আমরা জানি ট্রেড লাইসেন্স ফি ব্যবসার ধরন এর উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। এ ফি সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সাধারণত একটি লাইসেন্স পেতে তিন থেকে সাত কর্ম দিবস সময় লাগে। এক্ষেত্রে যারা ১৮ বছর বয়সের নাগরিক রয়েছে। তারা ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কারণ কোন ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করতে গেলে, বাংলাদেশ নাগরিকের জাতীয় পরিচয় পত্র / ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়।
তাই আপনারা যারা ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কে এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি সম্পর্কে জানতে চান? তারা আমাদের লেখাটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
[wp_show_posts id=”3303″]
ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে ?
আপনি যদি বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে কোন ছোট ব্যবসা বা বড় ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স করতে চান? সেক্ষেত্রে আপনাকে ১৮ বছর বয়সী হতে হবে তা না হলে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করতে পারবেন না।
[wp_show_posts id=”3306″]
বিশেষ করে, ট্রেড লাইসেন্স করতে গেলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কপি লাগবে। পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে। ট্রেড লাইসেন্স ফি পরিশোধ করতে হবে।
আপনি যখন ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করবেন। তখন আপনাকে এক বছরের মেয়াদ হিসেবে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হবে।
তাই প্রতিবছর আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করতে হবে। সরকারি ফি প্রদান করে।
ট্রেড লাইসেন্স কোথায় পাওয়া যায়
আপনারা যারা শহরে বা গ্রামে বসবাস করেন। ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করতে চান। তারা অনেকেই জানতে চান ট্রেড লাইসেন্স কোথায় গেলে পাওয়া যায়।
তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনি যদি ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করতে চান? তাহলে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে, ট্রেড লাইসেন্সের নির্ধারিত ফি জমা করে, ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে। পারেন
ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম ও ফি
বাংলাদেশের যে কোন অঞ্চলে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য নির্দিষ্ট আঞ্চলিক অফিস থেকে ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করা আইনানুগ বাধ্যতামূলক।
বাংলাদেশের দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর পূর্ণ এলাকা কে মোট ১০ টি অঞ্চলে ভাগ করে ট্রেড লাইসেন্স সেবা প্রদান করা হয়। অঞ্চল গুলো অফিসের ঠিকানা এবং আওতাধীন ওয়ার্ডের বিস্তারিত তালিকা ভিজিট করে দেখতে পারেন।
ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স সেবা প্রধানের প্রয়োজনীয় সময় এবং ফরম গ্রহণ ফি ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য নির্ধারিত (কে) ফরম এ আবেদন করতে হয়।
[wp_show_posts id=”3308″]
আবেদনপত্রের সাথে তিন কপি রঙিন ছবি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাড়ার চুক্তিপত্র এবং ভাড়ার রশিদ, কর পরিশোধের রশিদ, এছাড়া কর কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করার প্রয়োজন হয়।
বিভিন্ন লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে, স্মারকলিপি কপি প্রস্তুত করে দাখিল করতে হয়। পরবর্তীতে ট্রেড লাইসেন্স সুপারভাইজার কর্তৃক সরেজমিন তদন্ত করে, সঠিক পাওয়া গেলে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যবসার ধারণা অনুযায়ী নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হয়।
কর আইন এর ৪৪ (১) ধারা মোতাবেক ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স ফি হিসেবে ২৩০/- টাকা। ৫০০/- টাকা আবার কোন জায়গায় ১৫০০/- টাকা পর্যন্ত।
আপনারা যারা ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে, বড় ব্যবসা গুলোর ট্রেড লাইসেন্স করতে চান? তাহলে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করে, ট্রেড লাইসেন্স ফি জমা দিয়ে, সাত কর্ম দিবসের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করতে পারবেন।
আর সাধারণ ব্যবসা গুলোর ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স করতে গেলে। আপনারা সাথে সাথে ২৩০ টাকা ফি জমা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন
ট্রেড লাইসেন্স এর বহির সাথে নবায়নের চালান বহি থাকে। বসার ভিত্তিক নবায়ন সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় নির্ধারিত ফি জমা জমা দিতে হয়।
ট্রেড লাইসেন্স আবেদনের একদিনের মধ্যে নবায়ন করা হয়। নবায়ন ফি হিসাব করে, প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে।
কর তফসীল সিটি কর্পোরেশন আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন কোন নির্ধারিত হয়।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করতে চান। তারা উপরে উল্লেখিত আলোচনা অনুসরণ করে ট্রেড লাইসেন্স ফি পরিশোধ করে, খুব সহজে এক বছরের জন্য ট্রেড লাইসেন্স করে নিতে পারবেন।
তো ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। এবং ফি সম্পর্কে যদি আরো কোন মতামত থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
বিশেষ করে ট্রেড লাইসেন্স ফি সম্পর্কে আপনারা আরো ভালোভাবে জানতে। ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশনের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।