পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩ (জেনেনিন এখানে)

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ? : আমরা যখন এক দেশ থেকে অন্য কোন দেশে যেতে চাই। তখন সবার আগে আমাদের একটি পাসপোর্ট করতে হয়।

কিন্তু আমাদের মাঝে অনেক লোক আছে। যারা এখনও পর্যন্ত জানানে না যে, পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩। তার কারণ যখন, আপনি পাসপোর্ট করতে চাইবেন। তখন আপনার অনেক গুলো কাগজপত্র এবং ডকুমেন্ট লাগবে।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩ (জেনেনিন এখানে)
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩ (জেনেনিন এখানে)

আপনি যতক্ষন না পর্যন্ত উক্ত ডকুমেন্ট গুলো সঠিক ভাবে, প্রদান না করতে পারেন। সেই পর্যন্ত আপনারা কোন প্রকার পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করতে পারবে না।

তার জন্য, অনেকে অনলাইনে সার্চ করে, জানার চেষ্টা করে যে, পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩। এই জন্য আজ আমি আমাদের এই পোস্টে, আপনাকে জানিয়ে দেব। পাসপোর্ট করতে আসলে কি কি লাগে।

আপনি যদি পাসপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান। তাহলে নিচে দেওয়া তথ্য গুলো শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ?

আপনি যদি সত্যিই জানতে চান যে, পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। তবে আমরা আজ আপনাকে উক্ত প্রশ্নের উত্তর একটি কথায় দিতে পারব না।

তার কারণ পাসপোর্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রকার এর ডকুমেন্ট দরকার হয়।

আর আপনার কোন ধরণের ডকুমেন্ট গুলো লাগবে। সে গুলো কিন্তু আপনার বয়স এবং পেশা ইত্যাদির যাবতীয় বিষয় গুলোর উপর ভিত্তি করবে।

মনে করুন- আপনি যদি একজন স্টুডেট হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য যে, সকল ডকুমেন্ট দরকার হবে।

আর আপনি যদি একজন চাকরীজীবী হোন। তবে কিন্তু আপনার আলাদা ডকুমেন্ট দরকার হবে। তার পাশাপাশি আপনি যদি ই পাসপোর্ট করতে আগ্রহী থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনার আরো আলাদা ডকুমেন্ট দরকার হবে।

তার জন্য আমি আপনাকে এখানে আলাদা আলাদা ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। বয়স এবং পেশা অনুযায়ী আপনার পাসপোর্ট করতে কি কি লাগবে।

তো চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক। পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। এছাড়া আপনার আসলে কোন ধরনের ডকুমেন্ট গুলো দরকার হবে।

পাসপোর্ট করতে বয়স ভিত্তিক কিছু ডকুমেন্ট লাগবে ?

তো আমরা সবচেয়ে আগে, আপনাকে জানিয়ে দেব। নির্দিষ্ট পরিমাণের বয়স অনুযায়ী পাসপোর্ট করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে।মানে আপনি যদি অল্প বয়স এর লোক হয়ে থাকেন।

তার জন্য আপনার যে, ডকুমেন্ট গুলো প্রদান করতে হবে। অন্যদিকে আপািন যদি প্রাপ্ত বয়স্ক লোক হয়ে থাকেন। তবে কিন্তু আপনাকে আলাদা ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে।

এই জন্য এখন আমি আপনার নির্দিষ্ট বয়স অনুসারে যে ডকুমেন্ট দরকার হয় সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।

আবেদনকারীর বয়স ৬ বছর এর কম হলে ?

আপনার যখন এমন কোন লোকের পাসপোর্ট করতে চাইবেন। যার বয়স 6 বছর এর কম। সেই জন্য কিন্তু সেই লোকের জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্ট দেওয়ার দরকার হবে।

আর সেই সকল ডকুমেন্ট দেওয়ার পরবর্তী সময় আপনি সেই 6 বছর বয়সী কম লোকের পাসপোর্ট সম্পন্ন করতে পারবেন।

যেমন- 

  • উক্ত 6 বছর এর কম বয়সী লোকের পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি দরকার হবে। তার পাশাপাশি সেই জাতীয় পরিচয় পত্র এর মূল কপি সাথে রাখতে হবে।
  • এছাড়া সেই লোক এর এক কপি 3R সাইজ এর সাদা ব্যাকগ্রউন্ডের কালো ছবি দরকার হবে। সেই ছবি কিন্তু ল্যাব প্রিন্ট হতে হবে।
  • সেই সঙ্গে সেই লোকের এক কপি পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি দরকার হবে।
  • উক্ত লোকের ছবি’র পাশাপাশি সেই লোকের পিতা ও মাতার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের্ ছবি দরকার হবে।
  • অবশ্যেই তার পেশা ইন্ডিকেট করতে হবে। কিন্তু পেশার ক্ষেত্রে কোন প্রমাণপত্র বা ডকুমেন্ট প্রয়োজন নাই।

তো এখন যে লোক গুলোর বয়স 6 বছর এর কম। সেই লোক গুলো যদিত পাসপোর্ট করতে চাই। তবে উক্ত ডকুমেন্ট গুলো পাসপোর্ট করতে লাগবে।

আবেদনকারীর বয়স ৬ বছরের বেশি হলে বা ১৫ বছরের কম হলে ?

আপনার যদি কোন পাসপোর্ট আবেদনকারী ব্যক্তির বয়স 6 বছর এর বেশি হয় বা 15 বছরের কম হয়। তাহলে কিন্তু সেই আবেদনকারীর অনেক ডকুমেন্ট দরকার আছে।

সেই ডকুমেন্ট গুলোর প্রদান করার পরে কিন্তু সেই ব্যক্তি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেই দরকারী ডকুমেন্ট গুলো হচ্ছে-

  • উক্ত আবেদনকারীর পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি প্রদান করতে হবে। তার পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে রাখতে হবে।
  • উক্ত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধনের সনদ দরকার হবে। সেই জন্ম নিবন্ধন সনদ অবশ্যই ইংরেজি ভার্সন এর হতে হবে।
  • এছাড়া সেই ব্যক্তির পেশাগত প্রমানের কাগজপত্র লাগবে। যেমন- আবেদনকারী যদি স্টুডেট হয়। তাহলে সেই ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এবং স্কুল আইডি কার্ড।
  • এছাড়া, অন্যান্য কোন পেশার সাথে যুক্ত থাকলে। সেটি পেশার প্রমাণ পত্র প্রদান করতে হবে।

তাহলে পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীর বয়স যদি 6 বছরের বেশি হয় বা 15 বছর এর কম হয। তাহলে সেই ব্যক্তির যে ডকুমেন্ট গুলো লাগবে সেগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ২০ হলে ?

যখন একজন ব্যক্তি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবে। তখন সেই ব্যক্তির বয়স যদি 18  থেকে 20 বছর হয়।

সেই জন্য উক্ত ব্যক্তির অনেক কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। আর যখন সেই ব্যক্তি ডকুমেন্ট গুলো সঠিক ভাবে সাবমিট করতে পারবে।

তখন সেই ব্যক্তি পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করতে পারবে। আর পাসপোস্ট করার জন্য দরকারী ডকুমেন্ট গুলো হলো-

  • উক্ত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করতে হবে। তার সাথে ফটোকপি দেওয়া পাশাপাীশ জাতীয় পরিচয় পত্র এর মুল কপি সাথে রাখতে হবে।
  • আর যদি কোন কারণে সেই আবেদনকারী তার পিতা বা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করে। সেই জন্য অবশ্যই তার পিতা বা মাতার মূল জাতীয় পরিচয় তপ্র সাথে নিয়ে যেতে হবে।
  • চেয়ারম্যান এর পরিচয় পত্র লাগবে। সেই সাথে স্টুডেট আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগে।
  • এছাড়া একটি প্রত্যয়ন পত্র লাগবে।

এখন আপনি যদি একজন 18-20 বছর বয়সী ব্যক্তি পাসপোর্ট আবেদন করতে চান। তাহলে উক্ত ডকুমেন্ট গুলো আপনার থাকতে হবে।

আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের বেশি হলে ?

পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স 20 বছর এর বেশি হলে। তখন সেই ব্যক্তির আবেদন করার সময় অনেক গুলো ডকুমেন্ট লাগবে। আমরা সেই ডকুমেন্ট গুলো নিচের অংশে প্রস্তুত করেছি।

যেমন-

  • উক্ত আবেদনকারী ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে।
  • উক্ত ব্যক্তি বর্তমানে কোন পেশায় যুক্ত আছে। সেই পেশার প্রমাণপত্র লাগবে।
  • চেয়ারম্যান কর্তৃক পরিচয়পত্র লাগবে। সেই সাথে স্টুডেট হয়ে থাকে, স্টুডেট আইডি কার্ড লাগবে।
  • আর পটো কপির দোকান থেকে নিজের প্রত্যায়ন পত্র লাগবে।
  • আপনি যদি বিবাহিত হেয়ে থাকেন। তার কাবিন নামা এর ফটোকপি লাগেব।

পাসপোর্ট এর জন্য পেশা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

উপরের আলোচনায় আপনাকে একটি কথা বার বার বলা হয়েছে। পাসপোর্ট আবেদন করার সময় অবশ্যই আপনার পেশার প্রমাণ পত্র প্রদান করতে হবে।

কিন্তু এই পেশার ক্ষেত্র মানুণ কিন্তু সকলেই এক পেশায় নিযুক্ত থাকবে না।

মানে, বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন পেশার সাথে যুক্ত। সেই জন্য ভিন্ন পেশায় নিযুক্ত থাকা লোকদের ভিন্ন ধরণের প্রমাণ পত্র প্রদান করতে হবে।

তো চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক। কোন পেশার মানুষ কে কি ধরণের প্রমান প্রদান করতে হবে।

স্টুডেট হলে-

আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনার সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র প্রদান করতে হবে।

তার পাশাপাশি আপনি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। সে প্রতিষ্ঠানটিকে সনদপত্র এবং স্টুডেন্ট আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে।

বেকার হলে-

আপনি যদি একজন বেকার মানুষ হয়ে থাকেন। এবং আপনি যদি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চান। তবে অবশ্যই আপনাকে স্থানীয় চেয়ারম্যান বা আপনার এলাকার কাউন্সিলর থেকে বেকারত্ব সনদ গ্রহণ করতে হবে।

সরকারি চাকরিজীবী হলে-

আপনি যদি কোন সরকারের চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এনওসি দিতে হবে।

আর আপনি যদি সে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন তাহলে আপনাকে পেনশনের বই প্রদান করতে হবে।

প্রাইভেট সার্ভিস-

আপনি যদি একজন প্রাইভেট সার্ভিস প্রোভাইডার হন এবং নির্দিষ্ট কোন কোম্পানিতে চাকরি করেন।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্টের আবেদন করার সময় একটি প্রত্যায়ন পত্র দেখাতে হবে।

কৃষক হলে-

আপনি যদি একজন কৃষক হয়ে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চান সেটি জন্য আপনার জমির পর্চা এবং ফটোকপি দেখাতে হবে।

তাহলে আপনি পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারবেন।

গৃহিণী হলে-

একজন মহিলা গৃহিণী হয় আপনি যদি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চান। এবং আপনার পেশা যদি হয় সেজন্য আপনার কোনো প্রমান পত্র দরকার পড়বে না ।

আর আপনি যদি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। তাহলে কোন ভাবে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদনপত্রে গৃহিণী উল্লেখ করা যাবে না।

ব্যবসায়ী হলে-

আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি পাসপোর্ট করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। তাহলে আপনি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ন তথ্য

আপনারা অবশ্যই এ প্রশ্নের যাতে এসেছেন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তাই আপনার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আর সেটি হচ্ছে পাসপোর্ট এর জন্য যখন আপনি আবেদন করবেন। তখন অবশ্যই আপনার বৈবাহিক অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক। পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার সময় ব্যবস্থার গুরুত্ব কি।

অবিবাহিত

আপনি যদি পাসপোর্ট করতে আগ্রহী থাকেন এবং আপনি যদি অবিবাহিত হয়ে থাকেন সেজন্য আপনার কোন প্রকার ভয় পায় প্রমাণপত্র দরকার হবে না বা লাগবেনা।

বিবাহিত

আপনি যদি অবিবাহিত অবস্থায় পাসপোর্ট করে থাকেন। এবং পরবর্তী সময় আপনি বিবাহ করেন। তাহলে অবশ্যই আপনার ব্যবস্থাটিকে প্রদান করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার কাবিন-নামা, কোট সার্টিফিকেট এবং হিন্দু বিবাহ বন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।

ডিভোর্স/নতুন স্বামী/স্ত্রীর নাম যোগ

যদি কোন সমস্যায় বিবাহিত অবস্থায় পাসপোর্ট করার পরে আপনার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এবং পরবর্তী সময়ে আপনি যদি পুনরায় নতুন কোন স্বামী অথবা স্ত্রী হিসেবে কারো সাথে আবদ্ধ হন।

সেক্ষেত্রে আপনার পুনরায় সে নতুন স্বামী বা স্ত্রীর বিবাহের সার্টিফিকেট বা কাবিননামা প্রদান করতে হবে।

(পাসপোর্ট আবেদন করতে ক্লিক করুন)

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে, আপনি জানতে পারলেন। পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। আমরা খানের পাসওয়ার্ড করার জন্য যে ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয়। সে বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছি।

এখন আপনারা শিশুকাল থেকে বয়স্কা প্রাপ্ত যেকোনো ব্যক্তিরা উক্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে, পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তো বন্ধুরা আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এছাড়া, আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে জানতে চাইলে, নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment