ইউকে ভিজিট ভিসা : আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে ইউকে যেতে চান? তাদের জন্য সুখবর। কারণ বাংলাদেশ থেকে আপনারা খুব সহজেই ইউকে ভিজিট ভিসা নিয়ে গমন করতে পারবেন।
কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে। যারা ইউকে ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহে কিন্তু ভিসা সম্পর্কে তেমন ধারণা রাখেনা।
তাই আমি তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে ইউকে ভিজিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি ইউকে ভিজিট ভিসা সম্পর্কে ধারণা পেতে চান? আমাদের লেখা টিকাটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ইউকে ভিজিট ভিসা
আপনি যদি ইউকে প্রথম অবস্থায় ভিজিট করতে চান? সেক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য ভিসা আবেদন করতে হবে। কেউ যদি ছয় মাসের ভিজিট ভিসা পেয়ে যায়।
আবার সময় মত ছয় মাসের মধ্যে নিজ দেশে ফিরে আসে। তবে পরবর্তীতে এক বছরের জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে ভিসা পাওয়া না পাওয়া নিজের অবস্থানের এবং ডকুমেন্টের উপর পুরোপুরি নির্ভর করবে।
ইউকে ভিজিট ভিসার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আমরা আর্টিকেলের শুরুতেই আপনাকে বলে রাখি- আপনি যদি ইউকে ভিজিট ভিসা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে একজন ব্যবসায়ী হতে হবে তা না হলে প্রাইভেট বা সরকারি চাকরিজীবী হতে হবে।
কারণ নিজেকে প্রমাণ করতে হবে যে, আপনি কি কারণে ইউকে ভিজিট করতে চান? আবার ছয় মাসের মধ্যে নিজের দেশে ফিরে আসার জন্য অবশ্যই।
এক্ষেত্রে আপনি যদি একজন ব্যবসায় হয়ে থাকেন বা চাকরিজীবী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাদের যা যা কাগজপত্র লাগবে?
সেগুলো হচ্ছে-
- ব্যবসায়ী হলে ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স
- চাকরিজীবী হলে কোম্পানি থেকে ভিজিট পারমিশন লেটার
- ব্যবসায় হলে ভিজিটিং কার্ড
- ব্যবসায়িক কিছু পণ্য বিক্রির রিসিপ্ট প্রমাণ পত্র
- আপনি চাকরিজীবী হন আর ব্যবসায়ী হন সেক্ষেত্রে নিজস্ব কিছু সম্পদ থাকতে হবে। এর জন্য নোটারি পাবলিক ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে।
- আপনার মিনিমাম 6 মাসের পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- বিভিন্ন দেশে ভিজিট করার প্রমাণপত্র থাকতে হবে যেমন ভারত মালয়েশিয়া সৌদি আরব ইত্যাদি।
- আপনার ব্যাংক একাউন্টের ছয় মাসের স্টেটমেন্ট লাগবে।
ইউকে ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদন ফরম।
- পেমেন্ট পরিশোধের লেটার।
- এপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন প্রিন্ট আউট কপি।
- ১ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট অন্তত ছয় মাস এর।
- বর্তমানে যে দেশে রয়েছেন সেই দেশের লিগাল স্ট্যাটাস কপি।
- স্টুডেন্ট হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হলিডে লেটার।
- চাকরিজীবী হলে প্রতিষ্ঠান থেকে অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র।
- চাকরিজীবী হলে সর্বশেষ তিন মাসের বেতনে প্রমাণতা।
- ব্যবসায়ী হলে ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন কাগজপত্র।
- ব্যবসার সর্বশেষ তিন মাসের ব্যালেন্স শিট।
ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদন
আপনি যদি ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদন করতে চান? সে ক্ষেত্রে উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে হবে। তারপর আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদন করার সময় আপনাকে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম পূরণ করবেন সেখানে গিয়ে ইউজার একাউন্ট চালু করতে হবে। আপনারা যে কোন ব্রাউজারে প্রবেশ করে, ইউকে ভিজিট ভিসা ফরম পূরণের জন্য এ লিংকে ক্লিক করুন।
কিউকে ভিজিট ভিসা ফরম পূরণ শেষের দিকে আপনাকে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফি পরিশোধ করতে হবে। আপনারা পেমেন্ট করতে পারবেন paypal, মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড, ক্রল ইত্যাদি সিস্টেমের মাধ্যমে পে করতে পারে। অ্যাপ্লিকেশন ফি ১৯৩ ইউরো প্রদান করতে হবে।
ইউকে ভিজিট ভিসা ফ্রি পরিশোধ করার পর অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার দিনক্ষণ, তারিখ অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার কাজ সম্পন্ন হলে পুরো অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এবং ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফ্রী কনফার্মেশন প্রিন্ট আউট করতে হবে।
ইউকে ভিজিট ভিসা ইন্টারভিউ
ইউকে ভিজিট ভিসার জন্য সকল প্রকার কাগজপত্রসহ হাজির হয়ে যাবেন ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে। অ্যাপার্টমেন্টে কনফার্মেশন লেটার এর জায়গা এবং তারিখ লেখা থাকবে।
ইন্টারভিউ যাওয়ার জন্য আপনারা আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন বিশেষ করে ১৫ মিনিট আগে ইন্টারভিউ বোর্ডে বায়োমেট্রিকের জন্য হাজির হবে।
ইউকে ভিজিট ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে আবেদন জমা দেয়ার পরে আপনাকে ফরমাল কিছু প্রশ্ন করবে। বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে।
আপনারা চাইলে সকল প্রকার কাগজপত্র অরিজিনাল জমা দিতে পারেন তারা আপনাকে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম আর আপনার রেমিটেন্সের কপি বাদে সকল প্রকার কাগজপত্র ফেরত দিয়ে দিবে।
ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদনের দিন থেকে ১৫ দিন সময় নেবে ভিসা ডিসিশন পেতে। ভিজিট ভিসা পেলে বা রিজেক্ট হলে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট বাসা ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হবে।
শেষ কথাঃ
আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে ইউকে ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে চান? তারা উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে, খুব সহজেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
তো ইউকে ভিসা নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন জানার থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর বিশেষ করে আমাদেরকে ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন দেশের সম্পর্কে জানতে, নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।