ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার : আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা ক্রেডিট কার্ড এর বিভিন্ন প্রকার গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে ছোট আকারের একটি প্লাস্টিক বা মেটালের কার্ড। যার টাকা লেনদেন করা কে তুলেছে পানির মতো সহজ। প্লাস্টিক বা মেটালের কার্ড গুলো আপনার সঞ্চয় করা টাকার বিনিময়ে পণ্য এবং পরিসেবা ক্রয় করার অনুমতি প্রদান করে।
যার ফলে আপনি যে, টাকা টা প্রতি মাসের শেষে আপনার ক্রেডিট কার্ড দাতা কোম্পানিকে ফেরত দিতে পারবেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার ক্রেডিট যা তার কাছে, থেকে টাকা ধার নিতে পারবেন। এবং আপনি সামান্য পরিমান নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা প্রতিমাসে দিতে পারবেন।
আপনি যদি সামান্য পরিমাণের টাকা দিতে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার ধার করা টাকার পরিমাণ এর ওপর যথেষ্ট পরিমাণে সার্ভিস চার্জ নিতে পারে। প্রতিটি কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক আপনার জন্য একটি ক্রেডিট কার্ড এর সীমা দিয়ে থাকে।
- ডেবিট কার্ড কি ? ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম [বিস্তারিত এখানে]
- ভিসা কার্ড কি ? ভিসা কার্ড করার নিয়ম [বিস্তারিত এখানে]
আপনি কি নতুন ক্রেডিট কার্ড করতে চাইছেন ?
আপনি কি নতুন ক্রেডিট কার্ড করতে চাচ্ছেন। অথচ আপনি বুঝতে পারছেন না যে, কোন ধরনের ক্রেডিট কার্ড আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে বা ভালো হবে।
তবে আপনি একদম সঠিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ক্রেডিট কার্ডের বিভিন্ন প্রকার সম্পর্ক নিয়ে।
মূলত একটি ক্রেডিট কার্ড সিলেক্ট করা কিনতউ অনেক গোলমেলে ব্যাপার হয়ে যেতে পারে। সেজন্য আমরা বিভিন্ন কারণ এবং চাহিদাগুলো বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড গুলো বিষয়ে আলোচনা করব।
[wp_show_posts id=”3303″]
বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো তাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রয়োজন অনুসারে ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে। আর সেই কারণে আমরা বিভিন্ন কারণ এবং চাহিদাগুলো বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড গুলো সম্বন্ধে আলোচনা করব।
বর্তমান সময়ে মানুষ প্রয়োজনের সাধারণ বৈশিষ্ট্য এবং বার্ষিক ব্যয় সহ সাধারণ ক্রেডিট কার্ড দিয়ে থাকে। এখন আপনি যদি নতুন করে একটি ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতে চান। তাহলে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি আপনাকে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আর সময় নষ্ট না করে এখন জেনে নেয়া যাক। ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি বিষয়ে।
ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি ?
আপনি যদি নিজের নামে একটি করে নিতে পারেন তাহলে আপনার পকেটের টাকা না থাকলেও সহজেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে যেকোনো এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন এবং ইচ্ছামতো খরচ করতে পারবেন।
আপনি যদি এই সুবিধাটি ভোগ করতে চান? তাহলে অবশ্যই আপনার ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে একটি ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করতে হবে।
আর আপনি নতুন হিসেবে কিভাবে একটি ক্রেডিট কার্ড নির্বাচন করবেন এবং কোন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে আপনার জন্য বেশি সুবিধা হবে সে বিষয়ে জানতে নীচে দেওয়া রেট কত প্রকারে বিষয়ে ধারণা নিয়ে নিন।
ট্রাভেল ক্রেডিট কার্ড
আপনি যদি প্রমাণ করতে ভালোবাসেন সেক্ষেত্রে আপনার সবথেকে জনপ্রিয় একটি ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে, ট্রাভেল ক্রেডিট কার্ড। আপনি যদি ঘন ঘন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক যাত্রা করতে চান তাহলে এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড রাখা আপনার পক্ষে লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হবে।
আপনি এখান থেকে এয়ারলাইন টিকেট বুকিংয়ে ছাড় করতে পারবেন। তাছাড়া এয়ারলাইন থেকে দেওয়া বিভিন্ন বিশেষ পরিষেবা এবং কম বৈদেশিক টাকা লেনদেনের ফি, রেন্টাল পরিসেবা এবং হোটেল বুকিং এবং ভালো ছাড় পেতে পারেন।
এখান থেকে আপনি প্রতিটি খরচে ভালো রিয়ার্ড পেয়ে যাবেন। এর এই রিয়ার্ড গুলো আপনি পরবর্তী বুকিং এর সময় ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনি এই ক্রেডিট কার্ড এর সাহায্যে বাসের টিকিট, ট্রেনের টিকিট, গাড়ি বুকিং এবং অন্যান্য ট্রাভেলিং এর খাতেও ছাড় পেতে পারেন।
শপিং ক্রেডিট কার্ড
আপনি কি শপিং করতে পছন্দ করেন। তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনি শপিং ক্রেডিট কার্ড করে ফেলুন। আপনি যত বেশি কেনাকাটা করবেন ততই আপনার কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট যুক্ত হবে।
আর সেই পয়েন্টগুলো থেকে আপনি সহজেই বিভিন্ন ক্যাশব্যাক এবং কেনাকাটা করতে ছাড় পেয়ে যাবেন। আপনি অনলাইনে এবং অফলাইনে যেকোনো শপিং করুন আর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে, পেমেন্ট করলে। সারা বছর ধরে, আপনি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
এয়ারলাইন ক্রেডিট কার্ড
আপনার যদি মাঝে মাঝে বিদেশ সফর করার প্রয়োজন হয়। তাহলে, একটি এয়ারলাইন ক্রেডিট কার্ড আপনার জন্য অনেক লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হবে।
তাই আপনি যদি এয়ারলাইন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে সহজেই বিমানের টিকেট কাটতে পারবেন। আর ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যে কোন জায়গায় বের হলে, টাকা খরচ করতে পারবেন সেই এয়ারলাইন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে।
রিওয়ার্ডস ক্রেডিট কার্ড
কম বেশী সকল ক্রেডিট কার্ডে অনলাইন এবং অফলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে রিওয়ার্ড পয়েন্ট প্রদান করে থাকে। কিন্তু ওয়ার্ডগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে নির্দিষ্ট পয়েন্ট এবং একটা পয়েন্ট সংগ্রহ করার জন্য।
উক্ত রিওয়ার্ড পয়েন্ট হলো আপনার ব্যয় করা টাকার একটি অংশ মাত্র। কিন্তু আপনি সময় এর সাথৈ সাথে এই পয়েন্ট এর ভিত্তিতে আপনার প্লেন যাত্রার খরচ, ভাউচার এবং বিভিন্ন খাতে টাকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
ক্যাশব্যাক ক্রেডিট কার্ড
ক্যাশব্যাক এ ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে, আপনি প্রতিটি লেনদেনে ক্যাশব্যাক পেয়ে যাবেন। এসকল কার্ডদাতা আপনার কার্ড স্টেটমেন্ট ক্রেডিট প্রদান করে।
মানে এই স্টেটমেন্ট ক্রেডিট আপনার ক্রেডিট ব্যালেন্স থেকে কেটে নেওয়অ হলে। এটিকে আপনার মাসিক নূন্যতম প্রদেয় টাকার মধ্যে ধরা হয় না। কিন্তু কার্ড সরাসরি ক্যাশব্যাক দিলেও অনেক কার্ড কিন্তু কিওয়ার্ড পয়েন্ট এর আকারে স্টেটমেন্ট ক্রেডিট হিসেবে ক্যাশব্যাক দিয়ে থাকে।
উক্ত ক্রেডিট কার্ড গুলো ছাড়া আরো অসংখ্য ক্রেডিট কার্ডের প্রকার রয়েছে। যেগুলো আপনারা ক্রেডিট কার্ড দাতা সংস্থার কাছ থেকে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে পারবেন।
আমরা যে সকল ক্রেডিট কার্ডের প্রকাশ সম্পর্কে আপনাকে জানিয়েছি। এই কাজগুলোর মধ্যে আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড করে নিতে পারেন। তাহলে অনেক লাভজনক হতে পারবেন।
- এটিএম কার্ড কি ? এটিএম কার্ড ব্যবহার করার নিয়ম [বিস্তারিত এখানে]
- ক্রেডিট কার্ড কি ? ক্রেডিট কার্ড খোলার নিয়ম [বিস্তারিত এখানে]
- মাস্টার কার্ড কি ? মাস্টার কার্ড খোলার নিয়ম [এখানে দেখুন]
শেষ কথাঃ
আজ আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে, আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হলো ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি। আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন। অবশ্যই এটি আপনার বন্ধুদের জানাতে একটি শেয়ার করে দিবেন।
আর আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড সম্পর্কে ধারণা পেতে চান। তাহলে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।