চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম

চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম : বর্তমানে বাংলাদেশের সকল প্রকার কার্যক্রমে বিশেষ করে, চাকরি ক্ষেত্রে চারিত্রিক সনদপত্র প্রয়োজন হয়।

মনে করুন আপনি যদি কোন কোম্পানির আন্ডারে কাজ করতে চান?

চাকরির জন্য আবেদন করেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে চারিত্রিক সনদপত্র সংযুক্ত করতে হবে।

চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম
চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম

কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে, যারা এখনো পর্যন্ত জানে না। কিভাবে নিজের চারিত্রিক সনদপত্র নিজে লিখতে হয়।

তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম কি ?

আপনি যদি চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান? তাহলে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

চারিত্রিক সনদপত্র এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যা একটি চাকরি থেকে শুরু করে, সরকারি এবং বেসরকারি উন্নয়নমূলক কাজে সুবিধা নিতে চাইলে, অবশ্যই চারিত্রিক সনদপত্র জমা দিতে হবে।

তাই আপনারা যে কাজের জন্য চারিত্রিক সনদপত্র দাখিল করেন না কেন? আপনাকে চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম অবশ্যই জানতে হবে।

তাই আমি আপনাকে এখানে এমন একটি চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম নমুনা হিসেবে জানিয়ে দেবো।

যা অনুসরণ করে আপনারা খুব সহজেই চারিত্রিক সনদপত্র লিখতে পারবেন। এবং যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

চারিত্রিক সনদপত্র কোন কাজে লাগে ?

তো আমরা উপরের আলোচনাতে, আপনাকে জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। চারিত্রিক সনদপত্র কোন কোন কাজে লাগে।

তো এখন আমি আপনাকে বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করব। চারিত্রিক সনদপত্র মূলত কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়।

সে বিষয়ে জানতে, নিচে দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।

  • আপনি যদি কোন সরকারি চাকরির আবেদন করতে চান? সেক্ষেত্রে আপনার চারিত্রিক সনদপত্র আবেদনের সাথে সাবমিট করতে হবে।
  • আবার আপনি যদি কোন বেসরকারি চাকরিতে আবেদন করেন। সেক্ষেত্রে, আপনাকে চারিত্রিক সনদপত্র দাখিল করতে হবে।
  • আপনি যদি কোন ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান? সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার চারিত্রিক সনদপত্র লাগবে।
  • আপনি যদি কোন দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করেন। সেক্ষেত্রে আপনার চারিত্রিক সনদপত্র লাগবে।
  • আপনি যদি পাসপোর্ট আবেদন করেন সে ক্ষেত্রে চারিত্রিক সনদপত্র দাখিল করতে হবে।

তো বন্ধুরা আপনারা যারা জানতে চান? চারিত্রিক সনদপত্র মূলত কোন কোন কাজে লাগে। সে বিষয়ে আমরা উপরোক্ত আলোচনায় উল্লেখ করেছি।

কিন্তু এই বিষয় গুলো ছাড়া আরও অসংখ্য কাজে চারিত্রিক সনদপত্র ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়।

তাই আপনাকে জানার রাখতে হবে। কিভাবে চারিত্রিক সনদপত্র লেখা হয়। তাই আমি আজকে আপনাকে জানিয়ে দেবো। চারিত্রিক সনদপত্র লেখার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।

চারিত্রিক সনদপত্র কোথায় পাওয়া যায়

চারিত্রিক সনদপত্র এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট যা ব্যবহার করে আপনারা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। তো অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে, চারিত্রিক সনদপত্র কোথায় পাওয়া যায়।

আর চারিত্রিক সনদপত্র লেখার পর সেখানে কার কার স্বাক্ষর নিতে হয়।

তো আপনার যদি এই প্রশ্নটি মনে জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে পরিষ্কার করে বলতে চাই। আপনাদের চারিত্রিক সনদপত্র প্রয়োজন হলে, সরাসরি আপনার এলাকার সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ এর কার্যালয় হতে সংগ্রহ করতে পারবেন।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- উপরোক্ত কার্যালয় হতে, সরাসরি চারিত্রিক সনদপত্র নাও দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে, তারা আপনাকে বলতে পারে, আপনি বাইরে কোথাও থেকে চারিত্রিক সনদপত্র লিখে নিয়ে আসুন।

কারণ তারা শুধুমাত্র আপনার চারিত্রিক সনদপত্রে স্বাক্ষর এবং সীল যুক্ত করে দেবে।

তাই আপনাকে অবশ্যই চারিত্রিক সনদপত্র সংগ্রহ করে, স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয় হতে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর এবং সিল গ্রহণ করতে হবে।

আপনারা চাইলে, চারিত্রিক সনদপত্র বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান থেকে ফটোকপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

কিন্তু আপনি যদি চারিত্রিক সনদপত্রে আপনার বিস্তারিত তথ্য লিখতে চান? সেক্ষেত্রে নিজে নিজে চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়মটি জানতে হবে।

তাই চলুন কিভাবে চারিত্রিক সনদপত্র লেখা যায়। সে বিষয়ে জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত।

চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম

আপনি যদি নিজের চারিত্রিক সনদপত্র নিজে লিখতে পারেন। তাহলে সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতে পারবেন। কারণ রেডিমেড যে, সকল চারিত্রিক সনদপত্র কম্পিউটার দোকানে পাওয়া যায়। সেখানে আপনার চারিত্রিক দিক দিয়ে নাও মিলতে পারে।

সে ক্ষেত্রে, আপনার চারিত্রিক সনদপত্র নিজে লেখার চেষ্টা করুন। তারপর সেটি প্রিন্ট আউট করে। যে কর্মকর্তার স্বাক্ষর এবং সিল সংগ্রহ করে, আপনার প্রয়োজনের কাছে ব্যবহার করুন।

তাই আমি আপনার সুবিধার জন্য এখানে চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম হিসেবে, একটি নমুনা প্রস্তুত করেছি। যা অনুসরণ করে আপনারা সহজেই চারিত্রিক সনদপত্র লিখে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

তো নিচে দেওয়া নমুনা টি ফলো করুন। আমরা এখানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বার করতে কি যে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করা হয়। সেটির নমুনা প্রস্তুত করেছি।

চারিত্রিক সনদপত্র

এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, মোহাম্মদ/মোছাঃ (এখানে নাম লিখতে হবে), পিতাঃ (পিতার নাম লিখতে হবে), মাতাঃ (মাতার নাম লিখতে হবে), গ্রামঃ (গ্রামের নাম লিখতে হবে), ডাকঘরঃ (ডাকঘরের নাম লিখতে হবে), ইউনিয়নঃ (ইউনিয়নের নাম লিখতে হবে), ওয়ার্ড নংঃ (গ্রামের ওয়ার্ড নং লিখতে হবে), উপজেলাঃ (উপজেলার নাম লিখতে হবে), জেলাঃ (জেলার নাম লিখতে হবে)। তিনি আমার ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। তার স্বভাব চরিত্র ভালো। আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে তাকে এবং তার স্ব-পরিবারকে চিনি। তিনি রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কাজে জড়িত নয়।

অতএব, আমি তাহার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।

স্বাক্ষর

চেয়ারম্যান / মেম্বার

তারিখঃ 01/01/2023

আপনারা উপরে দেওয়া নমুনা অনুযায়ী খুব সহজেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বার কর্তৃক যে, প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হয়।

সেটি লিখে সাক্ষর এবং সীল যুক্ত করে যে, কোন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপরোক্ত নমুনা অনুযায়ী একটি চারিত্রিক সনদপত্র লিখে, নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে স্বাক্ষর এবং সিল গ্রহণ করে, আপনার চাকরি ক্ষেত্রে বা অন্যান্য প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন।

তো চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ধরনের লেখা সম্পর্কে জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment