ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কত দিন লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কতদিন লাগে : জাতীয় পরিচয় পত্র এন আইডি কার্ড সংশোধন করা অনেক সহজ কাজ আবার অনেকের কাছে অনেক কঠিন কাজ।

জাতীয় পরিচয়পত্র ভোটার আইডি কার্ড কোথায় সংশোধন করা হয়? ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কিভাবে হয়। এছাড়া ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন লাগে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কত দিন লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কত দিন লাগে

তো বন্ধুরা আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার যাবতীয় তথ্য জানতে চান। তারা আমাদের ওয়েবসাইটের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে করুন।

আমরা আশা করি, আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত সকল তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে অনেক লোক রয়েছে যারা সঠিক পরামর্শ না নিয়ে অল্প কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করে, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করে ফেলেন।

তাদের আবেদন অনুমোদন পেতে, অনেক অনেক সময় লেগে যায়। আর বারবার বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র যা হয়।

[wp_show_posts id=”3303″]

তাই তারা বিভিন্ন ধরনের ভোগান দিতে পড়ে যায়্ জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন সময় লাগে। এ বিষয়ে জানতে আমরা আর্টিকেলটি প্রস্তুত করেছি।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কিভাবে হয়?

জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হয় আবেদনের সাথে জমাকৃত কাগজপত্র এর উপর ভিত্তি করে। এনআইডি কার্ডে অনেকের অনেক ধরনের ভুল থাকতে পারে।

মনে করুন আপনার ভোটার আইডি কার্ডে নিজের নাম ভুল আছে। মোঃ আব্দুল সামাদ এর জায়গায় মোঃ আব্দুল সমেদ হয়েছে।

এখন এটি সঠিক করতে চাইলে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে হবে। আপনাদের সাথে উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে সংশোধনের জন্য। কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, আপনার নাম মোঃ আব্দুল সমেদ না বরং মোঃ আব্দুল সামাদ।

এখন আপনি চিন্তা করে দেখবেন কি কি কাগজে আপনার নাম সঠিকভাবে লেখা আছে। উক্ত সকল ডকুমেন্ট ভোটার তথ্য সংশোধনের আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

আপনার চাহিত নাম বা তথ্যের স্বপক্ষে যত বেশি কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন। তত দ্রুত ভিত্তিতে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন অনুমোদন হবে।

অল্প পরিমাণের কাগজপত্র দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন করলে। সে আবেদন নিষ্পত্তি নাও হতে পারে।

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে। যারা ভোটার আইডি কার্ডে অনুরোধ ভুল সংশোধনের জন্য শুধু মাত্র জন্ম নিবন্ধন দিয়ে থাকে্ যার ফলে তাদের ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হয় না।

কারণ বর্তমান সময়ে লোকেরা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বসবাস করছে। সেক্ষেত্রে হতে পারে, সেই ব্যক্তি বিবাহিত, সন্তান রয়েছে। কোন শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট নেই। কিন্তু স্কুল পরিত্যাগের ছাড়পত্র রয়েছে।

এ ধরনের ব্যক্তিরা যদি তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদের সাথে। স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র কপি, সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং স্কুল সার্টিফিকেটের কপি প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর প্রত্যয়ন পত্র আবেদনের সাথে সাবমিট করেন।

তবে এ সকল কাগজপত্র উল্লেখিত সঠিক নাম তার ভোটার আইডি কার্ডে সংশোধনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তাই বলা যায় ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন এর সাথে দাখিলকৃত কাগজপত্রের উপর নির্ভর করে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কোথায় হয়?

জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করলে প্রথমত আবেদন হেড অফিসে পৌঁছে যায় সেখান থেকে আবেদন গুলোর জটিলতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রাখা হয় যেমন-

  • ক-কাটাগরি
  • খ-কাটাগরি
  • গ-কাটাগরি
  • ঘ-কাটাগরি

অনেক লোক ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করার পরে অফিসে খোঁজ নিতে গেলে অফিস থেকে বলা হয়।

আপনার আবেদন বিভাগীয় পর্যায়ে চলে গেছে আমাদের এখানে নেই। প্রয়োজনে আপনি সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন। অফিস থেকে কেন বলে এ ধরনের কথা কারণ আপনার আবেদন যে, ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত আছে। সেটি বিভাগীয় পর্যায়ে থেকে সংশোধিত হবে উপজেলায় পর্যায় থেকে হবে না।

(ক) ক্যাটাগরি আবেদন

জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করার পরে যদি দেখা যায় যে ভুলগুলো ছোট সাধারণ ভুল হয় তবে সেগুলো উপজেলা পর্যায়ে প্রেরণ করা হয় যাকে কে ক্যাটাগরিতে নির্ধারণ করে।

মূলত, (ক) কাটাগরির আবেদন সমূহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকেই সংশোধন হয়।

(খ) ক্যাটাগরি আবেদন

যদি তথ্যগুলো একটা জটিল প্রকৃতির ভুল হয়ে থাকে সেগুলো জেলা পর্যায়ে প্রেরণ করা হয়। এবং আবেদন গুলো খোকাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে, যায় (খ) ক্যাটাগরির আবেদন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসার এর অধীনে থাকে এবং সেখান থেকে সংশোধন হয়।

(গ) ক্যাটাগরি আবেদন

ভোটার আইডি কার্ডে জটিল জটিল ভুলগুলো হলে সেগুলো গকাটাগরিতে প্রেরণ করা হয়। (গ) ক্যাটাগরির আবেদন সমূহ আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসারদের কার্যালয় থেকে সংশোধিত এবং বাতিল করা হয়।

(ঘ) ক্যাটাগরি আবেদন

ভোটার আইডি কার্ডের জটিল থেকে জটিলতার ভুলগুলো হয়ে থাকলে সেগুলো (ঘ) কেটাগরিতে প্রেরণ করা হয়ে থাকে। আর আবেদনসমূহ হেড অফিসের অধীনে থাকে। এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সংশোধনের যাবতীয় কাজ।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে?

জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে, কতদিন লাগে এ বিষয়ে সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবেনা। কারণ এটি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যস্ততা এবং কি পরিমান আবেদন প্রতিদিন জমা হয় তার ওপর নির্ভর করে।

কিন্তু উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এর যে সকল আবেদন গুলো আসে সেগুলো খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়।

এক্ষেত্রে বিভাগীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট জেলা এবং উপজেলা সমূহ এর সকল জটিল ও কঠিন আবেদন জমা হয়। বিধায় সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয় না একটু বেশি সময় লেগে যায়।

এছাড়া জটিল জটিল আবেদন গুলো সিদ্ধান্ত সঠিক তদন্ত না করে নেওয়া হয় না। আবেদনের সাথে জমা দেওয়ার কাগজপত্র এবং তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের।

মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কতদিন লাগে সে বিষয়ে চিন্তা করে সময় নষ্ট না করাই ভালো। আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ডে কোন প্রকার ভুল থেকে থাকে। তবে সেটি সংশোধনের জন্য দ্রুত আবেদন করে দেওয়া উত্তম।

তাহলে কখনো না কখনো ভুল গুলো সংশোধন হয়ে সঠিক সময়ে চলে আসবে। জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন লাগে।

সে বিষয়ে চিন্তা করার কোন কারণ নেই কারণ অফিস তার কর্মব্যস্ততা নিয়ে নিজেদের গতিতে চলতে থাকবে।

যখন আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হবে। তখন আপনাকে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এছাড়া আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে আপলোড করা দেয়া হবে। আপনার সেখান থেকে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন।

আর ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কতদিন লাগে এ বিষয়ে অযথা চিন্তা না করে। আপনারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে বসে থাকুন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হওয়ার পর সেটি আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে।

আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত আরো নতুন নতুন তথ্য জানতে, নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment