সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম

সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম : বর্তমান সময়ে আমরা যারা বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির সিম ব্যবহার করে থাকি।

কোন কারণবশত যদি আমাদের ব্যবহার করা সিম কার্ড হারিয়ে যায়। তবে আমরা অনেকেই সেই সিম কার্ডের রেজিস্ট্রেশন বাতিল না করেই রেখে দেই।

সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম
সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম

যার ফলে পরবর্তী সময়ে আমাদেরকে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

তো আপনার যে কোন কোম্পানির ব্যবহার করা সিমকার্ড যদি হারায়। বা আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এন আইডি কার্ড দিয়ে কেউ যদি সিম তুলে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনারা সে ব্যবহৃত সিম গুলো বন্ধ করে দিবেন।

তো আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র / ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। সেটি আগে যাচাই করে নিতে হবে।

আপনি যদি দেখেন আপনার নামে অনেকগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। সেগুলো আপনি ব্যবহার করছেন না। তার মানে আপনি ভেবে নিবেন আপনার সিম অন্য কেউ ব্যবহার করছে।

সেজন্য আপনারা অতিরিক্ত সিম বন্ধ করে দিবেন। আপনি যদি সিম গুলো বন্ধ না করেন। সেক্ষেত্রে আপনারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

বিশেষ করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সিম রেজিস্ট্রেশন করে নিয়ে, অনেক ধরনের আইনগত অপরাধে লিপ্ত হয় সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনি ফেঁসে যাবেন।

তাই আপনার হারানো সেইম এবং অন্য কেউ ব্যবহার করছে এ ধরনের সিম গুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্ধ করে দিবেন।

তো অনেকে প্রশ্ন করে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম কি? তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম

শিব বাতিল করার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে, সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা সেটি ভালোভাবে যাচাই করতে হবে।

তো কিভাবে আপনারা সেম রেজিস্ট্রেশন কার নামে যাচাই করবেন। সে বিষয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেব।

তো আপনি যদি একান্ত ভাবে জানতে চান? আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে।

সেজন্য আপনার মোবাইলের ডায়াল অপশনে গিয়ে *16001# কোড টাইপ করুন। তারপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড এর লাস্ট চার ডিজিট যুক্ত করুন।

তারপরে আপনাকে একটি মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে আপনি যদি দেখেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড দিয়ে অনেকগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।

তবে সে সিম গুলো বাতিল করার জন্য কয়েকটি মাধ্যম আছে। সে বিষয়ে আমরা এখানে বিশেষ ভাবে আলোচনা করেছি। সেগুলো হচ্ছে-

হেল্পলাইনে কল করে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করুন

আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিম আপনার কাছে রয়েছে। আপনি চাইলে সেই সিমটি বাতিল করার সেক্ষেত্রে, আপনি সেই সিম নাম্বার থেকে হেল্পলাইন নাম্বারে কল করবেন।

তো আপনি যদি হেল্প লাইনে কল করে, সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে চান? সে ক্ষেত্রে আপনাকে হেল্প লাইনের প্রতিনিধিরা কিছু কথা জানতে চাইবে।

আপনি যদি তার সঠিক জবাব দিতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে নিতে পারবেন।

বিশেষ করে, তারা আপনার কাছে জানতে চাইবে, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর আপনি যদি ঠিকঠাক ভাবে বলতে পারেন। তাহলেই সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেবে।

কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করুন

আপনি যদি কোন কারণবশত সিম হারিয়ে ফেলেন। বা কোন ব্যক্তি আপনার সিম ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার যাবতীয় আইডেন্টিটি প্রমাণ নিয়ে, আপনার নিকটবর্তী কাস্টমার কেয়ারে যাবেন।

[wp_show_posts id=”3308″]

তারপর সিম একটিভ করার কথাগুলো তাদেরকে বলবেন। তারপর তারা আপনার কাছ থেকে আইডেন্টিটি প্রমাণ নিয়ে আপনার সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেবে।

তো আমরা এখানে কয়েকটি সিম অপারেটরের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি।

বাংলালিংক সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম

ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে চান। তাহলে আপনারা সরাসরি ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে নিকটবর্তী বাংলা লিংক সিম কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিষয়ে বিস্তারিত খুলে বলুন।

তারপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড এর নাম্বার দিয়ে বাংলালিংক সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেবে।

রবি সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম

আবার আপনি যদি রবি সিম ব্যবহার করে থাকেন। বা আপনার আইডি কার্ড দিয়ে কেউ রবি সিম রেজিস্ট্রেশন করেছে। সেটি বাতিল করতে চান। তাহলে আপনার নিকটবর্তী রবি সিম কাস্টমার কেয়ারে যাবেন।

তারপর তাদেরকে রবি সিম বন্ধ করার বিষয়ে, জানাবেন। তারা আপনার কাছে আইডি কার্ডের প্রমাণ চাইবে, আপনি যদি সঠিকভাবে আইডি কার্ডের তথ্য দিতে পারেন তাহলে রবি সিম চলতে 24 ঘন্টার মধ্যে বাতিল করে দেবে।

জিপি সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম

এছাড়া আপনারা যারা জিপি সিম ব্যবহার করেন। তারা রবি সিমের মত পদক্ষেপ গ্রহণ করে খুব সহজে কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধিদের দ্বারা জিপি সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে নিতে পারবেন।

আর জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রমাণপত্র দিলে চলতে 24 ঘন্টার মধ্যে জিপি সিম বাতিল করে দেয়া হবে।

তো এরকম ভাবে আপনারা চাইলে যে, কোন সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিতে পারবেন খুব সহজে।

শেষ কথাঃ

আপনারা যারা সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপরোক্ত আলোচনা অনুসরণ করে, খুব সহজেই সিম কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করে, 24 ঘন্টার মধ্যে সঠিক প্রমাণ দিয়ে সিম বাতিল করতে পারবেন।

তো সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে আপনার যদি আরো কোন মতামত জানার থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

ধন্যবাদ…

Leave a Comment