সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা ২০২৩ (সৌদি আরব ভিসা)

সৌদি আরব ভিসা : আমরা জানি দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা বন্ধ থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য আবার খুলে দেয়া হয়েছে সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা 2023।

সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাস এর মহামারী শুরু হওয়ার পরে বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশ থেকে আরবে লোক নেওয়া বন্ধ ছিল।

কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য, পুনরায় সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা চালু করে দেয়া হয়।

সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা ২০২৩ (সৌদি আরব ভিসা)
সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা ২০২৩ (সৌদি আরব ভিসা)

আমাদের এই আর্টিকেলের সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে, আজকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনি যদি সৌদি আরব কোম্পানি ভিসায় যেতে চান।তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য।

সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা ২০২৩

বর্তমানে অনেক মানুষ আছে যারা অনলাইনে সার্চ করে সব সময় জানার চেষ্টা করে সৌদি আরব ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে। এবং কিভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় সে নিয়ম জানার জন্য।

[wp_show_posts id=”3303″]

তাই আমরা আজ এই আর্টিকেলে আপনাকে জানিয়ে দিবো। সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে এবং সৌদি আরবের, আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে এছাড়া, অনলাইনে কিভাবে আবেদন করতে হয়, ভিসা প্রসেসিং খরচ কত।

তাই প্রথমে আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো সৌদি আরবের কিছু কোম্পানি ভিসার ক্যাটাগরী সম্পর্কে যেমন-

  • হজ ভিসা
  • ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • চিকিৎসা ভিসা
  • ভ্রমণ ভিসা ইত্যাদি

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার খরচ হতে পারে আনুমানিক 20,000/- (বিশ হাজার) রিয়াল।

এর পরিমাণ টি বাংলাদেশি টাকায় হতে পারে 45,000/- (পয়তাল্লিশ হাজার) টাকা।

সাধারণভাবে আমাদের বাংলাদেশ থেকে, সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করা হয়, বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে।

এজন্য সেসকল এজেন্সিকে কিছু অতিরিক্ত টাকা প্রদান করতে হয় কিন্তু আপনি চাইলে সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমেও সৌদি আরব কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

[wp_show_posts id=”3308″]

কিভাবে অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। সে বিষয়ে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিব। আপনি সৌদি আরব ভিসা সম্পর্কে নিচের তথ্যগুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন।

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ

আপনারা যদি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে চান তাহলে সৌদি আরব ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে।

আমরা খানের সৌদি আরব ভিসা বিশেষ করে সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা প্রসেসিং খরচ এর বিষয়ে তথ্য দেয়ার চেষ্টা করব।

বাংলাদেশ থেকে সাধারণত কয়েকটি ক্যাটাগরির সৌদি আরব ভিসা পাওয়া যায় যেমন-

  • আলেম মঞ্জিল ভিসা ও সাখাওয়াত আকাশ সাওয়াখাছ এ গমন করতে আপনার খরচ হতে পারে ১ লক্ষ ২৫ হাজার বা তার বেশি।
  • খাদ্দামা ভিসার জন্য আপনার খরচ হতে পারে প্রায় ১ লক্ষ ১০হাজার টাকা।
  • সৌদি আরব ভিসা প্রসেসিং খরচ হতে পারে ৬০ হাজার টাকা।
  • আলেম ভিসা প্রসেসিং খরচ হতে পারে ৬৫ হাজার টাকা।

এই আলোচনা থেকে আপনারা জেনে নিতে পারছেন যে সৌদি আরবের বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা সম্পর্কে। আলাদা আলাদা কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।

[wp_show_posts id=”3303″]

তার জন্য ভিসা আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। আপনি কোন ধরনের সৌদি আরব ভিসা করতে চান।

সৌদি আরব কোম্পানির তালিকা

আপনি যদি আরব কোম্পানিতে চাকরির উদ্দেশ্যে ক্ষেত্রে সৌদি আরবের, কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে শুরুতে জানতে হবে। কোম্পানির সুবিধা সম্পর্কে।

সৌদি আরবে কোন ধরনের কোম্পানিগুলো ভালো। সে বিষয়ে জ্ঞান রাখাটা প্রয়োজন। কারণ কোম্পানি যদি ভালো না হয়। তাহলে আপনি বেতন ও সিকিউরিটি পাবেন না।

তার জন্য এখন আমরা সৌদি আরবের কিছু জনপ্রিয় কোম্পানির তালিকা সম্পর্কে দেখিয়ে দেবো। তার মধ্যে আপনি কয়েকটি কোম্পানি টার্গেট করে ভিসার জন্য প্রস্তুত হতে পারেন।

[wp_show_posts id=”3303″]

এরামকো কোম্পানি:

এটি হচ্ছে সৌদি আরবের তেল পরিশোধনের কোম্পানী। এটি শুধুমাত্র সৌদি আরবে নয় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি। আমার করতে প্রতিবছর বাংলাদেশে সহ আরো অন্যান্য দেশ থেকে লোক নিয়োগ দেয়া হয়।

এবার কোম্পানির সুবিধা হচ্ছে আরবের বেশকিছু সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানি আছে যারা প্রতিবছর বাংলাদেশে থেকে অনেক মানুষ নিয়ে থাকে কাজ করানোর জন্য।

আপনি যদি সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা পেতে চান। তাহলে এই কোম্পানিটি বেছে নিতে পারেন কাজ করার জন্য।

আলমারাই কোম্পানি

আলমারাই কোম্পানি শুধুমাত্র সৌদি আরবে নয়। এটি সারা বিশ্বের নামকরা একটি কোম্পানি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই কোম্পানিতে মানুষ কাজ করার জন্য আসে।

কিন্তু বিশেষ করে, বাংলাদেশ ভারত এবং পাকিস্তান থেকে, বেশি সংখ্যক মানুষ এ কোম্পানিতে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকে।

এ কোম্পানিতে কাজ করার বেতন শুরুতে দেওয়া হয় 1000 রিয়াল হতে 1200 রিয়াল পর্যন্ত।  এছাড়া থাকা খাওয়ার সুবিধা থাকছে এই কোম্পানির পক্ষ থেকেই।

[wp_show_posts id=”3308″]

এছাড়া প্রতি বছর মাসের ছুটি ওভারটাইম ডিউটি করার সুযোগ দেওয়া হয়। মানে কাজের তুলনায় অতিরিক্ত কাজ করে আয় করা সম্ভব।

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বা অন্যান্য দেশ থেকে সৌদি আরব যেতে চান। তাহলে সেখানে কোন কাজের চাহিদা বেশি সেটা আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক ভিসা বা কাজের ভিসা এছাড়া ফ্রি ভিসায় প্রতি বছর অনেক পরিমানের লোক সৌদি আরবে গমন করে। তাছাড়া, বিভিন্ন কোম্পানি সৌদি আরব এর কোম্পানি ভিসা প্রদান করে।

তার জন্য আপনি যদি সৌদি আরব যেতে চান। তবে, আপনার আগে ভালো করে জানতে হবে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা অনেক বেশি।

সৌদি আরবে মূলত নির্মান শ্রমিকদের কাজের চাহিদা অনেক বেশি। এছাড়া, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ইলেক্টনিক টেকনিশিয়ান এই সকল কাজের চাহিদা  সৌদি আরবে বেশি।

আপনি সৌদি আরব যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই সেই কাজ গুলোর উপর অভিজ্ঞতা নিয়ে তার পরে সৌদি যেতে হবে।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হলো সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে। আপনি যদি সৌদি আরব যেতে চান।

তাহলে আপনাকে অবশ্যই কোন না কোন কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে, তারপর কোম্পানি ভিসার আবেদন করতে হবে।

কারণ আপনি যদি কোন কাজ না জানেন। সে ক্ষেত্রে সেখানে আপনি কোন ইনকাম করতে পারবেন না। তাই আমরা যে তথ্যগুলো আপনাকে দিলাম সেগুলো অনুসরণ করে আপনারা অবশ্যই সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা করে নিবেন।

আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন। আর বিশেষ করে বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে জানতে চাইলে, আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment