বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয়

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করণীয় : বর্তমান সময়ে বাটন মোবাইল থেকে শুরু করে, স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীরা এমন কেউ নেই।

যারা মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে না। প্রায় প্রতিটি মানুষই তাদের মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করেন টাকা লেনদেন করার জন্য।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয়
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয়

কারণ বিকাশ হচ্ছে একটি মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস তাই তাদের সিস্টেমটাব অনেক হার্ড। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে।

তাই আমরা সর্বোপরি বুঝতে হবে। কি কারনে, আপনাদের বিকাশ এখন বন্ধ হয়। কারণ অনেক সমস্যা আছে যা ঘরে বসে ভেরিফাই করে, ঠিক করা যায়। আবার কিছু কিছু সমস্যা রয়েছে। যেগুলো ঠিক করার জন্য সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করতে হয়।

তাই আপনারা যারা বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করছেন। যদি কোন কারণবশত আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা লেনদেন না করতে পারেন।

মানে আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে করনীয় কি? আপনার প্রশ্ন যদি এটি হয়ে থাকে, তাহলে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।

আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দেবো। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয় কি ? তাই আপনি যদি এ বিষয়ে সঠিক ধারণা পেতে চান? তাহলে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ

আপনারা যারা মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করেন। তাদের অ্যাকাউন্ট অনেক সময় বিভিন্ন কারণবশত বন্ধ হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।

তাই আপনার সাথেও যদি এরকম হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই এটি সমাধান করতে হবে। তবে তার আগে, যারা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার সমস্যায় পড়েননি।

তাদের আগে থেকে জেনে রাখতে হবে। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ গুলো কি? আপনার যদি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ গুলো জানা থাকে।

তাহলে আগে থেকে সতর্ক হয়ে, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কিছু কারণ সমূহ সম্পর্কে।

সেগুলো হচ্ছে-

  • চলমান ৩০ মিনিটের মধ্যে তিনবার ভুল পিন ব্যবহার করার ফলে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়।
  • বিকাশ একাউন্টের তথ্য সঠিক না হলে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়।
  • অনেকদিন বিকাশ একাউন্টে লেনদেন না করলে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়।
  • বিভিন্ন সময় সিম রিপ্লেস করলে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তো বন্ধুরা আপনারা যারা বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে তারা যদি এই সমস্যাগুলো অনুসরণ করে, কাজ করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার বিকাশ একাউন্ট কখনোই বন্ধ হবে না।

তো যাদের বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়েছে। তারা এর সমাধান জানতে, চাইলে নিচে দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করণীয়

আমরা যারা বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করি। আমরা সকলেই জানি যে, ৩০ মিনিটের মধ্যে তিনবারের মতো ভুল পিন কোড ব্যবহার করলে, বিকাশ একাউন্ট টেম্পোরারি ব্লক করে দেওয়া হয়।

অনাকাঙ্খিতভাবে আপনার বিকাশ একাউন্ট লক করে দেয়া হয়। তবে বিকাশ হেল্পলাইনে কল করে সেটি সমাধান করে নিতে পারবেন।

বিকাশ হেল্পলাইনে কল করার আগে আপনার কিছু তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে। বিশেষ করে বিকাশ একাউন্ট খোলার সময় যে, জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করেন নিবন্ধন করেছিলেন।

সেই জাতীয় পরিচয় পত্র সামনে রেখে, লাস্ট/ সর্বশেষ লেনদেন কত টাকা করেছেন সেটি জানা থাকতে হবে। যার ফলে কাস্টমার কেয়ার এর কর্মকর্তার সাথে সাথে তথ্য ভেরিফাই করে নিবে।

তারপর কাস্টমার কেয়ারের হেল্পলাইনে কল করতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র মানে ভোটার আইডি কার্ড যদি কোন মহিলার হয় তাহলে মহিলাকে দিয়ে কথা বলাতে হবে।

বিকাশ কাস্টমার ম্যানেজার সকল তথ্য ভেরিফাই করা হয়ে গেলে আপনার পিনটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড দিয়ে রিসেট করে দেয়া হবে।

এবং আপনি সাথে সাথে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে, নতুন পাসওয়ার্ড অ্যাকটিভ করে নিতে পারবেন।

আর বিকাশ হেল্পলাইনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে, আপনাকে ডায়াল করতে হবে ১৬২৪৭ নম্বরে।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয় কি সে বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপযুক্ত আলোচনা অনুসরণ করে, বিকাশ কাস্টমার কেয়ার হেল্পলাইনে যোগাযোগ করে। খুব সহজেই সঠিক তথ্য প্রদান করে, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে, সমাধান করে নিতে পারবেন।

তাছাড়া আমি আপনাদের সুবিধার জন্য জানিয়ে দিয়েছি বিকাশ একাউন্ট কি কি কারনে বন্ধ হয়।

তো আপনি যদি সেই বিষয় গুলো মাথায় রেখে কাজ করেন। তাহলে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকবে না।

তো বিকাশের গান বন্ধ নিয়ে আপনার যদি কোন মতামত জানার থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন।

আর বিশেষ করে, আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিকাশ সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য করতে, নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment