হ্যাকিং কি : বর্তমান সময়ে, আমরা বিভিন্ন নিউজ পেপারে এবং নিউজ চ্যানেলে বাংলাদেশ ব্যাংক সহ, আরো অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হ্যাক হওয়ার খবর শুনে থাকি।
সে নিউজ গুলোতে বলা হয়। বড় কোনো ক্ষতি না করে, শুধু কিছু ডাটা চুরি করার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আরও বলা হয়। বিভিন্ন নামের হ্যাকার এই কাজ গুলো করেছে।
তো হ্যাকিং ঘটনা যাই হোক না কেন? অনলাইনে যে, ডাটা সুরক্ষিত রাখা কঠিন তা এক এরকম বিচ্ছিন্ন হ্যাকিং এর ঘটনা থেকেই বোঝা যায়।
টেকনোলজি যতটা উন্নতি সাধন করছে, তার সাথে অনলাইন আমাদের পার্সোনাল ডাটা ভান্ডার তত বৃদ্ধি আছে। সেই সাথে হ্যাকিং এর শিকার হওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে।
তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করব হ্যাকিং কি ? এবং হ্যাকিং কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত।
তাই আপনি যদি হ্যাকিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। তাহলে আপনার যে কোন প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইন কার্যক্রম গুলো নিরাপত্তায় রাখতে পারবেন।
তো হ্যাকিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে করার চেষ্টা করুন।
হ্যাকিং কি ?
হ্যাকিং হচ্ছে ডিজিটাল আর্ট। দীর্ঘদিনের প্র্যাকটিস ও মেধা পূর্ণাঙ্গ ব্যবহারের মাধ্যমে এই আর্ট রপ্ত করা যায়।
তো যাই হোক হ্যাকিং হচ্ছে- এমন একটি কার্যক্রম যার মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেক্টেড ডিভাইস এর আন অথরাইজ এক্সেস নিয়ে নেয়া হয়।
এ ধরনের চুরি করে এক্সেস নিয়ে টার্গেট এর ব্যাংকিং একাউন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট, বিভিন্ন একাউন্টের পাসওয়ার্ড সহ অন্যান্য স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করে দেওয়া। এছাড়া, নিজের ব্যবহার করা এ সকল হ্যাকিং এর মধ্যেই পড়ে যায়।
তো আপনাকে যদি হ্যাকিং সম্পর্কে সহজ ভাবে বলা যায় তাহলে বলতে হবে- কোন ডিভাইস বা নেটওয়ার্কে চুপি চুপি অনুপ্রবেশ করাকে হ্যাকিং বলা হয়।
হ্যাকিং ও হ্যাকার এ দুইটির টার্ম যুবসমাজ এর কাছে একটি মজার জব। তবে বাস্তবতা আমরা যেরকম ভাবি সেরকম কিন্তু নয়।
হ্যাকিংকে প্রায় সব দেশে ক্রাইম হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু ধীরে ধীরে এই চিন্তা ভাবনায় অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। কি জন্য এ ধরনের পরিবর্তন আসছে, তা আপনারা আমাদের লেখা আর্টিকেল পড়লেই বিস্তারিত বোঝা যাবে।
বর্তমান সময় যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছে, সেখানে টেকনোলজি নিয়ে উদাসীন থাকা একদম উচিত হবে না।
নিজেদের ব্যক্তিগত যেকোনো তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই হ্যাকিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে। কারণ হ্যাকিং প্রতিরোধ করতে চাইলে হ্যাকারের ইন্টেনশন বোঝার জন্য, হ্যাকিং সম্পর্কে বিস্তারিত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তাই আপনি যদি হ্যাকিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিতে পারেন। তাহলে আপনার যে কোন সম্পদ সুরক্ষিত করে রাখতে পারবেন।
হ্যাকিং কত প্রকার ?
আপনারা উপরোক্ত আলোচনাতে জানতে পারলেন হ্যাকিং কি? তো সে লক্ষ্যে আমি এখন আপনাকে জানাবো হ্যাকিং কত প্রকার। আমাদের জানামতে হ্যাকিং হচ্ছে প্রধানত দুই প্রকার। যথা-
- ইথিক্যাল হ্যাকিং।
- আন ইথিক্যাল হ্যাকিং।
হ্যাকিংয়ের আরো অনেকগুলো সাব-ক্যাটাগরি আছে।
সেগুলো হচ্ছে-
- সার্ভার হ্যাকিং
- ওয়েবসাইট হ্যাকিং
- কম্পিউটার হ্যাকিং
- পাসওয়ার্ড হ্যাকিং
- নেটওয়ার্ক হ্যাকিং ইত্যাদি
তো বন্ধুরা এই সকল হ্যাকিং কিন্তু উপরোক্ত দুই ধরনের হ্যাকিং এর মধ্যে পড়ে যায়। তাই আপনাকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে।
ইথিক্যাল হ্যাকিং
ইথিক্যাল শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে নৈতিক। মানে ইথিক্যাল এর মাধ্যমে ভালো কাজ করাকে বোঝানো হয়। সাধারণত হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার এর কাজ গুলো কে ইথিক্যাল হ্যাকিং বলা হয়।
তারা হ্যাকিং করে ভালো উদ্দেশ্যে, যা সিস্টেমে খুঁজে বের করতে সাহায্য করে থাকে। এ সকল ত্রুটি সমাধান করে সিস্টেমকে খারাপ হ্যাকার থেকে দূরে রাখা হয়।
ইথিক্যাল হ্যাকিং টার্ম তৈরি করা হয়েছে। হ্যাকিংকে ভালো কাজে ব্যবহার করার জন্য। সাধারণত ইথিক্যাল ইথিক্যাল হ্যাকিং যারা করে তারা টাকার বিনিময়ে বা কোম্পানিতে সরাসরি চাকরি করার মাধ্যমে হ্যাকিং কাজ গুলো করে থাকে।
হ্যাকারদের দায়িত্ব থাকে সিস্টেম এবং নেটওয়ার্ক হ্যাক করে টেস্ট করার জন্য। তারা যদি সঠিকভাবে হ্যাক করতে পারে তবে সে সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক পোটেনশিয়াল অ্যাটাকের কাছে ভালনারেবল হয়।
তো সেই ইথিক্যাল হ্যাকারদের দায়িত্ব থাকে সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক এডমিন কে দুর্বলতার তথ্য জানানো। সেইসঙ্গে তাকে বলা দেয়া হয় যে, কি কি ইমপ্রুভমেন্ট করতে হবে, যাতে পুনরায় হ্যাক হওয়া সম্ভাবনা না থাকে।
আনইথিক্যাল হ্যাকিং
হ্যাকিং জগতে অর্থনৈতিক ও ক্ষতিকারক কাজ যারা করে থাকে তাদেরকে আনইথিক্যাল হ্যাকার বলা হয়। তাদের কাজকর্ম গুলোকে বলা হয় আনইথিক্যাল হ্যাকিং।
ইথিক্যাল হ্যাকিং-এ যে কাজগুলো করা হয় সেগুলো সিস্টেম ও নেটওয়ার্কের সুরক্ষিত রাখতে হ্যাক করা হয়। আর অন্যদিকে এর উল্টো কাজ করে থাকে আনইথিক্যাল হ্যাকিং। মানে এই প্রক্রিয়াতে হ্যাকার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে হ্যাক করে থাকে।
সারা পৃথিবীতে, আনইথিক্যাল হ্যাকিং গুলোকে ঘৃণা করা হয়ে থাকে। কারণ তারা তাদের মেধা খারাপ কাজে লাগাই এবং মানুষকে হয়রানির শিকার করে থাকে।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা এখানে জেনে নিতে পারলেন। হ্যাকিং কি এবং হ্যাকিং কত প্রকার। হ্যাকিং মূলত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। ইথিক্যাল হ্যাকিং মানুষকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
অন্যদিকে আনইথিক্যাল হ্যাকিং মানুষের ক্ষতি করার জন্য করা হয়। এই হ্যাকিং গুলোর সাথে আরো অন্যান্য হ্যাকিং জড়িত রয়েছে যা আমরা উপরের আলোচনাতে আপনাকে ক্যাটাগরি অনুযায়ী জানিয়ে দিয়েছি।
তো আপনারা যারা এই ধরনের হ্যাকিং থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদের সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করতে হবে। তাহলেই হ্যাকিং এর হাত থেকে রক্ষা পাবেন।