স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব

স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব – আমাদের বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্টুডেন্ট মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। মধ্যবিত্ত পরিবারের স্টুডেন্টরা আর্থিক ভাবে এতটা সচ্ছল নয়।

তাছাড়া আপনি যদি স্টুডেন্ট জীবনে, নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতে চান? তাহলে অনলাইন সেক্টরে পার্ট টাইম জব করতে পারবেন।

স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব

তো যারা সচেতন স্টুডেন্ট রয়েছেন, তারা পার্ট টাইম জব করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি বাড়তি টাকা জমাতে পারবেন।

তাই আপনারা যারা পার্ট টাইম জব করতে চান? তারা আজকের এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন। এমন কিছু অনলাইন সেক্টর এর জব।

যা নিজের ঘরে বসেই পড়াশোনার পাশাপাশি করতে পারবেন। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় ব্যয় করে।

তাই আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি।

স্টুডেন্টদের জন্য অনলাইন পার্ট টাইম জব

স্টুডেন্টদের জন্য অনলাইন পার্ট টাইম জব বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত। তার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হচ্ছে স্টুডেন্টদের জন্য অনলাইন পার্টটাইম জব।

এক্ষেত্রে একজন স্টুডেন্ট নিজের ঘরে বসে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করবে। তাকেই অনলাইন পার্ট টাইম জব বলা হয়।

বর্তমানে আমাদের দেশে অসংখ্য স্টুডেন্ট অনলাইনে পার্ট টাইম জব করে পড়াশোনার খরচ নিজে চালাচ্ছেন। তাই আপনি যদি ইচ্ছা করেন অনলাইনে জব করতে পারবেন।

অফলাইনের তুলনায় অনলাইন পার্টটাইম জব গুলো করতে অনেক সুবিধা হয়।

আপনি যদি অফলাইনে কোন স্টুডেন্ট কে টিউশনি করান। সে ক্ষেত্রে আপনি সেই শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে পড়াতে হবে। আপনি মাস শেষে যে টাকা পাবেন সেটি আপনার যাতায়াত খরচ করেই শেষ হয়ে যাবে।

আপনারা যদি এই ঝামেলা পোহাতে না চান? সে ক্ষেত্রে অনলাইন জব শুরু করতে পারেন। কি কি মাধ্যমে অনলাইন সেক্টরে স্টুডেন্ট হিসেবে জব করতে পারবেন। সে বিষয়ে আমরা এখানে জানিয়ে দেবো।

ফেসবুক থেকে আয়

বর্তমানে স্টুডেন্টের জনপ্রিয় একটি অনলাইন ইনকামের মাধ্যম হচ্ছে, ফেসবুক। দেখা যায় একজন স্টুডেন্ট দিনের বেশি সময় ফেসবুকে নষ্ট করে থাকে। যার ফলে তাদের কোন কাজে আসে না।

এখন আপনি যদি ফেসবুকে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন। তাহলে কিন্তু টাকা ইনকাম করার পথ খুঁজে নিতে পারবেন।

ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার প্রথম উপায় হচ্ছে ফেসবুক বিজনেস পেজ থেকে। ফেসবুক বিজনেস পেজের মাধ্যমে আপনি যদি মনিটাইজেশন নিতে পারেন।

তবে এখান থেকে প্রতি মাসে ফেসবুক আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা প্রদান করবে।

তার জন্য আপনাকে একটি সুন্দর এবং ইউনি ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করতে হবে। তার পাশাপাশি ফেসবুকে ভালো ভালো ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে হবে।

ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করার সময় আপনাকে দুইটি বিষয়ে নজর রাখতে হবে। প্রথমত আপনাকে সম্পূর্ণ ইউনিক ভাবে নিজের খাটিয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে।

আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে সর্বনিম্ন তিন মিনিটের হতে হবে। আপনি যদি এই শর্ত অনুসরণ করে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করতে পারেন। তাহলে ভালো পরিমানের টাকা মাসে রোজগার করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার যদি ফেসবুক পেজের জন্য ভিডিও তৈরি না করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনারা বিভিন্ন ধরনের পণ্যের মার্কেটিং করতে পারবেন।

ফেসবুকে পণ্যের মার্কেটিং বলতে, আপনারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। বিশেষ করে, আমাজন মার্কেটপ্লেসে একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে।

তাদের পণ্য গুলো আপনার ফেসবুক পেজে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন। এবং পণ্য বিক্রি করার যে, লভ্যাংশ আসবে সেখান থেকে আপনাকে কমিশন হিসেবে দেয়া হবে।

ইউটিউব থেকে আয়

বাংলাদেশে বা দেশের বাইরে এমন কোন স্টুডেন্ট নেই, যারা ইউটিউব ব্যবহার না করে। স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে, যে কোন শ্রেণীর মানুষ আজ youtube এ সময় অপচয় করে থাকে।

তাই আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হিসেবে, youtube থেকে আয় করতে চান? তাহলে অবশ্যই একটি ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হবে।

আর কিভাবে আপনারা ইউটিউব থেকে পুরোপুরি ভাবে, ইনকাম করতে পারবেন। সে বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে অসংখ্য আর্টিকেল পাবলিশ করা রয়েছে আপনারা সেগুলো অনুসরণ করে জানতে পারবেন।

একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা অনেকটাই সহজ ব্যাপার শুধুমাত্র একটি জিমেইল একাউন্ট দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা যায়। ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে তৈরি করতে হয়। সে বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইট আর্টিকেল পরেই জেনে নিতে পারবেন।

আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন থেকে শুরু করে, কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের মাধ্যমে সহজেই ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে নিতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেল বানানোর পর আপনাকে সেটি ভালোভাবে কাস্টমাইজ করতে হবে।

তারপর আপনি যে বিষয়ে বেশি পারদর্শী সেই বিষয়ে অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করে পাবলিশ করবেন।

আর যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিডিও কনটেন্ট হবে। বিশেষ করে ২০ থেকে ৩০ কন্টেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন।

সে সময় আপনারা ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য গুগল এডসেন্স এর আবেদন করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স আবেদন করার জন্য আপনাকে ইউটিউবের কিছু পলিসি অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।

ইউটিউবের যে শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে, আপনারা ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করতে পারবেন। সেই শর্তগুলো হচ্ছে-

  • কোন প্রকার কপিরাইট ভিডিও আপলোড করা যাবে না।
  • এক বছরের মধ্যে এক হাজার সাবস্ক্রাইব পূরণ করতে হবে।
  • এক বছরের মধ্যে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে।

আপনি যদি এই শর্তগুলো পূরণ করতে পারেন। তাহলে খুব সহজে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন নিয়ে বিজ্ঞাপন দেখে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন একজন স্টুডেন্ট হিসেবে।

কনটেন্ট রাইটিং করে আয়

আপনার যারা লেখাপড়ার পাশাপাশি অনলাইন জব করতে চান? তাদের জন্য অনলাইন সেক্টরে সবথেকে জনপ্রিয় টাকা ইনকাম করার মাধ্যম হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং।

বিশেষ করে আপনারা যারা স্টুডেন্ট অবস্থায় লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকে। তাহলে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের দেওয়া ইংরেজি কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে যারা ইংরেজিতে দুর্বল হয়ে থাকেন। তারা বাংলাদেশী বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে বাংলা লিখে ইনকাম করতে পারবেন।

তাই আপনার যারা কন্টেন্ট রাইটিং জব করতে চান তারা জে-আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম-এ একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করে লেখালেখি করে, ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।

শেষ কথাঃ

আপনার যারা স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইন পার্টটাইম জব করতে চান? তারা উপরোক্ত কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে, মাসে সে ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আপনি যদি স্টুডেন্ট হিসেবে প্রতিদিনের খরচ চালাতে চান? সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে পরামর্শ দিব আপনারা কন্টেন রাইটিং এর কাজ শুরু করতে পারেন।

যার মাধ্যমে আপনারা প্রতিদিন ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। তো অনলাইন ইনকাম বিষয়ে আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এছাড়া, আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয় করার। সকল প্রকার সমস্যার সমাধান জানতে, নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment