শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি : শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ হচ্ছে যেখানে আপনি শেয়ার ক্রয় এবং বিক্রয় করার মাধ্যমে ভালো করে মনের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে অনেক লোক আছে যারা শেয়ারবাজারে বিপুল পরিমাণ টাকা ইনভেস্ট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। আপনি যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে টাকা ইনকাম করতে চান তবে আমাদের দেওয়াল লেখাগুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আমরা আপনাকে এখানে দেখাবো কিভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হয়। আমরা এখানে আরও জানাবো শেয়ার বাজার কি? শেয়ার মার্কেট কিভাবে কাজ করে? শেয়ার বাজার কত প্রকার ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শেয়ার বাজার কি ?
শেয়ারবাজার হচ্ছে কোন একটি কোম্পানির শেয়ারে যুক্ত হওয়ার পর পরবর্তীতে সেই শেয়ার থেকে যে পরিমাণের টাকা লাভ হয় সে গুলোকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়া হয়।
যেমন মনে করুন আপনি শেয়ারবাজারে যুক্ত হয়ে নিজের অর্থ ইনভেস্ট করেন এবং সেই সেয়ারেট বেচাকেনার মাধ্যমে বাড়তি টাকা আয় হয় সেই টাকাগুলো সকলের মাধ্যমে ভাগাভাগি করে নেয়া হয় তাকে বলা হয় শেয়ার বাজার।
আপনাদের সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলা যায় মনে করুন আপনি কোন একটি পরিচিত-অপরিচিত কোম্পানির সাথে শেয়ারে যুক্ত হয়েছেন এখন সেই কোম্পানিতে মোট এক লক্ষ টাকা শেয়ার করা হয়েছে এখন আপনি সেখানে 10000 টাকা ইনভেস্ট করলেন।
তখন আপনি কিন্তু সেই কোম্পানির মালিক হয়ে গেলেন এরপর সেই কোম্পানিটি যদি বিক্রি করা হয় সেখান থেকে কোন লাভ আছে সেখান থেকে আপনি দশ পার্সেন্ট টাকা পেয়ে যাবেন। এ সিস্টেম কাকে বলা হয় শেয়ার বাজার।
শেয়ার বাজার কিভাবে কাজ করে ?
আমরা আপনাকে উক্ত আলোচনায় জানিয়েছি শেয়ারবাজার কি আপনার যদি সঠিকভাবে পড়ে থাকেন তবে পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। এখন আমরা আপনাকে জানাবো শেয়ারবাজার কিভাবে কাজ করে।
বর্তমানে পৃথিবীতে অনেক বড় বড় শেয়ার বাজার রয়েছে আমাদের বাংলাদেশ শেয়ার বাজার আছে। আমাদের বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের নাম হচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ। আমরা জানি বাংলাদেশের শেয়ার বাজার গুলো পূর্বের তুলনায় এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে যার কারণ বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের বর্তমান অবস্থা বেশ ভালো।
আপনার দুধু শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করতে চান তাহলে সবার আগে বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ এর কাছে যেতে হবে তারপর যাবতীয় তথ্য দিয়ে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে কেউ যদি আপনার শেয়ার কিনতে আগ্রহী তবে তারা পুনরায় সেই স্টক এক্সচেঞ্জ এর সাথে যুক্ত করে তারাও আপনার কোম্পানির শেয়ারের রেজিস্ট্রেশন করবে। এ বিষয়গুলো নিয়েই শেয়ারবাজার কাজ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
- গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার উপায় [রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা]
- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা মাত্র ২০ হাজার টাকায় [বিস্তারিত এখানে]
শেয়ার বাজার কত প্রকার ?
আমরা আপনাকে এক কথায় বলতে পারি শেয়ারবাজার হচ্ছে দুই প্রকার। এখানে মূলত কেনাবেচার কাজ করা হয়। আমরা এখন জানাবো শেয়ারবাজারের দুইটি বিষয় নিয়ে আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তবে নিচে দেওয়া তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে দেখুন।
শেয়ার বাজার যেহেতু দুই প্রকার, আপনাকে এ বিষয়ে জেনে নিতে হবে যেমন-
প্রাইমারি শেয়ার
আমরা জানি প্রাইমারি শেয়ার ব্যবসার প্রতি মানুষের একটা অন্যরকম আগ্রহ রয়েছে তাই অধিকাংশ মানুষ শেয়ার কেনাবেচার সময় প্রাইমারি শেয়ার থেকেই নিজেরা ব্যবসাটি শুরু করে থাকে।
এখানে যে সকল কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে সে ব্যক্তি শেয়ারের তার নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিজের কাছে নিয়ে নেন। আপনি যদি প্রাইমারি শেয়ার নিজের মূলধনকে ইনভেস্ট করেন তারাও কিন্তু একটা মোটা অংকের টাকা লাভ করে নিতে পারে মানে বিষয়টা থাকে লাভবান হয়।
মনে করুন আপনাদের কোন একটি কোম্পানি রয়েছে সেখানে আপনি সেই কোম্পানিকে 10000 টাকার শেয়ারে বিভক্ত করলেন এবং আপনি বললেন যে প্রতি শেয়ারের জন্য তাদেরকে 1000 টাকা করে দিতে হবে।
তখন যারা আপনার কোম্পানির শেয়ার করবে তাদেরকে কিন্তু প্রতিবাদের এক হাজার টাকা করে দিতে হবে তখন আপনি প্রাইমারি শেয়ার এর কাছে প্রেমিয়াম হিসেবে আরো 100 বছরের যুক্ত করলেন।
তাদেরকে প্রিমিয়ামের জন্য আরও 100 টাকা করে দিতে হবে তাহলে আপনি আপনি পাবেন পনেরশো টাকা। উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করাকে বলা হয় শেয়ার বাজারের কাজ।
সেকেন্ডারি শেয়ার
আমরা এতক্ষণ আপনাকে জানালাম প্রাইমারি শেয়ার কিভাবে কাজ করে এখন আমরা আপনাকে জানাবো সেকেন্ডারি শেয়ার বাজার কি। সেকেন্ডারি শেয়ার আপনি সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে না কেনে আপনি কোন শেয়ার হোল্ডারের কাছ থেকে জেনে নেবেন।
আর যদি আপনি এভাবে কোনো শেয়ার হোল্ডারের কাছ থেকে শেয়ার কিনে নেন এজন্যই এই পদ্ধতিকে বলা হয় সেকেন্ডারি শেয়ার বাজার। আমরা জানি কোন একটি কোম্পানির শেয়ার কিনলে তার জন্য একটি জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল মূলধন আবার কিছু কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখা যায় শেয়ারের দাম এর পাশাপাশি প্রিমিয়ামের অনেক বেশি রাখে। যার ফলে আপনি অনেক সময় শেয়ার কিনতে অক্ষম হয়ে পড়েন।
এ পর্যায়ে আপনি যদি কোনো শেয়ার হোল্ডারের কাছ থেকে কোন কোম্পানির শেয়ার কিনে নেন তাহলে কিন্তু আপনি কি প্রকার ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে যাবেন।
শেয়ার বাজারের বিনিয়োগের পদ্ধতি কি ?
আপনি এখন জানতে পারবেন শেয়ার বাজারের বিনিয়োগের পদ্ধতি। আমরা উক্ত আলোচনায় আপনাকে জানিয়েছি শেয়ারবাজার কি এবং শেয়ারবাজারে কোথায় টাকা ইনভেস্ট করতে হয় এবং কিভাবে টাকা লাভ করতে পারবেন সে বিষয়ে উক্ত আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন।
আপনি যদি শেয়ার বাজারের ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করতে চান তবে আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে তা নিম্নরুপঃ
পদক্ষেপ নং- ০১ : আপনি যেহেতু শেয়ারবাজারে লেনদেন করবেন তাহলে এখানে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে, আপনার যেমন ব্যাংক একাউন্টে নেটের টাকাটা জমা রাখেন ঠিক সেরকম ভাবে একটি গান তৈরি করে নিতে হবে যাকে বলা হয় Demat একাউন্ট।
আপনি যদি এই একাউন্টে খুলতে চান তবে আপনি অফলাইন কিংবা অনলাইনে অনেক স্টপ ব্রোকার এর নিকট থেকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।
পদক্ষেপ নং- ০২ : তারপর আপনি যখন টাকা বিনিয়োগ করবেন তখন আপনি শেয়ার ট্রেডিং থেকে ভালো করে বানা টাকা লাভ করবেন সেগুলো মূলত সরাসরি আপনার কোন ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে না কারণ এ টাকা গুলো প্রথমে আপনি যে একাউন্ট খুলেছেন সেখানে গিয়ে জমা হবে।
তার আপনি সেখান থেকে লাভ হওয়ার টাকাগুলো নিজের যেকোন ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।
পদক্ষেপ নং- ০৩ : আপনি যখন শেয়ারবাজারে যুক্ত হবেন তখন আপনার সে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় অনেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। যেমন একাউন্ট খোলার জন্য আপনার দরকার হবে জাতীয় পরিচয় পত্র, আপনার ঠিকানা তথ্য টেক্স আইডি ইত্যাদি।
আপনি যখন সেখানে একাউন্ট তৈরি করবেন তখনই শেয়ারবাজারের জন্য নিজের টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। আপনি এখানে আপনার চাহিদামত বিনীত টাকা থেকে অন্যান্য যে কোন কোম্পানি থেকে শেয়ার কিনতে পারবেন।
আপনি যদি উক্ত বিষয় গুলো সঠিক ভাবে পালন করতে পারেন তবে আপনিও শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করে ভালো করে মানের টাকা লাভ করতে পারবেন। তাই আপনি যদি শেয়ারবাজার ব্যবসাতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আজ একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনার পছন্দ মত যে কোন কোম্পানির সাথে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের মাধ্যমে জানতে পারলেন শেয়ার বাজারের বিনিয়োগের পদ্ধতি, এবং শেয়ার বাজার কি শেয়ার বাজার কত প্রকার কিভাবে শেয়ার বাজার থেকে টাকা ইনকাম করতে হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি [বিস্তারিত এখানে] শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি [বিস্তারিত এখানে] শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি [বিস্তারিত এখানে] শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি [বিস্তারিত এখানে] শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি [বিস্তারিত এখানে] শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি [বিস্তারিত এখানে] শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি [বিস্তারিত এখানে] শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি [বিস্তারিত এখানে]
আপনি যদি আমাদের লেখাগুলো পড়ে উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের নতুন নতুন ব্যবসার আপডেট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সাথে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।