বর্তমানে টিন সার্টিফিকেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। যা আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্যই প্রয়োজন। তাই আপনারা দেখলে, এমন কোন মানুষ খুঁজে পাবেন না যার টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন নেই।
বিশেষ করে দেশের বৈধ নাগরিক তাদের দেওয়া বাধ্যতামূলক। ট্যাক্স দেওয়ার জন্য হলেও টিন সার্টিফিকেট থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
যখন আমাদের টিন সার্টিফিকেট দরকার পড়ে তখন আমরা ২০০/- টাকা ২৫০/- টাকা খরচ করে, অন্য কারো সাহায্য নিয়ে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করে থাকি।
কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে, যারা এখনো জানে না। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই নিজের ঘরে বসে সম্পূর্ণ ফ্রিতে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করা যায়।
তাই আপনি যদি কোন প্রকার টাকা খরচ না করে, টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে চান? এবং টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে চান? আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
টিন সার্টিফিকেট তৈরী করার নিয়ম
আপনি যদি টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে চান তাহলে, আমরা কিছু পদক্ষেপ জানিয়ে দেবো। সে পদক্ষেপ অনুযায়ী কাজ করতে পারলে, অল্প সময়ের মধ্যে নিজের ঘরে বসে ফ্রিতে টিন সার্টিফিকেট বানিয়ে নিতে পারবেন।
তো চলুন দেখে নেয়া যায়, টিন সার্টিফিকেট তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে।
পদক্ষেপ- 1
টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। তারপর অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার পেজে আপনার নাম, আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্টার করবেন। টিন সার্টিফিকেট এই সাধারণ প্রক্রিয়ায় তৈরি করে নিতে পারবেন।
আমি আপনার সুবিধার্থে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করার যে, ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্টার করতে হবে তার একটি লিঙ্ক যুক্ত করে দিচ্ছি। ক্লিক করুন।
- উপরে উল্লেখিত লিংকে ক্লিক করে, ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে, একই ফর্ম পেয়ে যাবেন। সেখানে থাকা (USER ID) এর বক্সে আপনার নাম এর সাথে শব্দ মিলিয়ে লিখবেন। সর্বনিম্ন আটটি শব্দ থাকতে হবে।
- তারপর পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য দুইটি অপশন পেয়ে যাবেন। আপনার নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড সেই দুটি বক্সে যুক্ত করে দিবেন।
- সিকিউরিটি অপশনে গিয়ে আপনার পছন্দমত যে কোন একটি প্রশ্ন বাছাই করে উত্তর লিখে দিবেন।
- কান্ট্রি অপশন থেকে বাংলাদেশের হয়ে থাকলে বাংলাদেশ সিলেক্ট করে দিবেন।
- তারপর ই টিন অ্যাক্টিভেশন করার জন্য সচল মোবাইল নাম্বার যুক্ত করবেন।
- পরবর্তী ঘরে ইমেইল এড্রেস যুক্ত করে দিবেন।
- সর্বশেষ ভেরিফিকেশন লেটার নামে একটি অপশন দেখবেন। সেখানে কিছু অক্ষর দেয়া থাকবে। এবং সংখ্যা দেয়া থাকবে সে গুলোর সঠিক ভাবে লিখে।
- নিচে থাকা রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করে দিবেন।
সঠিকভাবে ফরম কে পূরণ করে বেস্ট বাটনে ক্লিক করলে, আপনাকে ওটিপি কোড এসএমএসের মাধ্যমে পাঠাবেন। আপনি ইতিমধ্যে যে মোবাইল নম্বরটি ফর্মে যুক্ত করেছিলেন সেই নম্বরে কোডটি চলে আসবে।
আপনারা কোটি সংগ্রহ করে, নির্দিষ্ট বক্সে একটিভ করে দিবেন। তারপর সম্পূর্ণ ভাবে আপনার একাউন্টটি রেজিস্ট্রার্ট হবে।
এখন একাউন্টে সঠিকভাবে রেজিস্টার্ড হয়ে গেলে আপনাকে লগইন পেজে ক্লিক করে, ফিউচার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
লগইন করার পরে, আপনার একটু নিচে গেলে, (For TIN Registration বা Re Registration Click Here) বাটনটি দেখতে পারবেন সেখানে ক্লিক করে দিবেন।
পদক্ষেপ- 2
টিন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন পেজে যাওয়ার পরে আপনার একটি সম্পাদন। তারপর সেই ফর্মটি পূরণ করার জন্য যে তথ্যগুলো দিবেন সেগুলো হল-
- একাউন্টের ধরন সিলেক্ট করে, আপনার পরিচিতির ধরন বাছাই করে নিবেন। যেমন- ব্যক্তিগত হলে, (Individual) অন্যদিকে কোম্পানি হলে, (Company) সিলেক্ট করবেন।
- রেজিস্টারের ধরন অপশন থেকে নিউ রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করবেন।
- আয়ের প্রধান উৎস অপশনে আপনার ব্যক্তিগত বা কোম্পানির ইনকামের উৎস উল্লেখ করবেন।
- Location of Income Source এখানে আপনার জেলার নাম বাছাই করবেন।
- Businesses (Individual /Firm) থেকে আপনার লোকেশন সিলেক্ট করবেন।
- তারপর লোকেশন অপশন থেকে আপনার জেলা বাছাই করে নিবেন।
সকল তথ্য সংযোজন হয়ে গেলে (Go To Next) ক্লিক করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার জন্য আরেকটি ফর্ম পেয়ে যাবেন। সেখানে আপনার নাম, ঠিকানা, এন আইডি কার্ড নাম্বার এবং জন্ম তারিখ উল্লেখ করবেন।
পরবর্তী অপশনে আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা যুক্ত করবেন। আপনাদের তথ্য গুলো পরবর্তীতে ফাইনাল প্রিভিউতে দেখতে পারবেন।
নিচে থাকার টিক চিহ্নতে ক্লিক করে টিক মার্ক দিয়ে সাবমিট অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার ফ্যামিলি কার্ডের নাম্বার সঠিক থাকলে আপনার সবই সহজ যাবতীয় তথ্য দেখানো হবে।
সঠিকভাবে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে আপনার টিন সার্টিফিকেট তৈরি করে নিতে পারবেন। আর সর্বশেষ কাজ হল টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা।
টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে চাইলে, আপনাকে তৈরি করা একাউন্টে প্রবেশ করে, ভিউ সার্টিফিকেট নামে একটি অপশন পাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই, টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
- নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
- Online NID Correction BD National ID Card (আইডি কার্ড সংশোধন)
- রকেট অ্যাপ দিয়ে এনআইডি কার্ডের ফি পরিশোধ করার নিয়ম
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা টিন সার্টিফিকেট তৈরি ও টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়ম জানতে চেয়েছিলেন। তাদের সুবিধার্থে উপরের আলোচনায় আমরা ধাপে ধাপে তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এখন আপনি যদি আমাদের দেওয়া পদক্ষেপ অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। তাহলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে টিন সার্টিফিকেট নিজের ঘরে বসেই বানিয়ে নিতে।
ধন্যবাদ।