নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ৭ টি টিপস

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার টিপস : কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হয়। তা বেশিরভাগ লোকের কাছে, বেশ অজানা একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে, এটি সম্পূর্ণভাবে বোধগম্য একটি ব্যাপার। যেকোনো ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার বিষয়টি কিন্তু, একজন নতুন ব্যক্তির জন্য সত্যিই কঠিন হয়ে যেতে পারে।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ৭ টি টিপস
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ৭ টি টিপস

বিশেষ করে যারা ফ্রিলেন্সিংকে নিজের প্রধান কাজ হিসেবে গ্রহণ করতে চান? তাদের কাছে জিনিসটা জটিল মনে হতে পারে। কিন্তু এটা সত্য যে বর্তমানে সারা পৃথিবীতে প্রায় তিনশত লক্ষ’র মানুষ ফ্রীলান্সিং করছে।

তার জন্য তোমাদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করাটা মোটেও অসম্ভব কিছু নয়। তাই আপনি যদি full-time ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার চিন্তা করেন। আপনি যদি একটা উপার্জনের জন্য একটি পার্ট-টাইম ফ্রীলান্সিং জব শুরু করতে চান, তাহলে আপনি সঠিক খুঁজছেন।

তা কারণ আপনার ভবিষ্যতকে আর্থিক এবং পেশাগত ভাবে, সুরক্ষিত করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং অনেক দুর্দান্ত উপায়। তাই আজ আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেবো। নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সেরা কিছু টিপস সম্পর্কে।

তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় টিপস সম্পর্কে জানতে চান? তবে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ৭ টি টিপস

একজন ফ্রিল্যান্সারের পেশাগত জীবনে, অগুণিত সুবিধা আছে। মনে করুন আপনি যে ধরনের কাজ করেন এবং যার সাথে কাজ করবেন। সেগুলো বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে।

তার সাথে আপনি প্রজেক্টে কতটা সময় দিবেন এবং কোথা থেকে কাজ করবেন সেটি সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। অনেকের মতে ফ্রীলান্সিং হচ্ছে সত্যিই আনন্দদায়ক ইনকামের একটা প্রক্রিয়া।

যা স্বাধীন জীবনযাত্রা বজায় রেখে বেঁচে থাকা দুর্দান্ত সুযোগ করে দিতে পারে, আর এটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। সৌভাগ্যবশত, যেকোনো ব্যক্তি এমন কি আপনিও একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করে দিতে পারবেন।

এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে এবং ভবিষ্যৎ কে সুন্দর করতে আমাদের আর্টিকেল সাজানো হয়েছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কিছু টিপস সম্পর্ক নিয়ে্। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার মানসিকতা থাকা একান্ত জরুরী।

তার কারণ, এখানে আপনাকে আপনার ইনকামের উপায় খুঁজে বের করে, তাদের উপার্জনের রাস্তা নিজে করে নিতে হবে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করার কার্যকরী টিপস গুলো সম্পর্কে।

01. নিজেকেই আপনার বস মনোভাবটা বজায় রাখুন

ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে শুধুমাত্র দক্ষতা থাকলেই হবে না। বরং একটা সঠিক মানসিকতা থাকতে হবে। যত আপনার ফ্রীলান্স ক্লায়েন্ট থাকুক না কেন? তারা যত আপনাকে কাজ বা টাকা প্রদান করুক তাদের কেউ আপনার বয়স হবে না।

উল্টে আপনি হচ্ছেন আপনার কাজের বস। নিজের নিজের অবশ্যই জনপ্রিয় ব্যাপার। তবে অভ্যাস না থাকলে এই বিষয়টার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে, কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে।

যারা প্রথম থেকে 9:00 টু 5.00 টায় চাকরিতে অভ্যস্ত। তাদের কাছে, নিজে নিজে বস মানসিকতা গড়ে, তোলাটা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

তার জন্য, নিজেকে যত দ্রুত মানসিকতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন। ততটা নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার যাত্রা শুভ হবে।

02. নিজের দক্ষতা, ট্যালেন্ট এবং আগ্রহ সম্পর্কে জানুন

আমাদের মধ্যে সকলের কম বেশি ট্যালেন্ট বা দক্ষতা রয়েছে, এমনকি আপনার অবশ্যই আছে। সাধারণত আপনার এমন কোন দক্ষতা বা ট্যালেন্ট আছে যাতে আপনি সত্যিই ভালো, এবং সেটি আপনি উপভোগ করেন।

এমনকি তার মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করার প্রবল সম্ভাবনা দেখান। এক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি যে সকল কাজ করতে আগ্রহী তা হয়তো আপনি ইতিমধ্যে ঠিক করে নিয়েছেন।

আর যদি ঠিক নাও করে থাকেন তার পরে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন।

যার মধ্যে কিছু কাজ আমরা নিচে উল্লেখ করেছি দেখুন।

কনটেন্ট রাইটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, বুককিপিং, টিউটরিং, কনসালটিং, ট্রানসলেশন, প্রুফরিডিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, মেডিকেল কোডিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজিং, ফটোগ্রাফি এবং আরো ইত্যাদি।

আপনারা এই কাজগুলো বাদ দিলেও এমন অনেক ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর সুযোগ আছে। যা সারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে জুড়ে ছড়িয়ে আছে। যে কাজগুলো করার জন্য কোন বিশেষ ডিগ্রির প্রয়োজন হয় না।

03. অনুসন্ধান করুন (রিসার্চ করুন)

ফ্রীলান্সিং কাজ শুরু করার পূর্বে যে ফিল্ডে, কাজের কথা চিন্তা করছেন সে ফিল্ডের মার্কেট ডিমান্ড এবং টাকা ইনকামের পরিমাণের ওপর যথেষ্ট অনুসন্ধান বা রিসার্চ করুন।

এখনো আপনি কাজের বিষয়ে নিশ্চিত না থাকেন। তাহলে অবশ্যই চাপ নেওয়ার কোনো কারণ নেই। নিম্নলিখিত পদ্ধতি গুলো আপনাকে আপনার কাজ সিলেক্ট করে নিতে সহায়তা করতে পারে।

আপনি যে সকল ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে আগ্রহী সে গুলো ওপর গবেষণা করে বিশেষ করে, রিসার্চ করে নিচে দেওয়া উত্তর গুলো খুঁজতে থাকবেন। যেমন-

মানুষ কোথায় চাকরির খুঁজছে?

  • আপনার পছন্দ মত কাজ খুঁজে পাওয়া সহজ নাকি কঠিন।
  • ভিলেন ছাড়া কি ধরনের কাজ করে ইনকাম করছে।
  • সে কাজের লাইনে কি ফ্রিল্যান্সারদের যথেষ্ট চাহিদা আছে।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্যাটাগরি, মার্কেটিং চাহিদা, কাজের গুণগত মান এবং প্রতিযোগিতামূলক ফ্রিল্যান্সারদের ইনকামের পরিমাণকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে থাকে।

তাছাড়া আপনার অভিজ্ঞতা এবং কোন ওয়েবসাইটে আপনার আপনাকে নিয়োগ দেবে। তার ওপর ইনকামের পরিমাণ নির্ভর করবে। কিন্তু আপনার আগ্রহ এর কাজের ফিল্ডে ফ্রিল্যান্সারদের একটা ভালো উপায় হচ্ছে ইন্টারনেটে এই সকল কাজের মাসি অনুসন্ধান করা।

আপনার চেনা পরিচিত ফ্রিল্যান্সারদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা বা প্রশ্ন করা।

04. নিজের দক্ষতার বাড়ান

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কিন্তু আসলে প্রতিযোগিতামূলক হিসেবে প্রমাণিত। তার জন্য আপনি যদি নিশ্চিত হোন যে, আপনার দক্ষতা বা ট্যালেন্ট আপনাকে যথেষ্ট টাকা এনে দিতে পারবে কিনা। এক্ষেত্রে চাপ না নিয়ে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সু নজর দিবেন।

আপনি দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কোন অনলাইন কোর্স বা নতুন দক্ষতা ও শিখতে পারেন। এছাড়া এমন বিভিন্ন ধরনের কোর্স আছে যেগুলো থেকে বিভিন্ন প্রকার ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখা যায়।

তার জন্য কিছু ফ্রি কোর্স আছে। আবার অনেক গুলো ব্যয়বহুল কোর্স ও কিন্তু আছে। কোন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতে ফ্রী কোর্স গুলো সহায়তা করলেও, প্রফেশনাল ভাবে, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য পেইড মানে, কিছু টাকা খরচ করে কোর্স গুলো করাই ভালো।

কোন অনলাইন কোর্স টাকা খরচ করার আগে আপনি কোশ্চেন নিয়ে মানুষ কি বলছে সে বিষয়ে, বিস্তারিত রিসার্চ করে দেখবেন। আপনি যে সকল কোর্স বা ওয়েবসাইট থেকে এই কোড গুলো কিনে নিয়েছেন তার রিফান্ড পলিসি আছে কিনা। সেটি অবশ্যই দেখে নিবেন।

তার জন্য প্রথমে নিশ্চিত হবেন যে, আপনার সিলেক্ট করা কোর্সটি আসলে আপনার সময় বা টাকা অপচয় করবেনা তো।

তাছাড়া, আপনার দক্ষতা কে বাড়িয়ে তুলতে সাধারণত নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারেন। যেমন-

  • নিয়মিত বিভিন্ন ব্লগ পড়ুন।
  • পডকাস্ট গুলো শুনতে থাকুন।
  • ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হন।
  • অনলাইনে ফ্রি কোর্সগুলোর সাথে যুক্ত থাকুন।
  • কাজের বিষয়ে একজন পরামর্শদাতা খোঁজে বের করুন এবং তার কাছ থেকে শিখুন।

কোন কাজের দক্ষতা কখনোই রাতারাতি বৃদ্ধি করা সম্ভব হয় না। তাই আপনাকে ধৈর্য ধরে, সময়ের সাথে সাথে ধারাবাহিক ভাবে অভিজ্ঞতা নিয়ে সেটি অর্জন করতে হবে। আর তাহলেই আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

05. ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো খুঁজুন

আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোথায় ক্লায়েন্ট এবং কাজ খুঁজে পাবেন। সেটি আপনার কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করবেন, তার উপর নির্ভর করবে। বর্তমান সময়ে অনেক অনলাইন কাজ সন্তানের প্ল্যাটফর্ম আছে। যেখানে আপনি ফ্রীলান্সের কাজগুলো খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

বর্তমান সময়ে ফাইবার বা আপওয়ার্ক এর মত প্লাটফর্ম গুলো কম সেলার ‘র কাজ দিয়ে থাকে। আবার অন্যান্য চাকরির অনুসন্ধান এর ওয়েবসাইট গুলো তাদের থেকে আরো বেশি বেতনের চাকরির প্রস্তাব করা থাকে।

বিভিন্ন প্রকার চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইট গুলো সারা বিশ্বের মানুষ এর জন্য যে, কোন প্রকার চাকরির প্রস্তাব দিলেও এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। যা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ফ্রীলান্সিং কাজ গুলো সন্ধান দিয়ে থাকে।

কিন্তু যেকোন ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মের যুক্ত হওয়ার পূর্বে, নিম্নলিখিত বিষয় গুলো অবশ্যই ভালো করে জেনে নেবেন। যেমন-

  • ক্লায়েন্ট পাওয়ার সুযোগ সুবিধা কেমন আছে।
  • প্ল্যাটফর্ম গুলোর জব লিস্ট গুলো ভালো করে যাচাই করবেন।
  • তাদের পেমেন্ট সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত রিসার্চ করবেন।
  • প্লাটফর্ম গুলো আপনার এবং আপনার দক্ষতা প্রদর্শন এর জন্য আদর্শ কিনা সেটা দেখবেন।

তাছাড়া আপনি ফেসবুক এবং টুইটার এর মত সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রোফাইল এর নেটওয়ার্ক তৈরি করে সেখান থেকে কাজ খুঁজে নিতে পারবেন।

এমন অনেক জব খোঁজার ওয়েবসাইট আছে। যেখানে নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং জব খুঁজে দেওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইল তৈরি করার অনুমতি প্রদান করা হয়।

এছাড়া আপনি আপনার ব্যক্তিগত কানেকশন এর সাহায্যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো খুঁজে পেতে পারেন। আমরা কয়েকটি সেরা ফ্রিল্যান্সিং কাজের ওয়েবসাইট উল্লেখ করেছে দেখুন-

06. নিজের সবচেয়ে ভালোটা দিন

পেলেন চিৎকার শুরু করার পূর্বে নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজটি সম্পন্ন প্রফেশনাল রূপে প্রস্তুত। আপনি যদি মনে করেন আপনার দক্ষতা আরো আপস্কেলিং করা প্রয়োজন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বে সেগুলো উন্নত করার চেষ্টা করুন।

একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে গেলে যে, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হচ্ছে-

  • আপনার সকল কাজে আপনার সবচেয়ে ভালো টা দিন।
  • সর্বদা সময়ের মধ্যে কাজ করে জমা দিন।
  • ব্লাইন্ড এর সাথে ভালো ব্যবহার এবং ধারাবাহিক যোগাযোগ স্থাপন করেন।
  • সব সময় আপনার কাজের সম্পর্ক কে দক্ষতা বাড়ানোর চলমান রাখুন।
  • ক্লায়েন্টের কাছ থেকে গঠনমূলক সমালোচনা কথা জিজ্ঞাসা করেন।

আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব আপনার কাজটি ভালো করার চেষ্টা করুন। যার ফলে আপনি শুধুমাত্র ভালো খেতে অর্জন করবেন তা কিন্তু নয় বরং আপনি প্রতিযোগিতার মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন।

074. পেমেন্ট এর ব্যবস্থা করুন

এখন আমরা ফ্রিল্যান্সিং গাইড এর সর্বশেষ ধাপের চলে এসেছি সেটি হচ্ছে পেমেন্ট। ফ্রিল্যান্সিং কাজে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। আপনাকে সময় মতো সম্পূর্ণ টাকা প্রদান করে থাকবে।

তবে, দুর্ভাগ্যবশত সকল ফ্রিল্যান্সিং ক্লায়েন্ট একরকম হবে না। সেজন্য টাকা আদায় করা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে পেতে সেখানে কোনো চুক্তি থাকেনা।

আর তখন ফ্রিল্যান্সাররা ইনভয়েস এবং টাকা প্রদানের বিল তৈরি করার জন্য দায়ী থাকে। তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ নিজের দায়িত্বে ক্লায়েন্টের থেকে পেমেন্ট গ্রহন করতে হবে।

যে কারণে আপনি পেমেন্ট এর সমস্যা এড়াতে। নিম্নলিখিত উপায় গুলি অনুসরণ করতে পারেন।

  • ভদ্র এবং প্রফেশনাল ভাবে পেমেন্ট এর বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করুন।
  • পেমেন্ট এর শর্তাবলী আপনার ইনভয়েস স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দিন।
  • পরিচালনা করে এমন ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইট থেকে কাজ অর্ডার নিন।
  • ভালো ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পুনরায় গ্রহণ করুন, যারা আপনাকে অবিলম্বে পেমেন্ট করবে।
  • আপনার কাজের মূল্য আছে এবং আপনি তাৎক্ষণিক এবং সম্পূর্ণ পেমেন্ট এর যোগ্যতা ক্লায়েন্টদের বুঝিয়ে দিন।

শেষ কথাঃ

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে চাইলে, অবশ্যই তাদের সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে। তারপর সময়ের সাথে সাথে নিজের পেশা অভিজ্ঞতাও বাড়িয়ে পেশাদারী গুরুত্ব বাড়িয়ে নিতে হবে।

এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইলে ছুটি নেওয়া কিন্তু অনেক জরুরী। তার জন্য আপনাকে ব্যক্তিগত এবং পেশাগত স্বার্থ মিটে গেলে।

অতিরিক্ত কাজের চাপ গুলো না বলতে শেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু মিলিয়ে ফ্রীলান্সিং হচ্ছে সময়ের সাথে বেড়ে ওঠার পাশাপাশি অভিজ্ঞতা বাড়ানোর পেশা। একমাত্র সময়ের সাথে শেখা যায়।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

এছাড়া আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আরো নতুন নতুন টিপস এন্ড ট্রিক্স পেতে চান। তাহলে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment