নতুন ভোটার কিন্তু স্মার্ট কার্ড পাননি তাদের জন্য পরামর্শ

যারা নতুন ভোটার কিন্তু স্মার্ট কার্ড পাননি তাদের জন্য পরামর্শ : আমাদের জানামতে, যারা ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল এর মধ্যে নতুন ভোটার হয়েছেন তারা এখনো স্মার্ট কার্ড পাননি।

নতুন ভোটার কিন্তু স্মার্ট কার্ড কেন পাননি বা কেন আসেনি এবং তাদের স্মার্ট কার্ড পাওয়ার উপায় কি ? সে সম্পর্কে আজ আমাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে জানানো হবে।

নতুন ভোটার কিন্তু স্মার্ট কার্ড পাননি তাদের জন্য পরামর্শ
নতুন ভোটার কিন্তু স্মার্ট কার্ড পাননি তাদের জন্য পরামর্শ

আপনি যদি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে পরামর্শ নিতে চান? তবে, তারা আপনাকে এই একই পরামর্শ প্রদান করবে। তাই যারা স্মার্ট কার্ড পাননি।

তারা নিশ্চিন্তে আমাদের পরামর্শ গুলো অনুসরণ করতে পারেন। এতে করে, কষ্ট করে আর উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে। স্মার্ট কার্ড এর বিষয়ে তথ্য জানতে হবে না।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন সময়ে, তাদের নিয়ম অনুযায়ী ধাপ ধাপে, নতুন ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।

সে সময়ে যারা আগে কখনো ভোটার হয়নি। তাদেরকে নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়।

এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ২নং নিবন্ধন ফরম পূরণ করলেই, নতুন ভোটার হওয়া সম্ভব হয়।

২০০৭ সাল থেকে বর্তমান এ পর্যন্ত যারা নতুন ভোটার হয়েছে। তাদের প্রায় সকালের জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে এবং এখনো বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

নতুন ভোটার যারা স্মার্ট কার্ড পায়নি ?

২০১৫ সাল এ নতুন ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম এর দ্বিতীয় ধাপে যাদের বয়স ১৮ বছর এর কম ছিল। তাদেরকে জাতীয় পরিচয় পত্র দেওয়ার লেখে নতুন ভোটার হালনাগাদ করা হয়।

এক্ষেত্রে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি তাদের স্মার্ট কার্ড তৈরি হয় এবং আন্ডারএজ ভোটারদের স্মার্ট কার্ড তৈরি করা হয় না।

অতঃপর ২০১৭ সালের হালনাগাদ কার্যক্রমে, যারা নতুন ভোটার হয়েছে তারাও স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে পারেনি। ২০১৭ সালে হওয়া সকল ভোটার ও ২০১৫ সালে হওয়া ভোটারদের স্মার্ট কার্ড না এসে। পেপার লেমিনেটেড আইডি কার্ড চলে আসে। সেগুলো সিডিউল করে বিতরণ করা হয়।

উক্ত পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয় পত্র এন আইডি কার্ড গুলোর অপর পৃষ্ঠায় মেয়াদ উত্তীনের তারিখ দেওয়া ছিল। সেখানে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হলে। এই ভোটার আইডি কার্ডগুলোর আর কোন কার্যকারিতা থাকবে না পুনরায় নবায়ন করতে হবে।

তবে পরবর্তীতে এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। প্রতিটি সাময়িক ভোটার আইডি কার্ডের মেয়াদ অনিষ্টকালের জন্য বর্ধিত করা হলো।

এক্ষেত্রে সকল প্রকার সাময়িক জাতীয় পরিচয় পত্র এন আইডি কার্ড এখন থেকে বৈধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। সকলেই সকল সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এবং প্রতিষ্ঠান সেবা গ্রহীতার কার্ড জাতীয় পরিচয় পত্র সিস্টেম হতে চেক করে, প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করতে পারবে।

২০১৯ সালের হালনাগাদ তেতো কার্যক্রমে দশ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিস স্ক্যান করে, নতুন ভোটার করা হয়।

সেক্ষেত্রে তাদের স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়েছে এবং তার বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে, হওয়া নতুন ভোটারদের মাঝেও কিন্তু আন্ডারেজ ভোটার আছে। যারা এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ড পাননি।

2015 সালের ভোটার কিছু আন্ডারএজ ভোটার। ২০১৭ সালের সকল ভোটার এবং ২০১৯ সালের হওয়া কিছু আন্ডারএজ ভোটার এর স্মার্ট কার্ড এখনো তৈরি করা হয়নি।

কিন্তু খুব শীঘ্রই আন্ডারএজ ভোটারদের স্মার্ট কার্ড তৈরি করা হবে এবং বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।

যারা স্মার্ট কার্ড পাননি তারা কখন স্মার্ট কার্ড পাবেন ?

করবে ভোটার হওয়ায় যারা এখনো স্মার্ট কার্ড পাননি তাদের স্মার্ট কার্ড তৈরি হলে উপজেলা পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত। কোনোভাবেই জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড হাতে পাওয়ার সুযোগ নেই। তার কারণ আবেদন করে, স্মার্ট কার্ড পাওয়ার সুযোগ এখনও চালু করা হয়নি।

তাই যতদিন না পর্যন্ত আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড হাতে না পাচ্ছেন। ততদিন আপনার কাছে যে সাময়িক জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে। সেটি নিশ্চিন্তে যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড এর মেয়াদ নিয়ে সমস্যা হলে ?

আমরা আগেই বলেছি ভোটার আইডি কার্ড এর পেছনে মেয়াদ উত্তীর্ণ এর তারিখ দেখে যদি কোন সেবা প্রধানকারী প্রতিষ্ঠান, আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি গ্রহণ না করতে চান।

সে ক্ষেত্রে তাদেরকে বুঝিয়ে বলবেন যে, স্মার্ট কার্ড এখনো আসেনি বিধায়। প্রতিটি কার্ড এর মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য সরকারি ভাবে ব্যবহৃত হবে বলে ঘোষণা করেছে।

তারপরও যদি ভোটার আইডি কার্ডের মেয়াদ নিয়ে কোন সমস্যা বোধ করেন। তবে ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলনের ফ্রি হিসাব করে নিয়ে। রকেট এবং বিকাশের মাধ্যমে ফ্রি পরিশোধ করে। অনলাইন সিস্টেম হতে জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন করতে পারেন।

এছাড়া সরাসরি আপনারা উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র উত্তোলনের আবেদন জানাতে পারেন তবে সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহের মধ্যে পেপার লেমিনেটেড card হাতে পেয়ে যাবেন।

স্মার্ট কার্ড পাচ্ছি না কবে আসবে এই সকল চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে স্মার্ট কার্ড তৈরি হলে সেটি উপজেলা পর্যায়ে চলে আসবে। এবং ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।

যতদিন স্মার্ট কার্ড উপজেলা নির্বাচন অফিসে না চলে আসে। সে পর্যন্ত আপনার কাছে থাকা পুরাতন পেপার লেমিনেটেড ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করতে থাকবেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানানো হলো নতুন ভোটার কিন্তু স্মার্ট কার্ড পাননি তাদের জন্য  সুপরামর্শ।

তো আপনি যদি ভোটার হয়ে থাকেন এবং পুরাতন আইডি কার্ড আপনার কাছে থাকে সেটি দিয়ে আপনারা সরকারি বেসরকারি যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই।

তো আপনারা অপেক্ষা করুন আর খোঁজ খবর রাখুন উপজেলা নির্বাচন অফিসে কখন স্মার্ট কার্ড আসবে। আর আসার পর আপনাকে খোঁজ নিতে হবে না সেটি বিশাল প্রচারণার মাধ্যমে আপনার স্মার্ট কার্ড আপনাকে প্রদান করা হবে।

তো বন্ধুরা আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার পরে আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন। আর এ বিষয়ে কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।

Leave a Comment