কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো : বর্তমান সময়ে এমন অনেক টিকটকের রয়েছে। যারা তাদের প্লাটফর্মে ভিডিওগুলো ভাইরাল করতে পারে না।
আমাদের জানামতে, টিকটক ভিডিও ভাইরাল করার সেটি কিছু উপায় এবং টিপস আছে। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর তুলনায় টিকটকের অর্গানিক রিচ পাওয়া সেটা জনপ্রিয় ব্যাপার।
এছাড়া প্রায় 50 পার্সেন্ট জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এর টিক টকে প্রেসেন্স নেই। তাই এই সুযোগে আপনি আপনার নিজের ব্র্যান্ড প্রচার করতে পারবেন খুব সহজে।
আপনি যদি জানতে চান কিভাবে অর্গানিক ওয়েভ তৈরি করা যায়। এবং কিভাবে টিক টকে ভাইরাল হওয়া যায়। তবে এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি ভাবে আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
কারণ আমরা এখানে আজ আলোচনা করতে যাচ্ছি। কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো। আর আপনি যদি টিকটক ভিডিও করা থাকেন।
এবং টিকটক ভিডিও কিভাবে ভাইরাল করতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
- ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া [বিস্তারিত এখানে]
- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন [দ্রুত সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর উপায়]
- ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম করার সঠিক গাইড
টিকটক অ্যালগরিদম এর সাথে কীভাবে কাজ করবেন ?
আপনি যদি শুধুমাত্র লাইক শেয়ার এবং ফলোয়ার সংখ্যার দিকে নজর দেন। কিন্তু আপনি ভুলেও তথ্যের প্রতি নজর দেন না এখানে টিকটক অ্যালগরিদম বোঝা আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
টিকটকের অ্যালগোরিদম অনেক ফর ইউর পেজ এর উপর নির্ভর করে। এজন্য আপনার যেটা তার প্রতি নজর দেয়া প্রয়োজন সেটি হচ্ছে আপনার অ্যাভারেজ ওয়াচ টাইম।
আপনাদের ভিডিওর দৈর্ঘ্য এবং এভারেজ ফাস্ট টাইম নির্ধারণ করে। টিকটক অ্যালগরিদম আপনার ভিডিওকে কতটা প্রচার করতে সহায়তা করবে।
মনে করুন অডিয়েন্স 3 সেকেন্ডের জন্য আপনার ভিডিও দেখে। অ্যালগরিদম আপনার ভিডিওটা মাত্র কয়েক জনকে দেখাবে আর যদি অডিয়েন্স 15 সেকেন্ডের জন্য ভিডিওটি দেখে।
সেক্ষেত্রে সে ভিডিও আবার অনেকটা অসংখ্য লোক;রে টিকটক দেখাতে পারে। আপনার ভিডিওর দৈর্ঘ্যের তুলনায় আপনার এভারেজ ফাস্ট টাইম এর ওপর নির্ভর করবে।
কতজন ব্যবহারকারীদের আপনার ভিডিও দেখানো হবে। আপনার এভারেজ ফাস্ট টাইম যত বেশি হবে।
আপনার ভিডিও টিক টক এর ততটাই বেশি ভাইরাল হতে পারবে। ফর ইউর পেজ ফিচার হলে, আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।
উক্ত পেজে ফিচার হওয়ার জন্য আপনার এভারেজ ফাস্ট টাইম কমপ্লিশন রেট এবং আপনি যে সকল কণ্ঠ দিয়েছেন।
সে গুলো দেখে নেওয়া হয়। এ সকল কারণের জন্য আপনার ভিডিও গঠন কিভাবে হবে, তা নির্ভর করে থাকে।
কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো ?
আমরা এখন আপনাকে জানাবো কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো। আপনার যদি এ বিষয়ে জানতে চান?
তাহলে আমাদের দেওয়া পদক্ষেপগুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন। যেমন-
চমকের সাথে ভিডিও শুরু করুন
টিকটক হচ্ছে একটি দ্রুতগতি অ্যাপস। এখানে আপনার ভিডিও সোয়াইপ করে অন্য ভিডিও তে যাওয়ার পূর্বে আপনাকে দ্রুত অীডয়েন্সদের মনযোগ আকর্ষণ করতে হয়।
সর্বশেষ কোন অ্যাকশন না থাকলে। বেশির ভাগ অডিয়েন্স ভিডিও স্কিপ করে যায়। প্রথম কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যেই ভিডিও এর টোন এবং বিষয় সেট করতে হয়। যাতে করে অডিয়েন্স’রা বুঝতে পারে তারা কি দেখতে চলেছে।
ভিডিওর দৈর্ঘ্য ছোট রাখুন
যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি কোন লম্বা গল্প বলছেন ততক্ষণ পর্যন্ত এক মিনিটের বেশি লম্বা কোন ভিডিও বানাবেন না।
এখানে সব সময় আপনার ক্লিপগুলো ছোট রাখার চেষ্টা করবেন। টিকটক ভিডিওর দৈর্ঘ্যের তুলনায় এবার স্কোয়াশ এর উপর নির্ভর করে কনটেন্টের গুণমান মূল্যায়ন করে থাকে।
- টিকটক এপ্লিকেশন কি ? কিভাবে টিক টক ব্যবহার করবেন ?
- টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় [বিস্তারিত এখানে]
আপনার কাছে এমন অডিয়েন্স বেশি আসবে। যারা এক মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও 48 সেকেন্ড দেখার তুলনায় 10 সেকেন্ড ভিডিও এবং আর্টস অ্যান্ড দেখতে পছন্দ করবে।
নিজের অডিও ব্যবহার করুন
মোবাইল এবং অ্যাপ গুলো আমাদের বলা কথা শোনা এবং সেই ভিডিওর উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কিন্তু আছে।
টিকটক আপনার কনটেন্ট এর সঠিক অডিয়েন্সের কাছে, দেখানোর জন্য আপনার ভিডিওটি কি তা জানতে। আপনার দেওয়া সকল টুলস ব্যবহার করে।
আপনার ক্যাপশন বা হ্যাশট্যাগ গুলোর সাহায্যে এই কাজ করতে পারবেন। কিন্তু আপনার ভিডিওতে ভয়েস ওভার ব্যবহার করে।
আপনি আরো স্পষ্টভাবে বেশি কিওয়ার্ড এবং ইনফরমেশন দিতে পারবেন। যাদের টিকটক আপনার ভিডিও গুলো সঠিক অডিয়েন্স রাখতে পারে।
ট্রেন্ডিং গান বা সাউন্ড ব্যবহার করুন
আপনি ভয়েস অফার দেন বা না দেন। আপনার ভিডিওতে ট্রেন্ডিং মিউজিক যুক্ত করা অনেক জরুরী আপনি অবশ্যই আপনার নিজের পছন্দের গান গুলো সিলেক্ট করে নিতে পারবেন কিন্তু টিকটক হচ্ছে একটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এখানে মানুষ ট্রেড গুলো ভালো মত দেখতে পারে।
তার জন্য আপনি বড্ড অসময়ে ট্রেনটি গানগুলো ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
সর্বদা ভয়েস ওভার এর সাথে ব্যাকগ্রাউন্ডে একটি শান্ত মিউজিক এর গানের লেয়ার রাখার চেষ্টা করবেন অবশ্যই।
গল্প বলুন
নাচের ভিডিও ভাইরাল হলেও অন্যান্য গল্পগুলোর ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। অথচ এসব সত্যিটা জানা যায় যে, আপনি যদি অসামান্য প্রতিভাবান বা হাস্যকরভাবে খারাপ ডান্সার না হয়ে থাকেন।
তাহলে আপনার নাচের ভিডিওগুলো এখানে ভাইরাস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকেনা। আপনারদের মধ্যে যারা নাচ গান সম্পর্কে জানেন না।
তারা কোনো আকর্ষণ গল্প বলার মাধ্যমে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করার চেষ্টা করতে পারেন। এখানে কোন গল্প বলা যেতে পারে, আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বা কোন নীতি কথা এবং আরো অন্যান্য গল্প সম্পর্কে বলতে পারেন।
উপরে দেওয়া কাজগুলো আপনার যদি সঠিকভাবে করতে পারেন। তাহলে আশা করা যায় আপনি টিক টক ভিডিও তৈরি করে সহজে ভাইরাল হতে পারবেন।
আর আমরা আপনাকে এখানে কিছু টিপস দেব। যেগুলো সংক্ষিপ্তভাবে বিষয়ে কারে জানাবো।
সেগুলো যদি আপনি টিকটক ভিডিওতে কাজে লাগাতে পারেন।
তাহলে দ্রুত ভাবে টিকটক এ ভাইরাল হতে পারবেন। যেমন-
- পছন্দের জিনিস, এডভাইস ও টিপস শেয়ার করুন।
- প্রভাবশালী কল-টু-অ্যাকশন রাখুন।
- মানুষদের রান্ডম কমেন্টের সুযোগ দিন।
- কিছু প্রশ্ন অধরাই রাখুন।
- বিতর্কমূলক কিছু করুন।
- কিছু তুফানী করুন।
- ভিডিওতে এমন অংশ রাখুন যা পুনরায় দেখার প্রয়োজন হবে।
- ওপেনিং ভিডিও ফ্রেমে এবং টেক্সট রাখুন।
- কমেন্টের রিপ্লাই করুন।
- ঘনঘন পোস্ট করুন।
- একটা নিস বা টবিকে টিকে থাকবেন না নতুন টপিক খুজবেন।
- প্রোডাক্টের লিংক সাথে সাথে পোস্ট করবেন না।
- FYP-এ ভিডিও দেখার জন্য দিনে অন্তত ১৫-৩০ মিনিট ব্যয় করুন।
শেষ কথাঃ
আমাদের এই পোস্টে টিকটক ভিডিও কিভাবে ভাইরাল করবো নিয়ে আর্টিকেলটি এখানেই সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো।
টিকটক বিষয়ে আর্টিকেলটি আপনার পছন্দ হলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানান।
এছাড়া, আর্টিকেল এর সাথে জড়িত প্রশ্ন থাকলে, অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে ভুলবেন না।
আর আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে অবশ্যই অবশ্যই একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
Yes