্রি ভিসা প্রসেসিং এক সপ্তাহ সময় প্রয়োজন হয়। আবার অনেক সময় দু-একদিনের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করে নেয়া যায়। আপনি যদি মালয়েশিয়া গমন করতে পারেন। তাহলে তিন মাসের মত বৈধভাবে থাকতে পারবেন।
মালয়েশিয়া মেডিকেল ভিসা
আপনি যদি কোনো উন্নত চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়া যেতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই মালয়েশিয়া মেডিকেল ভিসা অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
মালয়েশিয়া মেডিকেল ভিসা হতে তেমন একটা সময় প্রয়োজন হয় না। মাত্র দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে মালয়েশিয়া মেডিকেল ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করে নেওয়া যায়।
মালয়েশিয়া মেডিকেল ভিসাতে, যেতে পারলে আপনারা এক মাস পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন। যদি রোগীর কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে। আরো বেশি সময় থাকা যায় এতে কোন সমস্যা হয় না।
আপনি যদি মালয়েশিয়া যেতে চান। তাহলে আপনারা এই সকল বিষয়গুলো করে সহজেই করতে পারবেন। তবে এগুলো ছাড়া আরও অসংখ্য ভিসার ক্যাটাগরী রয়েছে। যে গুলো আপনারা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে জেনে নিতে পারবেন।
এখন আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব। মালয়েশিয়া ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়।
মালয়েশিয়া ভিসা অনলাইন আবেদনে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
আপনারা মালয়েশিয়া যেতে চাইলে, মালয়েশিয়া ভিসার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দরকার হবে। যে ডকুমেন্টগুলো আপনার লাগবে সেগুলো হচ্ছে-
অবশ্যই পড়ুনঃ
মালয়েশিয়া মেডিকেল ভিসার জন্য যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন-
- বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদপত্র
- পাস্পোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- স্পনসর এর আকামার কপি
- জন্ম নিবন্ধনের কপি,
- ডিজিটাল পাসপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- ডাক্তারি রিপোর্ট ইত্যাদি।
মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যে ডকুমেন্ট গুলো প্রয়োজন-
- ডিজিটাল পাসপোর্ট
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- বিশ্ববিদ্যালয় হতে অফার লেটার
- পাস্পোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- স্কুল-কলেজের অরিজিনাল সার্টিফিকেট
- পরীক্ষার মার্কশীট ইত্যাদি।
মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য যেগুলো প্রয়োজন-
- বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদপত্র
- পাস্পোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- ডিজিটাল পাসপোর্ট
- জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল ফিটনেস ইত্যাদি।
এছাড়া আরো অন্যান্য মালয়েশিয়া ভিসা ক্যাটাগরিতে ভিসা আবেদন করতে চাইলে। আপনাদের এই সকল নথি-পত্র প্রয়োজন পড়বে।
মালোয়েশিয়া ভিসা করতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি মালয়েশিয়া গমন করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভিসা করার প্রয়োজন হবে। আমরা আপনাকে উপরের আলোচনাতে মালয়েশিয়া ভিসার ক্যাটাগরী সম্পর্কে জানি আছি আপনারা আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা খরচে যেতে হবে।
আমরা আপনার সুবিধার জন্য এখানে কয়েকটি ক্যাটাগরির ভিসা খরচ সম্পর্কে জানিয়ে দেব যেমন-
- আপনাদের মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য খরচ হতে পারে = INR 1999
- মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসার জন্য খরচ হতে পারে =RS. 5720
- মালয়েশিয়া এম্প্লয়মেন্ট ভিসার জন্য খরচ হতে পারে = RM 200
বাংলাদেশ মালোয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম
আপনি যদি মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে চান। তাহলে অনেক গুলো নিয়মে করতে পারবেন। তবে তার মধ্যে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে, অনলাইন ভিসা প্রসেসিং।
আপনি যদি আমাদের দেওয়া পদক্ষেপগুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করেন। তাহলে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরো দেখুনঃ
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার প্রথমেই আমরা আপনাকে বলে দিচ্ছি অনলাইনের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন এর জন্য যে ফরম এর মাধ্যমে আপনি মালয়েশিয়া ভিসা নাম সঠিকভাবে সিলেক্ট করে নিবেন।
তারপর আপনারা ভিসা আবেদন করার ফরমটি পূরণ করে তার একটি কপি নিজের কাছে রেখে দিবেন। তারপর সে বিষয়টি নিয়ে ভিসা অফিসে যেতে হবে।
আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবেন। আর যদি নিজে নিজে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে না পারেন তাহলে বাজারের যেকোন কম্পিউটার দোকানে গিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করে নিন।
সাক্ষাৎকার করুন
আপনি যখন মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদনের সম্পন্ন করবেন ঠিক তখনই ভিসা অফিসে সাক্ষাত করার জন্য সঠিকভাবে আবেদন ফরম লিপিবদ্ধ করতে হবে এছাড়া আরো অন্যান্য ডকুমেন্ট সহ।
সাক্ষাৎকার নিশ্চিত করার পরে আপনার সকল প্রকার বায়োমেট্রিক্স তথ্য প্রদান করতে হবে মানে আপনা কে সঠিক উপায়ে আপনার আঙ্গুল চাপ দিতে হবে।
তারপর আপনার রঙিন ছবি প্রদান করতে হবে আপনি চাইলে, ছবির যেকোনো একটি ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার থেকে তুলে নিতে পারেন। সকল তথ্য সঠিকভাবে সাবমিট করার পর আপনার মালয়েশিয়া ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক হয়ে যাবে।
আপনার দেওয়া ইমেইল এড্রেসে একটি কনফার্মেশন মেইল পাঠানো হবে ভিসা অফিস থেকে। আপনি যখন আপনার পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ভিসা এপ্লিকেশন করবেন তখন তাদের সকলের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাপোয়েন্টমেন্ট প্রয়োজন হবে।
ভিসার জন্য প্রযোজ্য ফি প্রদান
মালয়েশিয়া ভিসা করার জন্য আপনাকে যে পরিমাণের ফি প্রদান করতে হবে সেটি সঠিক একাউন্টে পাঠাতে হবে। আবেদন শেষ হলে সাথে সাথে ফি প্রদান করে দেবেন।
পাসপোর্ট সংগ্রহ
তারপর আপনার সবথেকে বড় কাজ হচ্ছে ভিসা প্রসেসিং অফিস থেকে আপনার পাসপোর্ট গ্রহণ করা। এর পাশাপাশি আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র চেক করে নেওয়া। যাতে কোন ভুল থাকলে সংশোধন করে নিতে পারবেন।
আপনারা চাইলে পাসপোর্ট অতিরিক্ত চার্জ দিয়ে কুরিয়ার এর মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনার জন্য প্রস্তাবিত এয়ারপোর্টে প্রবেশের সঠিক তারিখ প্রবেশের বিশেষ সংখ্যা প্রয়োজনীয় সকল তথ্য বৈধকরণ বিবেচনা করে, নির্বাচন করতে হবে এই কাজগুলো আপনার একান্ত দায়িত্ব।
এখন আপনি উপরের আলোচনা মতে কাজ করতে পারলেই। মালয়েশিয়া ভিসার জন্য বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আমরা আপনার সুবিধার জন্য এখানে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার একটি লিংক যুক্ত করে দেবো। সেখানে ক্লিক করে সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার লিংক : visasmalaysia.com
আরো পড়ুনঃ
- ভিসা কি? কিভাবে ভিসা করতে হয় ২০২৩
- সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা ২০২৩ (সৌদি আরব ভিসা)
- কানাডা জব ভিসা খরচ ২০২৩ (এখানে দেখুন)
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা, আজ আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে আগ্রহী থাকেন। তাহলে উপরের নিয়ম অনুযায়ী আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্য একটি কমেন্ট আশা করছি। আর বিশেষ করে আপনি যদি বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে জানতে চান আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।