একাধিকবার ভোটার নিবন্ধনের ফলে যা হতে পারে ?

একাধিকবার ভোটা নিবন্ধনের ফলে যা হতে পারে ? বাংলাদেশ এর আইন অনুযায়ী একজন বাংলাদেশী নাগরিক শুধুমাত্র একবারই ভোটার হতে পারবে একাধিকবার না।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য প্রতিবছর একবার করে সারা দেশব্যাপী ধাপে ধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

একাধিকবার ভোটার নিবন্ধনের ফলে যা হতে পারে ?
একাধিকবার ভোটার নিবন্ধনের ফলে যা হতে পারে ?

তো আপনারা যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য বা এখনো ভোটার হননি। তারা এই সময়ে ২ নং নিবন্ধন ফরম পূরণ করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে, নতুন ভোটার হতে পারবেন।

এক্ষেত্রে যারা ইতিমধ্যে ভোটার হয়েছেন তারা ভুল করে দ্বিতীয়বার ভোটার হতে যাবেন না বা ফরম পূরণ করবেন না। একাধিকবার ভোটার হয়েছেন তো নেটের বিপদে পড়ে যাবেন।

কারণ বাংলাদেশ একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আর এজন্য জেল এবং জরিমানা উভয় হতে পারে। এর থেকে বড় বিষয় হচ্ছে, আপনি আপনার ভোটার অধিকার হারিয়ে ফেলতে পারেন।

কেন একাধিকবার ভোটার হয় ?

আমাদের বাংলাদেশ অধিকাংশ মানুষ ভুলবশত একাধিকবার ভোটার হয়ে থাকে আবার কেউ কেউ জেনে বুঝে একাধিক ভোটার হয়ে যায়।

সঠিক তথ্য দিয়ে ভোটার হয়। এক্ষেত্রে কেউ কেউ বলে যে, আমিতো স্মার্ট কার্ডের জন্য ছবি তুলেছিলাম আমিতো এখনো ভোটার হয়নি।

এক্ষেত্রে বিশেষ করে মহিলারা বলে বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে এসেছি। মেম্বার এবং চেয়ারম্যান সাহেব নতুন করে, ভোটার হওয়ার জন্য বলেন। তাই ভোটার হয়েছি।

আর কেউ কেউ বলে আমার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে বা স্লিপ হারিয়ে গিয়েছিল, তাই ভোটার হয়েছি। আপনারা এ সকল ভুল কখনোই করবেন না।

একাধিকবার ভোটার নিবন্ধনের ফলে যা হতে পারে ?

আপনারা একাধিকবার ভোটার হলে যা হবে তা হচ্ছে প্রথমবারের ভোটার তথ্যবহাল থাকবে। আবার পরবর্তী হওয়া ভোটার তথ্য অটোমেটিক ভাবে ডিলেট হয়ে যাবে। আর যতবার ভোটার হবেন। ততবার তথ্য ডিলেট হয়ে যাবে।

আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যারা একাধিকবার ভোটার হয়েছে তাদের সব তথ্যই অটোমেটিক ভাবে ডিলেট হয়ে যাচ্ছে।

মানে আপনি আর ভোটার থাকবেন না। এবং কোন ভোটার তালিকায় আপনার নামও যাবে না। আর ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে আপনি ভোট দিতে পারবেন না। এবং কখনো ভোটার আইডি কার্ড পাবেন না।

আপনারা আগে ভোটার হয়ে, যে ভোটার কার্ডটি পেয়েছিলেন। সেটে থাকলেও আপনারা কোন কাজে লাগাতে পারবেন না। কারণ আপনার তথ্য নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে ডিলিট করে দেয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে যখন আপনারা এই সমস্যাগুলো দেখতে পারবেন। তখন নির্বাচন অফিসে ঘুরতে ঘুরতে আপনার জুতা ক্ষয় হয়ে যাবে। কি কথাটি বিশ্বাস হচ্ছে না তাহলে নিচে দেওয়া ব্যক্তিদের দেখুন।

আপনি নিচে দেওয়া ছবিতে যে ভোটার আইডি কার্ডের ব্যক্তিটিকে দেখতে পারছেন তিনি হচ্ছেন সামিনা, তার গ্রাম- সুবর্ণলতে পুরাতন পাড়া।

তিনি পুনরায় সাবিনা খাতুন নামে, একাধিকবার হিসেবে কুচবাড়িয়া গ্রামে ভোটার হয়েছেন।

আমি আপনার সুবিধার জন্য এই ব্যক্তির ভোটার তথ্য বিস্তারিত অবস্থায় যেরকম আছে। মানে তিনি তার ভোটারের অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন।

তো আপনারা উপরে যে, ভোটার আইডি কার্ড ব্যক্তিটিকে দেখতে পাচ্ছেন। তিনি একাধিকবার ভোটার হওয়ার ফলে বাংলাদেশে ভোট অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন।

আর এখন আপনারা নিচের অংশে, যে ভোটার আইডি কার্ড ধারন ব্যক্তিকে দেখতে পারছেন। তার নাম হচ্ছে তাসলিমা খাতুন। তিনি নগরজোকা গ্রামের ভোটার।

তিনি বিয়ের পর পুনরায় দলিলপুর এগিয়ে, মোছাঃ তাসলিমা খাতুন নামে একাধিকবার ভোটার হয়েছেন। এখন দুইটি ভোটার আইডি কার্ডে কিন্তু এখন ডিলিট।

তিনিও কিন্তু বাংলাদেশের ভোটাধিকার হারিয়ে ফেলেছেন। তার পুরাতন যে আইডি কার্ড রয়েছে সেটি ব্যবহার করেও কোন কাজে লাগাতে পারবে না।

কারণ পুরোপুরি ভাবে, তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে ডিলিট হয়ে গেছেন। একাধিকবার ভোটার হওয়ার ফলে। নিচের ছবিটি দেখুন-

আপনারা উপরোক্ত যে, দুইটি ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পারলেন। তারা একাধিকবার ভোটার হওয়ার ফলে, বাংলাদেশে ভোটাধিকার হারিয়ে ফেলেছেন।

তো আপনারা যারা এ ব্যক্তিদের মত একাধিকবার ভোটার হবেন। সেক্ষেত্রে আপনার কিন্তু বাংলাদেশের ভোটাধিকার হারিয়ে ফেলবেন। তাই আপনারা যারা ভোটার হয়েছিলেন।

কোন কারণে, এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাওয়া প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে আপনারা ভোটার এলাকার স্থানান্তর করার আবেদন করতে পারবেন।

আবার যদি কোন ভাবে দেখেন, আপনার ভোটার আইডি কার্ডে কোন প্রকার তথ্য গত ভুল রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনারা সংশোধনের আবেদন জানাতে পারেন।

শেষ কথাঃ

আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে, নির্দিষ্ট বয়স হলে ভোটার নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন। আর যারা পূর্বে ভোটার হয়েছেন, তাদের ভোটার আইডি কার্ডে কোন সমস্যা থাকলে সেটি সংশোধন করে নিবেন।

এক্ষেত্রে কোনোভাবেই আপনারা একাধিকবার ভোটার হতে যাবেন না। যার ফলে উপরোক্ত সমস্যার সম্মুখীন আপনারাও হতে পারেন।

তো আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আর একাধিকবার ভোটার হওয়া থেকে বিরত থাকুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment