এলইডি (LED) কি : আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্পর্কে জানিয়ে দেব। সেটি হচ্ছে এলইডি কি? এবং এটি কিভাবে কাজ করে।
বর্তমান সময়ে আমাদের চারপাশে, এলইডি শব্দটি প্রায় সময় শুনতে পারি। সেটাই হতে পারে- এলইডি বাল্ব, ল্যাম্প থেকে এলইডি টিভি ইত্যাদি কথাগুলোর সাথে কমবেশি আমরা পরিচিত রয়েছি।
তবে, আমরা আসলে এলইডি কি বা এই এলইডি এর কাজ কি। এসকল মেশিনের ক্ষেত্রে তার ফাংশন গুলো কি। যদি না জেনে থাকেন। তাহলে কোন চিন্তা করার কারণ নেই। আজ আমাদের এই পোস্টে, আপনাকে এলইডি (LED) সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
[wp_show_posts id=”3308″]
তাই আপনি যদি এলইডি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেতে চানG তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এলইডি (LED) কি ?
বিজ্ঞানের ভাষায় যদি বলা যায় তাহলে এলইডি হচ্ছে এক ধরনের অর্ধপরিবাহী যন্ত্রাংশ বা সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস। এলইডি যন্ত্রাংশ এর মধ্যে বিএফ অতিবাহিত হয়। তখন এর থেকে আলোকরশ্মি বা আলো বিচ্ছরিত হয়।
আর যখন কোন বিদ্যুৎ তরঙ্গ একটি এলইডি এর মধ্যে দিয়ে যায়। তখন ইলেকট্রন গুলো ছোট ছোট ছিদ্র গুলোর সাথে মিলিত হয়ে। সে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আলো নির্গত করে।
আর এই এলইডি বিদ্যুৎ তরঙ্গ কে, শুধুমাত্র সামনের দিকে প্রবাহিত করে। আর বিপরীত দিকে থাকা বিদ্যুৎ তরঙ্গ গুলোকে আটকে রাখে।
সহজ করে বলা যায় তাহলে এই এলইডি হচ্ছে, এমন একটি যন্ত্রাংশ যা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্র বা সরঞ্জাম গুলোতে, আলোক সৃষ্টিকারী উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
[wp_show_posts id=”3306″]
অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে এল ই ডি এর পূর্ণরূপ কি। এলইডি’র পূর্ণরূপ বাংলাতে বলতে গেলে, নির্বাহী ডায়োড।
LED সবচেয়ে কোথায় কোথায় বেশি ব্যবহার হয় ?
আপনাদের মোবাইল থেকে শুরু করে রাস্তার ধারে টাঙ্গানো বড় বড় বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড, ডিজিটাল এলার্ম ঘড়ি। ওয়াজ সর্বত্রই এলইডি স্ক্রিন এর ব্যবহার আমরা দেখতে পারি।
মোট কথা হচ্ছে যে সকল ডিভাইস বা যন্ত্র আমাদেরকে দেখাই বা বিভিন্ন প্রকার ডিজিটাল স্কেল এর মাধ্যমে প্রদর্শন করে সে সকল যন্ত্র গুলোতে বেশিরভাগ সময়ই এই এলইডি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আরো সহজ করে বলতে গেলে, আমরা ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজন এলইডি ব্যবহার ভাগ করে নিতে পারি। তাই ব্যবহারের দিক থেকে দেখতে গেলে, এলইডি ব্যবহার হয়।
[wp_show_posts id=”3308″]
এলার্ম, সিকিউরিটি সিস্টেম, রিমোট নিয়ন্ত্রিত অপারেশন, অপটিক্যাল কমিউনিকেশন, রোবটিক্স ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য তৈরি যন্ত্রাংশ ক্ষেত্রে।
তাই এলইডি সিস্টেম অনেক বেশি টেকসই কম খরচ সাপেক্ষে এবং কম বিদ্যুৎ পরিষেবা কাজ করতে পারে। তাই অনেক বাণিজ্য ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থাকে বেশি করে কাজে লাগানো হয়।
তাছাড়া এলইডি ব্যবহার করলে অতি কম সময়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় এবং সহজে সুইচিং করা যায়। এজন্যই বাজারে চরমভাবে এই ধরনের ডায়োড ব্যবহার করা হয়।
এলইডি ব্যবহার সম্পর্কে কিছু তথ্য যেমন-
- টিভি, কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের পর্দার পেছনের, ব্যাক লাইটিং এর জন্য ব্যবহৃত এলইডি।
- মোটর গাড়ির হেডলাইট, ইন্টেরিয়র লাইটিং, ব্যাকলাইট এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এলইডি।
- ডিম লাইট বা মৃদু আলোর উৎস তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া, আরো অসংখ্য উপায় রয়েছে। যে গুলো করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
[wp_show_posts id=”3306″]
এলইডি (LED) কিভাবে কাজ করে ?
বিজ্ঞানের ভাষায় বলতে গেলে এলইডি সিস্টেম ইলেক্ট্রো লুমিনান্স প্রক্রিয়াতে কাজ করে থাকে। ইলেক্ট্রো লুমিনেন্স হচ্ছে, একটি অপটিক্যাল বা আলোক সংক্রান্ত ঘটনা এবং বৈদ্যুতিক ঘটনা। যেখানে একটি উৎপাদন এর মধ্য দিয়ে। প্রবাহিত বৈদ্যুতিক তরঙ্গের প্রক্রিয়ায় সেখান আলো তৈরি বা নির্গত হয়।
এলইডি কিভাবে আলো জ্বালাতে পারে-
বিষয়টা হচ্ছে এই এলইডি যন্ত্রাংশ থাকে P এবং N টাইপ সেমিকন্ডাক্টর অর্ধপরিবাহী ডায়োড। আর এই P টাইপ অংশে থাকে ছিদ্র। অন্যদিকে N অংশে থাকে ইলেকট্রনের সমষ্টি।
তার জন্য বিদ্যুৎ তরঙ্গ থেকে আলো তৈরি করতে হলে বিদ্যুত-তরঙ্গ এর সংস্পর্শে আসার পরে। এই P টাইপ এর ছিদ্র গুলোর সাথে N টাইপ এর ইলেকট্রন গুলোর মধ্যে, সংখ্যালঘু ইলেকট্রন এবং সংখ্যালঘু এর আদান প্রদান প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
এ পদ্ধতি টি ঘটে ঠিক, P এবং N দুইটির সংযোগস্থলে। আদান প্রদানের সময় পি এবং এন টাইপের সংযোগস্থলে, তখন ইলেকট্রন এর মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায়।
সংখ্যাগরিষ্ঠ বাহক এর সাথে পূর্নমিলন প্রক্রিয়ায় সংখ্যালঘু বাহক পুনরায় মিলিত হয়ে ফোটন বা পসিটিভ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
[wp_show_posts id=”3308″]
যেহেতু রিকম্বিনেশন প্রক্রিয়ার জন্য ফটো পসিটিভ আকারে শক্তি নির্গত হয়ে থাকে। তাই এসব কে সাধারণত তাপশক্তির আকারে পরিবর্তিত হয়।
কিন্তু এর ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রো লুমিনেন্স প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হওয়ার জন্য। এখানে বিদ্যুৎ শক্তি তাপ এর পরিবর্তে আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে থাকে।
এলইডি (LED) কি ধরণের উপাদান দিয়ে তৈরী হয় ?
আমাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের রং এর এলইডি আলো দেখতে পারি। একটি এলইডি তৈরির সময় যে প্রধান, সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধরিবাহী ব্যবহার করা হয়। বিশেষ কিছু ধাতু যৌগের সমন্বয়ে তৈরি হয়।
যেকোনো এলইডি-এর রং সেমিকন্ডাক্টর তৈরীর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উৎপাদনের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে। এলইডি ব্যবহৃত দুটি প্রাথমিক উপাদান হচ্ছে এলমনিয়াম গ্যালিয়াম ইন্ডিয়া ফসফাইড অ্যালয় আর হচ্ছে ইন্ডিয়াম গ্যালিয়াম নাইট্রাইড অ্যালয়।
লাল হলুদ কমলা রং এর আলো পেতে অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে সাদা নীল আলোতে ইন্ডিয়াম অ্যালয় করা হয়।
উপাদানগুলো এর ক্ষেত্রে সামান্য পরিবর্তন করলে, তা এলইডি এর রং পরিবর্তন করে দেয়। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত এলইডি এর বৈচিত্র অনেক কম ছিল।
[wp_show_posts id=”3308″]
বিশেষ করে, নিল এবং সাদা রং এর কোন অস্তিত্বই ছিল না। গ্যালিয়াম নাইট্রাইড উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে এই ধরনের আলোর রং ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। এসকল রং আলোর ব্যবহার বিভিন্ন প্রকার কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।
LED লাইটের ধরণ
আমি আপনাদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের তালিকা যুক্ত করেছি সেগুলো হচ্ছে-
- মিনিয়েচার এলইডি
- ফ্ল্যাশ এলইডি
- হাই পাওয়ার বা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এলইডি
- লাল সবুজ নীল এলইডি
- বাই ও ট্রাই রঙ এলইডি
- লাইটিং এলইডি
- আলফানিউমেরিক এলইডি
আরো দেখুনঃ
- ল্যাপটপ কি ? ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায় [জেনে নিন এখানে].
- স্মার্ট টিভি কেনার আগে যে বিষয়ে যাচাই করবেন ?
- বাংলাদেশে oppo মোবাইলের দাম ও ছবি [বিস্তারিত এখানে]
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হলো, এলইডি কি? এবং এলইডি কিভাবে কাজ করে।
আমরা আশা করি আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি অনুসরণ করে, আপনারা এলইডি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন।
বিশেষ করে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আরো নতুন নতুন টিপস এন্ড ট্রিক্স পেতে চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত সময় দেয়ার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।