পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি

পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি : আমরা পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করা একটি ঝামেলা পূর্ণ কাজ বলে মনে করি।

তো যারা পেওনের একাউন্ট ভেরিফিকেশন নিয়ে চিন্তিত।

তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানাবো। প্রেয়োনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি সম্পর্কে।

পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি
পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি

তাই আপনি যদি এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান? তাহলে শেষ পর্যন্ত লেখাটি অনুসরণ করুন।

পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন এর জন্য যা যা লাগবে ?

আপনি যদি পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে চান? তাহলে আপনার কিছু জিনিসের প্রয়োজন হবে। আর সেগুলো হচ্ছে-

পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা স্মার্ট কার্ড প্রয়োজন হবে।

আপনারা যারা এখনো স্মার্ট কার্ড পাননি তারা চাইলে পুরাতন এন আইডি কার্ড ব্যবহার করে, বেরোনিয়ার একাউন্ট ভেরিফাই করতে পারবেন।

তো চলুন এখন জেনে নেয়া যাক। পেয়ে নিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি কি কিভাবে ভেরিফিকেশন করতে হয়।

পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি

পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করার জন্য। আপনাকে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে পেয়োনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে হয়।

প্রথম ধাপ (পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন)

আপনার কাছে যদি পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা স্মার্ট কার্ড থাকে। তাহলে সেটি স্ক্যান কপি পেওনিয়ার এর সাপোর্ট mail পাঠিয়ে দিতে হবে।

এক্ষেত্রে মনে রাখবেন আপনার স্ক্যান করা ফাইল যাতে, বেশি মেগাবাইট না হয়। সর্বনিম্ন ৩ মেগাবাইটের মধ্যে পাঠাতে হবে।

[wp_show_posts id=”3303″]

আপনারা পেওনিয়ারের সাপোর্ট mail যে, ডকুমেন্ট পাঠাবেন সেটি মোবাইলে ছবি তোলার বিপরীতে কম্পিউটার স্ক্যান করে পাঠাবেন।

আর আপনারা যে কার্ড স্ক্যান করবেন সেটের সামনের দিকে এবং পেছনের দিকে ভালোভাবে স্ক্যান করবেন।

দ্বিতীয় ধাপ (পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন)

এখন অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং স্মার্ট কার্ড কোন কিছুই নেই। এক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলব আপনার কাছে যে, পুরাতন এন আইডি কার্ড রয়েছে। সেটি দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।

তার জন্য পুরাতন এন আইডি কার্ডের প্রথম অংশ এবং দ্বিতীয় অংশ স্ক্যান করতে হবে।

তারপর একটি কাগজে ভেরিফিকেশন এর তারিখ লিখবেন। তারপর কাগজের সবার উপরে লিখবেন পেওনিয়ার।

তারপর এক হাতে কাগজ এবং অন্য হাতে পুরাতন এন আইডি কার্ড নিয়ে নিজের একটি ছবি উঠাবেন। তারপর সেই ছবিটি এবং এনআইডি কার্ডের স্ক্যান করা কপি পেয়োনিয়ারের সাপোর্ট মেইলে পাঠিয়ে দিবেন।

তৃতীয় ধাপ (পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন)

এখন পেওনিয়ার একাউন্ট লগইন করে, Contact us অপশনে যাবেন। তারপর সেখানে Call us অপশন দেওয়া থাকবে। সেখানে ক্লিক করে কয়েকটি নাম্বার দেখতে পারবেন।

সেখানে একটি নাম্বার থাকবে ইউ এস এ এর বাইরে থেকে কল করার জন্য। তারপর গুগল এর হ্যাংআউট দিয়ে এসে নাম্বারটিতে কল দিতে হবে।

সে নাম্বারে কল দেওয়ার পর প্রথমে ইংরেজি ভাষায় সিলেটের জন্য 1 প্রেস করবেন। তারপর আপনার প্রিয় নেয়ার একাউন্টের কাস্টমার আইডি চাওয়া হবে।

আপনার কাস্টমার আইডি সংযুক্ত করবেন। তার কিছুক্ষণ পরে একজন কাস্টমার প্রতিনিধি আপনার কলটি গ্রহণ করবে।

[wp_show_posts id=”3308″]

আপনি তাকে বলবেন আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে চান। তারপর তিনি আপনার জন্ম তারিখ জানতে চাইবে।

জন্ম তারিখ বলার পর পেয়োনিয়ারে আপনার তিনটি সিকিউরিটি প্রশ্ন থেকে যেকোনো একটি উত্তর জানতে চাইবে। তার জন্য কল করার আগে তিনটি সিকিউরিটি প্রশ্নের উত্তর শিওর হয়ে নেবেন।

সিকিউরিটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পর কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি জানতে চাইবে। আপনার পেইনের অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছেন কিনা।

আপনি তার উত্তরে বলবেন হ্যাঁ অবশ্যই পেওনিয়ার সাপোর্ট মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর আপনার কাছ থেকে কিছুক্ষণ সময় নেবে ডকুমেন্টগুলো চেক করতে।

সকল প্রকার কাগজপত্র চেক করার পর আপনার ডকুমেন্ট ঠিকঠাক থাকলে সে আপনার পেইনের একাউন্ট ভেরিফিকেশন করে দিবে।

শেষ কথাঃ

আপনার যারা বিদেশে টাকা লেনদেন করার জন্য পেওনিয়ার একাউন্ট ব্যবহার করেন। তাদের অবশ্যই একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি জেনে নেয়া উচিত।

কারণ পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন না করলে, সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।

এছাড়া আপনারা যারা পেওনিয়ার একাউন্ট ব্যবহার করেন। তারা পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

এ বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করা রয়েছে। আপনার চাইলে সেটি পড়ে নিতে পারেন।

পেওনিয়ার সম্পর্কে আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর টাকা লেনদেন করার মতো বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

ধন্যবাদ…

Leave a Comment