বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ ব্যক্তিগত ও কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। কারণ বর্তমান যোগ কম্পিউটারের। তাই আপনার কম্পিউটার ডিভাইসটিকে আধুনিক এই যুগে ডিজিটাল নিরাপত্তা রাখা একটি জরুরী কাজ।
আমরা জানি ব্যক্তিগত বা কর্মক্ষেত্রে যে সকল কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি কিন্তু আমরা কেউ কি কম্পিউটার ভাইরাস সমন্ধে সতর্ক। আমার জানা মতে অধিকাংশ লোক মোটেও সতর্ক না।
যখন আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ গুলোতে ভাইরাস নামক জিনিসটি আক্রান্ত করে দেয়। আসলেই কি ভাইরাস নাম জিনিসটি কম্পিউটারে কোন ক্ষতি করতে পারে। হ্যা বন্ধুরা কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করলে আপনার কম্পিউটারের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে।
যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তারা অবশ্যই ভাইরাসের কথা মাথায় রাখা উচিত। আমি আজ আপনাকে দেখাবো কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভাইরাস কি কি ক্ষতি করে? কম্পিউটার ভাইরাস কিভাবে ক্ষতি করে ইত্যাদি বিষয়াদি জানতে আমাদের এই পেজের পুরো আর্টিকেল মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
কম্পিউটার ভাইরাস কি ?
হ্যা বন্ধুরা আপনার প্রশ্ন হতে পারে যে, কম্পিউটার ভাইরাস মূলত কি? আমরা অনেকেই জানি যে, কম্পিউটার ভাইরাস হলো এমন একটি জিনিস যা আপনার কম্পিউটারকে অনেক ক্ষতি করে। কিন্তু আসলে ভাইরাস টা কি? সহজ ভাষায় বলতে গেলে কম্পিউটার ভাইরাস হলো কিছু প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার রয়েছে যার ফলে কম্পিউটার সিস্টেম গুলোর ক্ষতি করে থাকে। তাকেই কম্পিউটার ভাইরাস বলে।
যে সকল সফটওয়্যার ভাইরাস জনিত থাকে সেই সকল কম্পিউটার সফটওয়্যার গুলো কোন কম্পিউটারে ইনস্টল করা হয়। যে সকল কম্পিউটার সফটওয়্যার নিজে নিজেই কপি বা প্রতিলিপি হতে থাকে বা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে সেই সফটওয়্যার গুলোকেও ভাইরাস বলা হয়।
তবে এর জন্য আক্রান্ত কম্পিউটার গুলোকে অন্য স্বাভাবিক কম্পিউটার এর কাছে নিয়ে যেতে হবে। যেমন: কোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেনড্রাইভ, হার্ডডিস্ক, ইউএসসি, সিডি, ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যম ব্যতীত এটি একটি কম্পিউটার থেকে অন্য আরেক কম্পিউটারে ছড়াতে পারে না। মুল কথা হলেঅ এটি কোন কম্পিউটার এর অপারেটিং সিস্টেম গুলোর পরিবর্তন বা ক্ষতি করার লক্ষ্যে ডিজাইন করা এক প্রকার সফটওয়্যার।
কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি ?
আমরা জানি কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রান্তের ফলে কম্পিউটার গুলোর অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই আপনার জানা উচিত কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি হয়ে থাকে। আপনি এই লেখা গুলোর মাধ্যমে জানতে পারবেন কম্পিউটার ভাইরাস কি কি ক্ষতি করে থাকে এবং কম্পিউটার ভাইরাস মুলত কত প্রকার। কম্পিউটার ভাইরাস মূলত দুই প্রকার হয়ে থাকে যেমন:
- নিবাসী ভাইরাস।
- অনিবাসী ভাইরাস।
[wp_show_posts id=”3303″]
এখন আপনাকে জানতে হবে নিবাসী ভাইরাস কাকে বলে আর অনিবাসী ভারাস কাকে বলে। বিস্তারিত জানতে নিচের অংশ গুলো মনযোগ দিন।
কম্পিউটার নিবাসী ভাইরাস কাকে বলে ?
নিবাসী ভাইরাস এমন একটি কম্পিউটার ভাইরাস যা হলো একটি কম্পিউটারে অবস্থিত এমন এক ধনণের ক্ষতিকর প্রেগ্রাম বা সফটওয়্যার য কম্পিউটারে স্থায়ী ভাবে বসবাস করে। যখন কোন কম্পিউটার ফাইল কাজ করা হয় তখন সে ফাইলটি আক্রান্ত করে দিতে পারে। আর একেই বলা হয় নিবাসী ভাইরাস।
মোট কথা যে সকল ভাইরাস জনিত কম্পিউটার এর সফটওয়্যার স্থায়ী ভাবে কোন কম্পিউটার অবস্থান করে তাকেই নিবাসী ভাইরাস বলে থাকে।
[wp_show_posts id=”3306″]
কম্পিউটার অনিবাসী ভাইরাস কাকে বলে ?
অনিবাসী ভাইরাস এমন একটি ভাইরাস যা এমন এক ধরণের ক্ষতিকর সফটওয়্যার যা কম্পিউটারে স্থায়ী ভাবে বসবাস না করে কোন নির্দিষ্ট ফাইলকে আক্রান্ত করার পরে এটি নিজে থেকেই স্বাভাবিক হয়ে যায় তাকেই কম্পিউটার অনিবাসী ভাইরাস বলা হয়।
আপনি যদি একজন সচেত কম্পিউটার ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কম্পিউটার নিরাপত্তার দৃষ্টি থেকে আপনার অনেক ভাইরাস এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানা উচিত।
আপনি যদি আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে চিন্তা নেই আমাদের এখান থেকেই কম্পিউটারের সকল প্রকার ভাইরাস এর ক্ষতি ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পারবেন। আরো বিস্তারিত জানতে নিচের ধাপ গুলো দেখুন।
কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ও প্রতিকার ?
আমাদের উপরের আলোচনায় জানতে পারলেন কম্পিউটার ভাইরাস হলো এমন একটি দূষিত সফটওয়্যার যার মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো যে, কিভাবে বুঝবেন আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত।
আপনার মোবাইল ভাইরাস বা কম্পিউটার ভাইরাস যদি যদি থাকে তা কিভাবে আক্রমন করে থাকে তাহলে আপনার কম্পিউটারে কিছু হলেও সংকেত দিয়ে থাকবে। বিশেষ করে কম্পিউটারের নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার কম্পিউটারে কোন প্রকার ভাইরাসে আক্রান্ত কি না।
আরো লক্ষ্য করুন তাহলে বুঝতে পারবেন কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ গুলো। যেমন: প্রোগ্রাম বা ইন্টারনেট স্লো-ধীরগতি- আপনার কম্পিউটার এ কোন প্রোগ্রাম যেমন: ইন্টারনেট ব্যবহার করতে আমরা অনেক ধরনের ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকি যেমন- গুগল ক্রম ব্রাউজারে যখন কোন প্রোগ্রাম বা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করা হয় সে সময় ইন্টারনেটে একটি পেজ লোড হতে বেশি সময় নেয় এবং স্বাভাবিক এর থেকে অনেক বেশি লোড হয়ে থাকে।
তার জন্য আপনার উচিত কম্পিউটারে কোন ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা সঠিক ভাবে চেক করা। কারণ যখন আপনি ইন্টানেটে কাজ করবেন সেটি যদি ধীরগতিতে হয় তখন বুঝবেন যে আপনার কম্পিউটারে কিছু হলেও ভাইরাস আক্রান্ত করেছে।
ইন্টারনেট থেকে অপ্রত্যাশিত বিজ্ঞাপন ভাইরাসের লক্ষণ আক্রান্তের লক্ষণ। যেমন: অনেক সময় দেখা যায় ইন্টারনেট চালানোর সময় আমাদের কম্পিউটার গুলোতে বিভিন্ন প্রকার উইন্ডো আসতে থাকে।
যা আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন হতে পারে। তাই কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় যে সকল বিজ্ঞাপন আসে সে গুলোতে ক্লিক করার একদম উচিত নয়। অনেক সময় সেই বিজ্ঞাপন গুলোতে লেখা থাকে ভাইরাস আছে আপনার কম্পিউটারে তাই এন্টিভাইরাস ডাউনলোড করুন। কিন্তু এই সকল কিছু বিজ্ঞাপন আছে যা আসলে আপনার কম্পিউটারের জন্য ভাইরাস।
কম্পিউটারে Error মেসেজ কম্পিউটার ভাইরাস এর একটি কারণ। যেমন: কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহার করার সময় আপনি অনেক ধরণের Error মেসেজ এবং সতর্কতা মুলক অনেক ধরণের বার্তা পেয়ে থাকেন। তখন আপনাকে বুঝতে হবে আপনার কম্পিউটারে কোন ভাইরাস আক্রান্ত করেছে।
[wp_show_posts id=”3310″]
কম্পিউটারে অতিরিক্ত ফাইল রাখার জন্য কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। যেমন কোন কম্পিউটারে একবার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তা নিজের কপি তৈরি করে। যার কারণে আপনার কমিপউটারের র্যাম ও হার্ডডিক্স এর জায়গা অতিরিক্ত খরচ হয়ে থাকে। তাই আপনার কম্পিউটারে যদি এরকম কোন লক্ষণ দেখেন তাহলে যত দ্রুত পারেন ভালো সফটওয়ার দিয়ে স্ক্যান করে নিবেন। তাহলে সেই ভাইরাসটি নির্মুল করা সম্ভব হবে।
হোট-হাট করে কম্পিউটার একা একাই On-Off হওয়া ভাইরাস আক্রান্তের আরো একটি কারণ। যেমন: আপনার কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সময় হঠাৎ করে দেখবেন যে, কম্পিউটারটি একাই বন্ধ হয়ে যায়। আবার হঠাৎ করেই চালু হয়ে যায়। তাহলে বুঝবেন আপনার কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত।
কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত থেকে প্রতিরোধ করার উপায়?
বর্তমানে বাজারে অনেক ধরণের এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার পাওয়া যায়। অনেক সময় দেখা যায় ভাইরাস সফটওয়্যার দিয়েও বড় বড় ভাইরাস নির্মুল করা সম্ভব হয় না। তাই আপনার উচিত কম্পিউটার এর জন্য একটি ভালো কোয়ালিটির এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করে রাখা।
কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধ করার আরো ভালো কিছু টিপস জানতে নিচের অংশ গুলো দেখুন :
- এন্ড্রয়েড মোবাইল স্লো হয়ে গেছে ? ফাস্ট করার ৫ টি উপায় জেনে নিন
- ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয় ? (YouTube থেকে আয়)
- কম্পিউটার সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সেরা ৭ টি ফ্রি ওয়েবসাইট [বিস্তারিত এখানে]
(ক) আপনি যদি একজন নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হন তবে আপনার প্রয়োজন হবে একটি প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার। যার ফলে আপনার কম্পিউটার ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পাবে। [ভালো এন্টিভাইরাস এর নাম এখানেই জানতে পারবেন]
(খ) আপনার কম্পিউটারে কোন সময় যত জরুরী প্রয়োজন থাকুক না কেন তৃতীয় পক্ষের কোন সফটওয়্যার, মেমোরি, প্রেন্ড্রাইভ ইত্যাদি ইনস্টল করবেন না। এতে করে আপনার ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে। তাই এটি মেনে চলুন।
(গ) ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যে গুলো অনেক বিষয়ের উপর অফার করে থাকে। সেই সকল অফার থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে করে আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রান্ত হবে না।
(ঘ) আপনি যদি একজন ভালো কম্পিউটার ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে আপনার উচিত। ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে কোন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখুন। অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখার ফলে কম্পিউটারে কোন ভাইরাস আক্রান্ত করতে পারবে না।
(ঘ) বর্তমানে অনেকে ই-মেইল মার্কেটিং করে থাকে। সেই সকল বিজ্ঞাপন আপনার ই-মেইল এও আসতে পারে। তাই সেই ভাইরাস জনিত বিজ্ঞাপন এরিয়ে চলতে হবে।
(ঙ) গুগলের সন্দেহজন বা ভাইরাস জনিত অনিরাপদ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকুন।
আপনি যদি উপরিউক্ত ৫ টি নিয়ম কাজে লাগাতে পারেন তবে আপনার কম্পিউটার ভাইরাস থেকে প্রতিকার হবে। আশা করি উক্ত নিয়ম গুলো আপনি লেখা গুলো পড়ে বুঝতে পারছেন।
কম্পিউটারে যে সকল এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন
আপনি যদি আপনার ব্যক্তিগত বা কর্মক্ষেত্রের কম্পিউটার গুলোেকে ভাইরাস থেকে প্রতিরোধ করতে চান তবে আপনার প্রয়োজন হবে ভালো কোন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার। আপনি যদি কম্পিউটারে সর্বোচ্চ সুরক্ষা রাখতে চান তবে এন্টিভাইরাস কিনে ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়া আপনি যদি কম্পিউটারে ফ্রি এন্টিভাইরাস ডাউনলোড করে ইনস্টল করেন তবে এর মাধ্যমেও অনেক ভালো সুবিধা পেয়ে থাকবেন। আপনার সুবিধার জন্য নিচের অংশে কিছু ভালো এন্টিভাইরাসের নাম দেওয়া হলো দেখুন।
- AVAST অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ।
- KASPERSKY এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার।
- AVGএন্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার।
- BIT DEFENDER এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার।
- AVIRA এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার।
- NORTON এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার।
- PANDA অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার।
[wp_show_posts id=”3308″]
উপরের এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করে খুব সহজেই ভাইরাস প্রতিকার করতে পারবেন। সব চেয়ে মজার বিষয় হলো উপরিউক্ত এন্টিভাইরাস গুলো গুগলে গিয়ে সার্চ অপশনে টাইপ করলেই ডাউনলোড করার লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি এই পেজের মাধ্যমে জানতে পারলেন কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ও প্রতিকার। আপনি যদি আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত করতে চান তবে এই প্রক্রিয়া গুলো আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
শেষ কথাঃ
আমাদের এই পেজে আপনি সহজ ভাষায় বুঝতে পারছেন কম্পিউটার ভাইরাস কি? এবং ভাইরাস কি কি ক্ষতি করে কিভাবে ক্ষতি করে। ভাইরাস নির্মুল করার সঠিক এন্টিভাইরাস এর নাম, ডাউনলোড করার উপায়।
আপনি যদি আমাদের এই পোস্ট পড়ে উপকৃত হন তবে আমাদের লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আমাদের এখানে অনলাইন আয়ের সমাধান জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।