VIVO কোন দেশের কোম্পানি ? ভিভো কোম্পানীর মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা

ভিভো (vivo) কোন দেশের কোম্পানি : বর্তমান সময়ে স্মার্ট মোবাইল ফোন সকলের হাতে হাতে রয়েছে সকলেই কোন না কোন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে।

আমরা এখন অনেক কয়টি চীন ফোন কম দামে উচ্চ স্পেসিফিকেশন মোবাইল সরবরাহ করে, এশিয়ার বাইরে একটি বড় বাজার তৈরি করতে দেখেছি।

VIVO কোন দেশের কোম্পানি ? ভিভো কোম্পানীর মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা
VIVO কোন দেশের কোম্পানি ? ভিভো কোম্পানীর মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা

ভিভো সেই একই পথ অনুসরণ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে বিভিন্ন দেশে। কয়েক বছর এর মধ্যে আপনি স্যামসাং অ্যাপেল আইফোন মোবাইল গুলো স্টোর এর তাক গুলোতে সাজানো দেখে নিতে পারবেন।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনি ভিভো কোম্পানির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

আপনি যদি ভিভো কোন দেশের কোম্পানি এবং ভিভো কোম্পানির মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতা কে এবিষয়ে জানতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

[wp_show_posts id=”3308″]

ভিভো কোম্পানির মালিক কে ?

ভিভো কোম্পানির মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে, শেন ওয়েই। তিনি একজন চীনা নাগরিক। 2009 সালে তিনি চীনে ভিভো কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।

ভিভো কোম্পানির সদরদপ্তর হচ্ছে, ডংগুয়ান- গুয়াংডং চীনে। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ এন্ড্রয়েড মোবাইল স্মার্ট মোবাইল ফোন সংস্থা গুলোর মধ্যে একটি বলে আখ্যায়িত করা হয়।

[wp_show_posts id=”3303″]

ভিভো এর কোম্পানি হচ্ছে, BBK Electronics যা স্মার্ট মোবাইল এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী তৈরি করে থাকে। ভিভো এর মোবাইল BBK Electronics কোম্পানির মালিক এর নাম হচ্ছে, ডুয়ান ইয়ংপিং।

স্মার্ট মোবাইল পাশাপাশি সফটওয়্যার এবং বৈদ্যুতিক সামগ্রী তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বের সেরা স্মার্ট মোবাইল গুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। আমাদের জানামতে ভারতীয় হচ্ছে, জেরোম চেন।

ভিভো স্মার্ট মোবাইল ফোন এর বিপণন এবং লঞ্চ সংক্রান্ত কাজ এর জন্য সিইও নিয়োগ করেছেন। জেরোম চেন ভারতে ভিভো মোবাইল সম্পর্কিত সকল কাজ করে এবং দেখাশোনা করে।

VIVO কোন দেশের কোম্পানি

বিবাহ আছে একটি চীনা ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড। যার সদরদপ্তর হচ্ছে, Dongguan এর মধ্যে যা চীনে অবস্থিত। 2009 সালে ভিভো স্মার্ট মোবাইল ফোন উৎপাদন করা শুরু করে।

তার আগে এই প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র সফটওয়্যার এবং সফটওয়্যার নির্ভর পরিষেবা নিয়ে কাজ করতো। তারপরে 2012 সালে ভারতে এসে ব্যবসা শুরু করে ভিভো কম্পানি। আর সে সময় ভিভো কোম্পানি Vivo x1 লঞ্চ করেছিল।

তারপরে, 2014 এশিয়ার দেশগুলোতে, ভিভো কম্পানি ব্যবসা শুরু করে। এবং তারপর থেকে কোম্পানিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নাই।

বর্তমানে বিশ্বের নামকরা মোবাইল কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি। একটি পরিচিত নাম। 2018 ভিভো স্মার্ট মোবাইল ফোন এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিভো এর স্মার্টফোন গুলো ব্যবহার করে যাচ্ছে।

[wp_show_posts id=”3306″]

2009 ভিভো কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিশ্বের 100 টিরও বেশি দেশে বিস্তৃত রয়েছে। 2014 সালের আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ শুরু হয়েছে। থাইল্যান্ডের বাজারে প্রবেশ করেন।

ভিভো দ্রুত ভাবে, বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মোবাইলের মডেল লঞ্চ করেন। 2017 এশিয়া, হংকং, তাইওয়ান, লাওস, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা ইত্যাদি দেশে তাদের স্মার্ট মোবাইল ফোন গুলো বাজারে প্রবেশ করান।

মোটকথা বর্তমানে বিভিন্ন দেশে ভিভো কোম্পানির স্মার্টফোন গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। যা থেকে কোম্পানি অনেক লাভবান হচ্ছে।

VIVO মোবাইল এর ইতিহাস

2020 ভিভো এবং Zeiss যৌথভাবে মোবাইল ইমেজিং প্রযুক্তিতে যুগান্তকারী উদ্ভাবনের চেষ্টা করেন এবং এ প্রচেষ্টার বিকাশ এর জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেন।

ভিভো x60  সিরিজে প্রথম ভিভো Zeiss ইঞ্জিনিয়ার্ড ইমেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে। সহযোগিতা চুক্তির অংশ হিসেবে ভিভো এবং Zeiss একটি ইমেজিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন এবং তারপরে, সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

[wp_show_posts id=”3308″]

ভিভো স্মার্ট মোবাইল ফোন গুলো কাজে লাগানো যাবে এমন মোবাইল এমাজিং প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য একটি যৌথ R&D প্রোগ্রাম করে ভিভো এবং Zeiss কোম্পানি দ্বয়।

2015 সালে শুরু হওয়া দুই বছরের চুক্তির অধীনে 2016 তে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে টাইটেল স্পন্সর হয়ে ওঠেন। 2017 2022 সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

2017 সালে, 2018 এবং 2022 সালে ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হন ভিভো কম্পানি।

কোম্পানি UEFA ইউরো 2020 এবং UEFA ইউরো 2014 এর অফিসিয়াল পার্টনার হিসাবে UEFA এর সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং ভারতের কাবাডির টাইটেল স্পন্সর হয়।

ভিভো কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠানে থেকে বিভিন্ন দেশে স্মার্ট মোবাইল ফোন গুলো লঞ্চ করেছে। এবং সেই স্মার্টফোন গুলো বাজারে লঞ্চ করার পর তারা অনেক পরিমাণে লাভবান হয়েছে।

আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ এখানে উন্নত মানের মোবাইল কিনতে পারে না। ছাড়েনি এ কম্পানি সুযোগের সদ্ব্যবহার করে এবং বাজারে ফ্রেন্ডলি মোবাইল ফোন গুলো বাজারে নিয়ে আসে।

এবং এগুলোর দাম কম হওয়ার জন্য এদের চাহিদা উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাজারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এজন্য এর বেশিরভাগ স্মার্টফোনগুলো মাঝারি এবং কমদামের হয়ে থাকে।

2022 মানে চলতি বছরে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গুলোর তালিকা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন দামের আকর্ষণীয় ভিভো স্মার্ট ফোন বাজারে নিয়ে এসেছে।

আপনি যদি নতুন স্মার্টফোন কেনার চিন্তা করে থাকেন তাহলে সব ব্র্যান্ড এর আগে, আপনারা ভিভো ব্র্যান্ড বেছে নিতে পারেন। এ কোম্পানির লোক হচ্ছে ভালো স্পেসিফিকেশন এর মোবাইল কম দামে মন জয় করা। আর এই কাজটি সম্পূর্ণভাবে সমর্থক করে।

তাই আর দেরি না করে আজই আপনি নিয়ে আসুন আপনার মনের মত স্মার্ট মোবাইল ফোন কোম্পানির যেকোনো একটি মডেল আপনার ব্যবহার করতে অনেক জনপ্রিয় লাগবে।

আরো দেখুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হল, ভিভো কোন দেশের কোম্পানি ভিভো কোম্পানির মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে।

আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন অবশ্যই এটি আপনার বন্ধুদের জানাতে একটি শেয়ার করে দিবেন। আর এ ওয়েবসাইট থেকে নতুন নতুন স্মার্ট মোবাইল ফোনের কোম্পানি সম্পর্কে জানতে চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment