বর্তমান সময়ে আমরা জানি বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউব এর বিকল্প ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট নাই। আপনি বলতে পারেন যে, ইউটিউব এর সাথে পাল্লা দেবে এমন সাইট আছে নাকি। কথাটি সত্যি যে, ইউটিউব এর সাথে পাল্লা দেয়ার মতো এমন কোন ওয়েবসাইট এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
কিন্তু বর্তমান সময় আমি এমন কিছু ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনাদের বলব। যে ওয়েবসাইটে আপনি ইউটিউব এর মত সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারবেন।
ইউটিউব এর জনপ্রিয়তা দিন দিন যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভিডিও ক্রিয়েটর দের জন্য নিয়ম তেমন কঠোর হচ্ছে। যার ফলে অনেকেই ইউটিউব এর আশা ছেড়ে দিয়েছে। তবে একমাত্র ইউটিউবই সবকিছুর মূল না।
ইউটিউব ছাড়া আরো অনেক ধরনের ভালো ভালো প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যে গুলো ব্যবহার করে আপনারা ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।
শুধুমাত্র তাই নয় ইউটিউবে যে ভিডিওগুলো আপনি আপলোড দিছেন। সেগুলো যদি একই সাথে আমাদের দেখানো ওয়েবসাইটগুলোতে আপলোড করেন তাহলে আপনার আয় আরো বৃদ্ধি পাবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
[wp_show_posts id=”3303″]
তো চলুন জেনে নেয়া যাক। ইউটিউব ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট গুলো সম্পর্কে।
ইউটিউব এর ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট
বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অসংখ্য ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি হয়েছে। ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করে, আপনারা ইউটিউব এর যে সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারেন। ঠিক সে রকম সুবিধা গুলো আপনারা এই ওয়েবসাইটগুলোতে পেয়ে যাবেন।
তাই আজ আমরা আপনাদের এমন কিছু ইউটিউব এর বিকল্প ভিডিও শেয়ারিং সাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। যেগুলো ব্যবহার করে আপনার ইউটিউব এর মত ইনকাম করতে পারবেন।
এখানে সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে ইউটিউবে, যেসকল নিয়ম নীতি মালা দেওয়া হয় সেগুলোতে প্ল্যাটফর্ম গুলোতে, আপনার তেমন নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে হবে না।
[wp_show_posts id=”3303″]
আর সময় নষ্ট না করে জেনে নেয়া যাক ইউটিউবের ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট গুলো সম্পর্কে।
01. Vimeo
ভিডিও হোস্টিং ওয়েবসাইটের জন্য ভিমিও আরো একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটির সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে আর্টিস্ট এবং ছবি নির্মাতাদের জন্য।
তার জন্য এ প্লাটফরমটি মূলত মিউজিক, সিনেমাটোগ্রাফি এছাড়াও, আরো অনেক ধরনের ক্রিয়েটিভ কাজ গুলোর সুযোগ রয়েছে।
আপনারা ক্লাসিক শর্ট ভিডিও, স্ন্যাপশট বিষয়ে আগ্রহ থাকে তবে আপনাকে এই সাইটে স্বাগতম কারণ এই ওয়েবসাইটে ভু্ স্ট্রিক রুলস রয়েছে। এখানে আপনি 4k আল্ট্রা এইচডি মানের ভিডিও দেখতে পারবেন।
ভিমিও এর সবথেকে খারাপ দেখাচ্ছে এখানে 500 এমবির বেশি ফাইল আপলোড করা যায় না। আপনি যদি পেমেন্ট দিতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে 5 জিবি পর্যন্ত ভিডিও আপলোড করার সুযোগ পাবেন।
আপনি যদি ইউটিউব এর বিকল্প ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে চান। তাহলে আজই ভিডিও আপলোড করার কাজ শুরু করতে পারেন।
02. Dtube
বর্তমান সময়ে অনলাইন জগতে ইউটিউব এর বিকল্প হিসেবে, ডিটিউব নতুন একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। ওয়েবসাইটটি ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে দারুণ একটি ওয়েবসাইট।
ওয়েবসাইটে আপনি সকল প্রকার ক্যাটাগরির ভিডিও পেয়ে যাবেন। ট্রেন্ডিং থেকে শুরু করে জনপ্রিয় সকল প্রকার ভিডিও। এছাড়া আপনি এখানে যেকোন ভিডিও সেভ করে রাখতে পারবেন।
[wp_show_posts id=”3303″]
যার ফলে, পরবর্তীতে এই ভিডিওটি আবার দেখার সুযোগ পাবেন এখানে আপনি একটি ভিডিও আপলোড দিলেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার আপনার ভিডিও কমেন্ট করলে টাকা আয় করার সুযোগ তো থাকছেই।
তাই ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে আপনারা এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে পারেন নির্দ্বিধায়।
03. Metacafe
আপনারা এখন যে ওয়েবসাইটটি সাথে পরিচয় হবেন এটি অনেক পুরাতন একটি স্ট্রিমিং ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে 2003 সাল থেকে ইন্টারনেট জগতে রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে যখন ইউটিউব এর জন্ম হয়নি। এই ওয়েবসাইটটি মূলত ফোকাস 60 সেকেন্ড মানে এক মিনিটের ভিডিও এর দিকে।
[wp_show_posts id=”3303″]
মেটাক্যাফ এদের আছে প্রায় 40 মিলিয়ন ভিউয়ার। আপনি যদি প্রফেশনাল কমপ্লেক্স ভিডিও তৈরি করতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য নয়। যারা রেগুলার শর্ট ভিডিও তৈরি করতে চান তাদের জন্য ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে এটি অনেক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।
04. Veoh
অনলাইনের মাধ্যমে ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে আরও একটি জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট হচ্ছে Veoh. ওয়েবসাইটে খুব সহজে আপনার পছন্দের ভিডিওগুলো আবিষ্কার করতে পারবেন।
অন্যসব ওয়েবসাইটের মত এখানে বিডি এর দৈর্ঘ্য নিয়ে কোনো সমস্যা নেই আপনি যদি লংটাইম মুভি বাসু দেখতে পছন্দ করেন। তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য।
আপনি যদি ইউটিউব এর বিকল্প হিসেবে ওয়েবসাইটে ব্যবহার করেন তাহলে অনেক সুন্দর সুন্দর ভিডিও গুলো উপভোগ করতে পারবেন।
05. Daily motion
ডেইলিমোশন ইউটিউব এর মতো জনপ্রিয় একটি ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট এর ইন্টারফেস ইউটিউব এর মত দেখা যায়।
আপনি এই ইন্টারফেসের হোম পেজে সকল প্রকার ট্রেন্ডিং ভিডিও গুলো পেয়ে যাবেন। এছাড়া এখানে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিডিওগুলো আপলোড করা রয়েছে।
[wp_show_posts id=”3308″]
বিশেষ করে সার্চ বক্সের মাধ্যমে আপনার পছন্দ ভিডিওগুলো দেখতে পারবেন। ভিডিও ক্রিয়েটর এখানে সর্বোচ্চ 4 জিবি ফাইল আপলোড করতে পারবে।
আর সর্বোচ্চ ভিডিও দৈর্ঘ্য 60 মিনিট পর্যন্ত রাখা যাবে। বিশেষ করে ইউটিউব এর মধ্যেই রেজুলেশন 1080 পিক্সেলে পর্যন্ত আপলোড করা যায়।
অন্যদিকে ইউটিউব এর মত ডেইলিমোশন এর নিজস্ব কিছু রয়েছে। তবে এখানে কপিরাইট নিয়ে ইউটিউব এর মত কোন স্ট্রিক রুলস নেই।
যার ফলে ভিডিও আপলোড কারীদের জন্য এটি অনেক জনপ্রিয় দিক। ডেইলিমোশন সবথেকে ভালো দেখল এখানে আপনি ভিডিও আপলোড করে বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম করতে পারবেন ইউটিউব এর মতই।
তাই আপনি যদি ইউটিউব এর বিকল্প হিসেবে, ওয়েবসাইট খুঁজে থাকেন তাহলে এটি ব্যবহার করা শুরু করুন।
আরো দেখুনঃ
- লাভজনক ইউটিউব চ্যানেল আইডিয়া (বিস্তাতি দেখুন)
- ইউটিউব ভিডিওর জন্য ফ্রি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট
- ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয় ? (YouTube থেকে আয়)
শেষ কথাঃ
তবে তোরা আজ আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে, আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হলো, ইউটিউব এর বিকল্প পাঁচটি ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে। আপনি যদি এই ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করেন। তাহলে অবশ্যই আশা করা যায় সুন্দর সুন্দর ভিডিও গুলো উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।
আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট এর আশা করছি। আর বিশেষ করে, আপনি যদি এই ওয়েবসাইট থেকে ইউটিউব বিষয়ে এবং ব্লগিং টিপস সম্পর্কে নতুন আপডেট জানতে চান, তাহলে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।