অ্যামাজন এর মালিক কে : অ্যামাজন কোম্পানির ইতিহাস সম্পর্কে আপনি যদি বিস্তারিত তথ্য পেতে চান। তাহলে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে সবচেয়ে বড় অবদান এর মধ্যে একটি হচ্ছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। শপিং এর ধারনা কে একেবারে আমূল বদলে দিয়েছে্
আর এই ই-কমার্স এর জগতে জায়ান্ট হিসেবে বিশ্ব বিখ্যাত হচ্ছে অ্যামাজন। amazon.com ইন্টারনেটভিত্তিক এন্টারপ্রাইজ। ওয়েবসাইটে আপনারা বই, সংগীত, সিনেমা, গৃহস্থালি সামগ্রী, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য এবং আরো অন্যান্য পণ্য বিক্রি করে।
অ্যামাজন কোম্পানি সরাসরি নতুন খুচরা বিক্রেতা এবং amazon.com এর লক্ষ লক্ষ গ্রাহকদের মধ্যে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করে থাকে।
এছাড়া অ্যামাজন ওয়েবসাইটের পরিষেবা ব্যবসার মধ্যে আছে। ইন্টারনেটে ডাটা স্টোরেজ এবং কম্পিউটিং রিসোর্স এছাড়া ক্লাউড কম্পিউটিং ভাড়া প্রদান করা হয়।
[wp_show_posts id=”3308″]
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাতে যাচ্ছে। অ্যামাজনের মালিক কে এবং অ্যামাজনের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে।
আপনি যদি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
অ্যামাজন কোম্পানির মালিক কে ?
জেফ বেজোস এর নাম শুনেছেন। জেফরি প্রেস্টন বোজোস হচ্ছেন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিইও।
1994 সালে, জেফ বেজোস ওয়াশিংটন এর সিয়াটেলে তার গ্যারেজে উক্ত কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও এটি 2021 সালে জুলাই মাসে তিনি সিইও পদ ছেড়ে দিয়ে, এই কোম্পানির নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হয়।
[wp_show_posts id=”3303″]
জেফ বেজোস হলেন একজন উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী এবং মিডিয়ার মালিক। তিনি অ্যামাজনের লাভজনক অধ্যক্ষ বর্তমানে তাকে, বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে ধনী হিসেবে পরিণত করেছে।
যদিও অতিসম্প্রতি 2021 সালে, এন্ডি জ্যাসি আনুষ্ঠানি ভাবে জেফ বেজোস এর পরিবর্তে অ্যামাজনের সিইও পদে আসীন হয়। জেফ বেজোস উক্ত কোম্পানিতে প্রায় 27 বছর সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরে এই পদ টি ছেড়ে দেন।
অ্যামাজন কোম্পানির ইতিহাস
1984 সালে, বেজোস ফিজিক্স এবং অঙ্ক বিষয় এর উপর নির্ভর করে। নিজের কেরিয়্যার তৈরি করে, তুলতে চাইলেও, পার্শিয়াল ডিফারেনশিয়াল সমীকরণ এর একটি অঙ্কে আটকে যাওয়ারজন্য বদলে দেওয়া হয় তার সিদ্ধান্ত।
তারপরে, 1986 সালে তিনি প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কম্পিউটার সায়েন্স এ গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করে।
তারপরে, তিনি ওয়াল স্ট্রিট ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ডিইশ এন্ড কোং-এ নিযুক্ত হওয়ার কয়েক বছর এর মধ্যে সেখানকার সর্বকনিষ্ট সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হন।
ফিনান্স সেক্টরে বেজোস যথেষ্ট লাভজনক কর্ম জীবনে নিযুক্ত ছিলেন। তারপরেও তিনি ই-কমার্স এর সাথে যুক্ত হওয়ার একটি সুযোগ খুজেছিলেন। যা তখনও এতটা ব্যাপকতা প্রসারিত ছিল না।
[wp_show_posts id=”3308″]
নিজের একটি ই-কমার্স কোম্পানি খোলার জন্য 1994 সালে যখন তিনি তার চাকরি ছেড়ে দেন। তখন তিনি সিয়াটলে প্রবেশ করেন। সেখানে ভাড়া বাড়িতে গ্যারেজে ইন্টারনেট বাজার এর অব্যবহৃত সম্ভাবনা কে ব্যবহার করে, একটি অনলাইন বই এর দোখান স্থাপন করেন।
তখন এটি অতিমাত্রায় একটি ঝুকিপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও অনেক দ্রুত তার এই অনলাইন ব্যবসা সফলতার মুখ দেখতে পায়।
ঠিক 1994 সালে বেজোস এর তৈরি করা উক্ত ই-বুক কোম্পানি অ্যামাজন নামে ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। আর এই ভাবে মুলত অ্যামাজন কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
আমাজন কোম্পানির আরো কিছু বিশেষ ইতিহাস
1994 সালে জেফ বোজেস প্রথম একটি ইন্টারনেট এন্টারপ্রাইজ চালু করার ধারণা পেয়ে যান। ডিইশ এর বিনিয়োগ এর জন্য নতুন উদ্যোগ এর সন্ধানে ইন্টারনেট সার্ফ করার জন্য তিনি দেখতে পারেন। ওয়ার্ড ওয়াইড ওয়েব এর প্রতি মাস এর ব্যবসার প্রায় 2300% বেড়ে গেছে।
তারপরে তিনি সাথে সাথে ইন্টারনেট মাধ্যমে অনলাইন বিক্রির ব্যাপক সম্ভাবনা গুলোর কথা বুঝতে পারেন।ওয়াশিংটন এর বিক্রি করার মাত্রা কম হওয়ার দরুন। বেজোস অ্যামাজন কে এটার গ্রাহকদের কাছ থেকে বিক্রয় করা না দিয়ে প্রায় সকল বই ক্রয় করার অনুমতি দিয়ে দেন।
তিনি প্রথম তার নিজের টাকায় 10000 ডলার দিয়ে অ্যাজন কোম্পানি চালু করেন। তিনি তার প্রাক্তন স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি এবং ছোট কর্মীদের সাথৈ তার ভাড়া বাসায় গ্যঅরেজ থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে অ্যাজন পরিচালনা করে।
অ্যামাজনের সংগ্রাম ও সাফল্য
1997 সালে, জনসাধারণকে যুক্ত করা হয়। অ্যামাজন প্রতি শেয়ার এ 1.96 ডলার মূল্যে প্রায় 300 মিলিয়ন মূর্যায়ন এর সাথে সর্ব জনীন করা হয়। পরবর্তীতে স্টক ভাগ হওয়ার পর 18 ডলার এ সামঞ্জস্য করা হয়।
আপনাকে যদি 1997 সালে, অ্যাজন শেয়ার 1000 ডলার আইপিও তে বিনিয়োগ করতে হতো তাহলে 2019 সাল এর শেষ নাগাদ সেই শেয়ার গুলোর মূল্য হয়েছিল 1137000 ডলার এরও বেশি।
[wp_show_posts id=”3303″]
অ্যামাজন এর ক্রমবর্ধমান সাফল্যের সাথে এর কিছু বৃহত্তর প্রতিযোগীর নিশানাতে পড়তে হয়। যেমন- বার্নস এন্ড নোবেল, ওয়ালমার্টের এর মতো কোম্পানি গুলো প্রকাশ্যেই উক্ত ই-কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে থাকে।
1999 সালে অ্যামাজন তৃতীয় পক্ষের বিক্রেতাদের অনুমতি দেওয়া হয়। অ্যামাজান ব্যবসার সম্পূর্ণ নতুন একটি কাঠামো তৈরি করা হয়। এই সময় থেকে উক্ত কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের বিক্রেতাদের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে পণ্য কেনা বেচার অনুমতি দেওয়া হয়।
যাতে করে এখান থেকে ভোক্তারা বিরল অনন্য আর বিশেষ আইটেম গুলো খুজে পেতে পারে। ফলবশত অ্যামাজন তৃতীয় পক্ষ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার মাত্র চার মাস এর মধ্যে এর গ্রাক সংখ্যা প্রায় 250000 এর বেশি হয়ে যায়।
2020 সালে কোভিড-19 এর সময়ে পরিষেবা প্রদান। করোনা মহামারীতে বিশ্বব্যাপী প্রভাবের দরুন অগুনতি সংস্থা ক্ষতির সম্মুখিন হলেও অ্যামাজন এর মতো বিশিষ্ট কোম্পানি ব্যাপক ভাবে পরিষেবা প্রদান করেছেন।
এই সময়ে বেজোস কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যক্রম ফিরে আসারা সাথে সাথে উক্ত কোম্পানির কর্মীদের সুরক্ষা না দেওয়অর জন্য সমালোচনার সম্মুখিন হয়েছেন।
কিন্তু মহামারী এবং লকডাউন চলা সময় বিশ্বব্যাপী অ্যামাজন এর পরিষেবা সারা বিশ্ব এর বুকে অব্যাহত ছিল। তার জন্য ধরা যায় যে, কোভিড-19 তার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব অ্যামাজনকে তার ইতিহাস এর অন্য যে কোন ঘটনার থেকে অনেক বেশি প্রভাবিত করবে।
- আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় [বিস্তারিত এখানে]
- ডিজিটাল মার্কেটিং কেন একটি লাভজনক ক্যারিয়ার
- কিভাবে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করবেন ? পণ্য বিক্রির সেরা উপায়
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা, আজ আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হলো, অ্যামাজন এর মালিক কে? এবং আমাজন এর বিভিন্ন ইতিহাস সম্পর্কে। আশা করি উক্ত আলোচনা অনুসরণ করে আপনারা বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছেন।
তো আমাদের আর্টিকের আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন। আর বিশেষ করে, আপনি যদি আমাদের এই ওয়েব সাইট থেকে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চান। তাহলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।