প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে যারা জানতে চান? তারা সঠিক একটি ওয়েবসাইটের প্রবেশ করেছেন।

এখন আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠান এর উচ্চপ্রদস্থ কর্মচারী হন। বা কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তবে, আপনার অবশ্যই প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম
প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

প্রত্যয়ন পত্র আমাদের ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। চাকরির আবেদন থেকে শুরু করে, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য বিভিন্ন সামাজিক প্রয়োজনে, আমাদের প্রত্যয়ন পত্র লেখার দরকার হয়।

অনেকে হয়তো সঠিকভাবে, প্রত্যয়নপত্রের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানান।

তো যারা প্রত্যয়নপত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

প্রত্যয়ন পত্র কি ?

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম জানার আগে আপনাকে জানতে হবে প্রত্যয়ন পত্র কি? প্রত্যয়ন পত্র হচ্ছে এক প্রকার সনদপত্র। প্রত্যয়নপত্র এমন একটি সনদপত্র যা ব্যবহার করে কোন ব্যক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রত্যয়ন করা যায়।

পতন শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে আস্থা। কোন গণ্যমান্য ব্যক্তি আপনার ব্যক্তিগত কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্যের সত্যায়িত করে যে পত্র প্রদান করে থাকে সেটি হচ্ছে প্রত্যয়ন পত্র।

মনে করুন আপনার চরিত্র সত্যায়িত করে, আপনার এলাকার চেয়ারম্যান যে পত্র প্রদান করে তাকে প্রত্যয়ন করতে বলা হয়।

আবার আপনার ছাত্র জীবনে স্কুল থেকে আপনার ছাত্রত্ব এবং চরিত্রের সত্যায়িত করে যে পত্র প্রদান করা হয় সেটিও একটি প্রত্যাহার।

পত্র এছাড়া যে কোম্পানিতে চাকরি করেন সেখান থেকে আপনার কর্মদক্ষতা বা চরিত্রের সত্যায়িত করে যে পত্র প্রদান করা হয় সেটিও প্রত্যয়ন পত্র।

বিশেষ করে কোন গণ্যমান্য কোন ব্যক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রত্যয়ন মানে নাস্তা প্রদান করে যে, সনদপত্র প্রদান করা হয়। সেটি মূলত প্রত্যয়ন পত্র হিসেবে প্রমাণিত।

প্রত্যয়ন পত্র কত ধরণের হয় ?

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম, প্রত্যয়ন পত্রের ধরন অনুযায়ী আলাদা হয়ে থাকে। আমাদের বাংলাদেশে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের প্রত্যয়ন পত্র প্রচলিত আছে।

তো বাংলাদেশের যে সকল প্রত্যয়ন পত্র ব্যবহার করা হয়।

সেগুলো হচ্ছে-

  • মৃত্যু সনদ পত্র
  • জাতীয়তা সনদ পত্র
  • উত্তরাধিকার সনদ পত্র
  • ভূমিহীন সনদ পত্র
  • চারিত্রিক সনদ পত্র
  • মুক্তিযোদ্ধা সনদ পত্র
  • উপজাতি সনদ পত্র
  • বিবাহিত সনদ পত্র
  • বেকারত্ব সনদ পত্র
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পত্র পত্র
  • চাকরির প্রত্যয়ন পত্র
  • বিভিন্ন কোম্পানির প্রত্যয়ন পত্র

বাংলাদেশের মূলত উপরোক্ত ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রত্যয়ন পত্র গুলো বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন।

সকল প্রকার প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

আপনারা চাইলে বাংলাতে বা ইংরেজিতে যে কোন ভাষায় প্রত্যয়ন পত্র লিখতে পারবেন। তবে প্রত্যয়ন পত্র লেখার জন্য আপনাকে প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।

আপনারা যে সকল প্রত্যয়ন পত্র লিখেছেন সবগুলো প্রায় একই রকম হবে শুধুমাত্র প্রত্যয়ন পত্রের ধরন অনুযায়ী নাম পরিবর্তন হবে।

তো চলুন আমরা আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি। প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম নমুনা সমূহ।

চারিত্রিক সনদপত্র

এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, নামঃ (এখানে ব্যক্তির নাম লিখতে হবে), পিতার নামঃ (এখানে ব্যক্তির পিতার নাম লিখতে হবে), মাতার নামঃ এখানে ব্যক্তির মাতার নাম লিখতে হবে), গ্রামঃ (ব্যক্তির গ্রামের নাম লিখতে হবে), ডাকঘরঃ (এখানে ব্যক্তির ডাকঘরের নাম লিখতে হবে), ওয়ার্ড নংঃ (ব্যক্তি যে ওয়ার্ড নামে বসবাস করে সেটি উল্লেখ করতে হবে), ইউনিয়নঃ (ব্যক্তির যে ইউনিয়নের বাসিন্দা ইউনিয়নের নাম উল্লেখ করতে হবে), উপজেলাঃ (থানা বা উপজেলার নাম লিখতে), হবে জেলাঃ (ব্যক্তির যে জেলায় বসবাস করে সেই জেলার নাম উল্লেখ করতে হবে), আমার নিকট সে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত। আমার জানা মতে তিনি কোন রাষ্ট্র এবং সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। তার স্বভাব চরিত্র ভালো।

অতএব, আমি তার সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করছি।

স্বাক্ষর

সীলমোহর

তারিখঃ …………..

উপরোক্তার নমুনা অনুযায়ী আপনারা প্রতিটি প্রত্যয়ন পত্র লিখতে পারবেন। আমরা এখানে চারিত্রিক সনদপত্র নমুনা দেখিয়েছি।

এখন আপনার যে প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন হয়। সবকিছু ঠিক রেখে শুধু প্রত্যয়ন পত্রের নামটি পরিবর্তন করলেই হয়ে যাবে।

শেষ কথাঃ

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম। প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনারা বাংলাদেশে কোন ধরনের প্রত্যয়ন পত্র প্রচলিত আছে, সে বিষয়ে জানিয়ে।

এখন আপনার যে প্রত্যয়ন পত্র লেখার প্রয়োজন। সেটি উপরুক্ত নমুনা অনুযায়ী প্রস্তুত করে শুধুমাত্র প্রত্যয়ন পত্রের নাম পরিবর্তন করলেই হয়ে যাবে।

আপনি যদি কোন চাকরির জন্য প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে চান?

তাহলে আপনার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান করতে স্বাক্ষরিত চারিত্রিক প্রত্যয়ন পত্র লাগবে।

আবার আপনি যদি কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য প্রত্যয়ন পত্র সন্দেহ করতে চান? তাহলে, সরকারি প্রাথম গেজেটেড কর্মকর্তা করতে স্বাক্ষরিত প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে।

তো বন্ধুরা প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর আমাদেরকে ওয়েবসাইট থেকে। আরো বিভিন্ন ধরনের দরখাস্ত লেখার প্রক্রিয়া জানতে নিয়মিত ভিজিট করে ধন্যবাদ।

Leave a Comment