মাইক্রোসফট অফিস কি ? Microsoft office এর কাজ (বিস্তারিত)

Microsoft-office কি : বর্তমান সময়ে, এমন কোন লোক নেই যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেনা। এই সময়ে কম্পিউটার অনেক বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে, বর্তমানে যে কোন চাকরির ক্ষেত্রে কম্পিউটার যোগ্যতা অবশ্যই প্রয়োজন হয়।

আর অফিশিয়াল কাজ এবং ব্যক্তিগত কাজ করার জন্য অবশ্যই মাইক্রোসফট অফিসের বিভিন্ন প্রোগ্রামের কাজ করতে হয়। সে বিষয়ে আজ আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো।

মাইক্রোসফট অফিস কি ? Microsoft office এর কাজ (বিস্তারিত)
মাইক্রোসফট অফিস কি ? Microsoft office এর কাজ (বিস্তারিত)

বিশেষ করে, কম্পিউটার ব্যবহার করে, এমন প্রায় সকলেই একটি স্প্রেডশিট, ওয়ার্ড প্রসেসিং এবং প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার দ্বারা গঠিত একটি অফিস সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়।

মাইক্রোসফট এগুলোকে ms-office নামে একটি স্যুটে একত্রিত করে, যা কয়েক দশক থেকে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা ভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা microsoft-office এর এমন সব আশ্চর্যজনক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানিয়ে দেবো। আপনাকে দেখাবো আপনি আপনার শিক্ষাগত জীবনে ব্যবসা ক্ষেত্রে এই সেবা গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

[wp_show_posts id=”3303″]

বিশেষ করে আপনার যদি কোন অফিশিয়াল কাজ করতে চান। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার microsoft-office প্রোগ্রামগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।

তো চলুন আর সময় নষ্ট না করে এখন জেনে নেয়া যাক। microsoft-office কি? এবং microsoft-office এর কাজ সম্পর্কে।

Microsoft-office কি ?

Microsoft-office হচ্ছে, একটি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন এর ব্যবসা এবং অফিসের কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। ১৯৯০ সালে প্রথম চালু হয় কোন দ্বারা তৈরি করা হয়।

Microsoft-office প্রাথমিকভাবে অফিসের কাজ গুলো করতে, এবং কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

[wp_show_posts id=”3308″]

নির্দিষ্ট কাজের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যেমন এমএস ওয়ার্ড, ডাটা ম্যানেজমেন্ট, প্রেজেন্টেশন তৈরি করা এবং ইমেইল গুলো সংগঠিত করা্।

মাইক্রোসফট অফিসের একাধিক সংস্করণ তৈরি করেছে যা উইন্ডোজ, লিনাক্স এবং অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা সমর্থিত হতে পারে তাছাড়া মাইক্রোসফট অফিস ৩৫ টি বিভিন্ন ভাষার অফার করে থাকে।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে মাইক্রোসফট অফিস কি। যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে দয়া করে উপরের আলোচনায় আরো একবার পড়ুন।

মাইক্রোসফট অফিসের মধ্যে কি কি রয়েছে ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হল মাইক্রোসফট অফিস কি এখন আমি আপনাকে জানিয়ে দেবো মাইক্রোসফট অফিস এর মধ্যে কি কি রয়েছে এবং কি কি কাজ করা হয় সে সম্পর্কে।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক মাইক্রোসফট অফিসের মধ্যে কি কি রয়েছে। যেমন-

মাইক্রোসফট অ্যাকসেস- মাইক্রোসফ্ট এক্সেস এ একটি ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এটি জেট ইঞ্জিনের ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব ফরমেটে ডাটা সংরক্ষণ করে রাখে।

মাইক্রোসফট এক্সেল – মাইক্রোসফট এক্সেল হচ্ছে একটি স্প্রেডশিট যা তৈরি হয় সফটওয়্যার কোম্পানির মাইক্রোসফট দ্বারা। মাইক্রোসফট এক্সেল এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গ্রাফিক্স টুলস, পিভট টেবিল ও অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ভিজুয়াল বেসিক নামে একটি ম্যাক্রো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। মোটকথা মাইক্রোসফট এক্সেল এর মাধ্যমে আমরা গাণিতিক হিসাব নিকাশ করতে পারি।

[wp_show_posts id=”3303″]

মাইক্রোসফট আউটলুক – মাইক্রোসফট আউটলুকে একটি স্বতন্ত্র অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এবং এটি শেয়ার ইমেইল বক্স ক্যালেন্ডার এক্সচেঞ্জ পাবলিক ফোল্ডার, শেয়ারপয়েন্ট লিস্ট এবং মিটিং সিডিউল এর মতো একাধিক ব্যবহারকারীদের জন্য। মাইক্রোসফট এক্সেল সার্ভার এবং মাইক্রোসফটের শেয়ার পয়েন্ট সার্ভারের সাথে কাজ করতে পারে।

মাইক্রোসফট ওয়ান নোট – মাইক্রোসফট ওয়ান নোট হচ্ছে, মাইক্রোসফট অফিস এবং উইন্ডোজ ১০ এর একটি অংশ। একটি উইন্ডোজ, উইন্ডোজ মোবাইল, এমএসি অপারেটিং সিস্টেম এর জন্য, ফ্রী স্বতন্ত্র অ্যাপ্লিকেশন হিসেবেও উপলব্ধ আছে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড – মাইক্রোসফট ওয়ার্ড হচ্ছে একটি গ্রাফিক্যাল ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট পরিচালনা এবং শেয়ার করা। যেমন- ইমেইল, বই, প্রতিবেদন এবং চিঠির মতো বিভিন্ন টি সম্পাদনা এবং তৈরি করা এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন সহ ছবি, ডায়াগ্রাম এর মত একটি ব্যবসায়িক তৈরি করার মত কাজ করতে থাকে।

[wp_show_posts id=”3303″]

মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট – মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট হচ্ছে একটি কম্পোনেন্ট মাইক্রোসফট অফিস স্যুট। পাওয়ার পয়েন্ট এর ডিজাইন করা হয়েছে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে গ্রুপ উপস্থাপনার জন্য ভিসুয়ালিটি প্রদান করার জন্য।

Microsoft office এর কাজ কি ?

মাইক্রোসফ্ট অফিস আছে অফিস সম্পর্কিত অ্যাপ্লিকেশন গুলোর একটি সেটআপ যা মূলত ব্যবসা এবং অফিসিয়াল কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত করা হয়।

Microsoft-office প্রাথমিক অফিসের কাজ গুলোকে সহজ করে, এবং কাজের ফলাফলকে আরো উন্নতি করতে ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশন একটি অনন্য উদ্দেশ্য কে পরিবেশন করে এবং নির্দিষ্ট কাজগুলোকে অফার করে থাকে যেমন-

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড প্রক্রিয়াকরণ এর জন্য ব্যবহৃত করা হয়। ডাটা পরিচালনার জন্য এক্সেল, প্রজেক্ট তৈরি করার জন্য পাওয়ারপয়েন্ট এবং ইমেইলই সংগঠিত করার জন্য আউটলুক ইত্যাদি।

Microsoft-office অনেক আকর্ষণীয় এবং দরকারি বৈশিষ্ট্য বহন করে যা আমাদের এই ডিজিটাল বিশ্ব থাকা অত্যন্ত আবশ্যক।

একটি বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন সর্বাধিক বর্ধমান শিল্পকলার মধ্যে এটি অনেক জনপ্রিয়। তো দেখা যাক ব্যবসার পাশাপাশি শিক্ষার ক্ষেত্রে কি, ধরনের উপকারিতা আছে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড

  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড প্রথম রিলিজ হয় অক্টোবর ১৯৮৩ সালে।
  • DOC, ফাইলের এক্সটেনশন হচ্ছে .DOC.
  • এটি প্রচন্ড পরিমাণে ব্যবহৃত হয় টেক্স ডকুমেন্ট তৈরি করার জন্য।
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের টেম্পলেট তৈরি করা যায়।
  • মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডে ওয়ার্ড আর্ট, রং, ছবি অ্যানিমেশন এক ফাইলে পাঠ এর সাথে যুক্ত করা যায় এবং নথি আকারে প্রিন্ট এবং ডাউনলোড করা যায়।
  • লেখকরা তাদের কাজ লিখতে ব্যবহার করেন। এই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড।

[wp_show_posts id=”3306″]

মাইক্রোসফট এক্সেল

  • এক্সেল প্রধানত ডাটাবেজ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
  • এক্সেল ডাটা প্রসেসিং এ ব্যবহার করা হয়।
  • এক্সেল একটি স্প্রেডশিটে রো এবং কলামের আকারে, গ্রিট থাকে যা পরিচালনা করা অনেক সহজ হয়। এবং কাগজের প্রতিস্থাপন হিসেবে টিকে ব্যবহার করা যায়।
  • মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যবহার করে ট্রাভেলার ফরমেট বড় ডাটা কে সহজে পরিচালনা এবং সংরক্ষণ করা হয়।
  • মাইক্রোসফট এক্সেলে সেকেন্ডের মধ্যে বড় বড় গাণিতিক হিসাব গুলো করে নেয়া যায়।
  • যখন কম্পিউটারে সংরক্ষিত হয় তখন এর ফাইল এক্সটেনশন থাকে, .xls ফরমেট আকারে।

মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট

  • মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট এটি ১৯৮৭ সালে রিলিজ হয়।
  • অডিও ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করা হয়।
  • একটি প্রেজেন্টেশন অনেকগুলো নিয়ে তৈরি করা হয় যেগুলো ডাটা তথ্য ইনফরমেশন থাকে।
  • প্রতিটি স্লাইড এর মধ্যে অডিও ভিডিও গ্রাফিক্স লেখা বুলেটস নাম্বারিং টেবিল ইত্যাদি যুক্ত করা যায়।
  • এক্ষেত্রে ফাইল এক্সটেনশন যখন কম্পিউটার সংরক্ষিত হয় তখন .ppt ফরমেট আকারে হয়ে থাকে।
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি প্রফেশনাল কাজে ব্যবহার করা হয়।
  • পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে প্রেজেন্টেশন তৈরি করলে, session আরো interactive হয়ে উঠে।

[wp_show_posts id=”3308″]

মাইক্রোসফট অ্যাকসেস

  • মাইক্রোসফট অ্যাকসেস অন 1992 সালে রিলিজ হয়।
  • মাইক্রোসফট অফিস এক্সেল এটি একটি ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার।
  • মাইক্রোসফ্ট এক্সেস টেবিল কোয়েরি ফর্ম এবং রিপোর্ট এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়।
  • অন্যান্য ফরমেটে ডাটার import-export এই মাইক্রোসফট এক্সেল হয়ে থাকে।
  • এই ফাইলের এক্সটেনশন টি হচ্ছে, .accdb.

আপনি যদি microsoft-office সম্পর্কে, আগে থেকে না জানতেন তাহলে আজ আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জেনে নিতে পেরেছেন।

আমরা জানি মাইক্রোসফট অফিসে অফিশিয়াল এবং ব্যবসায়িক কাজে কিংবা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট, মাইক্রোসফট অ্যাকসেস।

আপনারা এই চারটি কাজ যদি সঠিকভাবে শিখতে পারেন। তাহলে আপনার বেসিক কাজ সম্পন্ন করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত করতে পারবেন। এবং একটি চাকরির ক্ষেত্রে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রমাণিত।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানানো হলো, microsoft-office কি? এবং মাইক্রোসফট অফিসের কাজ সম্পর্কে। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই একটি কমেন্টের আশায় করছি।

আর বিশেষ করে আপনি যদি microsoft-office সম্পর্কে পুরো ধারণা পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

আমাদের ওয়েবসাইট থেকে microsoft-office সম্পর্কে এবং মাইক্রোসফটের এর বিভিন্ন সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে চাইলে. আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিতভাবে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment