ব্রুনাই ভিসার দাম কত : ব্রুনাই অনেক সুন্দর একটি দেশ। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ফ্রি ভিসায় ব্রুনাই গিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
ব্রুনাই এ কাজ করার অনেক ধরণের সুবিধা আছে।
বিশেষ করে, আপনি যদি কোন এজিন্সের মাধ্যমে ব্রুনাই গিয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই কোম্পানির অধিনে কাজ করে যেতে হবে।
কোম্পানির অধিনে কাজ করার জন্য কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী আপনাকে ব্রুনাই অবস্থান করতে হবে।
এছাড়া, যারা ব্রুনাই ফ্রি ভিসার মাধ্যমে ব্রুনাই গিয়ে অবস্থান করতে চাইলে। যে কোন কোম্পানিতে ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে পাবেন।
- বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে ভিসা ছাড়া যাওয়া যায়
- ভিসা কি ? ভিসা কত প্রকার ও কি কি ?
- বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম
আবার আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ ছেড়ে এক কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানিতে যোগদান করতে পারবেন।
যার ফলে ব্রুনাই ফ্রি ভিসার অনেক সুবিধা আছে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানাব, ব্রুনাই ভিসার দাম কত টাকা।
আপনি যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান? তাহলে শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
ব্রুনাই ফ্রি ভিসা
আপনারা যারা ব্রুনাই ফ্রি ভিসা নিয়ে যেতে চান? তাদের কে অবশ্যই জানতে হবে। ব্রুনাই ভিসায় গেলে কোন কোন সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবে। তো নিচের অংশ থেকে ব্রুনাই ফ্রি ভিসার সুবিধা গুলো জানুন।
ব্রুনাই ফ্রি ভিসাতে গমন করলে, নিজের ইচ্ছা মতো যে কোন কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন।
ব্রুনাই ফ্রি ভিসা নিয়ে কাজ করলে, আপনি যেখানে ইচ্ছা সেখানে বসবাস করতে পারবেন। মানে এখানে আপনাকে কোন কোম্পানির অধিনে কাজ করতে হবে না।
নির্দিষ্ট কাজ শেষ করে ওভারটাইম করে আরো বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যা কোম্পানি ভিসার মাধ্যমেও করতে পারবেন না।
ব্রুনাই ফ্রি ভিসা’র মাধ্যমে একাধিক কোম্পানিতে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। আর ফ্রি ভিসার মেয়াদ শেষ হলে, পুনরায় আবার রিনিউ করে নিতে পারবেন।
যদি আপনি ব্রুনাই ভালো কাজ না পান। তবে পরবর্তীতে ব্রুনাই থেকে অন্য দেশে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
এছাড়া, ব্রুনাই ফ্রি ভিসার আরও অনেক সুযোগ ও সুবিধা আছে। যা আপনারা কোম্পানি ভিসা না নিয়ে ফ্রি ভিসার জন্য আবেদন করুন।
ব্রুনাই ফ্রি ভিসা কিভাবে পাবেন ?
ব্রুনাই যাওয়ার জন্যে অবশ্যই ব্রুনাই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। অনেক লোক ব্রুনাই ভিসা কিভাবে পাবে বা ব্রুনাই ফ্রি ভিসা পাওযার উপায় কি সেটি জানেন না।
ব্রুনাই ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে সরাসরি ব্রুনাই দূতাবাসে গমন করতে হবে। মানে ব্রুনাই ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় যে সকল ডকুমন্টে লাগে সেগুলো সঙ্গে নিয়ে ব্রুনাই দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে ফ্রি ভিসা করার জন্য।
ব্রুনাই দূতাবাসে প্রবেশ করে আপনি কি জন্য ব্রুনাই গমন করতে চান। সেই সকল বিষয় গুলো লিখে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার পরে তারা ডকুমেন্ট সব কিছু সঠিক আছে কিনা যাচাই করবে। যদি সব কিছু ঠিক থাকে। তবে ব্রুনাই ভিসা প্রদান করবে।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ব্রুনাই ভিসা পেতে চান। তাহলে অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হতে পারে।
ব্রুনাই ভিসা পাওয়ার জন্য ডকুমেন্ট লাগে ?
ব্রুনাই ভিসা পাওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো সংগ্রহ করতে হবে। না হলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। উক্ত ডকুমেন্ট গুলো দিয়ে ব্রুনাই দূতাবাস এর অফিসে গিয়ে ব্রুনািই যাওয়ার জন্যে আবেদন করতে হবে।
আপনি যদি ব্রুনাই কাজের ভিসা জন্য আবেদন করেন। তাহলে তাদের জন্য অভিজ্ঞতার দিকে একটি বেশি মূল্যায়ন করবে। ব্রুনাই ভিসার জন্যে যে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো লাগবে, সেগুলো হলো-
- একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট।
- পাসপোর্ট এর মেয়াদ ৬ মাসের হতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজ এর চার কপি ছবি।
- ৬ মাস এর ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি।
- যে কোন কাজের প্রমাণ পত্র।
এখন আপনি যদি ব্রুনাই যেতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই উক্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে, ব্রুনাই দূতাবাসে জমা দিতে হবে। তাহলেই আপনারা ব্রুনাই ভিসা সম্পন্ন করতে পারবেন।
ব্রুনাই কাজের বেতন কত
অনেকে অনলাইনে সার্চ করে জানার চেষ্টা করে যে, ব্রুনাই কাজের বেতন কত ? তো আমি তাদের সুবিধার জন্য জানাতে চাই। ব্রুনাই বিভিন্ন কাজের বিভিন্ন বেতন হয়ে থাকে।
যেমন-
ব্রুনাই এ টাইলস এর কাজের বেতন = 650 ব্রুনাই ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় 67000 টাকা। এরকম ভাবে ব্রুনাই এ কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন হিসেবে লোকেরা দৈনিক 20 ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে।
মোট কথা ব্রুনাই কাজের ভিসা নিয়ে গেলে সেখানে মাস শেষে, বাংলাদেশি টাকায় ৮০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত রোজগার করা যায়।
ব্রুনাই ভিসার দাম কত
ব্রুনাই যেতে চাইলে অবশ্যই ভিসা করতে হবে। অনেকেই ব্রুনাই ভিসা করার জন্য দালাল বা বিভিন্ন এজেন্সির হাত ধরে ভিসা সম্পন্ন করে। যার ফলে অনেকে এই ভিসার দাম সঠিক ভাবে জানেন না।
তো আপনি যদি ব্রুনাই কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান। তাহলে আপানাকে বাংলাদেশি ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ করতে হতে পারে।
আবার অনেক লোকের ব্রুনাই ভিসার জন্য ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। তো আপনারা চাইলে সরাসরি ব্রুনাই দূতাবাস এর অফিসে যোগাযোগ করে ভিসার আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো আপনি যদি ব্রুনাই যেতে চান। তাহলে বাংলাদেশি টাকায় অনেক ভালো পরিমাণের টাকা রোজগার করতে পারবেন।
আজ আমাদের আর্টিকেল এখানেই সম্পাপ্তি ঘোষণা করা হলো। আপনার যদি ব্রুনাই ভিসার দাম কত এই বিষয়ে আরো কোন প্রশ্ন থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ।