ডাটা স্ট্রাকচার কি? কত প্রকার ও কি কি ? (বিস্তারিত দেখুন)

ডাটা স্ট্রাকচার কি : আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি, ডাটা স্ট্রাকচার কি? এবং কত প্রকার ও কি কি এই সম্পর্কে।

আপনি যদি ডাটা স্ট্রাকচার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ডাটা স্ট্রাকচার এমন একটি বিষয় মনে করেন। আপনাকে বললাম যে, কম্পিউটারের মাধ্যমে দুইজন শিক্ষার্থীর বয়সের গড় বের করতে।

আপনি সুন্দরমতো দুইটি ভ্যারিয়েবলে দুইজন শিক্ষার্থীর বয়স ইনপুট দিয়ে, তাদের বয়সের যোগফল কে 2 দিয়ে ভাগ করে তাদের বয়সের গড় বের করবেন এবং করবেন।

ডাটা স্ট্রাকচার কি? কত প্রকার ও কি কি ? (বিস্তারিত দেখুন)
ডাটা স্ট্রাকচার কি? কত প্রকার ও কি কি ? (বিস্তারিত দেখুন)

এখন যদি আপনাকে 10 জন শিক্ষার্থীর করতে বলা হয় তাহলে আপনি দশটা ভ্যারিয়েবল নিয়ে সেখানে ইনপুট নিতেন, তাই তো। আর যদি আপনাকে বলা হতো।

আপনি একশো বা 150 জন শিক্ষার্থীর বয়স দিয়ে তাদের বয়সের গড় বের করতে তাহলে। অথবা N সংখ্যা শিক্ষার্থীর বয়সের গড় বের করতে যেখানে, N স্বাভাবিক সংখ্যা, তাহলে আপনি কি করবেন।

[wp_show_posts id=”3303″]

এর মানে হলো ইচ্ছামত অনেক গুলো ভ্যারিয়েবল ডিক্লেয়ার করে, সেখানে ডাটা স্টোর কোন ভাল কাজ না। ডাটাগুলোকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা যায়। তবে সেটি নিয়ে কাজ করা অনেক সুবিধা হবে। উদাহরনের সবথেকে সহজ ডাটা ব্যবহার করা যায় এবং তার নাম হচ্ছে Array.

আপনি হয়তো উপরের আলোচনা অনুসরণ করে ডাটা স্ট্রাকচার সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য বুঝে উঠতে পারেননি। চিন্তার কোন কারণ নেই আমরা এখানে আপনাকে জানিয়ে দেবো, ডাটা স্ট্রাকচার কি এ সম্পর্কে।

ডাটা স্ট্রাকচার কি ?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে ডাটা স্ট্রাকচার বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ডাটাকে সুন্দর এবং স্বাবলম্বী ভাবে সাজিয়ে রাখা। মানে ডাটাকে কম্পিউটারের মেমোরিতে সংরক্ষণ এবং সে গুলোকে প্রসেস করার জন্য, Efficient প্রক্রিয়াতে ডাটাগুলোকে অরগানাইজ করা নাম হচ্ছে ডাটা স্ট্রাকচার।

[wp_show_posts id=”3303″]

কোন ডাটা স্ট্রাকচার নিয়ে কাজ করার সময় আপনার মাথায় দুইটি জিনিস অবশ্যই রাখতে হবে যেমন- প্রথমত ডাটা গুলোর মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বোঝানোর জন্য স্ট্রাকচার এর দিকে দিয়ে যথেষ্ট সমৃদ্ধ হতে হবে।

দ্বিতীয়তঃ সেটিকে খুব সহজ ভাবে সাজাতে হবে। যাতে দরকার পড়লে সহজেই খুঁজে বের করা যায় এবং কাজটা করতে সময়ের অপচয় না হয়।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন, ডাটা স্ট্রাকচার মূলত কি যদি না থাকে। তাহলে, উপরের আলোচনা করুন।

ডেটা স্ট্রাকচার কত প্রকার ও কি কি ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন ডাটা স্ট্রাকচার কি? এখন আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো ডাটা স্ট্রাকচার কত প্রকার এবং কি কি?

ডাটা স্ট্রাকচার মূলত দুই প্রকারের হয়ে থাকে যথা-

[wp_show_posts id=”3306″]

  1. লিনিয়ার ডাটা স্ট্রাকচার।
  2. নন লিনিয়ার ডাটা স্ট্রাকচার।

ডাটা স্ট্রাকচার যেমন দুই প্রকার তেমনি ভাবে, এই দুই প্রকার ডাটা স্ট্রাকচার এর মধ্যে পার্থক্য আছে। নিচে আমরা সে পার্থক্যগুলো ধাপে ধাপে বোঝানোর চেষ্টা করব দেখুন।

লিনিয়ার এবং নন-লিনিয়ার ডাটা স্ট্রাকচার পার্থক্য ?

লিনিয়ার ডাটা স্ট্রাকচারঃ

লিনিয়ার ডাটা স্ট্রাকচার ডাটাসমূহ একটি নির্দিষ্ট নিয়মে সাজানো হয়। যেখানে প্রথমটি পরবর্তী ডাটার সাথে মিল থাকবে।

এসকল ডাটাসমূহ খুব সহজে অ্যাক্সেস করা যায়। এবং খুব সহজে ডাটা হাতের নাগালে খুঁজে পাওয়া যায়। লিনিয়ার ডাটা স্ট্রাকচার এর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, অ্যারে স্ট্যাক, লিং লিষ্ট ইত্যাদি।

[wp_show_posts id=”3303″]

নন-লিনিয়ার ডাটা স্ট্রাকচারঃ

নন লিনিয়ার ডাটা স্ট্রাকচার ডাটাসমূহ পরস্পর ভাবে সেভারেল থাকে। নন লিনিয়ার ডাটা স্ট্রাকচার এর উদাহরণ হচ্ছে, গ্রাফ এবং ট্রি।

ডাটা স্ট্রাকচার এর অপারেশন সমূহ কি কি?

উপরের আলোচনা থেকে আপনারা ডাটা স্ট্রাকচার কি? এবং ডাটা স্ট্রাকচার কত প্রকার এবং কি কি? সে বিষয়ে জেনেছেন। এখন আপনাদের জানিয়ে দেবো ডাটা স্ট্রাকচারের অপারেশন সমূহ কি কি? যেমন-

[wp_show_posts id=”3308″]

  • Deleting.
  • Searching.
  • Inserting.
  • Sorting.
  • Traversing.
  • Merging.

ডাটা স্ট্রাকচার অপারেশন বলতে বোঝায় কোন ডাটা স্ট্রাকচার এ কি কি কাজ করা হয়। মানে আমাদের ডাটা স্ট্রাকচারের যে সকল ডাটা গুলো রয়েছে। তাদের নিয়ে আমরা কি কি কাজ করতে পারি। সে বিষয়ে আমরা সংক্ষিপ্তভাবে নিচে বর্ণনা করছি যেমন-

Traversing – এটিকে অন্য কোথায় ভিজিটিং ও বলা যেতে পারে। ডাটা স্ট্রাকচারের রাখা সকল প্রকার ডাটাকে ঘুরে দেখে আসা কে Traversing বলা হয়।

Searching – এই শব্দটি ইতিমধ্যে আপনাদের জানা রয়েছে ডাটা স্ট্রাকচারের থাকা তথ্যগুলোকে খুঁজে বের করার কে Searching স্ট্রাকচার বলা হয়।

[wp_show_posts id=”3303″]

Inserting – ইন্সাইটিন হচ্ছে প্রবেশ করানো ডাটা স্ট্রাকচারের মধ্যে নতুন কোনো তথ্য বা রেকর্ড যুক্ত করাকে Inserting বলা হয়।

Deleting – হচ্ছে কোনো তথ্য বা রেকর্ডকে মুছে ফেলা।

Sorting: Sorting – এর মাধ্যমে শ্রেণীবিন্যাস করা থাকা সকল তথ্য কে নিজের ইচ্ছামত সাজান কে Sorting: Sorting বলা হয়। যেমন- ছোট অক্ষরের লেখাকে বড় করা।বড় অক্ষরের লেখা কে ছোট অক্ষরের করা ইত্যাদি।

ডাটা স্ট্রাকচার কেন শেখা প্রয়োজনীয়?

আমাদের আর্টিকেলের ওপরের আলোচনাতে বুঝতে পারছেন। ডাটা স্ট্রাকচার এর কাজ এবং ডাটা স্ট্রাকচার কত প্রকার এবং কি কি। ডাটা স্ট্রাকচার কোথায় ব্যবহার করতে হয় এবং ডাটা স্ট্রাকচার শেখা প্রয়োজন শেষে এখন আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো।

আমরা যখন গুগলে, কোন শব্দ বিষয় নিয়ে সার্চ করি তখন দেখতে পারি যে আমরা দুই বা তিন টি অক্ষর লিখি। তখন অটোমেটিকভাবে কিছু সাজেশন গুগলের পক্ষ থেকে আমাদের দেয়া হয়।

[wp_show_posts id=”3308″]

এটি ইমপ্লিমেন্ট করা যায় Tree Data Structure দিয়ে। যা Tree এর একটি Variation.

এছাড়া আপনি মনে করুন একটি কোম্পানি রয়েছে এবং মাস শেষে সবাইকে বলে লাইনে দাড়াতেG এখন আপনি পর্যায়ক্রমে একে একে টাকা দিবেন তাই তো। মনে করুন- আবুলের পরে, শফিক দাঁড়িয়ে আছে তো প্রথম এ আবুলকে টাকা দিলে তো শফিক আপনার সামনে এসে যাবে অটোমেটিক তাইতো।

এখন সে কাজটা যদি কম্পিউটার এর মাধ্যমে করতে চান। তার জন্য আপনাকে ডাটা স্ট্রাকচারের ব্যবহার করতে হবে। ডাটা স্ট্রাকচার বিষয়টি অনেক বড় সেটি একটি আর্টিকেল লিখে শেষ করা যাবে না তাই আমরা সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আমরা আশা করতে পারি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার পরে বুঝতে পেরেছেন যে, ডাটা স্ট্রাকচার কি কেন ডাটা স্ট্রাকচার শেখা প্রয়োজন।

এখন সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার পর আপনার যদি উপকারে লাগে তাহলে, অবশ্যই এটি আপনার বন্ধুদের সাথে একটি শেয়ার করে দেবেন। ডাটা স্ট্রাকচার সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন জানা থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

এছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটে কে আপনি যদি নিয়মিত টিপস এন্ড ট্রিক্স পেতে চান, তাহলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment