মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি ? এর সুবিধা বৈশিষ্ট এবং প্রকারভেদ

আজ আমরা আমাদেরকে আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করব মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি এবং এর সুবিধা বৈশিষ্ট্য এবং প্রকারভেদ সমূহ। বর্তমান সময়ে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করে থাকেন যেমন হতে পারে বেস্ট অফ কম্পিউটার ল্যাপটপ কম্পিউটার ইত্যাদি।

আমরা যারা কম্পিউটার ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকি সেখানে আমাদের অবশ্যই উইন্ডোস এর প্রয়োজন হয়। তাই আজ আমরা আপনাদের জানাব মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি এবং এর সুবিধা সমূহ আপনি যদি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তবে আমাদের দেওয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বর্তমান সময়ে সকলেই উইন্ডোজ ওএস এর কোনো না কোনো একটি ডিভাইস ব্যবহার করে যাচ্ছেন এবং ব্যবহার করেছেন এক্ষেত্রে হতে পারে আপনি একটি উইন্ডোজ ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার এছাড়া স্মার্টফোনগুলো ব্যবহার করেছেন কিন্তু উইন্ডোজ ব্যবহার করে থাকলেও অনেকেই আবার উইন্ডোস এর বিষয়ে ভালো ধারণা রাখে না।

ইন্টারনেটে যে কোন তথ্য পেয়ে যায় তেমন একটা সুবিধা কাজ মোটেও না তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি যদি বাংলা জানেন এবং জানতে চাচ্ছেন যে উইন্ডোজ এর ক্ষেত্রে এর সুবিধা এবং বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি তবে আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর সাথে সকল প্রকার তথ্য আপনাকে দেওয়ার চেষ্টা করব।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর বিষয়ে আপনারা হয়তো অনেকেই শুনেছেন কিন্তু একটি অপারেটিং সিস্টেম কি এবং এর কাজ কি হয় সেটা হয়তো আপনারা জানেন না।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম আমরা সকলেই কিছু না কিছু জানি তবে আমরা উইন্ডোজ কি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করবো অপারেটিং সিস্টেম মানে কি বিষয়ে অবশ্য আপনারা জানতে পারবেন কেননা উইন্ডোজ হচ্ছে একটি অপারেটিং সিস্টেম আর তাই উইন্ডোস এর বিষয়ে তাহলে আপনার অপারেটিং সিস্টেম এর বিষয়ে জ্ঞান থাকা অবশ্যই জরুরি।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি ? এর সুবিধা বৈশিষ্ট এবং প্রকারভেদ
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি ? এর সুবিধা বৈশিষ্ট এবং প্রকারভেদ

উইন্ডোজ (windows) কি ? 

কয়টা যাচ্ছে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন নামের একটি বিখ্যাত আইটি কোম্পানি দ্বারা তৈরি হয়েছে এটি গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস অপারেটিং সিস্টেম। এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ডিভাইসগুলো পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে যেমন কম্পিউটার ল্যাপটপ স্মার্টফোন গুলোতে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ওএস ব্যবহার করা হয় যেগুলো পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ হচ্ছে অনেক জনপ্রিয় সবথেকে অধিক পরিমানে ব্যাবহার হয় অপারেটিং সিস্টেম আধুনিক এবং উন্নতমানের ডিসপ্লে এবং গুলোর কারণে বর্তমানে এই মাইক্রোসফট উইন্ডোজ মানুষদের প্রিয় হয়ে উঠছে এমনিতে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ছিল প্রথমে ব্যবহার করা অপারেটিং সিস্টেম।

কিন্তু উন্নত ও আধুনিক অপারেটিং সিস্টেম আসার আগে মানুষ মাইক্রোসফট ডি ও এস ও এস এর কমেন্ট লাইন ব্যবহার করে কাজ করে থাকতেন মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর এতটা জনপ্রিয় হওয়ার কারন এটাও যে এই ওএস ব্যবহার করা অনেক সহজ।

একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ডিভাইসের মধ্যে যখন আমরা উইন্ডোজ ওএস ইন্সটল আপডেট করি তখন সাধারণ মানুষদের ব্যবহার উপযোগী হয়ে থাকে কারণ উইন্ডোজ ইন্সটল করার পর আপনি অনেক সহজেই বিভিন্ন কাজ গুলো নিজের কম্পিউটার ডিভাইসের মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারবেন যেমন- অ্যাপ্লিকেশন এর ব্যবহার, ফাইল স্টোর, বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গেম খেলা, মুভি এবং ভিডিও দেখা ইন্টারনেট ব্যবহার করা ইত্যাদি।

আমরা জানি 1983 সালের নভেম্বর মাসে 1.0 ভার্সন এর সাথে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ এর প্রথম ভার্সন নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তারপর উইন্ডোসের প্রচুর উন্নত ও আপডেট ভার্সন বের হয়েছে বর্তমানে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ টেন হল সবথেকে নতুন উইন্ডোজ ভার্সন।

উইন্ডোজ ওএস বলতো ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল পার্সোনাল কম্পিউটার গুলোতে অধিক পরিমাণে ব্যবহার করা হয় তো চলুন জেনে নেয়া যাক উইন্ডোস এর বিষয়ে বিস্তারিত ধারনা।

উইন্ডোস নাম কেন দেওয়া হয়েছিল ?

আমরা উপরের আলোচনাতে আপনাদের জানিয়েছে উইন্ডোজ কি এখন আমরা আপনাদের জানাব উইন্ডোস এর নাম কেন দেওয়া হয়।  আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তবে ধাপে ধাপে লেখা গুলো অনুসরন করুন কিছু সময় আগে থাকা অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে দেখেছি ইন্টারফেস যেখানে আলাদা আলাদা কমান্ড লাইন ব্যবহার করে কম্পিউটারকে নির্দেশ প্রদান করা যেত।

কিন্তু মাইক্রোসফট উইন্ডোজ আধুনিক GUI bass এস যেখানে আলাদা আলাদা কনন্টেন্ট ফাইল এবং সফটওয়্যার আলাদা আলাদা স্ক্যান এর উইন্ডোজ গুলো চালু হয় তার মানে হচ্ছে আপনি যদি একটি অ্যাপ্লিকেশন চালু করেন সেটা যদি আলাদা উইন্ডোজ স্থানের মধ্যে চালু হয় এবং আবার যদি আপনি একই সময়ে অন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন মিডিয়া ফাইল চালু করেন সেটাও একটি আলাদা স্ক্যানার মধ্যে চালু হবে।

তার জন্য এই মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেমের নাম রাখা হয়েছিল। তার জন্য উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর আলাদা আলাদা উইন্ডোজ টেন এর মধ্যে চালু হওয়ার সুবিধা কম্পিউটারের মধ্যে মাল্টিপ্লেক্সিং করাটা অনেক সহজ হয়।

অপারেটিং সিস্টেম কি ?

অপারেটিং সিস্টেম এর বিষয়ে আমরা আগে আপনাকে জানিয়েছি তবে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ হচ্ছে একটি অপারেটিং সিস্টেম ও তাই আপনারা প্রথমে বুঝতে হলে অপারেটিং সিস্টেমকে আবার সিস্টেম সফটওয়্যার কেউ বলা হতে পারে এর মূল কাজ হলো কম্পিউটার হার্ডওয়ার সফটওয়্যার ইত্যাদি গুলোকে পরিচালনা করা কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলোকে কাজ করার ক্ষেত্রে সাহায্য করা।

যেকোনো ধরনের কম্পিউটার ডিভাইসের জন্যে একটি অপারেটিং সিস্টেম অত্যন্ত জরুরী অপারেটিং সিস্টেম এমন একটি কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহারকারী এবং কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে।

আমরা সবাই জানে কম্পিউটার হচ্ছে একটি মেশিন এবং কম্পিউটার আমাদের ভাষা দেওয়া যেতে পারে না তাই সেজন্য অপারেটিং সিস্টেমের কাজ হল ব্যবহারকারীরা নির্দেশগুলো কম্পিউটার কে সঠিক ভাবে বোঝানো অপারেটিং সিস্টেম এর মাধ্যমে কম্পিউটারের সকল ইউজার এর নির্দেশ দেওয়া বুঝতে পারে এবং সেভাবে আউটপুট প্রদান করে থাকে একটি অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া ব্যবহারকারীরা সহজে ব্যবহার করতে পারবেন না তাই অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন অনেক বেশি।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর কাজ কি ?

আপনারা উত্তর আলোচনা তে যে বিষয়গুলো জেনেছেন এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে যে মাইক্রোসফট উইন্ডোস এর কাজ কি সে প্রশ্নের উত্তরটি হচ্ছে যেসকল কাজগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয় উইন্ডোজ সেই কাজগুলো করে থাকে অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে যেমন কম্পিউটার হার্ডওয়ার সফটওয়্যার ইত্যাদি গুলো কে পরিচালনা করে।

ব্যবহারকারী এবং কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দেয় ইউজারের দেওয়া সকল মেয়েদের গুলোকে কম্পিউটারকে তার ভাষাতে বসিয়ে দেই। ফাইল ম্যানেজমেন্ট মেমোরি মানেজমেন্ট প্রসেস মানেজমেন্ট ইত্যাদি কাজগুলো করে থাকে।  উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি এ বিষয়ে জানতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট গুলো কি ?

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম বলার জন্য অনেক বিষয় রয়েছে আজ অধিকাংশ মানুষ নিজের কম্পিউটার গুলোতে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যবহার করছেন তাই এতোটা জনপ্রিয়তা কিছু তো কারণ অবশ্যই রয়েছে।

উইন্ডোজ এর মাধ্যমে আপনি অনেক দ্রুত কাজ করতে পারবেন মাল্টিটাস্কিং অ্যাপ্লিকেশন ফাইল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি সকল কাজ করা সম্ভব।

কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম এতটা ফাস্ট কাজ করবে সেটা অনেকটা নির্ভর করে আপনার কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন এর উপরে।

উইন্ডোস এর জন্য যেকোনো ধরনের সফটওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারনেটে আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন এছাড়া সফটওয়্যার compatibility উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য অনেকটাই ভালো আপনার কম্পিউটার উইন্ডোজ ব্যবহার করার জন্য তেমন ভারী ভারী হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন এর প্রয়োজন পড়ে না 4 জিবি র্যাম মেমরি থাকা কম্পিউটার সিস্টেম গুলো তে উইন্ডোজ 7 ব্যবহার করে অনেক ভালোভাবে অপারেট করতে পারে তাছাড়া উইন্ডোজ টেন বেশিরভাগ লোহার কম্পিউটার সিস্টেমগুলোতে ভালো কাজ করে।

যখন বলা হয় ডিজাইন এর কথা তখন উইন্ডোসের যেকোনো ভাষণ আমরা অনেক পছন্দ করে থাকি যেমন উইন্ডোজ 7 8 সকল ভার্সনের মধ্যে আধুনিক এবং আকর্ষণীয় ডিজাইন অবশ্যই আছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম দেখতে অনেক পরিষ্কার এবং অরজিনাল।

ভাইরাস এবং সিকিউরিটি নিয়ে আপনারা যে সমস্যায় পড়ে থাকেন অন্যান্য উইন্ডোজ ব্যবহার করে আপনারা উইন্ডোজ টেন এর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সিকিউরিটি অপশন এবং উইন্ডোজ ডিফেন্ডার এন্টিভাইরাস প্রোডাকশন দেওয়া রয়েছে আপনার ভাইরাস নিয়ে কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না।

তবে নিয়মিতভাবে অফিশিয়াল আপডেট নিজে নিজেই ডাউনলোড এবং ইন্সটল হতে থাকে যার ফলে নতুন নতুন ফিচার ফাংশন এবং নিজে নিজেই যুক্ত হয়ে থাকে।

উইন্ডোজ এর প্রকারভেদ ?

আপনারা যে কোন অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন প্রকার বিভাজিত দেখতে পারেন। কিন্তু মূলত দুইটি বিশেষ ভাগে ভাগ করা হয় উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমকে যেমন সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম  Multiple  ইউজার অপারেটিং সিস্টেম।

Single user Windows অপারেটিং সিস্টেম

সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি সময় যখন একজন ব্যক্তি কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন বেশিরভাগ মানুষ বর্তমান এধরনের অপারেটিং সিস্টেম নিজের ঘরে এবং অফিসে থাকা কম্পিউটার ল্যাপটপগুলোতে ব্যবহার করে থাকে।

যা ব্যবহার করে লোকেরা সহজে তাদের জটিল জটিল কাজগুলো সহজে সম্পন্ন করে নিতে পারে তাই সিঙ্গেল ইউজার উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে আর একেই সিঙ্গেল ইউজার উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়।

Multiple user Windows অপারেটিং সিস্টেম

মাল্টিপেল ইউজার উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম একাধিক লোকেরা একসাথে সেই কম্পিউটারে কাজ করতে পারেন মাল্টিপেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেমগুলো কে বলতো বড় বড় কোম্পানিগুলো তে ব্যবহার করা হয় এজন্য বিভিন্ন কম্পিউটার গুলো একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করতে পারে।

আশা করি আপনারা মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ এর বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন যদি না রোজা থাকেন তবে দয়া করে আরও একবার উপরের অংশটি পড়ে নেবেন।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি এবং এর সুবিধা বৈশিষ্ট্য এবং প্রকারভেদ সমূহ। আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন তবে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিন।

আমাদের ওয়েবসাইটে কম্পিউটার বিষয়ে এবং উইন্ডোজ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আপলোড করা রয়েছে আপনারা চাইলে সেই বিষয়গুলো পড়ে নিতে পারেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment