অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া [বিস্তারিত এখানে]

আপনি কি অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া জানতে চান? আপনার উত্তরে যদি হ্যাঁ হয় তবে এখানেই জানতে পারবেন সকল ব্যবসার কৌশল।

অল্প টাকায় ব্যবসা করা শোনতে একটু অন্য রকম লাগলেও। এটা কিন্তু বাস্তব। এখনকার সময়ে লোকেরা ছোট ছোট ব্যবসার মাধ্যমে কম সময়েই কোটিপতি হচ্ছেন।

ব্যবসা জিনিসটা মানুষের কাছে একটি স্বপ্ন থাকে যে, জীবনে একজন সফল ব্যবসায়ী হবে।

কিন্তু অনেকে আছেন যে, টাকার অভাবে ব্যবসা করার স্বপ্নটা পূরণ করতে পারে না। আমরা জানি যে, কোন একটি ব্যবসা করতে গেলে পুঁজি দরকার হয়।

তাই অনেকের ব্যবসার স্বপ্ন দেখেও দেখা হয় না। কিন্তু ব্যবসা করতে লক্ষ লক্ষ টাকা লাগবে এটা কিন্তু ভুল ধারণা।

আজ আমি আপনাকে এমন কিছু ব্যবসার উপায় বলবো যা অল্প টাকায় শুরু করতে পারবেন।

আপনি যদি শ্রমকে ভালোবাসেন তবে খুব অল্প পুঁজিতে সুন্দর একটি ব্যবসা শুরু করে ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বল করতে পারবেন।

তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের পোস্ট অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যাবসার আইডিয় গুলো কি কি?

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া

০১। চা দোকানের ব্যবসা 

বর্তমানে বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় পানিয় খাবার হচ্ছে চা। আমার জানা মতে দেশে এমন কোন লোক নেই যে, চা পছন্দ করে না। এরকম লোক খুবই কম দেখা যায়।

বাংলাদেশের জনবহুল পূর্ণ দেশে অলিতে গলিতে চায়ের দোকান অভাব নেই। এক কথায় বলতে গেলে এ দেশের মানুষ চা খুবই পছন্দ করে থাকে।

বর্তমানে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, ব্যবসায় গ্রাহক বা কাস্টমার চাহিদা বেশি। সব সময় মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানুর জন্য লোকেরা ব্যবসা শুরু করে।

উক্ত কথার মাধ্যমে পরিষ্কার যে, লোকদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসা শুরু করলে সেই ব্যবসায় অনেক উন্নতি করা সম্ভব।

তাই আপনি যদি অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চান তবে চায়ের দোকান ব্যবসা করতে পারবেন।

চায়ের দোকান ব্যবসা করতে কত টাকা পুঁজি দরকার। এই ব্যবসার জন্য আপনি মাত্র ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ করে শুরু করতে পারবেন।

আপনি যদি দৈনিক ২ হাজার টাকা চায়ের দোকানে খরচ করেন তবে কম করে হলেও ৫ হাজার টাকা ইনকাম হবে।

যেমন আপনি যদি ১ কাপ চা ৫ টাকা বিক্রি করেন এখানে আপনার খরচ হবে ১ টাকা বেশি হলে সর্বোচ্চ ২ টাকা। তাহলে আপনি এক কাপ চায়ে লাভ হবে ৩ টাকা।

আশা করি বুঝতে পারছেন অল্প পুঁজিতে চায়ের দোকান ব্যবসায় কেমন লাভ।

০২। কফি শপের ব্যবসা

বর্তমানে সবার জনপ্রিয় পানিয় খাবার হচ্ছে কফি। আপনি যদি কফি শপের মতো ছোট ব্যবসাতে আগ্রহী হন তবে অল্প পুজিতে শুরু করতে পারবেন।

কফি শপের ব্যবসা মানেই লাভজনক। এই ব্যবসা শুরু করতে প্রথম দিকে ৫ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।

যেমন কফি তৈরি করার জন্য বাজারে একটি ইলেক্টিক মেশিন পাওয়া যায়। তার জন্য কিছু টাকা খরচ করতে হবে।

এছাড়া কফি ব্যবসায় অন্য কোন খরচ নেই। আপনি যদি দৈনিক ১০০০+ আয় করতে চান তবে কফি শপ ব্যবসার আইডিয়া কাজে লাগাতে পারেন। অল্প পুঁজিতে ছোট ব্যবসা কিন্তু লাভজনক।

যেমন আপনি যদি ১ কাপ কফি বিক্রি করেন ২০ টাকা সেখানে আপনার খরচ হবে মাত্র ১১ টাকা। প্রতি কাপে ৯+ টাকা লাভ করতে পারবেন।

০৩। গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে যারা গ্রামে বসবাস করেন তাদের জন্য অনেক ব্যবসার উপায় রয়েছে। আপনি কি গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া জানতে চান?

আপনার উত্তরে যদি হ্যা হয় তবে এখানে কিছু ব্যবহার আইডিয়া পাবেন যা অনুসরণ করে আপনি অল্প পুঁজি খাটিয়ে ভালো পরিমানের টাক ইনকাম করতে পারবেন গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া গুলো জানতে নিচের অংশ গুলো দেখুন :

(ক) কাঁচা মালের ব্যবসা

বর্তমান যুগে আপনি যদি গ্রাম থেকে কোন ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে আমরা পরামর্শ দেবো যে, আপনি কাঁচামালের ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসাটি সব চেয়ে জনপ্রিয়। কারণ আপনি এই ব্যবসাতে অল্প টাকা খরচ করে ভালো পরিমাণের টাকা লাভ করতে পারবেন।

কাঁচামালের ব্যবসাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখনকার সময়ের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো হলো কাঁচামাল। যেমন যারা শহরে থাকে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাব পূরণ করার জন্য কাঁচামাল এর গুরুত্ব অনেক। আমরা জানি উক্ত কাঁচামাল গুলো শহরে তেমন চাষ করা হয় না।

যার কারণে শহরে লোক গুলো ফর্মালিন মূক্ত সবুজ শাক সবজি থেকে শুরু করে পেয়াজ, মরিছ, রসুন অনেক ধরণের ফল মুল ইত্যাদির চাহিদা মেটানুর জন্য কিন্তু গ্রাম থেকেই নিয়ে আসতে হয়।

আপনি যদি একজন গ্রামের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই এই ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল গুলো চাষাবাদ করতে পারেন। আপনি নিজে বা অন্যকে দিয়ে কাঁচামাল গুলো চাষ করিয়ে শহরে নিয়ে যেতে পারেন সেগুলোকে খুচরা বা পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারবেন।

উপরিউক্ত কাঁচামাল ‍গুলো চাষ করতে তেমন টাকা খরচ হয় না। আপনি যদি ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ করে এই চাষাবাদের কাজ শুরু করেন তবে চার গুন টাকা লাভ করতে পারবেন। আপনি যদি এখানে সময় দিয়ে কাজ করতে পারেন তবে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক টাকার মালিক হতে পারবেন।

(খ) গরু-ছাগল ও হাসঁ, মুরগি পালন

আপনি যদি গ্রামে বসবাস করেন তবে আপনি গরু-ছাগল বা হাঁস, মুরগি ইত্যাদি পালন করে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারবেন। যেমন: বর্তমানে গ্রামের অনেক মহিলারা ছোট খাটো খামার তৈরি করে সেখানে গরু-ছাগল, হাসঁ, মুরগি, কবুতর ইত্যাদি পালন করে থাকে।

মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া সবচেয়ে উত্তম গ্রামে খামার তৈরি করে গরু-ছাগল হাস, মুরগি পালন করে ছোট ব্যবসা শুরু করা। আপনি যদি গ্রামে থেকে একটি খামার তৈরি করে সেখানে ১,২ টা গরু ১,২ টা ছাগল এবং ১০ টি হাস, ১০ টি মুরগি কিনে পালন করতে পারেন তবে ভালো পরিমানের টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনি যদি একটি খামার তৈরি করে কাজ করেন তবে অল্প পুঁজিতে লাভজন ব্যবসা শুরো করতে পারবেন। মনে করুন আপনি যদি একটি গরু ২০ হাজার দিয়ে কিনে তা এক বছর লালন পালন করেন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।

[wp_show_posts id=”3308″]

আর যদি ছাগল পালন করেন তবে ছাগী কিনে পালন করুন এতে আপনি ৬ মাস পর পর ছাগলের বাচ্চা হবে সেই বাচ্চ বিক্রি করে ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে পারবেন।

এছাড়া আপনি যদি একেবারে অল্প টাকা দিয়ে ১০ টি হাস ও ১০ টি মুরগি কিনে খামার তৈরি করেন তবে এটির মাধ্যমেও অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি কোন হাস মুরগি গুলো কিনবেন।

হ্যাঁ বন্ধুরা আমরা জানি হাস ও মুরগি গ্রামের মহিলারা পালন করে থাকে। আপনি ১,২ টা না কিনে ১০-২০ টাক মুরগি কিনে খামার করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ১০-২০ টাকা হাসঁ ও মুরগি কিনতে ৩ হাজার টাকা লাগবে। আর এই অল্প টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করে প্রতি মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

০৪। ফার্মেসী ব্যবসা

বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রাম বা শহর যে কোন জায়গায় বসাবস করেন না কেন। সকল জায়গায় ফার্মেসী একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। এই ব্যবসাতে আপনি অল্প পুঁজি খাটিয়ে মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।

কেননা বর্তমান সময়ে ঔষধ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু। যেমন আমাদের সাধারণ জ্বর, শ্বর্দি, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি হয়ে থাকে। সেই জন্য আমরা ফার্মেসীতে গিয়ে ঔষধ কিনতে যায়।সেই জন্য ঔষধ হলো মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আমরা বাজারের সকল প্রকার জিনিস দামাদামি করে কিন্ততে পারি কিন্তু একটি জায়গায় আমাদের দামাদামি চলে না। আর সেটি হলো ফার্মেসী।

এখানে আপনাকে যে দাম বলা হবে সেই দাম দিয়ে কিনতে হয়। তাই আপনি অল্প পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনি যে দাম দিয়ে কোম্পানির কাছে ঔষদ কিনবেন তার দুই গুন টাকা বিক্রি করে অরধেক আয় করতে পারবে।

যেমন আপনি যদি কোন কোম্পানি থেকে ১০০ টি ট্যাবলেট কিনেন ৫০০ টাকা দিয়ে আপনি যখন খুচরা বিক্রি করবেন তখন সব মিলিয়ে দেখবেন আপনার ১০০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। তাই এই ব্যবসার আইডিয়াটি আপনি মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।

০৫। মুদি দোকানের ব্যবসা

বর্তমান সময়ে আরো ভালো একটি ব্যবসার নাম হলো মুদি দোকান। এই মুদি দোকান গুলোতে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্য ক্রয় করে থাকে। সিই দোকান গুলোকেই বলঅ হয় মুদি দোকান।

আপনি যদি শহরে বা গ্রামে মুদি দোকান দিতে চান তবে অল্প পুঁজিতেই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। আমরা জানি যে, মুদি দোকান গুলো গ্রামে বেশির ভাগ দেখা যায়।

আরো পড়ুনঃ

আপনি যদি ছোট খাটো একটি মুদি দোকান দেন তবে আপনি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করেই একটি ভালো ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মুদি দোকানে কি ধরণের পণ্য বিক্রি করবেন। যেমন: মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় যে জিনিস ‍গুলো লাগে- স্নো, পাউডার, স্যাম্পু, তৈল, সাবান, ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরণের মাজার জিনিস চকলেট, বিস্কুট ইত্যাদি।

উক্ত জিনিস গুলো কিনে আপনি একটি ছোট মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করলে আসতে আসতে আপনি কিছু সময় অপেক্ষা করে দোকানটি বড় করতে পারবেন। এভাবেই আপনি একদিন সফল ব্যবসায়ী হতে পারবেন।

০৬। কাপড়ের ব্যবসা

আপনি যদি অল্প টাকায় ছোট ব্যবসা শুরু করতে চান তবে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে কাপড়ের ব্যবসায় অনেক পরিমাণের লাভ হয়। আমরা জানি এই কাপড়ের দোকান গুলো মূলত মহিলাদের জন্য হয়ে থাকে।

বর্তমানে আমরা জানি পুরুষদের চেয়ে বাজারে মহিলাদের প্রবেশ বেশি। তাই মহিলা যখন কোন শাড়ি বা কাপড়ের দোকান দেখে তারা সেখানে গিয়ে কাপড় দেখে কিনে নেন। এখনকার সময়ে মহিলাদের ফ্যাশন হলো বিভিন্ন ধরণের পোষাক বা কাপড়।

আপনি যদি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন তবে অল্প টাকার বিনিময়ে কাজটি শুরু করতে পারবেন। এই কাজে অনেক লাভ একটি আমি আগেই বলেছি। যেমন মনে করুন আপনার একটি কাপড়ের দোকান আছে সেখানে অনেক ধরণের কাপড় তুলেছেন। আপনি পাইকারি ভাবে কাপড় গুলো প্রতি পিস যদি ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেন তবে আপনি সেটি খুচরায় ১০০০ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। তাই আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি যে, আপনি শহরে বা গ্রামে যে কোন জায়গায় কাপড়ের ব্যবসা করতে পারবেন।

০৭। ইলেকট্রনিক ব্যবসা

আমরা জানি বর্তমানে ভালো টাকা ইনকাম করার জন্য ইলেকট্রনিক ব্যবসা অন্যতম। আপনি যদি অল্প টাকা ব্যয় করে ইলেকট্রনিক ব্যবসা শুরু করতে চান তবে ভবিষ্যত জীবনে উন্নতি করতে পারবেন। অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

[wp_show_posts id=”3303″]

ইলেকট্রনিক মালামাল গুলো বর্তমান সকলের বাসা-বাড়ির জন্য অতন্ত্য প্রয়োজনীয়। কারণ শহরে বা গ্রামে সকল জায়গায় বিদ্যুৎ রয়েছে। যেহেতু বিদ্যুৎ আছে সেই জন্য লোকদের ইলেকট্রনিক দোকান গুলোতে আসতেই হবে।

যেমন: কারো লাইট, ফ্যান, ইলেকট্রনিক তাঁর ইত্যাদি কিনতে আসে। আপনি যদি উক্ত মালামাল গুলো নিয়ে একটি ইলেকট্রনিক ব্যবসা শুরু করেন তবে ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে পারবেন।

০৮। বীজের দোকান ব্যবসা

আমরা নিত্যদিনে যে কোন শাক সবজি খাই সেই সকল কিছু জমিতে চাষ করা হয়। তাই বলা যায় শাক সবজি রোপ করতে অবশ্যই বীজের প্রয়োজন। তাই এ বিষয়ে অনুমান করে নেওয়া যায় যে শাক সবজি চাষ করার জন্য বীজ ছাড়া অসম্ভব। অল্প পুঁজিতে লাভজনক ছোট ব্যবসার আইডিয়া।

বর্তমানে দেশে বীজের অনেক চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা পূরণ করার জন্য আপনাকে বীজের দোকান ব্যবসা করা উচিত। আপনি যদি বীজের ব্যবসা শুরু করেন তবে ভালো মানের বীজ কিনার জন্য অনেক এলাকা থেকে বীজ নিতে আসবে। আর আপনি সেই বীজ গুলো বিক্রি করে ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে পারবেন।

০৯। বেকারির ব্যবসা

যারা নতুন হিসেবে কোনো ব্যবসা করতে চান? তাদের জন্য বেকারির ব্যবসা অন্যতম। কারন এখানে আপনি যদি সফল ভাবে কাজ করতে পারেন তাবে আপনি অল্প টাকা খরচ করেই অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

একটি বেকারিতে মূলত কি ধরণের খাবার তৈরি করা হয়। যেমন : বিস্কুট, চানাচুর, কেক, রুটি ইত্যাদি। বর্তমানে এই জাতীয় খাবার গুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি প্রথম ব্যবসা হিসেবে বেকারি ব্যবসার আইডিয়াটি কাজে লাগাতে পারেন। অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া।

১০। কৃষি পণ্যের ব্যবসা

আমরা সবাই জানি যে, আমাদের বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। আমাদের দেশে অর্থনীতির দিক দিয়ে সব চেয়ে আয় বেশি হয় কৃষি খাত থেকে। আর এই কারণে সহজেই অনুমান করা যায় যে, আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ এর সাথে সম্পর্ক যুক্ত।

আর এই কৃষকদের কেন্দ্র করে আপনি চাইলে লাভজনক কৃষি পণ্যের ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি এখানে কৃষি পণ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করতে পারেন তবে আপনার গ্রামেই করতে পারবেন।

কৃষি পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে তেমন টাকা খরচ করতে হয় না। এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন মাত্র ১০ থেকে ২০ হাজার খরচ করেই। তাই আপনি আমাদের এই কথা অনুসরণ করে আজাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে, একটি কৃষি পণ্যের ব্যবসা শুরু করবেন।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথা

আজ আমি আপনাদের এই পেজে দেখালাম অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া। আপনি যদি উক্ত ব্যবসা গুলো ভালো ভাবে পড়ে থাকেন তবে যে কোন একটি ব্যবসা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।

আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন। ব্যবসা করুন নিজের ভবিষ্যৎ গড়ুন। আমাদের এই পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment